leadT1ad

বৃষ্টির প্রভাবে নোয়াখালীতে দ্বিগুণ হয়েছে বীজের দাম

নোয়াখালীর ৫ হাজার ১৯৯ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ছয় উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা রয়েছে। বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৫৮টি।

স্ট্রিম সংবাদদাতানোয়াখালী
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ২০: ০২
বন্যা ও জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে নোয়াখালী জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন। স্ট্রিম ছবি

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা নদীর ঢলে বন্যা ও জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে নোয়াখালী জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন। এতে পাঁচ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। এদিকে আমন ধানের বীজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

৭ জুলাই থেকে টানা চারদিন ভারী বর্ষণের সঙ্গে যুক্ত হয় ফেনী জেলার মুহুরী নদীর উজানের পানি। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানিতে ডুবে যায় আউশ ধানের ক্ষেত, আমনের বীজতলা এবং গ্রীষ্ম ও শরৎকালীন শাক-সবজির আবাদ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৫ হাজার ১৯৯ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯১ হেক্টর আমনের বীজতলা, ২ হাজার ৫০০ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ২০০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন এবং ৫৭৫ হেক্টর শরৎকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এই জলাবদ্ধতায় এখনো প্রায় ২৪ হাজার ৯৫০টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রায় ৯০ হাজার ৪০৩ জন মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৫৮টি বাড়ি। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ১ হাজার ২৩ জন। দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে কাজ করছে ২৯টি মেডিকেল টিম।

বন্যার কারণে ধানের বীজতলা তৈরিতে দেখা দিয়েছে চরম সংকট। সুবর্ণচরের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চারদিক পানিতে ডুবে থাকায় নতুন করে আমনের বীজতলা তৈরির মতো জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে বীজতলা করার জন্য উঁচু জায়গা ভাড়া নিচ্ছেন। টাকা-পয়সার অভাবে অনেকে তা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। দ্রুত পানি না নামলে আউশ, আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।’

কোম্পানীগঞ্জের কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘আকস্মিক বন্যায় ফলন্ত সবজির মাঠ পানিতে শেষ হয়ে গেছে। দেনা পরিশোধের চিন্তায় দিশেহারা কৃষক। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।’

বন্যার কারণে বাজারে বীজের দাম বেড়েছে হঠাৎ করেই। জেলার সদর উপজেলার আণ্ডারচর বাজারে কয়েক মাস আগেও ১০ কেজি আমন ধানের বীজের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছিল ৩৫০-৪০০ টাকায়, যা এখন দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকায়।

বীজ বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘গত বছর বন্যায় জেলার ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বীজ সংগ্রহ করতে পারিনি। এবার অনেক বিক্রেতা পাশের জেলা থেকে বীজ এনে প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। তাই বীজেরও দাম বেড়ে গেছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মীরা রানী দাস বলেন, ‘বন্যায় জেলার কবিরহাট, সুবর্ণচর ও সদর উপজেলায় বীজতলা ও সবজি বেশি আক্রান্ত হয়েছে। সেনবাগ ও সুবর্ণচরের তুলনায় কবিরহাট উপজেলায় পানি ধীরগতিতে সরছে। পানি দ্রুত সরে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে থেকে কৃষকদের ফসল রক্ষার বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’

Ad 300x250

মৃত্যুর মুখেও গাড়ি থেকে কেউ কাউকে ছেড়ে বের হননি

ঢাবিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শন: মুখোমুখি শিবির ও বামপন্থীরা

‘এই বছরেই তারেক রহমান দেশে আসবেন’

জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার দায় স্বীকারের আহ্বান ৩২ বিশিষ্ট নাগরিকের

‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়নি’, সংশোধন চায় জামায়াত

সম্পর্কিত