.png)
সার্ক কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গত এক দশক ধরে সংস্থাটির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। অনেকেই এজন্য ভারতের একগুঁয়েমিকে দায়ী করে থাকেন। ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে হতে চলা সার্ক সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার এই প্ল্যাটফর্মকে স্তব্ধ করে দেয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রগতি ও সম্ভাবনা সার্কের পুনর্জাগরণ ছাড়া অসম্পূর্ণ। এ নিয়ে কী ভাবছে পাকিস্তান? পাকিস্তানি দৈনিক ‘ডন’-এর গত ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত সম্পাদকীয় থেকে জানা যাক।

স্ট্রিম ডেস্ক

গত এক দশক ধরে সার্ক বলতে গেলে অচল হয়েই পড়ে আছে। আর এর জন্য পাকিস্তান দায়ী করে আসছে দেশটির সঙ্গে ভারতের সংলাপে জড়াতে রাজি না হওয়ার একগুঁয়েমিকে। ২০১৬ সালে নয়াদিল্লি সিদ্ধান্ত নেয় সেবছর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক সম্মেলনে তারা বয়কট করবে। আরও কয়েকটি দেশ ভারতের সিদ্ধান্তের অনুসরণ করার ফলে এই প্ল্যাটফর্মটি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার এ বিশাল সম্ভাবনা চিরকাল ভারতের ইচ্ছার অধীনে থাকতে পারে না। সম্ভবত এ কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশ একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। এ খবরে বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিশেষত ভারতের পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন এই তিনটি দেশ হয়তো ভারতের অনুপস্থিতিতেই একটি জোট গড়ার কথা ভাবছে।
এই সম্ভাবনা কিছু মানুষের কাছে মনে হয়েছে বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। তবে ইসলামাবাদ এখন অব্দি সার্কের প্রতিই তার দরজা খোলা রেখেছে। পাকিস্তানের মতে তারা এখনও অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিকতায় বিশ্বাস রাখে। কূটনৈতিকভাবে, এখন বল ভারতের কোর্টে। নয়াদিল্লির বোঝা উচিত এই ফোরামকে আবার জাগিয়ে তোলাই দক্ষিণ এশিয়ার অপূরণীয় সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখার উপায়।
এক সময় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংহতির জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্ল্যাটফর্ম ছিল সার্ক। তারপরেও, এটি কখনোই আসিয়ানের সাফল্যের ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি, যদিও সেটিই ছিল এর প্রাথমিক আকাঙ্ক্ষা।
সার্কের নীতিমালা অনুযায়ী সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের সকল দেশের প্রতিনিধিদের সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। ভারত এই বাধ্যবাধকতাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৬ সালে ইসলামাবাদ সম্মেলন বয়কট করে। অন্যদিকে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক থাকার পরেও পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে সার্ককে বাঁচিয়ে তোলার সম্ভাবনাকে সমর্থন জুগিয়ে আসছে।
সম্ভবত নয়াদিল্লিকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ১৯৯০-এর দশকে এমন একটি সময় ছিল যখন পাকিস্তানও ২০১৬ সালের মতো একটি অবস্থান নিতে পারত। কিন্তু পাকিস্তান বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত অষ্টম সার্ক সম্মেলনে উপস্থিত হতে চাননি। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফারুক লেঘারিকে ভুট্টোর পরিবর্তে পাঠানো হয়েছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় পাকিস্তান সার্কের প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সার্ক এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যা দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও বাণিজ্য বাধার মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সুযোগ করে দেয়। এসবের পরেও ভারত যদি ক্রমাগত একগুঁয়েমির পথ বেছে নেয়, তাহলে তাদের এই অবস্থান আরেকবার ভেবে দেখা উচিত। বিশ্ব অর্থনীতি যখন ব্যাপক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং সম্পদের জন্য সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে তখন ঐক্যের মধ্যেই শক্তি লুকিয়ে রয়েছে। ভারত থাক বা না থাক, দক্ষিণ এশিয়াকে এগিয়ে যেতেই হবে।

