একটি স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কানেকশন—২০২৫ সালের বাংলাদেশে কারো জীবন ধ্বংস করতে মনে হয় এটুকুই যথেষ্ট। মাদারীপুরের বাউল আবুল সরকারের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি আপাতদৃষ্টিতে ‘ধর্মীয় অনুভূতি’র মনে হলেও, এর পেছনের কারিগর মূলত ‘প্রযুক্তিগত দুর্বৃত্তায়ন’।
ঘটনাস্থল মানিকগঞ্জের ঘিওর আর গ্রেপ্তারস্থল মাদারীপুর হলেও, আসল অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে ফেসবুকে। বাউল আবুল সরকার চার ঘণ্টা ধরে যে তত্ত্বকথা বললেন, সেটার আগামাথা কেটে ফেলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের একটি ক্লিপ ভাইরাল করে দেওয়া হলো। আর সেই ক্লিপ দেখে বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই রাষ্ট্রযন্ত্র নড়েচড়ে বসল। আবুল সরকারের এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে সংস্কৃতি কিংবা আইন-আদালতের রায়ের চেয়ে ফেসবুকের একটা রিল বেশি শক্তিশালী।
বাউল গান বা পালাগান বাঙালির হাজার বছরের ‘মৌখিক সাহিত্য’ । এখানে লিখিত কোনো পাণ্ডুলিপি থাকে না। বাউলরা উপস্থিত বুদ্ধিতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। একটি পালাগান চলতে পারে সারা রাত ধরে। সেখানে একজন বাউল শরিয়তের পক্ষে বলেন, আরেকজন মারফতের পক্ষে। তর্কের খাতিরে বাউলরা ‘ডেভিলস অ্যাডভোকেট’ বা শয়তানের উকিল হয়েও কথা বলেন। এখানেও হয়েছিল তাই। পালার বিষয় ছিল জীব ও পরম, একদিকে মাখলুক, আরেকদিকে খোদা। বাউল মহারাজ আবুল সরকার নিয়েছিলেন জীবের পক্ষ, পরম বা খোদার দিকে ছিলো অপরপক্ষ।
দীর্ঘ এই পালায় দুইজনই অসাধারণ যুক্তি-তর্ক তুলে ধরেন। সমস্যা হলো, এই দীর্ঘএবং গভীর মনোযোগ দাবি করা পালাটি যদি আপনি ১৫ বা ৩০ সেকেন্ডের উত্তেজক রিল দিয়ে বুঝতে চান- তা কি বোঝা সম্ভব?
আবুল সরকারের ক্ষেত্রে ঠিক এটাই ঘটেছে। তার ভক্ত ও শিষ্য রাজু সরকার গণমাধ্যমগুলোকে বলেছেন, ‘পালা শুরুর আগেই কোনো ভুলভ্রান্তি হলে তার জন্য সবার কাছে মাফ চেয়ে নেয়া হয়। কিন্তু পালাগানের পুরোটা প্রচার না করে এর নির্দিষ্ট একটি অংশ কেটে বিভ্রান্তিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নেতিবাচকভাবে তা প্রচার করা হচ্ছে।’
আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে সংস্কৃতি কিংবা আইন-আদালতের রায়ের চেয়ে ফেসবুকের একটা রিল বেশি শক্তিশালী।
সেদিনের পালাটা ইউটিউবে পুরোপুরি শোনার পর আমার কাছে মনে হয়েছে রাজু সরকারের এই বক্তব্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করে যে, ভিডিওটি যারা ছড়িয়েছে, তারা ‘ইনোসেন্ট’ বা নিছক শ্রোতা ছিল না। তারা সুপরিকল্পিতভাবে ভিডিওটি এডিট করেছে। পালার আগে ও পরে বাউল আবুল সরকার যে ক্ষমা চাইলেন বা রূপক অর্থের ব্যাখ্যা দিলেন— সেটা তারা সচেতনভাবে ফেলে দিয়েছে। একে বলা হয় ‘সিলেক্টিভ এডিটিং’ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সম্পাদনা।
প্রশ্ন হলো, পুলিশ যে তদন্ত করছে—পুলিশ কি কারা এই ভিডিওটি এডিট করল তার খোঁজ করেছে? নাকি ভাইরাল ভিডিওর উত্তাপ দেখেই তারা ব্যবস্থা নিয়ে ফেলল?
