leadT1ad

ঢাবিতে ছাত্রদলের কমিটি ঘিরে উত্তেজনা, যা যা হলো

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ১৯
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৩৫
ঢাবিতে ছাত্রদলের কমিটি ঘিরে উত্তেজনা, যা যা হলো। স্ট্রিম গ্রাফিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের হল কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। ফেসবুকে তাই অভিনন্দন আর শুভেচ্ছার হিড়িক। অনেকেই নিজের সংবাদটি ফেসবুকে অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। আর সেটির মন্তব্যের ঘরে শুভকামনার ঢল। তখনো কিন্তু বোঝবার উপায় নেই এই কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ঘটতে চলেছে। সেই জুলাই আন্দোলনের সময় হলের ফটক ভেঙে নারী শিক্ষার্থীরা বেরিয়েছিলেন। আর বের হলেন গতকাল, ছাত্রদলের দেওয়া হল কমিটির প্রতিবাদে।

গত বছরের ১৬ জুলাই দিবাগত রাতে ঢাবির হলগুলোকে ছাত্রলীগ মুক্ত করতে মাঠে নামেন শিক্ষার্থীরা। শুধু ছাত্রলীগ নয়, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলকেই ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করে হল প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা তাই প্রশ্ন তুলছেন, জুলাইয়ের ওই সিদ্ধান্ত কি তবে মিথ্যা হয়ে গেল?

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাই ফের হল ভেঙে বেরিয়ে আসেন নারী শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে যোগ দেয় অন্য হলগুলোও। পরে রাত তিনটার কিছু আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।

ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণা

শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের আহ্বায়ক কমিটি দেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখাগুলোর বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে ১৮টি হলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটিগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন এই কমিটিগুলোতে মোট ৫৯৩ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন পদে মনোনীত করা হয়েছে। নতুন ঘোষিত কমিটিগুলোতে প্রত্যেক হলে আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ ৩ থেকে ৬১ জন পর্যন্ত সদস্য রয়েছেন। তবে কয়েকটি ছাত্রী হলে ছোট আকারে কমিটি দেওয়া হয়েছে— যেখানে সদস্য সংখ্যা ৩ থেকে ৮ জন।

কমিটি ঘিরে বিতর্ক

শুক্রবার ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর এটি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেকে অভিযোগ করেন, নতুন কমিটিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের অনেকে স্থান পেয়েছেন। এ নিয়ে দিনভর আলোচনা-সমালোচনা চলে। অনলাইন-অফলাইন বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়, ‘এ কমিটিতে ছাত্রদলের ত্যাগী লোকদের মূল্যায়ন করা হয়নি’।

ছাত্রলীগের প্রায় ৬০ জন সাবেক নেতা-কর্মী ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিজেকে ছাত্রদল কর্মী দাবি করে শামীম মিয়া নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, ‘২০২০ সালে ছাত্রদলের হল কমিটির জন্য সিভি জমা দিয়েছিলাম। জুনিয়র হওয়ার কারণে সেই কমিটি থেকে পদ বঞ্চিত হয়েছিলাম। আমাদের স্লোগান “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ”-এর বিপরীতে যারা “জয় বাংলা” স্লোগান দিত, তাদের নামও এসেছে ঢাবি ছাত্রদলের কমিটিতে।’

পরে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান সেটি শেয়ারও করেন।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্রদলের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঁইয়া ইমনকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে একটি লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেঈমানি: উমামা

ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ার ঘটনাকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেঈমানি বলে অভিহিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শুক্রবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতবছর ১৬ জুলাই আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার মাধ্যমে ছাত্ররা ক্যাম্পাস ছাত্রলীগমুক্ত করার সাহস পায়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই গুপ্ত রাজনীতি ও প্রকাশ্য কমিটির চর্চা শুরু হয়েছে। যা স্পষ্টত জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে বেঈমানি। আজকে রাতের মধ্যে কমিটি স্থগিত না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই দিবাগত রাতে ঢাবির হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত করা হয়। সে সময় শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের থেকে এ বিষয়ক স্বাক্ষরও গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরতেই ছাত্রদলের নতুন কমিটি দেওয়ার পর তাই ওই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত বছরের ১৭ জুলাই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয় ঢাবির সবগুলো হল। কবি সুফিয়া কামাল হলের এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন। সংগৃহীত ছবি
গত বছরের ১৭ জুলাই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয় ঢাবির সবগুলো হল। কবি সুফিয়া কামাল হলের এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন। সংগৃহীত ছবি

আবার গেস্টরুম কালচার ফেরার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা: কাদের

শুক্রবার বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, হলগুলোতে কমিটি দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা গেস্টরুম ফিরে আসার ব্যাপারে শঙ্কিত। তিনি জানান, এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত, হলগুলোতে আবারও গণ্ডগোল, গেস্টরুম কালচার ফিরে আসবে। আবারও প্রটোকল কালচার ফিরে আসবে। শিক্ষার্থীরা আরও শঙ্কার জায়গায় আছেন যে তার অ্যাকাডেমিক লাইফটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার শারীরিক অবস্থা, তার বাবা মারা গেছে, নাকি মা মারা গেছে, সে অসুস্থ কিংবা তার আগামীকাল পরীক্ষা আছে কিনা, সেটা কোনো ধর্তব্যের বিষয় হবে না। তাকে শুধুমাত্র, শুধুমাত্র সিট বাঁচানোর জন্য ভাইকে প্রটোকল দিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতি দলগুলো দায়বদ্ধতা ধরে রাখেনি জানিয়ে কাদের আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি কমিটমেন্টের জায়গাটা আগ্রাহ্য করে ছাত্রশিবির তাদের বিগত হল কমিটি বহাল রেখেছে। শুধু বহাল রাখে নাই, তারা পুরোদমে সেটাকে কার্যকর করে রেখেছে। এবং ছাত্রশিবিরের যে সভাপতি, তিনি ছোট ছোট টিম থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আমরা দেখেছি, এর পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়নও তাদের হল এবং অ্যাকাডেমিক এরিয়ায় যে কমিটি, তা প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তাদের হল আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

এ সময় কাদের ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে গুপ্তরাজনীতির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমরা কী দেখেছি, প্রকাশ্যে না এসেও হলগুলোতে ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের গুপ্ত কমিটিকে কার্যকর করে রেখেছে।’

উল্লেখ্য, শুধু হল প্রশাসনের কাছ থেকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে লিখিত বক্তব্য নেওয়াই নয়। গত জুলাইয়ে যে ৯ দফা দাবি জানানো হয়েছিল, তারও একটি দফা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদকে কার্যকর করা।

রাতে আন্দোলন ও হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা

ছাত্রদলের হল কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে প্রতিবাদে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে রাজু ভাস্কর্যের নিচে জড়ো হন তারা।

এই বিক্ষোভ চলাকালে হলগুলোতে দেওয়া ছাত্রশিবিরের পানির ফিল্টারসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক উপহার ভাঙা হয়।

পড়ে রয়েছে ছাত্রশিবিরের দেওয়া ফিল্টার। ৮ আগস্ট দিবাগত রাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংগৃহীত ছবি
পড়ে রয়েছে ছাত্রশিবিরের দেওয়া ফিল্টার। ৮ আগস্ট দিবাগত রাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংগৃহীত ছবি

রাতে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই ছাত্ররাজনীতি বিষয়ে যে কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো, হল পর্যায়ে কোনো ছাত্র রাজনীতি চলবে না। তারা কেন্দ্রে করতে পারবে, তারা মধুর ক্যান্টিন, কলাভবনে তারা করতে পারবে, যেটা সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু আমরা কোনো ছাত্র সংগঠনকে ফোর্স করতে পারি না যে আপনি বাতিল করেন। আমাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হল পর্যায়ে এটা নিষিদ্ধ। যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৭ জুলাই, সেটা বহাল থাকবে।’

ছাত্রদলের প্রতিক্রিয়া

পুরো ঘটনায় ছাত্রদলের প্রতিক্রিয়া জানতে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামীর। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘গতকাল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বিশেষত প্রক্টর সাহেবের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, সেটা আসলে অনেক দিক থেকেই অ্যাবসার্ড (উদ্ভট)।’ এ সময় তিনি রাজনীতি করা বাংলাদেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার বলেও উল্লেখ করেন।

মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যে রাজনৈতিক সংগঠন আছে, তারা হলকেন্দ্রিক যদি নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে, তাহলে আসলে তাদের সাংগঠনিক স্ট্রাকচারটাই মুখ থুবড়ে পড়বে।’

ছাত্রদলের কমিটি দেওয়া ১৭ জুলাই ও ৯ দফার বিরুদ্ধে যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী বলেন, ‘জুলাই মাসের যে ৯ দফা এবং ১৭ জুলাইয়ের যে আন্দোলন, সেটা আসলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেই ছিল। এবং সেক্ষেত্রে আমাদের দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৯ দফার মধ্যে যে ৭ নম্বর দফা (ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা) যুক্ত করা হয়েছিল, সেটিতে কিন্তু তাদের দ্বিমত জানিয়ে এসেছিল। এক্ষেত্রে একমত না হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছিলেন যে এটি নিয়ে আবার আলোচনা করা হবে।’

৯ দফাতে যেসব দাবিগুলো ছিল, সেগুলো আবার পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে বলেও তিনি জানান।

প্রশাসনের বক্তব্য পরিষ্কার নয়: ছাত্রশিবির

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ‘সংজ্ঞায়নবিহীন কোনো ঘোষণা—এটা বিরোধিতা করার সুযোগ থাকে না, জাজমেন্ট দেওয়ার সুযোগ থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে নিষেধাজ্ঞা বলেছে, শব্দগুলোর সংজ্ঞায়ন করে নাই। কী নিষেধ করছেন? কতটুকু এরিয়ার মধ্যে নিষেধ করছেন? নিষিদ্ধ হলেই কী হবে? নিষিদ্ধ যে ঘোষণা করছেন, সেটা ব্রেক করলে কী হবে? এবং সেই সংজ্ঞায়নের মধ্যে কী কী শব্দ আওতাভুক্ত হয়, কী কী শব্দ আওতামুক্ত—এ ধরনের কোনো ফ্রেমওয়ার্ক তারা দেন নাই। যেহেতু সংজ্ঞায়নটা ক্লিয়ার না, সুতরাং এ ব্যাপারে জাজমেন্ট দেওয়াটা আমাদের জন্য কঠিন।’

কমিটি না দিয়ে গুপ্ত রাজনীতি করার অভিযোগের ব্যাপারে ফরহাদ বলেন, আমার সংগঠনের কমিটি তো আমি দিই ভাই, আপনি তো দেন না। এখন যদি আমি কমিটি না দেই, আর আমাকে বলে যে কমিটি দাও, তাহলে কি আমার সংগঠনের পলিসি আপনি ঠিক করবেন? এটা তো ডাবল স্ট্যান্ডার্ডগিরি। কালকে একজনকে দেখলাম, বলছে ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে আর শিবিরকে কমিটি দিতে হবে। আমি অনেকক্ষণ হাসলাম। এটা তো অদ্ভুত ব্যাপার। শিবিরের কমিটি সে দিবে না আমি দিব?

গুপ্ত রাজনীতি কীভাবে শনাক্ত করবেন: ছাত্র ইউনিয়ন

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু আজ গণমাধ্যমে বলেন, ‘স্মরণকালের সবথেকে হাস্যকর কথাটা একটা প্রশাসনের মানুষের মুখ থেকে আমরা শুনছি। সেটি হচ্ছে, গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে। আমার মাথায় বুদ্ধি কম সম্ভবত, আমি জানিনা গুপ্ত রাজনীতি কীভাবে নিষিদ্ধ করে। কারণ গুপ্ত রাজনীতির বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে তা প্রকাশ্য না। ফলে তা ডিটেক্টেবল না (শনাক্ত করা যায় না)। যা ডিটেক্টই করা যায় না, তা নিষিদ্ধ কীভাবে করা হয়, তা আমার জানা নাই। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বরং গুপ্ত রাজনীতিকে প্রণোদনা দেয়া হইল এবং রাজনীতি যাতে কেউ ব্যক্ত না করে, তার একটা ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) তৈরি করা হইলো।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত