leadT1ad

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস ১১ দেশ ও সংস্থার

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৪১
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৪৬
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস ১১ দেশ ও সংস্থার। সংগৃহীত ছবি

আট বছর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন ও সহিংসতায় রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত হতে হয়। এখনো বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত। আবার নতুন করেও অনেকেই আসছেন।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এই জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ১০ দেশ ও একটি সংস্থা। পাশাপাশি বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে তারা।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত ১১টি কূটনৈতিক মিশন এক যৌথ বিবৃতিতে এই আশ্বাস দেয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ও সংস্থাটি হলো—অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ও সংগ্রামের প্রশংসা করা হয়। আর দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। আট বছর পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের পাশে আছে, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গারা নিজেদের ঘরে ফিরতে চায়। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এখনো অনুকূল নয়, ফলে তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।

কূটনৈতিক মিশনগুলো মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশের আহ্বান জানায়। তারা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি করেছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দায়ীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক মহলকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও মানবিক সহায়তার বিষয়টি সামনে রাখতে হবে। আসন্ন সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর হাই-লেভেল কনফারেন্সেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন কূটনীতিকেরা। তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের সক্ষম করে তোলা এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতিতে সহায়তা জরুরি।

বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব ও অর্থবহ অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যাতে তারা বাংলাদেশে অবস্থানকালে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও উদ্দেশ্যমূলক জীবনযাপন করতে পারে।

Ad 300x250

যে ছয় মাস আছি, প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইডের ব্যবস্থা করে যাব: আইন উপদেষ্টা

মুসলমানি-বাংলা থেকে বাংলাদেশি: ভাষার রাজনৈতিক বিভাজন

রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরতে প্রস্তুত: খলিলুর রহমান

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের পাটশিল্পে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা

‘রোহিঙ্গা সংকট স্থবির হয়ে আছে, সমাধানে আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা জরুরি’

সম্পর্কিত