leadT1ad

দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে হলফনামার মিথ্যা তথ্য যাচাই করবে না, ইসি পাঠালেই ব্যবস্থা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লোগো। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই নিয়ে প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রার্থীরা যদি হলফনামায় মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন, তবুও দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে তা যাচাই করবে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) বা সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তবেই ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ বেক্সিমকো গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচটি মামলার অনুমোদন নিয়ে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুদক প্রেস ব্রিফিং করে। সেখানে আলোচনার বড় অংশজুড়ে ছিল আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুর্নীতিবাজ প্রার্থীদের বিষয়ে দুদকের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার কোনো উদ্যোগ দুদক নিয়েছে কি না, বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জবাবে দুদকের পক্ষ থেকে মো. আক্তার হোসেন (মহাপরিচালক, প্রতিরোধ) বলেন, যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ থাকুক না কেন, যদি তা বস্তুনিষ্ঠ ও সুনির্দিষ্ট হয় এবং দুদকের তফসিলভুক্ত হয়, তাহলে যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে কমিশনে উপস্থাপন করা হয়। কে নির্বাচনে আসবেন বা আসবেন না, তার ওপর ভিত্তি করে দুদক সিদ্ধান্ত নেয় না।

সাংবাদিকরা এরপর জানতে চান, প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে দুদক কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, বিশেষ করে অতীতে যেমন অনেক প্রার্থী সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন।

উত্তরে আক্তার হোসেন জানান, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে যদি এই সংক্রান্ত তথ্যাদি আমাদের কাছে প্রেরণ করা হয়, অবশ্যই দুর্নীতি দমন কমিশন তা বিবেচনা করবে।’

এ পর্যায়ে সাংবাদিকরা উল্লেখ করেন, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া অনেক প্রার্থী দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী ছিলেন, আর সেই সময়েই ‘হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।’ তাই এবার নির্বাচনের আগেই প্রার্থীদের তথ্য যাচাইয়ে দুদক কোনো উদ্যোগ নেবে কি না, তা জানতে চান তাঁরা।

জবাবে দুদকের মুখপাত্র আক্তার হোসেন বলেন, ‘হলফনামা প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেন, দুদকে নয়। এটি গোপনীয় প্রতিবেদন। নির্বাচন কমিশন যদি প্রাথমিক পরীক্ষায় কোনো ভুল-ত্রুটি দেখতে পায় বা প্রয়োজন মনে করে, তাহলেই তা দুদকে পাঠাবে এবং আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

সাংবাদিকরা তখন উল্লেখ করেন, প্রার্থীদের হলফনামা গোপন নয়, বরং তা ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ্য দলিল হিসেবে থাকে। তাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বা প্রকাশ্য তথ্যের ভিত্তিতে দুদক কি স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেবে না?

জবাবে দুদক জানায়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন এসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখে। গণমাধ্যমে যদি এ ধরনের তথ্য আসে, যথাসময়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত