ইহুদি অধ্যুষিত নিউইয়র্ক শহরের রাজনীতিতে এক শিয়া মুসলমানের উত্থান যেন সিনেমার গল্প! আফ্রিকা থেকে ভারত, দুই দেশেরই পরিচয় বহন করা তেত্রিশ বছরের এই তরুণ নেতা জয় করেছেন ভোটারদের হৃদয়। ছিনিয়ে এনেছেন প্রার্থিতার টিকিট। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের আবহেও ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চলের ভোটেই জিতে এসেছেন তিনি।
রাতুল আল আহমেদ

ইহুদি অধ্যুষিত এক শহরের হালের নায়ক এক শিয়া মুসলমান, যার বাবার জন্ম উগান্ডায়, আর মা জন্মেছেন ভারতে। ফিলিস্তিনে চলা ইসরায়েলি গণহত্যা বা সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ডামাডোলের ভেতরে এ যেন সিনেমার মতো ঘটনা। নায়কের নাম জোহরান মামদানি, আর শহরের নাম নিউইয়র্ক সিটি।
নিউইয়র্ক শহরের মেয়র প্রার্থিতার ভোটে জোহরান মামদানি বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে জিতে নিয়েছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির টিকিট। সাধারণত দেখা যায় নিউইয়র্ক শহরের মেয়র প্রার্থিতার ভোটে যিনি টিকিট পান, চূড়ান্ত নির্বাচনে তিনিই জয়লাভ করে থাকেন।
পুরো পৃথিবীতে ইসরায়েলের পরেই সবচেয়ে বেশি ইহুদির বসবাস নিউইয়র্কে। প্রায় ১৯ লাখ ইহুদি বাস করে শহরটিতে। এমনকি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের চেয়েও অধিক ইহুদির বাস নিউইয়র্কে। আর এই ইহুদিদের অর্ধেকের বেশি বসবাস করেন ব্রুকলিনে। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের’ প্রতিবেদন অনুযায়ী মামদানি সর্বাধিক ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এই অঞ্চল থেকেই। বোঝাই যাচ্ছে, মামদানির ক্যারিশমায় মুগ্ধ হয়েছেন নিউইয়র্কের বহু ইহুদি ভোটারও।
এই প্রতিযোগিতায় মামদানির প্রতিপক্ষ ছিলেন নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট রাজনীতির অন্যতম পরিচিত মুখ। কুয়োমো তাঁর ক্যাম্পেইনে স্পষ্টতই ইসরায়েলপন্থী বক্তব্য তুলে ধরেন । ইহুদি ভোটারদের টার্গেট করে বিপুল ব্যয়ে প্রচারণাও চালান তিনি। তাঁর ক্যাম্পেইন চালানোর পেছনে পয়সা ঢেলেছেন তাবড় সব বিলিয়নারেরা। তবু শেষরক্ষা হলো না কুয়োমোর। জায়নবাদ বিরোধী মামদানির কাছে পরাজয় স্বীকার করে ইতিমধ্যেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
বিপরীতে, জোহরান মামদানি কোনো প্রচলিত রাজনীতিবিদ নন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে উঠে আসা এক রাজনীতিবিদ। তেত্রিশ বছর বয়সী মামদানি ডেমোক্র্যাটিক সোশালিস্ট অব আমেরিকার সদস্য হিসেবে একজন খাঁটি সমাজতন্ত্রী। তাঁর বিশ্বাস বাসভাড়া মওকুফ, বাড়িভাড়া স্থগিত করা এবং পাবলিকের মালিকানায় মুদি দোকান পরিচালনা করা—এই তিনটি জিনিসও নিউইয়র্কবাসীর মৌলিক অধিকার হতে পারে। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন স্পষ্টভাবে ধনীদের বিপরীতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়ানো। আর সে কারণেই তাঁর প্রচারাভিযান ধনী ডোনার বা কর্পোরেট লবির টাকায় নয়, হয়েছে হাজার হাজার সাধারণ দাতার ক্ষুদ্র অনুদানে।
মামদানির টিকিট জয়ে মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার এক কলামে লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানির বিজয় দেখিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা যদি ধনী ও কর্পোরেট শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের বাস্তব অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করে, তাহলে গণতন্ত্র ও পার্টি জেগে উঠতে পারে। বর্তমান নেতৃত্ব হয়তো এই পরিবর্তন মেনে নিতে চাইবে না। ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে সাধারণ মানুষের হাতে।’
