বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল-১
কর্তৃত্ব ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ড উপাচার্যসহ অন্যান্য পদে নিয়োগ দিতে চায় না। অনেক সময় তারা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে দায়িত্বে রাখতে চায়। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের দুটি সুবিধা। ১. খরচ কম ও ২. উপাচার্যরা তাদের কথামতো চলেন।
ফারুক হোসাইন
দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৬টি। এর মধ্যে নানা জটিলতায় চারটির কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ। বাদবাকি ১১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮ টিতে উপাচার্য নেই। উপ-উপাচার্য নেই ৮৭টিতে। আর কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনটি পদের যেকোনো একটি শূন্য রয়েছে ৯৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনও বিশ্ববিদ্যালয় আছে—যেখানে তিন পদেই কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নেই, এ রকম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপাচার্যসহ অন্যান্য প্রশাসনিক পদে কেউ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। কারণ এগুলো আলঙ্কারিক পদ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রশাসনিক ব্যক্তিদের চলমান প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়।
ইউজিসির সাবেক সদস্য এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর স্ট্রিমকে বলেন বলেন, উপাচার্যকে মূল নির্বাহী বলা হয়। সব সিদ্ধান্ত তার মাধ্যমে আসে। ঠিক তেমনি কোষাধ্যক্ষ না থাকলে আর্থিক বিষয় থেমে যেতে পারে। পদ ফাঁকা থাকা বা যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ না হওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা চেয়েছিলাম এসব পদ খালি হওয়ার আগে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার। নিয়োগ যেহেতু সরকার থেকে হয়, সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। কারণ কার্যক্রম থমকে যাওয়া ঠিক নয়, এটা সরকারকে অনুধাবন করতে হবে। তাই এসব নিয়োগে বেশি সময় নেওয়া যাবে না।
বারবার বলার পরেও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের গড়িমসি দেখা যায়। তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করে। চাপ দেওয়া হলে তাঁরা (ট্রাস্টি বোর্ড) নাম সুপারিশ করে। তবে দেখা যায়, নিয়মের বাইরে বা শর্তাবলী পূরণ করেনি এমন কারও নাম পাঠানো হয়েছে। এটাও ইচ্ছাকৃত, যেন নিয়োগ না দেওয়া হয় বা আটকে যায়। সাবেক চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে শীর্ষ তিন পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি। একেকটি পদের বিপরীতে তিনজন অধ্যাপকের নামের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ট্রাস্টি বোর্ড। সেগুলো ইউজিসির মাধ্যমে যাচাই করার পর আচার্যের কাছে যায়। তবে বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শূন্য রয়েছে এসব পদ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্তৃত্ব ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ড উপাচার্যসহ অন্যান্য পদে নিয়োগ দিতে চায় না। অনেক সময় তারা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে দায়িত্বে রাখতে চায়। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের দুটি সুবিধা। ১. খরচ কম ও ২. উপাচার্যরা তাদের কথামতো চলেন।
ইউজিসির সাবেক এক চেয়ারম্যান স্ট্রিমকে বলেন, ‘বারবার বলার পরেও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের গড়িমসি দেখা যায়। তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করে। চাপ দেওয়া হলে তাঁরা (ট্রাস্টি বোর্ড) নাম সুপারিশ করে। তবে দেখা যায়, নিয়মের বাইরে বা শর্তাবলী পূরণ করেনি এমন কারও নাম পাঠানো হয়েছে। এটাও ইচ্ছাকৃত, যেন নিয়োগ না দেওয়া হয় বা আটকে যায়।’ তবে তিনি একথাও উল্লেখ করেন— ঢাকার বাইরের অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য লোক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ শেষ অবধি ব্যবসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে গতিশীলতা রাখার বিষয়টি দেখভাল করার কথা ইউজিসির। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়ার কারণে ইউজিসি কখনো কমিশনের মতো স্বাধীন ভূমিকা রাখতে পারছে না। অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ৬টি কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লাল তালিকাভুক্ত করার কথা জানিয়েছিল ইউজিসি। সে সময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য রাখাও ছয়টির মধ্যে একটি কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ইউজিসির ওয়েবসাইটের লাল তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উল্লেখ নেই। লাল তারকাচিহ্নিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূলত ভর্তি না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয় ইউজিসি।
এর কারণ জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘এখনই লাল তালিকাভুক্তির প্রয়োজন দেখছি না। কারণ এসব পদে নিয়োগের বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বা কোষাধ্যক্ষ না থাকলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোভাবে চলছে না বলে ইউজিসি ধরে নেয়—এমন মন্তব্য করেন তিনি। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন বিষয় অনুমোদন বা কয়েক বছর পরপর রিভিউয়ের ক্ষেত্রে আমরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ পদে কেউ না থাকলে রেস্ট্রিকশনে (অনুমোদনে নিরুৎসাহিত করা) রাখি।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুসারে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি উপাচার্য অনুপস্থিত থাকেন তাহলে উপ–উপাচার্য অস্থায়ীভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন। উপ-উপাচার্যও না থাকলে তখন কোষাধ্যক্ষ সেই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করেন কোষাধ্যক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা এবং হিসাবের জন্য দায়ী থাকেন তিনি।
কিন্তু স্ট্রিম এমন ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পেয়েছে যেগুলোতে শীর্ষ এই তিন পদের দায়িত্বে আচার্য মনোনীত কেউ নেই।
