leadT1ad

সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও মানি লন্ডারিং মামলা অনুমোদন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ছবি: বাসস

বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে পাঁচটি পৃথক মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জনতা ব্যাংক পিএলসির লোকাল অফিস থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন জানান, জনতা ব্যাংকের ঋণের নামে আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সালমান এফ রহমান, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, পরিচালক ইকবাল আহমেদসহ মোট ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদক জানায়, জনতা ব্যাংক পিএলসির লোকাল অফিস থেকে নবগঠিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান—পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড—এর অনুকূলে এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা দেখিয়ে প্রায় ২১ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় (২০২১-২২ সালের ডলার মূল্য ধরে)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালকরা পূর্বে কোনো ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও, পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা আমদানি–রপ্তানির কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের টাকা নিজেদের মধ্যে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক জানিয়েছে, এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৭এ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(৩) ও ৪(৪) ধারায় মামলা রুজুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান, এটি কি সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ৩৬ হাজার কোটি টাকার শেয়ারবাজার ও ব্যাংকিং খাতের অভিযোগের অংশ কি না। জবাবে দুদক কর্মকর্তারা জানান, ‘এটি কেবল ব্যাংকিং খাত থেকে আত্মসাৎ করা অর্থের একটি অংশ (জনতা ব্যংক)। এটির একটি বড় অংশ এখনো বাকি রয়েছে।’

দুদক সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আরও কিছু অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, যেগুলোর তদন্ত শেষ হলে ধাপে ধাপে নতুন মামলা হতে পারে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত