শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলেছে নীলফামারীর ইপিজেড। উদ্ভুত পরিস্থিতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা করবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া এভারগ্রিনের ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুর্নবহাল করা হবে।
নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বুধবার দিনভর অচলাবস্থা বিরাজ করেছে। এ দিন সব কারখানা বন্ধ রাখা হয় এবং পুরো এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ফলে নিত্যদিনের জনসমাগমে ভরপুর এলাকা পরিণত হয় জনশূন্য নগরীতে।
নীলফামারীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। এতে নিহত শ্রমিক মো. হাবিব ইসলামের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা।
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শ্রমিক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অঙ্গসংগঠন শ্রমিক উইং৷
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
‘ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের আগুনের মধ্যে রেখে চলে আসি কেমনে।’ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় স্বামীকে একথা বলেছিলেন শিক্ষিকা মাহেরিন চৌধুরী। মাঝরাতে বলছিলেন, নিজের দুই সন্তানের জন্য স্কুলের ছোট শিশুদের ছেড়ে আসতে না পারার কথা।