এমন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো—দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। শীর্ষ তিন পদে কেউ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে চলছে জানতে চাওয়া হয় এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁদের বক্তব্য হলো- উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নামের প্রস্তাব তাঁরা পাঠিয়েছেন। বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে নিয়োগ করা একজন করে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রয়েছেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়েই।
দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহতাব উদ্দীন আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে একজন উপাচার্যের দায়িত্বে আছেন। দ্রুতই নিয়োগ হবে বলে আশা করছি।
আইন অনুযায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ও অ্যাকাডেমিক কর্মকর্তা। তিনি সিন্ডিকেট ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে থাকেন। সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সভাপতিও উপাচার্য। পদাধিকারবলে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, অর্থ কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
তবে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের তথ্য বলছে, দেশের বেসরকারি ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেওয়া কোনো উপাচার্য নেই।
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদ চালু আছে। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩২২। কর্মরত আছেন ৩৯ জন শিক্ষক ও ২৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সদস্য থাকলেও আর্থিক বিষয়াদি ব্যবস্থাপণার জন্য ২২ বছরেও কোন কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এএসএম মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ড একজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি কোষাধ্যক্ষের কাজ সামলাচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ে নাম পাঠানো হয়েছে। সরকার থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে আশা করছি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি স্ট্রিমকে বলেন, কোষাধ্যক্ষ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকি, এখানে যদি উপাচার্যই কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ কাজ করতে পারে। আর্থিক বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্ব কোষাধ্যক্ষের, তিনি না থাকলে আয়-ব্যয়ের অসঙ্গতি থাকলেও তা ধরার লোক থাকেন না।’
এই অধ্যাপকের মতে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি শেষ অবধি ব্যবসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে গতিশীলতা রাখার বিষয়টি দেখভাল করার কথা ইউজিসির। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়ার কারণে ইউজিসি কখনো কমিশনের মতো স্বাধীন ভূমিকা রাখতে পারছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদের এমন অব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক কার্যক্রম তো বটেই, শিক্ষা ও গবেষণাতেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ স্ট্রিমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনিয়মের সুযোগ রাখতেই এসব পদ ফাঁকা রাখার প্রবণতা। এভাবে চললে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন অবশ্য বলছেন, ‘এসব পদে নিয়োগ নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহযোগিতা করছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ তিন পদই খালি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—
১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
২. প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি
৩. রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা
৪. জেড.এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৫. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৬. রূপায়ন একেএম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়
৭. মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৮. ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৯. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি–খুলনা
১০. লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়
১১. জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১২. গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়
উপরের ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও উপাচার্য নেই এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা—
১. নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
২. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৩. খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়
৪. রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি
৫. কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৬. গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৭. সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৮. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-সৈয়দপুর
৯. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-কাদিরাবাদ
১০. বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-কুমিল্লা
১১. নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি
১২. বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়
১৩. ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি
এমন আরও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে— যেখানে কখনোই কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ পাননি। এগুলো হলো—
১. দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি
২. এন.পি.আই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
৩. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৪. রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়
৫. আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬. খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
৭. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি–খুলনা
দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৬টি। এর মধ্যে নানা জটিলতায় চারটির কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ। বাদবাকি ১১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮ টিতে উপাচার্য নেই। উপ-উপাচার্য নেই ৮৭টিতে। আর কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনটি পদের যেকোনো একটি শূন্য রয়েছে ৯৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনও বিশ্ববিদ্যালয় আছে—যেখানে তিন পদেই কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নেই, এ রকম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপাচার্যসহ অন্যান্য প্রশাসনিক পদে কেউ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। কারণ এগুলো আলঙ্কারিক পদ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রশাসনিক ব্যক্তিদের চলমান প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়।
ইউজিসির সাবেক সদস্য এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর স্ট্রিমকে বলেন বলেন, উপাচার্যকে মূল নির্বাহী বলা হয়। সব সিদ্ধান্ত তার মাধ্যমে আসে। ঠিক তেমনি কোষাধ্যক্ষ না থাকলে আর্থিক বিষয় থেমে যেতে পারে। পদ ফাঁকা থাকা বা যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ না হওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা চেয়েছিলাম এসব পদ খালি হওয়ার আগে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার। নিয়োগ যেহেতু সরকার থেকে হয়, সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। কারণ কার্যক্রম থমকে যাওয়া ঠিক নয়, এটা সরকারকে অনুধাবন করতে হবে। তাই এসব নিয়োগে বেশি সময় নেওয়া যাবে না।
বারবার বলার পরেও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের গড়িমসি দেখা যায়। তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করে। চাপ দেওয়া হলে তাঁরা (ট্রাস্টি বোর্ড) নাম সুপারিশ করে। তবে দেখা যায়, নিয়মের বাইরে বা শর্তাবলী পূরণ করেনি এমন কারও নাম পাঠানো হয়েছে। এটাও ইচ্ছাকৃত, যেন নিয়োগ না দেওয়া হয় বা আটকে যায়। সাবেক চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে শীর্ষ তিন পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি। একেকটি পদের বিপরীতে তিনজন অধ্যাপকের নামের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ট্রাস্টি বোর্ড। সেগুলো ইউজিসির মাধ্যমে যাচাই করার পর আচার্যের কাছে যায়। তবে বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শূন্য রয়েছে এসব পদ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্তৃত্ব ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ড উপাচার্যসহ অন্যান্য পদে নিয়োগ দিতে চায় না। অনেক সময় তারা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে দায়িত্বে রাখতে চায়। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের দুটি সুবিধা। ১. খরচ কম ও ২. উপাচার্যরা তাদের কথামতো চলেন।
ইউজিসির সাবেক এক চেয়ারম্যান স্ট্রিমকে বলেন, ‘বারবার বলার পরেও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের গড়িমসি দেখা যায়। তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করে। চাপ দেওয়া হলে তাঁরা (ট্রাস্টি বোর্ড) নাম সুপারিশ করে। তবে দেখা যায়, নিয়মের বাইরে বা শর্তাবলী পূরণ করেনি এমন কারও নাম পাঠানো হয়েছে। এটাও ইচ্ছাকৃত, যেন নিয়োগ না দেওয়া হয় বা আটকে যায়।’ তবে তিনি একথাও উল্লেখ করেন— ঢাকার বাইরের অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য লোক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ শেষ অবধি ব্যবসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে গতিশীলতা রাখার বিষয়টি দেখভাল করার কথা ইউজিসির। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়ার কারণে ইউজিসি কখনো কমিশনের মতো স্বাধীন ভূমিকা রাখতে পারছে না। অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ৬টি কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লাল তালিকাভুক্ত করার কথা জানিয়েছিল ইউজিসি। সে সময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য রাখাও ছয়টির মধ্যে একটি কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ইউজিসির ওয়েবসাইটের লাল তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উল্লেখ নেই। লাল তারকাচিহ্নিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূলত ভর্তি না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয় ইউজিসি।
এর কারণ জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘এখনই লাল তালিকাভুক্তির প্রয়োজন দেখছি না। কারণ এসব পদে নিয়োগের বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বা কোষাধ্যক্ষ না থাকলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোভাবে চলছে না বলে ইউজিসি ধরে নেয়—এমন মন্তব্য করেন তিনি। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন বিষয় অনুমোদন বা কয়েক বছর পরপর রিভিউয়ের ক্ষেত্রে আমরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ পদে কেউ না থাকলে রেস্ট্রিকশনে (অনুমোদনে নিরুৎসাহিত করা) রাখি।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুসারে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি উপাচার্য অনুপস্থিত থাকেন তাহলে উপ–উপাচার্য অস্থায়ীভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন। উপ-উপাচার্যও না থাকলে তখন কোষাধ্যক্ষ সেই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করেন কোষাধ্যক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা এবং হিসাবের জন্য দায়ী থাকেন তিনি।
কিন্তু স্ট্রিম এমন ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পেয়েছে যেগুলোতে শীর্ষ এই তিন পদের দায়িত্বে আচার্য মনোনীত কেউ নেই।
এমন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো—দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। শীর্ষ তিন পদে কেউ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে চলছে জানতে চাওয়া হয় এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁদের বক্তব্য হলো- উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নামের প্রস্তাব তাঁরা পাঠিয়েছেন। বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে নিয়োগ করা একজন করে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রয়েছেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়েই।
দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহতাব উদ্দীন আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে একজন উপাচার্যের দায়িত্বে আছেন। দ্রুতই নিয়োগ হবে বলে আশা করছি।
আইন অনুযায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ও অ্যাকাডেমিক কর্মকর্তা। তিনি সিন্ডিকেট ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে থাকেন। সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সভাপতিও উপাচার্য। পদাধিকারবলে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, অর্থ কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
তবে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের তথ্য বলছে, দেশের বেসরকারি ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেওয়া কোনো উপাচার্য নেই।
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদ চালু আছে। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩২২। কর্মরত আছেন ৩৯ জন শিক্ষক ও ২৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সদস্য থাকলেও আর্থিক বিষয়াদি ব্যবস্থাপণার জন্য ২২ বছরেও কোন কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এএসএম মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ড একজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি কোষাধ্যক্ষের কাজ সামলাচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ে নাম পাঠানো হয়েছে। সরকার থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে আশা করছি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি স্ট্রিমকে বলেন, কোষাধ্যক্ষ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকি, এখানে যদি উপাচার্যই কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ কাজ করতে পারে। আর্থিক বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্ব কোষাধ্যক্ষের, তিনি না থাকলে আয়-ব্যয়ের অসঙ্গতি থাকলেও তা ধরার লোক থাকেন না।’
এই অধ্যাপকের মতে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি শেষ অবধি ব্যবসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে গতিশীলতা রাখার বিষয়টি দেখভাল করার কথা ইউজিসির। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়ার কারণে ইউজিসি কখনো কমিশনের মতো স্বাধীন ভূমিকা রাখতে পারছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদের এমন অব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক কার্যক্রম তো বটেই, শিক্ষা ও গবেষণাতেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ স্ট্রিমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনিয়মের সুযোগ রাখতেই এসব পদ ফাঁকা রাখার প্রবণতা। এভাবে চললে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন অবশ্য বলছেন, ‘এসব পদে নিয়োগ নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহযোগিতা করছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ তিন পদই খালি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—
১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
২. প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি
৩. রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা
৪. জেড.এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৫. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৬. রূপায়ন একেএম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়
৭. মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৮. ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৯. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি–খুলনা
১০. লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়
১১. জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১২. গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়
উপরের ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও উপাচার্য নেই এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা—
১. নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
২. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৩. খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়
৪. রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি
৫. কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৬. গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৭. সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৮. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-সৈয়দপুর
৯. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-কাদিরাবাদ
১০. বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-কুমিল্লা
১১. নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি
১২. বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়
১৩. ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি
এমন আরও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে— যেখানে কখনোই কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ পাননি। এগুলো হলো—
১. দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি
২. এন.পি.আই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
৩. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
৪. রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়
৫. আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬. খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
৭. বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি–খুলনা
দুই বছর আগেও বাংলাদেশিদের কাছে শেখ মুজিবের সমালোচনা এক অকল্পনীয় বিষয় ছিল। আজ সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝেও শোনা যাচ্ছে, ‘পাকিস্তানি আমলেই ভাল ছিলাম’ এর হাহাকার।
২ দিন আগেবরাদ্দ পাওয়ার আশায় নিজেদের টাকায় সংস্কারকাজ করেছে অনেক বিদ্যালয়। এখন বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় তারাও পড়েছে বিপাকে। সেই সঙ্গে সংস্কার না হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
২ দিন আগেজুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান। স্ট্রিমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি স্ট্রিমকে বলেছেন, জুলাই সনদে কিন্তু শুধু ঐকমত্যের জায়গাই নেই, সঙ্গে নোট অব ডিসেন্টও আছে। আমরা সই করেছি ঐকমত্য এবং নোট অব ডিসেন্ট–দুটো বিষয় নিয়েই।
২ দিন আগেজুলাই সনদ নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন জুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদে তাঁদের কয়েকটি মৌলিক দাবি বাদ পড়েছে।
২ দিন আগে