leadT1ad

পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে কেন আবার বিক্ষোভ-সংঘাত

বিক্ষোভের তাৎক্ষণিক কারণ হলো, সরকার গমের আটা ও বিদ্যুতের ভর্তুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। পাকিস্তানে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গমের দাম কয়েক মাসে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে মূলত এই অস্থিরতার সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালের মে মাসে।

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
২৮ সেপ্টেম্বর থেকে মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও রাওয়ালাকোটসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। স্ট্রিম গ্রাফিক

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। তবে অ্যাকটিভিস্টদের দাবি ৩ পুলিশসহ নিহতের সংখ্যা ১৫ জন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে এই অস্থিরতা চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকট এ মানবিক বিপর্যয়কে আরও গভীর করছে।

কী ঘটছে

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও রাওয়ালাকোটসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এর নেতৃত্ব দিচ্ছে জম্মু কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি (জেএএসি)। এতে ব্যবসায়ী, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের নেতারা রয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং ‘কাশ্মীর আমাদের’ বলে স্লোগান দেয়।

সংঘর্ষ তীব্র হলে আধাসামরিক বাহিনী টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। সরকারি হিসাবে ৯ জন নিহত হয়েছেন— তিনজন পুলিশ ও ছয়জন বেসামরিক। তবে বিক্ষোভকারীরা দাবি করছে নিহতের সংখ্যা ১৫, এর মধ্যে শিশুও রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৭২ জন পুলিশ ও ৫০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।

অ্যাকটিভিস্ট শওকত নওয়াজ মীরের নেতৃত্বে জম্মু কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি (জেএএসি) ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে। এতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের (আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর— এজেকে) বহু জেলা অচল হয়ে গেছে।

সরকার ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা একেবারেই বন্ধ। মুজাফফরাবাদে সাধারণত ব্যস্ত বাজারগুলো বন্ধ রয়েছে। সড়ক থেকে হকার ও গণপরিবহন উধাও। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

জেএএসি নেতাদের দাবি, সরকারের সঙ্গে তাদের ৩৮ দফা দাবিতে সমঝোতা না হওয়ায় এ আন্দোলন শুরু হয়েছে।

গত দুই বছরে এটি তৃতীয় বড় আন্দোলন। স্থানীয় সরকার ও তৃণমূল আন্দোলনের এই টানাপোড়েন নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক সঙ্কটই এর সর্বশেষ ও তীব্রতম রূপ।

সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

বিক্ষোভের কারণ কী

তাৎক্ষণিক কারণ হলো, সরকার গমের আটা ও বিদ্যুতের ভর্তুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। পাকিস্তানে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গমের দাম কয়েক মাসে দ্বিগুণ হয়েছে।

তবে মূলত এই অস্থিরতার সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালের মে মাসে। সে সময় বাসিন্দারা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বিদ্যুত বিলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। একই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে গম পাচার ও ভর্তুকিযুক্ত গমের তীব্র সংকট নিয়ে।

২০২৩ সালের আগস্টে এসব অভিযোগ একত্র হয়ে সংগঠিত প্রতিরোধে রূপ নেয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে মুজাফফরাবাদে শতাধিক কর্মী একত্র হয়ে জেএএসি গঠন করে। এতে সব জেলার প্রতিনিধি যুক্ত হয়।

২০২৪ সালের মে মাসে আন্দোলন প্রথম বড় ধাক্কা খায়। কর্মীরা মুজাফফরাবাদের উদ্দেশে লং মার্চ শুরু করলে সহিংস সংঘর্ষ ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়, তাদের মধ্যে একজন পুলিশও ছিলেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের হস্তক্ষেপে। তিনি আটা ও বিদ্যুতের দাম কমানোর মূল দাবিগুলো মেনে নেন। সরকার কয়েক বিলিয়ন রুপি ভর্তুকি দেয় আটা সস্তায় বিক্রি এবং বিদ্যুতের দাম কমানোর জন্য।

তবে এ বছরের আগস্টে জেএএসি নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এবার তাদের দাবি শুধু অর্থনৈতিক সীমায় সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং আরও বিস্তৃত অভিযোগ সামনে আনে।

আরও গভীর সমস্যা রয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে আজাদ জম্মু কাশ্মীর পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এটি আধা-স্বশাসিত এলাকা। প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি পাকিস্তানের হাতে। এতে স্থানীয়রা বঞ্চিত মনে করেন। কৃষি ও প্রবাসী আয়ে অর্থনীতি চলে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রতিশ্রুত সাহায্যের কেবল সামান্য অংশই এ অঞ্চলে পৌঁছায়। এ কারণে ক্ষোভ বাড়ছে।

জেএএসি নেতা শওকত নওয়াজ মীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ড থেকে আধাসামরিক বাহিনী আনার প্রয়োজন ছিল না।’ তার মতে, স্থানীয়দের কাছে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ও অতিরিক্ত দমননীতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত প্রাকৃতিকভাবে দেখতে মনোরম কাশ্মীর উপত্যকা অত্যন্ত বিতর্কিত একটি অঞ্চল। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে এ অঞ্চল নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান একাধিক যুদ্ধ করেছে। বর্তমানে দুই দেশ এ অঞ্চলের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া চীনও উত্তরাঞ্চলের দুটি অংশ শাসন করে।

ভারত সমগ্র কাশ্মীরকে নিজের দাবি করে। অপরদিকে পাকিস্তান চীনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বাদ দিয়ে বাকি কাশ্মীরকে দাবি করে। ২০১৭ সালের জনশুমারি অনুযায়ী পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনসংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। এ অঞ্চল আধা-স্বশাসিত ব্যবস্থায় পরিচালিত হয়। এখানে নিজস্ব প্রধানমন্ত্রী ও আইনসভা রয়েছে।

পাকিস্তানের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকট এ মানবিক বিপর্যয়কে আরও গভীর করছে। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকট এ মানবিক বিপর্যয়কে আরও গভীর করছে। ছবি: সংগৃহীত।

বিক্ষোভকারীরা কী চায়

জেএএসি সর্বশেষ যে চার্টার প্রকাশ করেছে তাতে রয়েছে ৩৮ দফা দাবি। এতে বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, বড় অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রাদেশিক আইনসভার কাঠামো পরিবর্তনের মতো বিষয়ও রয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো ‘শাসকগোষ্ঠীর বিশেষ সুবিধা’ বাতিল করা। এ দাবি আগের আন্দোলনগুলোতেও গুরুত্ব পেয়েছিল। জেএএসি জানায়, ২০২৪ সালের মে মাসের বিক্ষোভের পর সরকার বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যাতে এসব বিশেষ সুবিধা পর্যালোচনা করা হয়।

মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা বর্তমানে একাধিক সুবিধা পান। এর মধ্যে রয়েছে দুটি সরকারী গাড়ি, ব্যক্তিগত কর্মী ও দেহরক্ষী, এবং সীমাহীন জ্বালানি সরবরাহ।

প্রথমবারের মতো তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরেকটি বড় দাবি। তা হলো স্বশাসিত অঞ্চলের আইনসভায় শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি আসন বাতিল করা।

জেএএসি-র অভিযোগ, ১৯৪৭ সালে ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে আসা শরণার্থী ও তাদের উত্তরসূরিরা এখন একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। তারা উন্নয়ন তহবিল দখল করে রেখেছে।

চার্টারে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বিক্ষোভের সময় কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া কর অব্যাহতি, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদিও রয়েছে।

অবকাঠামো উন্নয়ন জেএএসি-র অন্যতম লক্ষ্য। তারা নতুন টানেল, সেতু এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের দাবি তুলেছে, যাতে পার্বত্য এলাকাটি পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আরও ভালোভাবে যুক্ত হয়। মুজাফফরাবাদে একটি বিমানবন্দর থাকলেও বহু বছর ধরে তা ব্যবহারযোগ্য নয়।

তবে এ বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি কমিটি গঠন করেছেন বিমানবন্দরটি সচল করার বিষয়ে কাজ করার জন্য। তিনি মিরপুরে, যা অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, একটি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকারের প্রতিক্রিয়া: কঠোর ব্যবস্থার মধ্যে আলোচনা

সরকার একদিকে কঠোর দমনপীড়ন চালাচ্ছে অন্যদিকে আলোচনাও শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ২ অক্টোবর সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি সংযমের আহ্বান জানান এবং সহিংসতা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেন। একইসঙ্গে বিমানবন্দরসহ কিছু দাবির দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।

২ অক্টোবর মুজাফফরাবাদে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রাদেশিক অর্থমন্ত্রী আব্দুল মজিদ খান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনার দল উপস্থিত থাকায় শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’ তবে সংরক্ষিত আসন ও বিশেষ সুবিধা নিয়ে অচলাবস্থা রয়ে গেছে।

অর্থমন্ত্রী খান বলেন, ‘শুরুতে যখন তারা আন্দোলন শুরু করে, তখন বিষয় ছিল বিদ্যুৎ ও আটার দাম। আমরা সে বিষয়ে একমত হয়েছিলাম। কিন্তু তাদেরও বুঝতে হবে—সবকিছু রাতারাতি সম্ভব নয়, সময় লাগে।’ এভাবে তিনি সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

প্রাকৃতিকভাবে কাশ্মীর ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাকৃতিকভাবে কাশ্মীর ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত। ছবি: সংগৃহীত।

তবে খান স্বীকার করেন, জেএএসি-এর ৩৮ দফার বেশিরভাগ দাবিতে সরকার সম্মত হয়েছে। কিন্তু দুটি স্পর্শকাতর ইস্যুতে আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এগুলো হলো—শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি আসন বাতিল এবং তথাকথিত ‘শাসকগোষ্ঠীর বিশেষ সুবিধা’ বন্ধ করা।

খান যুক্তি দেন, শরণার্থীরা চরম দারিদ্র্য নিয়ে পাকিস্তানে এসেছিল, তাই এসব সুবিধা তাদের জন্য ক্ষতিপূরণস্বরূপ।

খান বলেন, ‘এরা সেই মানুষদের সন্তান ও পরিবার, যারা ভারত থেকে পাকিস্তানে এসেছিল। তারা তখন সম্পদশালী জমিদার ও ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু এখানে এসে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ে যান এবং তাদের সম্পদ ছেড়ে আসতে হয়েছে। জেএএসি মনে করে তাদের জন্য আসনের সংরক্ষণ অবিচার। কিন্তু আমরা যদি এই মানুষের অধিকার দেই না, তাহলে তারা কেন এত কষ্ট করে এখানে এসেছে?’

অর্থমন্ত্রী মজিদ খান নিজেও ওই অঞ্চলের আনুমানিক ২৭ লাখ মানুষের একজন, যাদের পরিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছিল।

খান জেএএসি-র নতুন বিক্ষোভের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আগের দাবির বেশিরভাগ ইতিমধ্যেই পূরণ হয়েছে। বর্তমান সমস্যার অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে তহবিল নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে মানুষের ওপর খুব কম কর আরোপিত, বিদ্যুতের ভর্তুকি ইতিমধ্যেই কমানো হয়েছে। পুরো অঞ্চলে মাত্র ৫,০০০ জন ট্যাক্স ফাইলার আছে, যা সরকারের আয়ের অতি কম পরিমাণ নির্দেশ করে।’

বৃহস্পতিবার সরকারি প্রতিনিধিরা ও জেএএসি সদস্যদের মধ্যে আলোচনাসভা কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়। পরবর্তী রাউন্ড শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

উভয় পক্ষ প্রকাশ্যে সংলাপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও, বারবার প্রতিশ্রুতি ও ব্যর্থতার কারণে গভীর আস্থা সংকট রয়েছে।

জেএএসি-র ধারাবাহিক বিক্ষোভের পরও সরকার দাবি করে, বেশিরভাগ দাবি পূরণ হয়েছে। সংবিধানিক ও নির্বাচন সম্পর্কিত সংস্কার তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব নয়।

খান জানান, আলোচনায় অর্থপূর্ণ অগ্রগতি হলে সরকার দ্রুত ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা পুনরায় চালু করবে।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, ডিডাব্লিউ

Ad 300x250

সম্পর্কিত