মামদানি নিজেও জানেন, তাঁর পরিচয় নিয়ে বিতর্ক হবে। তিনি মুসলমান, শিয়া, ফিলিস্তিনপন্থী, এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের আহ্বান জানানো একমাত্র মার্কিন প্রার্থী। এসবের পরেও তিনি পিছু হটেননি। বরং তাঁর ভাষণে স্পষ্টভাবে এসেছে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানবতা, সমানাধিকার এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়ার লক্ষ্য।
পরিতাপের বিষয় হলো, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হয়েও পৃথিবীর প্রভাবশালী শহরের মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক টিকিট পাওয়া মামদানিকে ঘিরে ভারতে আলোচনার অভাব চোখে পড়ার মতো। মীরা নায়ার ও মাহমুদ মামদানির ছেলে, গুজরাটি বংশোদ্ভূত এই শিয়া মুসলমান প্রার্থী হিন্দি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় প্রচারণা চালিয়ে ডায়াসপোরা সমাজে দারুণ সংযোগ তৈরি করলেও ভারতীয় মিডিয়ায় তাঁর সাফল্য উপেক্ষিত। ভারতীয় লেখক ওমাইর আহমাদের মতে এর পেছনে আছে ধর্মীয় পরিচিতির রাজনীতি। কারণ সাম্প্রতিক ভারতের হিন্দুত্ববাদী ধারা মুসলমান নেতাদের অর্জনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। একইসঙ্গে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি সংকুচিত হওয়ায় প্রবাসেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মামদানি যেহেতু মোদি ও নেতানিয়াহুর নীতির সমালোচক, তাই প্রবাসী উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতার মুখে পড়েছেন তিনি। তাঁর জয় ভারতের সংকীর্ণ কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
জোহরান মামদানি তাঁর বিজয় ভাষণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ প্রতি। যাঁরা শেষ অব্দি তাঁর হয়ে লিফলেট বিলি করেছেন, দরজায় দরজায় গেছেন, স্টেশনে দাঁড়িয়ে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন কেন মামদানি একজন ব্যতিক্রমী প্রার্থী। তাঁর এই বহু পরিচয়কে ধারণ করার ক্ষমতা তাঁকে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে আলাদা করেছে।
মামদানির এই জয়ের পেছনে কাজ করেছে নতুন এক প্রজন্ম, যাদের বিশ্বাস রাজনীতি কেবল ক্ষমতার খেলা নয় বরং নৈতিক অবস্থান নেওয়ার সাহস। ট্রাম্প থেকে শুরু করে কুয়োমো—রাজনীতির বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা মামদানিকে তুলোধুনা করেছেন ‘কমিউনিস্ট’, ‘ক্ষ্যাপা’ কিংবা ‘এন্টি-সেমেটিক’ বলে। এসব অপবাদ কিন্তু থামাতে পারেনি এক তরুণ প্রজন্মের উত্তাল পদধ্বনি— ‘যারা এবার বলেছে আমাদের শহরটা বদলাতে হবে’।
জোহরান মামদানি সেই পরিবর্তনের মুখ।
নিউইয়র্ক শহরের কথা তো হলো। মামদানিকে নিয়ে বাংলাদেশি ডায়াসপোরা থেকে শুরু করে বাংলাদেশেও চলছে মাতামাতি। তাঁকে নিয়ে আলাপ চলছে আড্ডায়, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন হলো, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে জোহরান মামদানির মতন গণমানুষের পক্ষে কথা বলা কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড় করাবে কি?