গত এক দশক ধরে সার্ক বলতে গেলে অচল হয়েই পড়ে আছে। আর এর জন্য পাকিস্তান দায়ী করে আসছে দেশটির সঙ্গে ভারতের সংলাপে জড়াতে রাজি না হওয়ার একগুঁয়েমিকে। ২০১৬ সালে নয়াদিল্লি সিদ্ধান্ত নেয় সেবছর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক সম্মেলনে তারা বয়কট করবে। আরও কয়েকটি দেশ ভারতের সিদ্ধান্তের অনুসরণ করার ফলে এই প্ল্যাটফর্মটি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার এ বিশাল সম্ভাবনা চিরকাল ভারতের ইচ্ছার অধীনে থাকতে পারে না। সম্ভবত এ কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশ একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। এ খবরে বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিশেষত ভারতের পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন এই তিনটি দেশ হয়তো ভারতের অনুপস্থিতিতেই একটি জোট গড়ার কথা ভাবছে।
এই সম্ভাবনা কিছু মানুষের কাছে মনে হয়েছে বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। তবে ইসলামাবাদ এখন অব্দি সার্কের প্রতিই তার দরজা খোলা রেখেছে। পাকিস্তানের মতে তারা এখনও অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিকতায় বিশ্বাস রাখে। কূটনৈতিকভাবে, এখন বল ভারতের কোর্টে। নয়াদিল্লির বোঝা উচিত এই ফোরামকে আবার জাগিয়ে তোলাই দক্ষিণ এশিয়ার অপূরণীয় সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখার উপায়।
এক সময় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংহতির জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্ল্যাটফর্ম ছিল সার্ক। তারপরেও, এটি কখনোই আসিয়ানের সাফল্যের ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি, যদিও সেটিই ছিল এর প্রাথমিক আকাঙ্ক্ষা।
সার্কের নীতিমালা অনুযায়ী সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের সকল দেশের প্রতিনিধিদের সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। ভারত এই বাধ্যবাধকতাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৬ সালে ইসলামাবাদ সম্মেলন বয়কট করে। অন্যদিকে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক থাকার পরেও পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে সার্ককে বাঁচিয়ে তোলার সম্ভাবনাকে সমর্থন জুগিয়ে আসছে।
সম্ভবত নয়াদিল্লিকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ১৯৯০-এর দশকে এমন একটি সময় ছিল যখন পাকিস্তানও ২০১৬ সালের মতো একটি অবস্থান নিতে পারত। কিন্তু পাকিস্তান বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত অষ্টম সার্ক সম্মেলনে উপস্থিত হতে চাননি। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফারুক লেঘারিকে ভুট্টোর পরিবর্তে পাঠানো হয়েছিল। এ থেকে প্রমাণিত হয় পাকিস্তান সার্কের প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সার্ক এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যা দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও বাণিজ্য বাধার মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সুযোগ করে দেয়। এসবের পরেও ভারত যদি ক্রমাগত একগুঁয়েমির পথ বেছে নেয়, তাহলে তাদের এই অবস্থান আরেকবার ভেবে দেখা উচিত। বিশ্ব অর্থনীতি যখন ব্যাপক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং সম্পদের জন্য সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে তখন ঐক্যের মধ্যেই শক্তি লুকিয়ে রয়েছে। ভারত থাক বা না থাক, দক্ষিণ এশিয়াকে এগিয়ে যেতেই হবে।
.png)

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান সংগঠক এবং নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আন্দোলনের উত্তাল সময় পেরিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের পর বর্তমান বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা স্ট্রিমের সঙ্গে।
৮ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের রাত। হালকা হিম পড়ছে আকাশ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জাতীয় বার্ন ইউনিটের ১ নম্বর গেটের বিপরীতের ফুটপাতে পোটলা বিছিয়ে শুয়ে পড়লেন এক বৃদ্ধ। কিন্তু নিরপরাধ ঘুমের স্পর্শ পাওয়ার আগেই উদ্ধত লাঠির দেখা পেলেন তিনি। কয়েকজন তরুণ লাঠি হাতে বৃদ্ধকে শাসাতে লাগলেন সেখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য।
১ দিন আগে
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির বিজয় আসলে প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে এক নৈতিক জবাব। যে প্রাতিষ্ঠানিকতা আমাদের এতদিন বলে এসেছে, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকাই পূন্য ও টাকা থাকাই যোগ্যতা, সেই প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে মামদানির বিজয় যেন এক সাক্ষাৎ চপেটাঘাত।
১ দিন আগে
বহু বছর ধরে সারা বিশ্বের কাছে আমেরিকা মানেই পুঁজিবাদের চূড়ান্ত প্রতীক। এই দুনিয়া চলে ওয়াল স্ট্রিট, সিলিকন ভ্যালির ইশারাতে। ব্যক্তির ইচ্ছাই এখানে শেষ কথা। এখানে ‘সমাজতন্ত্রী’ শব্দটি আজও রাজনৈতিক আক্রমণ বা গালাগাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১ দিন আগে