leadT1ad

গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনে যেতেন হিন্দিভাষীরা, বন্দীদের জেরা করতেন ইংরেজিভাষীরা

শুধু বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয় বরং ভারতীয় বাহিনীরও গুমে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা এ তদন্ত কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী ও নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া গুম হওয়া ব্যক্তিদের সীমান্ত দিয়ে পারাপার সম্ভব নয়।

ফারুক হোসাইন
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫, ০১: ০৮
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ২০: ০১
স্ট্রিম গ্রাফিক

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গোপন বন্দিশালায় হিন্দি ভাষাভাষী ব্যক্তিরা পরিদর্শনে যেতেন। পশ্চিমা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও বন্দীদের জেরা করতেন। আর গুমের শিকার ব্যক্তিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠানো কিংবা ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ঘটনা ছিল অনেকটা নিয়মিত। তবে গুম ও বিচারবর্হিভূত হত্যার বিরুদ্ধে বাহিনীগুলোর ভেতরে ছিল মতবিরোধ। ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়েছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী নয়, ভারতীয় বাহিনীরও জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা এ কমিশন।

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া এমনটি সম্ভব নয়।

গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনের ষষ্ঠ অধ্যায়ে বলা হয়, গোপন বন্দিশালায় বন্দীদের সঙ্গে এমন ব্যক্তিরাও দেখা করতেন, যাঁরা হিন্দিসহ অন্যান্য বিদেশি ভাষায় কথা বলতেন। একাধিক বন্দীর কাছ থেকে এ তথ্য পেয়েছে কমিশন। যাঁদের মধ্যে টাস্কফোর্স ফর ইনটারোগেশন সেলে (টিএফআই) দীর্ঘ সময় ধরে আটক থাকা একজন বন্দীও আছেন।

স্ট্রিম গ্রাফিক
স্ট্রিম গ্রাফিক

ওই বন্দীর ভাষ্য, ‘আমি হিন্দি ভাষা বলতে শুনেছি...যখন পরিদর্শনে আসত, তখন আমাদের দেয়ালের দিকে মুখ করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বসিয়ে রাখত, সারা দিন নড়াচড়া করতে দিত না। আমি বুঝতে পারতাম অনেক লোক আসছে, পায়ের আওয়াজ শুনতাম।’

ভুক্তভোগীর বরাতে কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দিশালায় প্রস্রাব-পায়খানার গন্ধ থাকত। বাইরে থেকে কেউ পরিদর্শনে গেলে সেখানে পারফিউমের ঘ্রাণ পাওয়া যেত। মোবাইলের রিংটোন, নোটিফিকেশনের শব্দও পেতেন বন্দীরা। একসঙ্গে অনেক মানুষের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যেত।

কমিশনকে ওই বন্দী বলেছেন, ‘পরিদর্শন চলাকালে আমি হিন্দি ভাষা শুনেছি। তাঁরা একজন আরেকজনের সঙ্গে হিন্দি ভাষায় কথা বলছিলেন।’

প্রতিবেদনে কমিশন উল্লেখ করেছে, বন্দীদের এসব বর্ণনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক, অস্বচ্ছ এবং দ্বিপক্ষীয় গোয়েন্দা সহযোগিতার ধারাবাহিকতাকে ইঙ্গিত করে। সীমান্ত পারাপার এবং বন্দীদের যৌথ জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনাও ছিল।

কৌশলগত স্তরের নির্দেশদাতাদের অন্যতম হলেন শেখ হাসিনা, তাঁর তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

জেরা করেছিলেন পশ্চিমারাও

বিদেশি ব্যক্তিরা সরাসরি নির্যাতনে অংশ নেননি। তবে তাঁদের উপস্থিতি গোপন বন্দীব্যবস্থাকে বৈধতা দিয়েছে বলে মনে করছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।

ভারতের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্কের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের’ নামে পশ্চিমা সহযোগিতাও পেয়েছে। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কমিশনকে নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ওই সময়ে নিপীড়নের মাত্রাও বেড়েছে।

স্ট্রিম গ্রাফিক
স্ট্রিম গ্রাফিক

এক ভুক্তভোগী তাঁর সাক্ষ্যে উল্লেখ করেন, তিনি যখন ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) হেফাজতে ছিলেন, তখন দুজন আমেরিকান তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) হেফাজতে আরেকজন বন্দীর আটক থাকার বিষয়টি কমিশন স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হয়েছে। সেই বন্দী জানিয়েছেন, তাঁকে একজন বিদেশি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। ওই বিদেশি যে ইংরেজি ভাষাভাষী ছিলেন, তা ওই বন্দী বুঝতে পেরেছিলেন।

গুম পরিচালিত হতো তিন স্তরে

গুমের ঘটনা তিনটি স্তরে পরিচালিত হতো বলে জানিয়েছে কমিশন। সেগুলো হলো—কৌশলগত, নির্বাহী ও ফাংশনাল। ওপর থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা গুমের নির্দেশ দিতেন।

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা ছিল এমন কয়েকজনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। এই আদেশদাতাদের যে স্তর, তাকে কৌশলগত স্তর হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এ ধরনের সীমান্ত পারাপার বিজিবি ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হতো না।

কৌশলগত স্তরের নির্দেশদাতাদের অন্যতম হলেন শেখ হাসিনা, তাঁর তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তাঁরা আবার নিরাপত্তা বাহিনীর জেনারেল, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ সদস্যদের বার্তা পৌঁছে দিতেন। এই স্তরকে নির্বাহী স্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরপর ছিল কার্যকরী স্তর। এই স্তরে নিরাপত্তা বাহিনীর নিম্নপদস্থ সদস্যরা অপারেশন পরিচালনা করতেন। এভাবে শীর্ষ পর্যায় থেকে দেওয়া নির্দেশ সরাসরি বাস্তবায়নের পর্যায়ে আসত।

আদেশ অমান্যকারীদের তালিকা যেত হাসিনার কাছে

গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কাছে একজন র‍্যাব গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিনের এক বন্দীকে হত্যার জন্য তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা অমান্য করেন এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে নিজের অবস্থান ধরে রাখেন।

কমিশন বলছে, ‘সব সময়ই যে অবাধ্যতার ফলাফল তাৎক্ষণিক হয়, তা নয়। কেউ কেউ তাঁদের অবস্থান জানানোর পরও টিকে ছিলেন।’ র‍্যাব গোয়েন্দা কর্মকর্তার ঘটনাটি তারই এক উদাহরণ। তবে এসব কর্মকর্তার তথ্য বা নির্দেশ বাস্তবায়নের আদেশ পালনে অস্বীকৃতি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লেখা চিঠি সরাসরি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছানো হতো।

কমিশনের প্রতিবেদন জানায়, শেখ হাসিনার পতনের পর তাঁর কাছে পাঠানো এ ধরনের কয়েকটি নোট গণভবন থেকে উদ্ধার করে গুম কমিশন।

তবে যত যা-ই হোক, হাসিনার আমলে গুমের ঘটনা থেমে থাকেনি। বাহিনীর সদস্যরা অস্বীকৃতি জানালেও বিভিন্ন উপায়ে গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতেই থাকে। যেমন রেললাইন বা চলন্ত যানবাহনের নিচে ফেলে মেরে ফেলা এবং পরে ওই লাশ গুম করার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন।

কমিশনের প্রতিবেদন জানায়, শেখ হাসিনার পতনের পর তাঁর কাছে পাঠানো এ ধরনের কয়েকটি নোট গণভবন থেকে উদ্ধার করে গুম কমিশন।

প্রতিবেদন বলছে, ‘গুমের মতো অপরাধকে অনেকাংশে অঘোষিতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আর যাঁরা এসব করেছিলেন, তাঁরা প্রকৃত অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হননি।’

বাংলাদেশ থেকে ভারত : গুমের আন্তরাষ্ট্রীয় গণ্ডি

গুমের ঘটনার ৬৭ শতাংশের পেছনে পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, সিটিটিসির (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায় খুঁজে পেয়েছে কমিশন। অনেক ঘটনায় একাধিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা) মতো বিশেষায়িত ও গোয়েন্দাবাহিনী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলিত হয়ে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করেছে বলেও জানায় কমিশন।

কমিশনের কাজ এখনও চলমান। সামনেও চলবে। আমরা নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ এ বিষয়ে আরেকটি প্রতিবেদন দেব। নূর খান, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য

এনএসআই ও বিজিবির মতো সংস্থা কমসংখ্যক গুমের ঘটনায় জড়িত হয়েছে। তবে এটিকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হস্তক্ষেপ’ বলে মনে করেছে কমিশন।

কমিশনের প্রতিবেদনের তৃতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অধিকাংশ গুমের ঘটনা ঘটেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা। ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা সবচেয়ে বেশি যেসব সংস্থার নাম উল্লেখ করেছেন, সেগুলো হলো পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি ও সিটিটিসি। এ ছাড়া ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবি সদস্যদেরও এসব গুমে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

বাংলাদেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের কেউ কেউ ভারতীয় বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। গুম কমিশন তদন্ত করে দেখেছে, বাংলাদেশে গুমে জড়িত কর্মকর্তারা মূলত ভু্ক্তভোগীদের ভারতে পাঠান। এ প্রক্রিয়ায় দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী জড়িত ছিল।

কমিশন বলেছে, গুম একটি আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ। এতে সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়টি জড়িত। অনেক সময় ভুক্তভোগীদের একটি দেশ থেকে অপহরণ করে অন্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফলে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জড়িত হওয়াটা প্রায় অনিবার্য হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে।

কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এ ধরনের সীমান্ত পারাপার বিজিবি ও ভারতে বিএসএফের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হতো না। এক্ষেত্রে সুখরঞ্জন বালি, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ডলার ও রাহমাতুল্লাহর গুমের ঘটনা এবং সীমান্ত পেরিয়ে তাঁদের ভারতে পাওয়াকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছে কমিশন।

গুমের অভিযোগ এখনো নিচ্ছে কমিশন

গুমসংক্রান্ত মোট ১৮৩৭টি অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত কমিশন। প্রাথমিক পর্যালোচনার পর এসবের মধ্যে ১৭৭২টি অভিযোগকে সক্রিয় মামলা হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এরমধ্যে ১৪২৭ জন ভুক্তভোগীকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে, নিখোঁজ ৩৪৫ জন।

গুমের ঘটনায় তদন্ত কমিশন এখনো অভিযোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘কমিশনের কাজ এখনো চলমান। সামনেও চলবে। আমরা নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ এ বিষয়ে আরেকটি প্রতিবেদন দেব।’

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশন এখন পর্যন্ত দুটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গত বছরের ২৭ আগস্ট গুম কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

গত ১৪ ডিসেম্বর জমা দেওয়া প্রথম অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুমের নির্দেশদাতা’ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়। চলতি বছরের ৪ জুন দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে গুমের শিকার ব্যক্তি এবং প্রত্যক্ষদর্শী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে নির্যাতন ও স্বীকারোক্তি আদায়ের সচিত্র বর্ণনা দেওয়া হয়।

গত সোমবার (২৪ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে গুম কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ এ বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

Ad 300x250

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থায় জামায়াতের কী লাভ

ট্রাইব্যুনালে জমা পড়ল আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ

পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক সংগঠন: সার্কের বিকল্প হতে পারবে

আহমদ ছফা কেন তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন

যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের যাত্রা শুরু, অতঃপর মামদানি কেন তাঁদের আপনজন

সম্পর্কিত