বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল - ০২
বর্তমানে দেশের ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময় পরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। এ তালিকায় আছে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির নামও। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলে তড়িঘড়ি করে স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
ফারুক হোসাইন
ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন ত্রিমোহনী বাজার। সেখানকার বালু নদীর বাঁশের সাঁকোটি পার হলেই দাসেরকান্দি এলাকা। গ্রামীণ আবহে এই এলাকার কিছুটা পথ ব্যাটারিচালিত রিকশাতেও যাওয়া যায়। এরপরই নিচু জলাভূমির মধ্য দিয়ে মাটির রাস্তা। বালুমাটির এই পথে হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। মিনিট বিশেক গেলে পাওয়া যায় একটি দোতলা স্থাপনা। এটিই সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস।
গত ৭ আগস্ট দুপুরে ওই ক্যাম্পাসে গিয়ে কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর দেখা মেলেনি। ভবনে প্রবেশের কেচিগেট বন্ধ। তবে নির্মাণাধীন এই ভবনের নিচতলায় কয়েকজনকে ক্যারাম বোর্ড খেলতে দেখা গেল। কথা বলে জানা গেল, তাঁরাই ভবনটির দেখভাল করছেন।
ভবনের নিচতলার নির্মাণকাজ শেষ। সেখানে চারটি ক্লাসরুম রয়েছে। চলতি বছরের ৩ মে এই চার ক্লাসরুম নিয়েই সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় নিয়মিতভাবে এই ক্যাম্পাসে পাঠদানের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজধানীর পান্থপথ ও মহাখালীর অস্থায়ী ভবনেই চলছে সব কার্যক্রম।
২০১২ সালে সাময়িক অনুমোদন নিয়ে যাত্রা শুরু করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হয় সাত বছরের জন্য। এ সময়ের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস স্থাপন ও স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণসহ সাতটি শর্ত পূরণ করে স্থায়ীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পূরণের সনদ নিতে হয়। শর্ত পূরণ করতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাময়িক অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা পাঁচ বছরের জন্য নবায়নের আবেদন করতে পারে।
অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), ইউজিসি
আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, এরপরও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের মতো শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ভর্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তবে নির্ধারিত ১৩ বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
যদিও আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ইউজিসিতে চিঠি পাঠানো হয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময় পরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। এ তালিকায় আছে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির নামও। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলে তড়িঘড়ি করে স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।’
সব চলে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে
গত ১০ ও ১৭ আগস্ট সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির পান্থপথের ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভর্তি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক প্রায় সব কার্যক্রমই এই ক্যাম্পাসে পরিচালিত হয়। পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান না হওয়ায় পাশের আরেকটি ভবনেও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বসার জায়গা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে চারটি বিভাগের পাঠদান হয়।
রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্যমতে, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে তিনটি অনুষদের অধীনে ১৫টি বিভাগে স্নাতক প্রোগ্রাম চালু আছে। দুটি অনুষদের অধীনে স্নাতকোত্তরের ৯টি প্রোগ্রাম আছে। এর মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার এবং অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং বিভাগের পাঠদান হয় মহাখালী ক্যাম্পাসে। বাকিগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম চলে পান্থপথের ক্যাম্পাসে।
গত ৩ মে খিলগাঁওয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, চারটি বিভাগের পাঠদান এ ক্যাম্পাস থেকে পরিচালিত হবে। জানতে চাইলে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার এসএম নুরুল হুদা স্ট্রিমকে বলেন, বর্তমানে এলএলবি, বাংলা সাহিত্য, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং বিবিএ— এই চারটি বিভাগের পাঠদান সপ্তাহে তিনদিন স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন আর স্থায়ী ক্যাম্পাসে কোনো পাঠদান হয় না।
অ্যাডমিশন অফিসে কথা বলে জানা যায়, পান্থপথের ক্যাম্পাসেই এসব বিভাগের পাঠদান হয়। সামনের কয়েক বছরও এখানেই পাঠদান হবে।
২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) খিলগাঁও থানার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুই একর জমির ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। তবে সাড়ে পাঁচ বছরে ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার একাংশের কাজ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, দ্রুতই স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম নিয়ে যাবেন তাঁরা। তবে এখনও ক্যাম্পাসে যাওয়ার সড়কটি প্রস্তুত হয়নি। যে কারণে একটু সময় লাগছে।
এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামীম আরা হাসানের কার্যালয়ে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। আর উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বুলবুল আহমেদ রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
রেজিস্ট্রার এসএম নুরুল হুদা বলেন, ‘ইউজিসিকে জানিয়েই চারটি বিভাগের আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে নেওয়া হচ্ছে। ইউজিসি বিষয়টি পরিদর্শন করেও দেখেছে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল - ০১: ২৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই
ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন ত্রিমোহনী বাজার। সেখানকার বালু নদীর বাঁশের সাঁকোটি পার হলেই দাসেরকান্দি এলাকা। গ্রামীণ আবহে এই এলাকার কিছুটা পথ ব্যাটারিচালিত রিকশাতেও যাওয়া যায়। এরপরই নিচু জলাভূমির মধ্য দিয়ে মাটির রাস্তা। বালুমাটির এই পথে হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। মিনিট বিশেক গেলে পাওয়া যায় একটি দোতলা স্থাপনা। এটিই সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস।
গত ৭ আগস্ট দুপুরে ওই ক্যাম্পাসে গিয়ে কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর দেখা মেলেনি। ভবনে প্রবেশের কেচিগেট বন্ধ। তবে নির্মাণাধীন এই ভবনের নিচতলায় কয়েকজনকে ক্যারাম বোর্ড খেলতে দেখা গেল। কথা বলে জানা গেল, তাঁরাই ভবনটির দেখভাল করছেন।
ভবনের নিচতলার নির্মাণকাজ শেষ। সেখানে চারটি ক্লাসরুম রয়েছে। চলতি বছরের ৩ মে এই চার ক্লাসরুম নিয়েই সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় নিয়মিতভাবে এই ক্যাম্পাসে পাঠদানের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজধানীর পান্থপথ ও মহাখালীর অস্থায়ী ভবনেই চলছে সব কার্যক্রম।
২০১২ সালে সাময়িক অনুমোদন নিয়ে যাত্রা শুরু করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হয় সাত বছরের জন্য। এ সময়ের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস স্থাপন ও স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণসহ সাতটি শর্ত পূরণ করে স্থায়ীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পূরণের সনদ নিতে হয়। শর্ত পূরণ করতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাময়িক অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা পাঁচ বছরের জন্য নবায়নের আবেদন করতে পারে।
অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), ইউজিসি
আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, এরপরও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের মতো শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ভর্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তবে নির্ধারিত ১৩ বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
যদিও আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ইউজিসিতে চিঠি পাঠানো হয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময় পরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। এ তালিকায় আছে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির নামও। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলে তড়িঘড়ি করে স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।’
সব চলে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে
গত ১০ ও ১৭ আগস্ট সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির পান্থপথের ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভর্তি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক প্রায় সব কার্যক্রমই এই ক্যাম্পাসে পরিচালিত হয়। পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান না হওয়ায় পাশের আরেকটি ভবনেও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বসার জায়গা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে চারটি বিভাগের পাঠদান হয়।
রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্যমতে, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে তিনটি অনুষদের অধীনে ১৫টি বিভাগে স্নাতক প্রোগ্রাম চালু আছে। দুটি অনুষদের অধীনে স্নাতকোত্তরের ৯টি প্রোগ্রাম আছে। এর মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার এবং অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং বিভাগের পাঠদান হয় মহাখালী ক্যাম্পাসে। বাকিগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম চলে পান্থপথের ক্যাম্পাসে।
গত ৩ মে খিলগাঁওয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, চারটি বিভাগের পাঠদান এ ক্যাম্পাস থেকে পরিচালিত হবে। জানতে চাইলে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার এসএম নুরুল হুদা স্ট্রিমকে বলেন, বর্তমানে এলএলবি, বাংলা সাহিত্য, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং বিবিএ— এই চারটি বিভাগের পাঠদান সপ্তাহে তিনদিন স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন আর স্থায়ী ক্যাম্পাসে কোনো পাঠদান হয় না।
অ্যাডমিশন অফিসে কথা বলে জানা যায়, পান্থপথের ক্যাম্পাসেই এসব বিভাগের পাঠদান হয়। সামনের কয়েক বছরও এখানেই পাঠদান হবে।
২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) খিলগাঁও থানার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুই একর জমির ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। তবে সাড়ে পাঁচ বছরে ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার একাংশের কাজ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, দ্রুতই স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম নিয়ে যাবেন তাঁরা। তবে এখনও ক্যাম্পাসে যাওয়ার সড়কটি প্রস্তুত হয়নি। যে কারণে একটু সময় লাগছে।
এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামীম আরা হাসানের কার্যালয়ে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। আর উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বুলবুল আহমেদ রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
রেজিস্ট্রার এসএম নুরুল হুদা বলেন, ‘ইউজিসিকে জানিয়েই চারটি বিভাগের আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে নেওয়া হচ্ছে। ইউজিসি বিষয়টি পরিদর্শন করেও দেখেছে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল - ০১: ২৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই
গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্রদের দলের আত্মপ্রকাশ নিয়ে আলোচনা থাকলেও প্রথম কয়েক মাস তেমন কার্যক্রম দেখা যায়নি। শুরুতে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটির নেতারাই পরবর্তীকালে এনসিপি গঠন করেন।
২ দিন আগেপাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রবেশপথেই চোখে পড়ে বড় সাইনবোর্ড। তাতে লেখা সতর্কবাণী, ‘মানসিক রোগীদের সংবেদনশীল চিকিৎসা ও গোপনীয়তার স্বার্থে হাসপাতালে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।’ তারপরও হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ আবাসিক ওয়ার্ডে ধারণ করা বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, রোগী
৩ দিন আগেবিএমইটিরই এক কর্মকর্তা স্ট্রিমকে বলেন, ‘সৌদি আরবের ভিসাটা কোনো রকমের টিকে আছে। এজন্য কিছু টাকা-পয়সা দিতে হয়। সৌদিরটা বন্ধ হয়ে গেলে একেবারে সব বন্ধ হয়ে যাবে। আর কুয়েতে যেটা হচ্ছে, সরাসরি কোম্পানি থেকে কাজ নিয়ে আসে। এগুলো গ্রুপ ভিসা, অ্যাটেস্টেড ভিসা—এগুলোতে কোনো ঝামেলা নেই। তবে, কাতার ও দুবাইয়ে বন্ধ।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা কলিম জাম্বু। হত্যা মামলায় ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছেন। থানার তথ্য বলছে, এরপর থেকেই চৌদ্দ শিকে বন্দি তিনি। তবে সম্প্রতি একটি সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁকে আরেক মামলায় আসামি করেছে পুলিশ।
৪ দিন আগে