ইহুদি অধ্যুষিত এক শহরের হালের নায়ক এক শিয়া মুসলমান, যার বাবার জন্ম উগান্ডায়, আর মা জন্মেছেন ভারতে। ফিলিস্তিনে চলা ইসরায়েলি গণহত্যা বা সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ডামাডোলের ভেতরে এ যেন সিনেমার মতো ঘটনা। নায়কের নাম জোহরান মামদানি, আর শহরের নাম নিউইয়র্ক সিটি।
নিউইয়র্ক শহরের মেয়র প্রার্থিতার ভোটে জোহরান মামদানি বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে জিতে নিয়েছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির টিকিট। সাধারণত দেখা যায় নিউইয়র্ক শহরের মেয়র প্রার্থিতার ভোটে যিনি টিকিট পান, চূড়ান্ত নির্বাচনে তিনিই জয়লাভ করে থাকেন।
পুরো পৃথিবীতে ইসরায়েলের পরেই সবচেয়ে বেশি ইহুদির বসবাস নিউইয়র্কে। প্রায় ১৯ লাখ ইহুদি বাস করে শহরটিতে। এমনকি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের চেয়েও অধিক ইহুদির বাস নিউইয়র্কে। আর এই ইহুদিদের অর্ধেকের বেশি বসবাস করেন ব্রুকলিনে। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের’ প্রতিবেদন অনুযায়ী মামদানি সর্বাধিক ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এই অঞ্চল থেকেই। বোঝাই যাচ্ছে, মামদানির ক্যারিশমায় মুগ্ধ হয়েছেন নিউইয়র্কের বহু ইহুদি ভোটারও।
এই প্রতিযোগিতায় মামদানির প্রতিপক্ষ ছিলেন নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট রাজনীতির অন্যতম পরিচিত মুখ। কুয়োমো তাঁর ক্যাম্পেইনে স্পষ্টতই ইসরায়েলপন্থী বক্তব্য তুলে ধরেন । ইহুদি ভোটারদের টার্গেট করে বিপুল ব্যয়ে প্রচারণাও চালান তিনি। তাঁর ক্যাম্পেইন চালানোর পেছনে পয়সা ঢেলেছেন তাবড় সব বিলিয়নারেরা। তবু শেষরক্ষা হলো না কুয়োমোর। জায়নবাদ বিরোধী মামদানির কাছে পরাজয় স্বীকার করে ইতিমধ্যেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
বিপরীতে, জোহরান মামদানি কোনো প্রচলিত রাজনীতিবিদ নন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে উঠে আসা এক রাজনীতিবিদ। তেত্রিশ বছর বয়সী মামদানি ডেমোক্র্যাটিক সোশালিস্ট অব আমেরিকার সদস্য হিসেবে একজন খাঁটি সমাজতন্ত্রী। তাঁর বিশ্বাস বাসভাড়া মওকুফ, বাড়িভাড়া স্থগিত করা এবং পাবলিকের মালিকানায় মুদি দোকান পরিচালনা করা—এই তিনটি জিনিসও নিউইয়র্কবাসীর মৌলিক অধিকার হতে পারে। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন স্পষ্টভাবে ধনীদের বিপরীতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়ানো। আর সে কারণেই তাঁর প্রচারাভিযান ধনী ডোনার বা কর্পোরেট লবির টাকায় নয়, হয়েছে হাজার হাজার সাধারণ দাতার ক্ষুদ্র অনুদানে।
মামদানির টিকিট জয়ে মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার এক কলামে লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানির বিজয় দেখিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা যদি ধনী ও কর্পোরেট শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের বাস্তব অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করে, তাহলে গণতন্ত্র ও পার্টি জেগে উঠতে পারে। বর্তমান নেতৃত্ব হয়তো এই পরিবর্তন মেনে নিতে চাইবে না। ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে সাধারণ মানুষের হাতে।’
মামদানি নিজেও জানেন, তাঁর পরিচয় নিয়ে বিতর্ক হবে। তিনি মুসলমান, শিয়া, ফিলিস্তিনপন্থী, এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের আহ্বান জানানো একমাত্র মার্কিন প্রার্থী। এসবের পরেও তিনি পিছু হটেননি। বরং তাঁর ভাষণে স্পষ্টভাবে এসেছে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানবতা, সমানাধিকার এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়ার লক্ষ্য।