রাষ্ট্র কি অ্যালগরিদমের কাছে জিম্মি?
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলে নিজস্ব স্থানীক তথ্য, গোয়েন্দা তথ্য এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, প্রশাসন চলছে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদমের তালে। ফেসবুকে কোনো বিষয় ‘ট্রেন্ডিং’ হলেই প্রশাসন চাপে পড়ে যায় এবং ‘মব’ বা জনতাকে শান্ত করতে তড়িঘড়ি করে ব্যবস্থা নেয়।
আবুল সরকারকে মধ্যরাতে মাদারীপুরে চলমান একটা আসর থেকে ‘নিরাপত্তার’ কথা বলে তুলে নেওয়া হলো। অথচ, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভিডিওটি এডিট করে বিভ্রান্তি ছড়ালো এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি দিল—তাদের কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী শাহদীন মালিক বিবিসি বাংলাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ধরিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধিতে ধর্ম অবমাননার ধারা ছিল না, এটি ১৯২৫ সালে দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে যুক্ত হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই কথার সাথে আরেকটি মাত্রা যোগ করা জরুরি—আইন যখন তৈরি হয়েছিল, তখন ‘ভিডিও এডিটিং’ ছিল না। তখন ‘প্রসঙ্গ বিচ্ছিন্ন’ করে কথা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল সীমিত।
আজকের দিনে আইনের প্রয়োগকারীদের বুঝতে হবে, ডিজিটাল স্পেসে যা দেখা যায়, তা সবসময় সত্য নয়। ‘আউট অব কন্টেক্সট’ ভিডিওর ওপর ভিত্তি করে কাউকে গ্রেপ্তার করা মানে হলো সাইবার অপরাধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। কাল যদি আপনার কোনো সাধারণ আলোচনার একটি লাইন কেটে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং জনতা ক্ষেপে যায়, পুলিশ কি আপনাকেই গ্রেপ্তার করবে?
আমরা মানবিক বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলছি। আমাদের কাছে রক্ত-মাংসের বাউলের চেয়ে পিক্সেলের তৈরি এডিটেড ভিডিও বেশি সত্য মনে হচ্ছে।
শত শত বছর ধরে আমাদের অঞ্চলে পালা গান আর বিচার গানে গভীর তত্ত্বের আলাপ সহজ সরল ভাষায় করা হয়। আগ্রহী শ্রোতারা বোঝার-জানার মন মানসিকতা নিয়েই সেখানে যান। এমন সুপার সেনসেটিভ আলোচনা কোন এডিটরিয়াল পলিসি ছাড়া যদি কেটে ছড়িয়ে দেয় কেউ, আর রাষ্ট্র যদি একুশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে সত্য যাচাই না করে কেবল ‘ভাইরাল’ কন্টেন্টের রিঅ্যাকশন দেখে কাজ করে, তবে কোনো নাগরিকের জীবনই আর নিরাপদ নয়।
শ্রবণের সংস্কৃতি হত্যা এবং অসহিষ্ণুতা
চিন্তক আর কবি ফরহাদ মজহার বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, 'পালাগানের মাধ্যমেই জনগণ ধর্মতত্ত্বের দার্শনিক দিকটা পর্যালোচনা ও ক্রিটিক্যাল সমালোচনার সুযোগ পায়। কিন্তু আমরা সেই ‘শোনার সংস্কৃতি’ হারিয়ে ফেলেছি।'
আগে মানুষ আসরে যেতো গান শুনতে, এখন অনেকেই যান মোবাইলে ভিডিও করতে। অনেকের উদ্দেশ্য থাকে- রস আস্বাদন নয়, বরং ‘ভুল’ ধরা। এই যে সারাক্ষণ অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করার মানসিকতা— এটা কি আমাদের সমাজকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলছে না? আমরা এখন আর পুরো বাক্য শুনি না, কেবল ‘ক্যাচওয়ার্ড’ বা আপত্তিকর শব্দ খুঁজি।
আবুল সরকারের বিরুদ্ধে যে ‘তৌহিদী জনতা’ আন্দোলন করেছে, তাদের কতজন আসলে সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন? কতজন পুরো পালাটি শুনেছেন? এই এক পালায় যে আদম (আঃ)-হাওয়া (আঃ) এর ঘটনা, মনসুর হাল্লাজের শহীদ হবার কাহিনী, কারবালার ইতিহাস, তাসাউফের বিভিন্ন গভীর বিষয় যেমন 'নফসে মুতমাইননা'সহ বাউল দর্শনের নানা বিষয় নিয়ে আলাপ হলো তা-কি তারা দেখেছেন?
