
.png)

রাজধানী ঢাকায় আজ (সোমবার) ভোর থেকে টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে নগরজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টায় রেকর্ড হয়েছে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এর আগে রোববার রাত থেকে শুরু হয়েছিল টানা বৃষ্টি। সব মিলিয়ে রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় ঢাকায় পড়েছে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে অল্প সময়ের মুষলধারে বৃষ্টির পর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মিরপুর ১০ নম্বর, প্যারিস রোড, অরিজিনাল-১০ ও আশপাশের এলাকা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জলমগ্ন ছিল।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েক মাস আগে ১০ কেজি প্যাকেটের আমন বীজ বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে বন্যায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার পর এই দাম দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকা।

নোয়াখালীতে পানি নামছে ধীরগতিতে
নোয়াখালীতে টানা চার দিনের পাহাড়ি ঢল ও মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর গত দুদিন বৃষ্টি হয়নি। নোয়াখালী সদর উপজেলার, বিনোদপুর, আণ্ডারচর, কালাধরাপ, নেয়াজপুর, ৬ নম্বর নোয়াখালী ইউনিয়ন, এওয়াজবালিয়া ইউনিয়নে জেলা শহরের পানির চাপে জলাবদ্ধতা স্থায়ীরূপ নিচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজনের দাবি।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নোয়াখালীতে প্রবল বৃষ্টিতে জেলার বেশির ভাগ সড়ক ও অলিগলি ডুবে গেছে, বাসাবাড়িতে ঢুকেছে পানি। একদিকে ভারী বর্ষণ, অন্যদিকে জলাবদ্ধতা—এর মধ্যে ফেনীর মহুরী নদীর পানি বাড়তে থাকায় নোয়াখালীতে আবার বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

টানা বর্ষণে দেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসের শঙ্কা। খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড় ধসের আতঙ্ক।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের অন্যতম ভোগান্তির নাম জলাবদ্ধতা। ভারী বৃষ্টিপাত হলেই রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি, কলাবাগান ও পুরান ঢাকাসহ বেশ কিছু এলাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।