দেখা থেকে লেখা
স্ট্রিম প্রতিবেদক
দুপুর গড়াতেই নির্বাচনের সকালের সেই ফুরফুরে ভাবটা কর্পূরের মতো উবে গেল। বাতাসে এখন টানটান উত্তেজনা আর চাপা গুঞ্জন। শাহবাগে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল, আসল খেলাটা মূলত শুরু হলো এখন।
এর মধ্যেই কানে এল একটি দুঃসংবাদ, একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্ট্রোক করেছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। খবরটার সত্যাসত্য যাচাই করা দরকার, এই ছুতোয় আমরা মেডিকেল মোড়ের দিকে এগোলাম।
মেডিকেল মোড়ে পৌঁছে দেখলাম, জরুরি বিভাগের সামনে কিছু সাংবাদিকের জটলা। তবে মূল আলোচনার বিষয় ‘ভোট’। একটি হলের ব্যালট বাক্স সরানো নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও পরে জানা গেল, ঘটনাটি নিছকই একদল উত্তেজিত কর্মীর ধস্তাধস্তি। তবুও এই খবর জটলায় নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারগুলোতে কড়াকড়ির কারণে আজ বিপাকে পড়েছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও। যারা চা, সিগারেট বা ঠান্ডা পানি বিক্রি করে দিন পার করেন, তাদের আজ ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেটের বাইরে অলস বসে আছেন কয়েকজন। তাদের চোখেমুখে রাজ্যের হতাশা। কথা বলার জন্য এগিয়ে যেতেই পঞ্চাশোর্ধ চা বিক্রেতা সোলেমান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘পোলাপানগো আনন্দের দিনে আমাগো পেটে লাথি পড়ল। অন্যদিন এই টাইমে হাজার টেকার বেচাকেনা হইয়া যাইত। আইজকা দুই শ টেকারও মুখ দেখলাম না। এই দিয়া আর কি হইব!’
একই চিত্র রিকশাচালকদের। ক্যাম্পাসের ভেতরটা তাদের মূল রোজগারের জায়গা হলেও আজ তারা প্রবেশাধিকার পাননি। পলাশী মোড়ের দিকে দেখলাম তাদের জটলা। মাঝবয়সী রিকশাচালক আফতাব মিয়া হতাশ গলায় বললেন, ‘সকাল থাইকা বইসা আছি, ভার্সিটির ভিতরে একটাও খ্যাপ মারতে পারলাম না। সারাদিনের কামাইটাই মাটি।’
আবার শাহবাগের দিকে ফিরে এলাম। আর ফিরতেই অবাক হলাম। সকালের শাহবাগ আর বিকেলের শাহবাগের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। জায়গাটা এখন আর শুধু ছাত্র-ছাত্রী আর সাংবাদিকদের নেই। পরিচিত সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আনাগোনায় গিজগিজ করছে পুরো এলাকা। খদ্দরের পাঞ্জাবি পরা বিএনপি নেতা, উত্তেজনা নিয়ে ঘুরতে থাকা জামায়াত নেতা, এমনকি এনসিপির কর্মীদেরও জটলা পাকাতে দেখা যাচ্ছে।
জাতীয় জাদুঘরের ফটকে দাঁড়ানো বিএনপির এক নেতাকে ঘিরে ধরেছেন তার অনুসারীরা। তাকে বেশ উত্তেজিত ভঙ্গিতে বলতে শোনা গেল, ‘সকালের পরিবেশটা ভালোই ছিল, কিন্তু দুপুর গড়াতেই খবর পাচ্ছি বিভিন্ন হলে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন একচোখা আচরণ করছে। দেখা যাক, ছাত্ররা যদি শেষ পর্যন্ত ব্যালট বিপ্লব ঘটাতে পারে, তাহলে ভিন্ন কথা।’ তাঁর কথায় বোঝা যাচ্ছিল, ফলাফলের আগেই মাঠ গরম হয়ে গেছে।
বিকেল চারটার ঘণ্টা বাজতেই ভোটগ্রহণ শেষ হলো। কিন্তু কোলাহল থামল না। বরং কে জিতবে, কে হারবে—এই আলোচনা আরও উচ্চকিত হলো। দেয়ালের ওপাশে যখন ব্যালট বাক্স গোছানোর প্রস্তুতি চলছে, বাইরে তখন চলছে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের মহোৎসব।
দুপুর গড়াতেই নির্বাচনের সকালের সেই ফুরফুরে ভাবটা কর্পূরের মতো উবে গেল। বাতাসে এখন টানটান উত্তেজনা আর চাপা গুঞ্জন। শাহবাগে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল, আসল খেলাটা মূলত শুরু হলো এখন।
এর মধ্যেই কানে এল একটি দুঃসংবাদ, একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্ট্রোক করেছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। খবরটার সত্যাসত্য যাচাই করা দরকার, এই ছুতোয় আমরা মেডিকেল মোড়ের দিকে এগোলাম।