ঐ একই আলাপে বারবার আবুল সরকার এবং তাঁর প্রতিপক্ষকে বলতে দেখা গেছে বলছেন, ‘পরানের মাওলা গো’, ‘দয়াল রে’, ‘ও মাওলা গো’। তাঁরা যদি খোদাকে গালিই দেবেন, তবে এতো ভক্তিভরে 'পরানের মাওলা' বলে সম্বোধন কি করতেন?
তিনি যা করছেন তা হলো 'নিন্দা-স্তুতি'—অর্থাৎ আপাত নিন্দার ছলে গভীর প্রেম ও অভিমান প্রকাশ।
পুরো ভিডিও না দেখে সবাই উত্তেজিত হয়েছে মোবাইলের পর্দায় ভাসমান ওই কাটা ভিডিও দেখে। অর্থাৎ, শ্রোতাদের আবেগ এখন রিমোট কন্ট্রোলের মতো নিয়ন্ত্রণ করছে তৃতীয় কোনো পক্ষ। যারা ভিডিওটি ছাড়ছে, তারা জানে ঠিক কোন শব্দটা রাখলে পাবলিক রিয়্যাক্ট করবে। এটা এক ধরনের ‘সাইকোলজিক্যাল ম্যানিপুলেশন’ বা মনস্তাত্ত্বিক খেলা। আর এই খেলার বলি হচ্ছেন আবুল সরকারের মতো শিল্পীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায় এবং আইনের অপপ্রয়োগ
আবুল সরকারের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৫৩, ২৯৫-এ এবং ২৯৮ ধারায় মামলা হয়েছে। অভিযোগ— দাঙ্গা বা সহিংসতা সৃষ্টিতে প্ররোচনা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাউল গান শুনে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোথাও দাঙ্গা হয়েছে— এমন নজির ইতিহাসে বিরল। দাঙ্গা বা উত্তেজনা তখনই সৃষ্টি হয়, যখন সেই গানটিকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকৃত করা হয় এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
তাহলে ‘দাঙ্গা উসকে দেওয়ার’ আসল অপরাধী কে? যে বাউল আসরে বসে গান গাইলেন তিনি? নাকি যে বা যারা সেই গানের ভিডিও কেটেকুটে ফেসবুকে আপলোড করে ক্যাপশন দিল—‘দেখুন বাউলের কাণ্ড’?