পরিতাপের বিষয় হলো, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হয়েও পৃথিবীর প্রভাবশালী শহরের মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক টিকিট পাওয়া মামদানিকে ঘিরে ভারতে আলোচনার অভাব চোখে পড়ার মতো। মীরা নায়ার ও মাহমুদ মামদানির ছেলে, গুজরাটি বংশোদ্ভূত এই শিয়া মুসলমান প্রার্থী হিন্দি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় প্রচারণা চালিয়ে ডায়াসপোরা সমাজে দারুণ সংযোগ তৈরি করলেও ভারতীয় মিডিয়ায় তাঁর সাফল্য উপেক্ষিত। ভারতীয় লেখক ওমাইর আহমাদের মতে এর পেছনে আছে ধর্মীয় পরিচিতির রাজনীতি। কারণ সাম্প্রতিক ভারতের হিন্দুত্ববাদী ধারা মুসলমান নেতাদের অর্জনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। একইসঙ্গে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি সংকুচিত হওয়ায় প্রবাসেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মামদানি যেহেতু মোদি ও নেতানিয়াহুর নীতির সমালোচক, তাই প্রবাসী উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতার মুখে পড়েছেন তিনি। তাঁর জয় ভারতের সংকীর্ণ কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
জোহরান মামদানি তাঁর বিজয় ভাষণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ প্রতি। যাঁরা শেষ অব্দি তাঁর হয়ে লিফলেট বিলি করেছেন, দরজায় দরজায় গেছেন, স্টেশনে দাঁড়িয়ে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন কেন মামদানি একজন ব্যতিক্রমী প্রার্থী। তাঁর এই বহু পরিচয়কে ধারণ করার ক্ষমতা তাঁকে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে আলাদা করেছে।
মামদানির এই জয়ের পেছনে কাজ করেছে নতুন এক প্রজন্ম, যাদের বিশ্বাস রাজনীতি কেবল ক্ষমতার খেলা নয় বরং নৈতিক অবস্থান নেওয়ার সাহস। ট্রাম্প থেকে শুরু করে কুয়োমো—রাজনীতির বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা মামদানিকে তুলোধুনা করেছেন ‘কমিউনিস্ট’, ‘ক্ষ্যাপা’ কিংবা ‘এন্টি-সেমেটিক’ বলে। এসব অপবাদ কিন্তু থামাতে পারেনি এক তরুণ প্রজন্মের উত্তাল পদধ্বনি— ‘যারা এবার বলেছে আমাদের শহরটা বদলাতে হবে’।
জোহরান মামদানি সেই পরিবর্তনের মুখ।
নিউইয়র্ক শহরের কথা তো হলো। মামদানিকে নিয়ে বাংলাদেশি ডায়াসপোরা থেকে শুরু করে বাংলাদেশেও চলছে মাতামাতি। তাঁকে নিয়ে আলাপ চলছে আড্ডায়, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন হলো, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে জোহরান মামদানির মতন গণমানুষের পক্ষে কথা বলা কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড় করাবে কি?

গত আট দশকে বিশ্বের কোনো বড় শক্তির মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হয়নি। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এই কালপর্বকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ শান্তির সময় হিসেবে গণ্য হয়। এই শান্তি একদিনে আসেনি—দুটি ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী অভিজ্ঞতার পর বিশ্ব নেতারা বাধ্য হয়েছিলেন শান্তির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে।
১৭ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গত বছর জুলাই-আগস্টের দমন-পীড়নের ঘটনায় হাসিনার অনুপস্থিতিতেই দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে...
১ দিন আগে
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ, যা নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। বহু বছর ধরে এটি অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দূষণ এবং প্রাণবৈচিত্র্য হারানোর কারণে পরিবেশগত ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
২ দিন আগে
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটের দিকে রাজধানীর মহাখালী এলাকার কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে কড়াইল কেবল একটি বস্তি নয়, বরং ঢাকার রাজনৈতিক অর্থনীতির এক পরীক্ষাগার। সরকারি জমিতে জন্মানো এই জনপদ তিন দশকে একটি শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক আবাসনে পরিণত হয়েছে।
২ দিন আগে