কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫৬ অনুযায়ী, গত বছরের ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের গুম কমিশন গঠন করে সরকার। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করতে এ কমিশন গঠন
গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান বলেন, প্রস্তাবিত নতুন আইনে গুমের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে মিল নেই এবং শুধু বিভাগীয় শাস্তির কথা বলা হয়েছে, যা যথেষ্ট নয়। আইনটি যেন ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে, রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য নয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। খসড়ায় গুমকে ‘চলমান অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রাচীন রোমান আইনও সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকে ন্যায্যতা দিত এই বলে যে, ব্যভিচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত নারীদের তাদের স্বামীরা হত্যা করতে পারতেন। চীনে কিং রাজবংশের সময়ে পিতা ও স্বামীদের এমন কন্যাদের হত্যা করার অধিকার ছিল, যারা পরিবারের অসম্মান করেছে বলে মনে করা হতো।
বিএনপির মহাসচিব গভীর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোকে রাষ্ট্র খুব কম কিংবা কিছু ক্ষেত্রে কোনো সহায়তাই করেনি।
গুম কমিশনের প্রতিবেদন
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গোপন বন্দিশালায় দায়িত্বরতদের কেউ কেউ বন্দীদের নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বন্দীদের ওপর যে ধরনের অত্যাচার চালানোর নির্দেশ দিতেন, বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই তা পুরোপুরি পালন করতেন না।
সেনাসদরের প্রেস ব্রিফিং
দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আশাবাদী সেনাবাহিনী।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমের ঘটনায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও ভারতীয় বাহিনীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। বিদেশী তৎপরতার আদ্যোপান্ত দেখুন স্ট্রিম এক্সক্লুসিভে
শুধু বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয় বরং ভারতীয় বাহিনীরও গুমে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা এ তদন্ত কমিশন।