উগান্ডা মানেই অনেকের চোখে এক অচেনা, অগোছালো আফ্রিকান দেশ। কিন্তু জানেন কি একসময় এই দেশেই ছিল হাজার হাজার ভারতীয়র ঘরবসতি? কেউ এসেছিল রেলপথ বানাতে, কেউ বা ব্যবসা করতে। কিন্তু একদিন হঠাৎ ৯০ দিনের আল্টিমেটাম! কেন? কী ঘটেছিল উগান্ডায়? ফিরে দেখা এক বিস্ময়কর ইতিহাস।
রাতুল আল আহমেদ

আমরা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নৈরাজ্যের দেশ’ হিসেবে ব্যঙ্গ করে উগান্ডার নাম নিয়ে থাকি। দেশটি আবার উঠে এসেছে আড্ডায়, তবে প্রসঙ্গ ভিন্ন। হালের ক্রেজ মার্কিন রাজনীতিবিদ জোহরান মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও জন্মগ্রহণ করেন উগান্ডায়। কিন্তু ভারতীয়রা কীভাবে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশে এলো তা নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে কৌতূহল।
ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে (১৮৯৪–১৯৬২) পূর্ব আফ্রিকায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে রেললাইন স্থাপন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক কাজে বিপুল লোকবল প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য ব্রিটিশ শাসকেরা ভরসা করে তাদের পুরোনো উপনিবেশের বাসিন্দা তথা ভারতীয়দের ওপর।
১৮৯০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার উগান্ডায় রেলপথ নির্মাণের জন্য ৩২ হাজার ভারতীয় শ্রমিককে সমুদ্রপথে নিয়ে আসে। এদের বড় অংশই কাজ শেষে ভারত বা ব্রিটেন পাড়ি দেয়। তবে কেউ কেউ স্থায়ী হন দেশটিতে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত উগান্ডান লেখক ওয়ালি জামালের মতে, এ সংখ্যা ছয় হাজারের কিছু বেশি। তারা উগান্ডায় দোকানপাট, গুদাম, পোশাক ও ব্যাংকের ব্যবসা গড়ে তোলেন।
কয়েক দশকের মধ্যেই ভারতীয়রা উগান্ডার অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত হয়। তারা ছিলেন ব্রিটিশ শাসক আর স্থানীয় কৃষিজীবী আফ্রিকানদের মধ্যে এক বাণিজ্যিক সেতু।
১৯৭০-এর দশকে দেখা যায়, ভারতীয়রা উগান্ডার মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ। তারপরও তারাই নিয়ন্ত্রণ করত দেশটির মোট ব্যবসা-বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ। একই সঙ্গে তারা জাতীয় আয়ের ২০ শতাংশেরও অধিক নিয়ন্ত্রণ করত।
ভারতীয়রা অর্থনৈতিকভাবে সফল হলেও স্থানীয় আফ্রিকানদের সঙ্গে তাদের মেলামেশা ছিল খুবই কম। তারা থাকতেন আলাদা এলাকায়, স্কুলেও যেতেন আলাদা। এমনকি জীবনযাপনেও ছিল না স্থানীয়দের সঙ্গে সংযোগ। ফলে দেশটিতে জাতিগত ও শ্রেণিগত বিভাজন ক্রমেই বাড়তে থাকে।
১৯৬২ সালে উগান্ডা যখন ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হয়, তখনও এই ভারতীয়রা দেশটির অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখত।
উগান্ডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিল্টন ওবোটে জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে ‘আফ্রিকানাইজেশন’ নীতি গ্রহণ করেন। এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষমতা স্থানীয় উগান্ডাবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া। ভারতীয়দের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না তাঁর। মিল্টন ওবোটের মতে, ভারতীয়রা উগান্ডার নাগরিকত্ব নেয় না। তারা ব্রিটিশ পাসপোর্ট রাখে। এমনকি উগান্ডার সমাজের সঙ্গেও মেশে না।
১৯৬৯ সালে ওবোটে ‘কমন ম্যান্স চার্টার’-এর ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে তিনি সমাজতান্ত্রিক নীতির কথা বলেন। বিদেশি ও ভারতীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ শুরু হয় এ সময়েই। ব্যবসায় লাইসেন্স, কর্মসংস্থান পারমিট, এমন নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন তিনি।
ইদি আমিন ১৯৭১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উগান্ডার ক্ষমতা দখল করেন। মিল্টন ওবোটে ১৯৬৬ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করে আমিনকে সেনাপ্রধান করেন। তবে দ্রুতই ইমি আমিনকে সন্দেহ করতে শুরু করেন ওবোটে। বিশেষত সেনাবাহিনীতে আমিনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও তাঁর সম্পদের উৎস ঘিরে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
১৯৭১ সালে ক্ষমতা দখলের পর ইদি আমিন ১৯৭২ সালে ঘোষণা দেন, উগান্ডায় বসবাসরত সমস্ত ভারতীয়দের ৯০ দিনের মধ্যে দেশত্যাগ করতে হবে।
ভারতীয়দের প্রতি তাঁর অভিযোগ ছিল, ভারতীয়রা উগান্ডার অর্থনীতি ধ্বংস করছে। তাঁরা বিশ্বস্ত নয়, বিদেশি রাষ্ট্রের অনুগত। তারা উগান্ডার সমাজে মিশে যায়। তারা সাধারণ আফ্রিকানদের শোষণ করছে। আমিন ঘোষণা দেন, ‘আমরা আসল উগান্ডাবাসীর হাতে উগান্ডা ফিরিয়ে দিচ্ছি।’
৫০ হাজারের বেশি ভারতীয়কে রাতারাতি উগান্ডা ছাড়তে হয়। এদের অনেকেই ছিলেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। তবে কেউ কেউ উগান্ডার নাগরিকও ছিলেন। তাদের প্রায় সবাইকে মাত্র ১২০ ডলার ও ২২০ কেজি জিনিসপত্র নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ভারতীয়দের ব্যবসা, দোকানপাট, বাড়িঘর ও সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হয়। উগান্ডার সেনারা ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ সময় নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে।
ইদি আমিন দাবি করেছিলেন, তিনি কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের হাতে অর্থনীতি তুলে দেবেন। তবে বাস্তবে ভারতীয়দের তাড়ানোর পর উগান্ডার অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। কিছু পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটির জিডিপি ৫ শতাংশ কমে যায়। শিল্প উৎপাদন ভেঙে পড়ে। বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। দেশব্যাপী দক্ষ ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীর সংকট তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক মহলেও নিন্দার ঝড় ওঠে। ভারত ও ব্রিটেন উগান্ডার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ব্রিটেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে এই বিতাড়িত ভারতীয়রা আশ্রয় পায়। ১৯৭২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে প্রথম সরকারি উদ্ধারকারী বিমান এসে পৌঁছায়। এরপর প্রায় ২৯ হাজার ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ভারতীয় যুক্তরাজ্যে বসতি গড়েন। তারা পরবর্তীতে ব্যবসা, রাজনীতি, শিক্ষা ও শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
১৯৯৭ সালে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োওয়ারি মুসেভেনি উগান্ডান-এশিয়ানদের ‘বাড়ি ফিরে আসার’ আমন্ত্রণ জানান। বর্তমানে উগান্ডার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, উগান্ডার এশিয়ান জনগোষ্ঠী আবার সে দেশের রাজস্ব খাতে প্রায় ৬৫ শতাংশ অবদান রাখছে।
যে জনগোষ্ঠী একসময় বিতাড়িত হয়েছিল, তারা আবারও দেশটির অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে—বলা চলে এ যেন এক ঐতিহাসিক বাড়ি ফেরা।

আমরা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নৈরাজ্যের দেশ’ হিসেবে ব্যঙ্গ করে উগান্ডার নাম নিয়ে থাকি। দেশটি আবার উঠে এসেছে আড্ডায়, তবে প্রসঙ্গ ভিন্ন। হালের ক্রেজ মার্কিন রাজনীতিবিদ জোহরান মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও জন্মগ্রহণ করেন উগান্ডায়। কিন্তু ভারতীয়রা কীভাবে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশে এলো তা নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে কৌতূহল।
ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে (১৮৯৪–১৯৬২) পূর্ব আফ্রিকায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে রেললাইন স্থাপন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক কাজে বিপুল লোকবল প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য ব্রিটিশ শাসকেরা ভরসা করে তাদের পুরোনো উপনিবেশের বাসিন্দা তথা ভারতীয়দের ওপর।
১৮৯০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার উগান্ডায় রেলপথ নির্মাণের জন্য ৩২ হাজার ভারতীয় শ্রমিককে সমুদ্রপথে নিয়ে আসে। এদের বড় অংশই কাজ শেষে ভারত বা ব্রিটেন পাড়ি দেয়। তবে কেউ কেউ স্থায়ী হন দেশটিতে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত উগান্ডান লেখক ওয়ালি জামালের মতে, এ সংখ্যা ছয় হাজারের কিছু বেশি। তারা উগান্ডায় দোকানপাট, গুদাম, পোশাক ও ব্যাংকের ব্যবসা গড়ে তোলেন।
কয়েক দশকের মধ্যেই ভারতীয়রা উগান্ডার অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত হয়। তারা ছিলেন ব্রিটিশ শাসক আর স্থানীয় কৃষিজীবী আফ্রিকানদের মধ্যে এক বাণিজ্যিক সেতু।
১৯৭০-এর দশকে দেখা যায়, ভারতীয়রা উগান্ডার মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ। তারপরও তারাই নিয়ন্ত্রণ করত দেশটির মোট ব্যবসা-বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ। একই সঙ্গে তারা জাতীয় আয়ের ২০ শতাংশেরও অধিক নিয়ন্ত্রণ করত।
ভারতীয়রা অর্থনৈতিকভাবে সফল হলেও স্থানীয় আফ্রিকানদের সঙ্গে তাদের মেলামেশা ছিল খুবই কম। তারা থাকতেন আলাদা এলাকায়, স্কুলেও যেতেন আলাদা। এমনকি জীবনযাপনেও ছিল না স্থানীয়দের সঙ্গে সংযোগ। ফলে দেশটিতে জাতিগত ও শ্রেণিগত বিভাজন ক্রমেই বাড়তে থাকে।
১৯৬২ সালে উগান্ডা যখন ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হয়, তখনও এই ভারতীয়রা দেশটির অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখত।
উগান্ডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিল্টন ওবোটে জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে ‘আফ্রিকানাইজেশন’ নীতি গ্রহণ করেন। এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষমতা স্থানীয় উগান্ডাবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া। ভারতীয়দের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না তাঁর। মিল্টন ওবোটের মতে, ভারতীয়রা উগান্ডার নাগরিকত্ব নেয় না। তারা ব্রিটিশ পাসপোর্ট রাখে। এমনকি উগান্ডার সমাজের সঙ্গেও মেশে না।
১৯৬৯ সালে ওবোটে ‘কমন ম্যান্স চার্টার’-এর ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে তিনি সমাজতান্ত্রিক নীতির কথা বলেন। বিদেশি ও ভারতীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ শুরু হয় এ সময়েই। ব্যবসায় লাইসেন্স, কর্মসংস্থান পারমিট, এমন নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন তিনি।
ইদি আমিন ১৯৭১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উগান্ডার ক্ষমতা দখল করেন। মিল্টন ওবোটে ১৯৬৬ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করে আমিনকে সেনাপ্রধান করেন। তবে দ্রুতই ইমি আমিনকে সন্দেহ করতে শুরু করেন ওবোটে। বিশেষত সেনাবাহিনীতে আমিনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও তাঁর সম্পদের উৎস ঘিরে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
১৯৭১ সালে ক্ষমতা দখলের পর ইদি আমিন ১৯৭২ সালে ঘোষণা দেন, উগান্ডায় বসবাসরত সমস্ত ভারতীয়দের ৯০ দিনের মধ্যে দেশত্যাগ করতে হবে।
ভারতীয়দের প্রতি তাঁর অভিযোগ ছিল, ভারতীয়রা উগান্ডার অর্থনীতি ধ্বংস করছে। তাঁরা বিশ্বস্ত নয়, বিদেশি রাষ্ট্রের অনুগত। তারা উগান্ডার সমাজে মিশে যায়। তারা সাধারণ আফ্রিকানদের শোষণ করছে। আমিন ঘোষণা দেন, ‘আমরা আসল উগান্ডাবাসীর হাতে উগান্ডা ফিরিয়ে দিচ্ছি।’