মেডিকেল মোড়ে পৌঁছে দেখলাম, জরুরি বিভাগের সামনে কিছু সাংবাদিকের জটলা। তবে মূল আলোচনার বিষয় ‘ভোট’। একটি হলের ব্যালট বাক্স সরানো নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও পরে জানা গেল, ঘটনাটি নিছকই একদল উত্তেজিত কর্মীর ধস্তাধস্তি। তবুও এই খবর জটলায় নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারগুলোতে কড়াকড়ির কারণে আজ বিপাকে পড়েছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও। যারা চা, সিগারেট বা ঠান্ডা পানি বিক্রি করে দিন পার করেন, তাদের আজ ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেটের বাইরে অলস বসে আছেন কয়েকজন। তাদের চোখেমুখে রাজ্যের হতাশা। কথা বলার জন্য এগিয়ে যেতেই পঞ্চাশোর্ধ চা বিক্রেতা সোলেমান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘পোলাপানগো আনন্দের দিনে আমাগো পেটে লাথি পড়ল। অন্যদিন এই টাইমে হাজার টেকার বেচাকেনা হইয়া যাইত। আইজকা দুই শ টেকারও মুখ দেখলাম না। এই দিয়া আর কি হইব!’
একই চিত্র রিকশাচালকদের। ক্যাম্পাসের ভেতরটা তাদের মূল রোজগারের জায়গা হলেও আজ তারা প্রবেশাধিকার পাননি। পলাশী মোড়ের দিকে দেখলাম তাদের জটলা। মাঝবয়সী রিকশাচালক আফতাব মিয়া হতাশ গলায় বললেন, ‘সকাল থাইকা বইসা আছি, ভার্সিটির ভিতরে একটাও খ্যাপ মারতে পারলাম না। সারাদিনের কামাইটাই মাটি।’
আবার শাহবাগের দিকে ফিরে এলাম। আর ফিরতেই অবাক হলাম। সকালের শাহবাগ আর বিকেলের শাহবাগের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। জায়গাটা এখন আর শুধু ছাত্র-ছাত্রী আর সাংবাদিকদের নেই। পরিচিত সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আনাগোনায় গিজগিজ করছে পুরো এলাকা। খদ্দরের পাঞ্জাবি পরা বিএনপি নেতা, উত্তেজনা নিয়ে ঘুরতে থাকা জামায়াত নেতা, এমনকি এনসিপির কর্মীদেরও জটলা পাকাতে দেখা যাচ্ছে।
জাতীয় জাদুঘরের ফটকে দাঁড়ানো বিএনপির এক নেতাকে ঘিরে ধরেছেন তার অনুসারীরা। তাকে বেশ উত্তেজিত ভঙ্গিতে বলতে শোনা গেল, ‘সকালের পরিবেশটা ভালোই ছিল, কিন্তু দুপুর গড়াতেই খবর পাচ্ছি বিভিন্ন হলে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন একচোখা আচরণ করছে। দেখা যাক, ছাত্ররা যদি শেষ পর্যন্ত ব্যালট বিপ্লব ঘটাতে পারে, তাহলে ভিন্ন কথা।’ তাঁর কথায় বোঝা যাচ্ছিল, ফলাফলের আগেই মাঠ গরম হয়ে গেছে।
বিকেল চারটার ঘণ্টা বাজতেই ভোটগ্রহণ শেষ হলো। কিন্তু কোলাহল থামল না। বরং কে জিতবে, কে হারবে—এই আলোচনা আরও উচ্চকিত হলো। দেয়ালের ওপাশে যখন ব্যালট বাক্স গোছানোর প্রস্তুতি চলছে, বাইরে তখন চলছে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের মহোৎসব।
আইনজীবী মানজুর আল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, সবকিছুর একটা সময় থাকে। প্রার্থী হয়, ভোটার তালিকা হয়, প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আপিলের একটা সুযোগ থাকে। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর নির্বাচনের অল্প কদিন আগে হঠাৎ করে অমর্ত্য জানতে পারেন যে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনতুন সরকারের মন্ত্রীদের জন্য কোনো গাড়ি কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন থেকে প্রস্তাব এসেছিল যে ফিল্ড লেভেলে নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু গাড়ির দরকার। আমরা সেটার অনুমোদন দিয়েছি।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিউমার্কেট এলাকায় ভিড় করেছে মানুষ। তাঁরা ভিন্ন দলের ডেকে আনা লোক বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রদল ও শিবির।
৩ ঘণ্টা আগে