
.png)

২০২৪ সালের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অন্ধকার অধ্যায়ও শেষ হলো। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পরও সেই আশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।

গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, বহুল আলোচিত আয়নাঘর বা গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ অনুযায়ী, গত বছরের ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের গুম কমিশন গঠন করে সরকার। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করতে এ কমিশন গঠন

গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। খসড়ায় গুমকে ‘চলমান অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্মিত ঢাকা স্ট্রিমের প্রথম ভিডিওতে আমরা দেখেছি—‘গুমকাণ্ডে কীভাবে জড়িত ছিলেন বিদেশিরাও’। আর আজকের এই দ্বিতীয় পর্বে আমরা দেখবো—গুম সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভেতরেও কীভাবে জন্ম নিতো যন্ত্রণা ও দ্বন্দ্ব।
গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্মিত ঢাকা স্ট্রিমের প্রথম ভিডিওতে আমরা দেখেছি—‘গুমকাণ্ডে কীভাবে জড়িত ছিলেন বিদেশিরাও’। আর আজকের এই দ্বিতীয় পর্বে আমরা দেখবো—গুম সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভেতরেও কীভাবে জন্ম নিতো যন্ত্রণা ও দ্বন্দ্ব।

গুম কমিশনের প্রতিবেদন
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গোপন বন্দিশালায় দায়িত্বরতদের কেউ কেউ বন্দীদের নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বন্দীদের ওপর যে ধরনের অত্যাচার চালানোর নির্দেশ দিতেন, বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই তা পুরোপুরি পালন করতেন না।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমের ঘটনায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও ভারতীয় বাহিনীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। বিদেশী তৎপরতার আদ্যোপান্ত দেখুন স্ট্রিম এক্সক্লুসিভে

শুধু বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয় বরং ভারতীয় বাহিনীরও গুমে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা এ তদন্ত কমিশন।