আইনের দৃষ্টিতে তো ‘ইন্সটিগেটর’ বা প্ররোচনাকারী তো ভিডিও আপলোডকারী হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের পুলিশি ব্যবস্থায় বরাবরই সফট টার্গেট বা দুর্বলকে ধরা হয়। বাউল আবুল সরকার দুর্বল, তার পেছনে কোনো শক্তিশালী শক্তি নেই, তাই তাকেই জেলে যেতে হলো।
সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, এই ‘ডিজিটাল ভ্যান্ডালিজম’ বা প্রযুক্তিগত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সুশীল সমাজের বা প্রযুক্তিবিদদের খুব একটা উচ্চকিত কণ্ঠে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে ন। গুটিকয়েক মানুষ প্রতিবাদ করছেন, বাকিরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন।
আজ আবুল সরকারের ঘটনাটিকে যদি আমরা কেবল ‘ধর্মীয়’ ইস্যু হিসেবে দেখি, তবে ভুল করব। এটি আসলে ‘তথ্য-সন্ত্রাস’। আজ একজন বাউলকে টার্গেট করা হয়েছে, কাল কোনো শিক্ষককে, পরশু কোনো সাংবাদিককে টার্গেট করা হবে। ক্লাসরুমের লেকচার বা প্রাইভেট আড্ডার কথা রেকর্ড করে, প্রসঙ্গ পাল্টে ভাইরাল করে দেওয়ার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তা যেকোনো সুস্থ চিন্তার মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আজকের দিনে আল্লামা ইকবাল বেঁচে থাকলে ভাইরাল জেনারেশন কেবল তাঁর ‘শিকওয়া’র অংশটুকু কেটে ভাইরাল করত, আর ‘জওয়াবে শিকওয়া’ শোনার আগেই হয়তো ইকবালকেও শ্রীঘরে যেতে হতো।
আবুল সরকারের গ্রেফতার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, আমরা মানবিক বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলছি। আমরা এখন আর মানুষের মুখের দিকে তাকাচ্ছি না, তাকাচ্ছি স্ক্রিনের দিকে। আমাদের কাছে রক্ত-মাংসের বাউলের চেয়ে পিক্সেলের তৈরি এডিটেড ভিডিও বেশি সত্য মনে হচ্ছে।
আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলে হয়তো বিদ্রোহী কবিতার কাটা লাইন দিয়ে খোদার আরশ ছেদ করতে চাওয়ার অপরাধকে আজকের ফেসবুক ট্রাইব্যুনালে কি কেবল সাহিত্য হিসেবে গণ্য হতো? নাকি ‘খোদার আরশ ছেদ’ করার অপরাধে তাঁকেও কোনো মাহফিল থেকে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ তুলে নিয়ে যাওয়া হতো?
কিংবা আল্লামা ইকবালের কথাই ধরুন। মুসলিম জাতীয়তাবাদের এই মহান কবি যখন আল্লাহর প্রতি তীব্র অভিমান নিয়ে ‘শিকওয়া’ (অভিযোগ) লিখলেন, তখন তিনি বলেছিলেন—‘হে আল্লাহ! আমরা তোমার জন্য যুদ্ধ করলাম, আর তুমি আমাদেরই লাঞ্ছিত করলে?’—সেই কবিতার বিচ্ছিন্ন অংশ কি আজকের দিনে ‘ধর্ম অবমাননা’ হিসেবে ভাইরাল হতো না?
ইকবাল পরে ‘জওয়াবে শিকওয়া’ লিখে নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিয়েছিলেন, স্রষ্টার প্রতি মানুষের প্রেম ও আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত নজির স্থাপন করেছিলেন।
বাউল আবুল সরকারও তো পালায় সেই উত্তরের দিকেই যাচ্ছিলেন। কিন্তু সমস্যা হলো, ইকবাল বা নজরুলের পুরো কবিতা পড়ার ধৈর্য যেমন ‘ভাইরাল জেনারেশন’-এর অনেকেরই নেই, তেমনি আবুল সরকারের চার ঘণ্টার পালা শোনার সময়ও তাদের নেই। তারা কেবল ‘শিকওয়া’র অংশটুকু কেটে ভাইরাল করত, আর ‘জওয়াবে শিকওয়া’ শোনার আগেই হয়তো ইকবালকেও শ্রীঘরে যেতে হতো।
ইতিহাসের কী নির্মম পরিহাস! যেই বাউলরা, যেই কবিরা খোদার প্রেমে দেওয়ানা হয়ে তাঁর সাথে মান-অভিমান করেন, তাদেরকেই আজ কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে ‘নাস্তিক’ বা ‘ধর্মবিদ্বেষী’ তকমা নিয়ে। অথচ যারা ধর্মকে ব্যবহার করে ডিজিটাল স্পেসে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বাউল আবুল সরকারের মুক্তি কেবল একজন ব্যক্তির মুক্তি নয়, এটি আমাদের ‘সহনশীলতা’ ফিরিয়ে আনার লড়াই। রাষ্ট্র যদি এখনই এই ‘তথ্য-সন্ত্রাস’ না থামায়, তবে একদিন এই আগুনেই পুড়বে আমাদের হাজার বছরের সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির শেষ সম্বলটুকু।
আরিফ রহমান: লেখক