৫০ হাজারের বেশি ভারতীয়কে রাতারাতি উগান্ডা ছাড়তে হয়। এদের অনেকেই ছিলেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। তবে কেউ কেউ উগান্ডার নাগরিকও ছিলেন। তাদের প্রায় সবাইকে মাত্র ১২০ ডলার ও ২২০ কেজি জিনিসপত্র নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ভারতীয়দের ব্যবসা, দোকানপাট, বাড়িঘর ও সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হয়। উগান্ডার সেনারা ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ সময় নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে।
ইদি আমিন দাবি করেছিলেন, তিনি কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের হাতে অর্থনীতি তুলে দেবেন। তবে বাস্তবে ভারতীয়দের তাড়ানোর পর উগান্ডার অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। কিছু পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটির জিডিপি ৫ শতাংশ কমে যায়। শিল্প উৎপাদন ভেঙে পড়ে। বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। দেশব্যাপী দক্ষ ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীর সংকট তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক মহলেও নিন্দার ঝড় ওঠে। ভারত ও ব্রিটেন উগান্ডার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ব্রিটেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে এই বিতাড়িত ভারতীয়রা আশ্রয় পায়। ১৯৭২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে প্রথম সরকারি উদ্ধারকারী বিমান এসে পৌঁছায়। এরপর প্রায় ২৯ হাজার ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ভারতীয় যুক্তরাজ্যে বসতি গড়েন। তারা পরবর্তীতে ব্যবসা, রাজনীতি, শিক্ষা ও শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
১৯৯৭ সালে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োওয়ারি মুসেভেনি উগান্ডান-এশিয়ানদের ‘বাড়ি ফিরে আসার’ আমন্ত্রণ জানান। বর্তমানে উগান্ডার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, উগান্ডার এশিয়ান জনগোষ্ঠী আবার সে দেশের রাজস্ব খাতে প্রায় ৬৫ শতাংশ অবদান রাখছে।
যে জনগোষ্ঠী একসময় বিতাড়িত হয়েছিল, তারা আবারও দেশটির অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে—বলা চলে এ যেন এক ঐতিহাসিক বাড়ি ফেরা।

গত আট দশকে বিশ্বের কোনো বড় শক্তির মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হয়নি। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এই কালপর্বকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ শান্তির সময় হিসেবে গণ্য হয়। এই শান্তি একদিনে আসেনি—দুটি ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী অভিজ্ঞতার পর বিশ্ব নেতারা বাধ্য হয়েছিলেন শান্তির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে।
১৭ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গত বছর জুলাই-আগস্টের দমন-পীড়নের ঘটনায় হাসিনার অনুপস্থিতিতেই দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে...
১ দিন আগে
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ, যা নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। বহু বছর ধরে এটি অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দূষণ এবং প্রাণবৈচিত্র্য হারানোর কারণে পরিবেশগত ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
২ দিন আগে
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটের দিকে রাজধানীর মহাখালী এলাকার কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে কড়াইল কেবল একটি বস্তি নয়, বরং ঢাকার রাজনৈতিক অর্থনীতির এক পরীক্ষাগার। সরকারি জমিতে জন্মানো এই জনপদ তিন দশকে একটি শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক আবাসনে পরিণত হয়েছে।
২ দিন আগে