স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রতি বছর বর্ষাকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের অন্যতম ভোগান্তির নাম জলাবদ্ধতা। ভারী বৃষ্টিপাত হলেই রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি, কলাবাগান ও পুরান ঢাকাসহ বেশ কিছু এলাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও কিছু এলাকায় এখনও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মিরপুর এলাকার কালশী রোড এবং কাজীপাড়ার বসুন্ধরা রোডসহ উত্তর সিটি করপোরেশনের আরও কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
কালশী রোডের ব্যবসায়ী দুখু মিয়া বলেন, ‘এক থেকে দুই ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই কালশী রোডে কোমর পর্যন্ত পানি জমে যায়। এতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দোকানে কাস্টমারও কমে যায়।’
এদিকে কাজীপাড়ার বসুন্ধরা লেনের আরেকজন ব্যবসায়ী মো. সালাহউদ্দিন জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতা হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তবে কিছু কিছু জায়গায় পানি জমে থাকে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হেল্পলাইনের বিষয়ে তিনি অবগত আছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই।’
মিরপুর ছাড়াও উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি ২৭-এর কয়েকটি রাস্তায় পানি জমে থাকার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় জলাবদ্ধতা কম সময় স্থায়ী হচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বছর আর দীর্ঘমেয়াদে জলাবদ্ধতা হবে না বলে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘গত ২৯ মে ঢাকায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও তা আগের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আমাদের ২০০ সদস্যের “কুইক রেসপন্স টিম” তা নিরসনে সক্ষম হয়েছে। তাই আশা করছি, আগামীতেও এ ধরনের পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
মোহাম্মদ এজাজ আরও বলেন, ‘এর আগে অনেকগুলো খাল দখলকৃত অবস্থায় ছিল। আমরা দুই সিটি করপোরেশন মিলে ১২২ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করেছি। এটা চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তবে জনসচেতনতার অভাবও এসব জলাবদ্ধতার জন্য কিছুটা দায়ী।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমাদের এরকম কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। এরপর যারা আসবে, তাঁরা সেটা দেখবে। আমরা কেবল এটা প্রমাণ করে দেখালাম, সদিচ্ছা থাকলে বড় বড় প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের টাকা ব্যয় না করেও এটা সমাধান করা যায়।’
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নিউমার্কেট, কাঠালবাগান, গ্রীন রোড ও পুরান ঢাকার আগা সাদেক সড়কেও জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগা সাদেক রোডের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তার কিছু অংশে পানি জমে যায়। এতে কাস্টমার ও দোকানদার উভয়ই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হন। এমনকি সড়কটির পাশে অবস্থিত বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এছাড়াও কাঠালবাগানের বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি হলেই এলাকাটির বিভিন্ন গলিতে পানি জমে যায়। এমনকি নিউমার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব মো. রাসেল রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া ওয়ার্ডভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হলে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮-এই নম্বরে জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে মাত্র ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি নগরবাসীর। ফলে এ বছরের শুরুতেই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের অন্যতম ভোগান্তির নাম জলাবদ্ধতা। ভারী বৃষ্টিপাত হলেই রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি, কলাবাগান ও পুরান ঢাকাসহ বেশ কিছু এলাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও কিছু এলাকায় এখনও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মিরপুর এলাকার কালশী রোড এবং কাজীপাড়ার বসুন্ধরা রোডসহ উত্তর সিটি করপোরেশনের আরও কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
কালশী রোডের ব্যবসায়ী দুখু মিয়া বলেন, ‘এক থেকে দুই ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই কালশী রোডে কোমর পর্যন্ত পানি জমে যায়। এতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দোকানে কাস্টমারও কমে যায়।’
এদিকে কাজীপাড়ার বসুন্ধরা লেনের আরেকজন ব্যবসায়ী মো. সালাহউদ্দিন জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতা হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তবে কিছু কিছু জায়গায় পানি জমে থাকে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হেল্পলাইনের বিষয়ে তিনি অবগত আছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই।’
মিরপুর ছাড়াও উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি ২৭-এর কয়েকটি রাস্তায় পানি জমে থাকার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় জলাবদ্ধতা কম সময় স্থায়ী হচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বছর আর দীর্ঘমেয়াদে জলাবদ্ধতা হবে না বলে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘গত ২৯ মে ঢাকায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও তা আগের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আমাদের ২০০ সদস্যের “কুইক রেসপন্স টিম” তা নিরসনে সক্ষম হয়েছে। তাই আশা করছি, আগামীতেও এ ধরনের পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
মোহাম্মদ এজাজ আরও বলেন, ‘এর আগে অনেকগুলো খাল দখলকৃত অবস্থায় ছিল। আমরা দুই সিটি করপোরেশন মিলে ১২২ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করেছি। এটা চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তবে জনসচেতনতার অভাবও এসব জলাবদ্ধতার জন্য কিছুটা দায়ী।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমাদের এরকম কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। এরপর যারা আসবে, তাঁরা সেটা দেখবে। আমরা কেবল এটা প্রমাণ করে দেখালাম, সদিচ্ছা থাকলে বড় বড় প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের টাকা ব্যয় না করেও এটা সমাধান করা যায়।’
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নিউমার্কেট, কাঠালবাগান, গ্রীন রোড ও পুরান ঢাকার আগা সাদেক সড়কেও জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগা সাদেক রোডের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তার কিছু অংশে পানি জমে যায়। এতে কাস্টমার ও দোকানদার উভয়ই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হন। এমনকি সড়কটির পাশে অবস্থিত বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এছাড়াও কাঠালবাগানের বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি হলেই এলাকাটির বিভিন্ন গলিতে পানি জমে যায়। এমনকি নিউমার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব মো. রাসেল রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া ওয়ার্ডভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হলে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮-এই নম্বরে জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে মাত্র ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি নগরবাসীর। ফলে এ বছরের শুরুতেই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এ সিদ্ধান্তের ফলে ‘শাপলা’ প্রতীকের জন্য আবেদন করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নাগরিক ঐক্য, দুই দলের আবেদনই নাকচ হয়ে গেল। এরপর এনসিপির পছন্দের তালিকায় প্রতীক হিসেবে আছে কলম এবং মোবাইল ফোন। এবং নাগরিক ঐকে্যর আগের বরাদ্দ পাওয়া কেটলিই থাকছে।
২ ঘণ্টা আগেটানা বর্ষণে দেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসের শঙ্কা। খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড় ধসের আতঙ্ক।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিভিউ করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম নির্দেশনা হচ্ছে—নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় আধিপত্যের কারণে বাংলাদেশের নাগরিকদের মানবিক মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বারবার ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গায় এনসিপির পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে