.png)
দেখা থেকে লেখা

স্ট্রিম প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পা দিয়ে দেখি, চারদিকে ‘উৎসবমূখর’ অবস্থা। সাজ সাজ রবের কারণ—আজ ডাকসু নির্বাচন। সকাল থেকেই ভোটদাতাদের লাইন। আজ আমার ভূমিকা ‘দাঁড়িয়ে থাকা দর্শক’। আর আমার কাজটা হলো, চারপাশের ‘আবহাওয়া’ পর্যবেক্ষণ।
সকাল গড়িয়ে দুপুর। শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, মেডিকেল মোড়—সব জায়গাই ঘোরা হলো। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড়, সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা যেন শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে। মানুষের জটলা আর সাংবাদিকদের ক্যামেরার ফ্ল্যাশে সে এক অন্য জগৎ। ভোট দিয়ে হাসিমুখে বেরিয়ে আসা ছাত্রছাত্রীদের জটলা এই মোড়গুলোতেই ভাঙছে। তাদের উচ্ছ্বসিত মুখগুলো দেখবার মতো। জীবনের প্রথম ভোট দেওয়ার আনন্দ হয়তো এমনই।
শাহবাগের এক টং দোকানে চা খেতে খেতে কথা হলো এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি জানালেন, টিএসসির প্রাচীর ধরে দোকানগুলো নাকি আজ খোলেনি। মিনারেল ওয়াটারেরও নাকি আকাল ভেতরে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘুরে ঘুরে যারা বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেন, সেই ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদেরও আজ প্রবেশ নিষেধ। জানলাম, ভেতরে রিক্সা চলাচল নেই আজ। ভোটকেন্দ্রগুলো হয়েছে একটু ফাঁকে ফাঁকে। ফলে, ব্যক্তিগত যানবাহন যাঁদের নেই সেই প্রার্থীদের ক্ষেত্রে হেঁটে হেঁটে ভোটকেন্দ্রগুলো প্রদক্ষিণ করা সময়সাপেক্ষ ও একইসাথে ক্লান্তিকর হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভেতরের জগতে সামান্য কিছু অসুবিধার গল্প শোনা গেল, কিন্তু তাতে উৎসবের রঙে কোনো কমতি নেই।
এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বেশ স্বাভাবিক আর স্বতঃস্ফূর্তভাবেই চলছে বলে জানলেন বের হয়ে আসা ভোটারেরা। দু-একটি ছোটখাটো অভিযোগ যা শোনা গেলে, তাকে নির্বাচনের ‘স্বাভাবিক’ গোলযোগ বলেই ধরে নেওয়া যায়। বড় কোনো গোলমালের খবর কানে আসেনি। বরং চারদিকে একটা আনন্দমুখর পরিবেশ।

মেডিকেল মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হুট করে একটি ঘটনা চোখে পড়ল। একজন প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন মিলে তাকে একটি রিকশায় তুলে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কৌতূহলী হয়ে আমিও সামান্য উঁকি দিলাম। দায়িত্বরত চিকিৎসক জানালেন, তেমন গুরুতর কিছু নয়। গত এক সপ্তাহের নির্বাচনী দৌড়ঝাঁপে অনিয়মিত ঘুম আর ঠিকমেতো খাওয়াদাওয়া না করার কারণে রক্তচাপ কমে গেছে। তার ওপর আজকের এই ভ্যাপসা গরম তো আছেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারগুলোর বাইরের চিত্র উপভোগ করার মতোই। সাধারণ মানুষ, যাদের ক্যাম্পাসের সঙ্গে সরাসরি যোগ নেই, তারাও যেন এই নির্বাচনের অংশ হয়ে গেছে। চায়ের দোকানে, ফুটপাতে—সবখানেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। কেউ কেউ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে রীতিমতো বাজি ধরে ফেলেছেন। কারও হাতে সামান্য লিফলেট বা কাগজের টুকরো দেখলেই সাংবাদিকেরা ছুটে আসছেন নির্বাচনী আচরণবিধির প্রশ্ন নিয়ে।
সব মিলিয়ে, দেয়ালের ওপারে ভোটযুদ্ধের উত্তাপ আর এপারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের জটলা, আলাপ-আলোচনা আর ছোট ছোট ঘটনাপ্রবাহ—এই নিয়েই যেন পূর্ণতা পেয়েছে ডাকসু নির্বাচনের সকাল। শুধু ভোটারদের নয়, ডাকসুকেন্দ্রিক উৎসব মুখরতা ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের পুরো এলাকায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পা দিয়ে দেখি, চারদিকে ‘উৎসবমূখর’ অবস্থা। সাজ সাজ রবের কারণ—আজ ডাকসু নির্বাচন। সকাল থেকেই ভোটদাতাদের লাইন। আজ আমার ভূমিকা ‘দাঁড়িয়ে থাকা দর্শক’। আর আমার কাজটা হলো, চারপাশের ‘আবহাওয়া’ পর্যবেক্ষণ।
সকাল গড়িয়ে দুপুর। শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, মেডিকেল মোড়—সব জায়গাই ঘোরা হলো। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড়, সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা যেন শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে। মানুষের জটলা আর সাংবাদিকদের ক্যামেরার ফ্ল্যাশে সে এক অন্য জগৎ। ভোট দিয়ে হাসিমুখে বেরিয়ে আসা ছাত্রছাত্রীদের জটলা এই মোড়গুলোতেই ভাঙছে। তাদের উচ্ছ্বসিত মুখগুলো দেখবার মতো। জীবনের প্রথম ভোট দেওয়ার আনন্দ হয়তো এমনই।
শাহবাগের এক টং দোকানে চা খেতে খেতে কথা হলো এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি জানালেন, টিএসসির প্রাচীর ধরে দোকানগুলো নাকি আজ খোলেনি। মিনারেল ওয়াটারেরও নাকি আকাল ভেতরে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘুরে ঘুরে যারা বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেন, সেই ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদেরও আজ প্রবেশ নিষেধ। জানলাম, ভেতরে রিক্সা চলাচল নেই আজ। ভোটকেন্দ্রগুলো হয়েছে একটু ফাঁকে ফাঁকে। ফলে, ব্যক্তিগত যানবাহন যাঁদের নেই সেই প্রার্থীদের ক্ষেত্রে হেঁটে হেঁটে ভোটকেন্দ্রগুলো প্রদক্ষিণ করা সময়সাপেক্ষ ও একইসাথে ক্লান্তিকর হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভেতরের জগতে সামান্য কিছু অসুবিধার গল্প শোনা গেল, কিন্তু তাতে উৎসবের রঙে কোনো কমতি নেই।
এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বেশ স্বাভাবিক আর স্বতঃস্ফূর্তভাবেই চলছে বলে জানলেন বের হয়ে আসা ভোটারেরা। দু-একটি ছোটখাটো অভিযোগ যা শোনা গেলে, তাকে নির্বাচনের ‘স্বাভাবিক’ গোলযোগ বলেই ধরে নেওয়া যায়। বড় কোনো গোলমালের খবর কানে আসেনি। বরং চারদিকে একটা আনন্দমুখর পরিবেশ।

মেডিকেল মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হুট করে একটি ঘটনা চোখে পড়ল। একজন প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন মিলে তাকে একটি রিকশায় তুলে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কৌতূহলী হয়ে আমিও সামান্য উঁকি দিলাম। দায়িত্বরত চিকিৎসক জানালেন, তেমন গুরুতর কিছু নয়। গত এক সপ্তাহের নির্বাচনী দৌড়ঝাঁপে অনিয়মিত ঘুম আর ঠিকমেতো খাওয়াদাওয়া না করার কারণে রক্তচাপ কমে গেছে। তার ওপর আজকের এই ভ্যাপসা গরম তো আছেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারগুলোর বাইরের চিত্র উপভোগ করার মতোই। সাধারণ মানুষ, যাদের ক্যাম্পাসের সঙ্গে সরাসরি যোগ নেই, তারাও যেন এই নির্বাচনের অংশ হয়ে গেছে। চায়ের দোকানে, ফুটপাতে—সবখানেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। কেউ কেউ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে রীতিমতো বাজি ধরে ফেলেছেন। কারও হাতে সামান্য লিফলেট বা কাগজের টুকরো দেখলেই সাংবাদিকেরা ছুটে আসছেন নির্বাচনী আচরণবিধির প্রশ্ন নিয়ে।
সব মিলিয়ে, দেয়ালের ওপারে ভোটযুদ্ধের উত্তাপ আর এপারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের জটলা, আলাপ-আলোচনা আর ছোট ছোট ঘটনাপ্রবাহ—এই নিয়েই যেন পূর্ণতা পেয়েছে ডাকসু নির্বাচনের সকাল। শুধু ভোটারদের নয়, ডাকসুকেন্দ্রিক উৎসব মুখরতা ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের পুরো এলাকায়।
.png)

জুলাই জাতীয় সনদে সই হওয়া সব বিষয়কে ধারণ ও বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে বিএনপি। এ সময় সনদ বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং নতুন নতুন প্রশ্ন তুলে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত না করতে আহ্বান জানায় দলটি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আর কেউ আওয়ামী লীগ হইতে পারবে না, আমরা হতে দেব না।’ তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা রাতে (ঘরে) ঘুমাতে পারেন নাই, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, আমরা তাদের সম্মান জানাই।
৫ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি সংসদ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত দলীয় তিন প্রার্থী এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি দিন ধরে যে বিষয়টি অস্বস্তির কারণ হয়ে থেকেছে— সেটি হচ্ছে ফারাক্কা।
৬ ঘণ্টা আগে
১০ হাজার টাকায় মনোনয়ন ফরম উন্মুক্ত করল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে কেউ চাইলে আরও বেশি টাকা দিতে পারবেন। আর শ্রমিক শ্রেণির প্রার্থীরা এই ফরম কিনতে পারবেন মাত্র দুই হাজার টাকায়।
১০ ঘণ্টা আগে