স্ট্রিম প্রতিবেদক
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কয়েকজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তাঁদের গ্রেপ্তার না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে ছাত্রসংগঠনটির পক্ষ থেকে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের সই করা এক বিবৃতির মাধ্যমে এমন আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও গ্রেপ্তার না করা ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক গুরুতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার জাতি করেছে, এই দায়মুক্তির সংস্কৃতি সেটিকে বিপন্ন করছে।‘
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গৌরবময় প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই জাতির গৌরবময় প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসার ও সৈনিকদের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ছিল ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। বিগত স্বৈরাচারী আমলে কিছু বিচ্যুত কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। র্যাব, ডিজিফাই এবং গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রচ্ছায়ায় গুম, খুন ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যা কোনোভাবেই সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই অপরাধীদের বিচার না হলে সেনাবাহিনীর মর্যাদা কলঙ্কমুক্ত হবে না এবং রাষ্ট্রীয় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আইনের শাসনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানই নয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার অবমাননা নয় বরং সেটি পেশাদারত্ব ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ববোধের প্রকাশ বলে আমরা মনে করি। আমরা সেনা নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাই, এই বিচারের প্রক্রিয়ায় সরকার ও ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করুন, যাতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হয় এবং সেনাবাহিনী গণমানুষের প্রকৃত রক্ষাকবচ হিসেবে তার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে।’
বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি যে বিপথগামী সেনাবাহিনীর অফিসার যারা গুম-খুনের সঙ্গে বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেককেই সেফ এক্সিট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে কাজ করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের, শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করার জায়গা থেকে এই বিবৃতি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ইউনিফর্মধারী সন্ত্রাসীদের বিচারটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা যে শক্তিশালী হয়ে উঠবে তার একটু বার্তা পাব এবং সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মে যে কলঙ্ক লেপেছে, সেটা থেকে সেনাবাহিনী একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।’
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দুই মামলায় ৩০ জন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই ৩০ আসামির মধ্যে রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক। তারা হলো—লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল হামিদুল হক।
দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকীকে। এরমধ্যে টিএফআই সেলে নির্যাতনের মামলার আসামি ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের মামলায় আসামি ১৩ জন।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কয়েকজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তাঁদের গ্রেপ্তার না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে ছাত্রসংগঠনটির পক্ষ থেকে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের সই করা এক বিবৃতির মাধ্যমে এমন আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও গ্রেপ্তার না করা ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক গুরুতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার জাতি করেছে, এই দায়মুক্তির সংস্কৃতি সেটিকে বিপন্ন করছে।‘
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গৌরবময় প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই জাতির গৌরবময় প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসার ও সৈনিকদের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ছিল ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। বিগত স্বৈরাচারী আমলে কিছু বিচ্যুত কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। র্যাব, ডিজিফাই এবং গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রচ্ছায়ায় গুম, খুন ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যা কোনোভাবেই সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই অপরাধীদের বিচার না হলে সেনাবাহিনীর মর্যাদা কলঙ্কমুক্ত হবে না এবং রাষ্ট্রীয় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আইনের শাসনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানই নয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার অবমাননা নয় বরং সেটি পেশাদারত্ব ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ববোধের প্রকাশ বলে আমরা মনে করি। আমরা সেনা নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাই, এই বিচারের প্রক্রিয়ায় সরকার ও ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করুন, যাতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হয় এবং সেনাবাহিনী গণমানুষের প্রকৃত রক্ষাকবচ হিসেবে তার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে।’
বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি যে বিপথগামী সেনাবাহিনীর অফিসার যারা গুম-খুনের সঙ্গে বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেককেই সেফ এক্সিট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে কাজ করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের, শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করার জায়গা থেকে এই বিবৃতি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ইউনিফর্মধারী সন্ত্রাসীদের বিচারটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা যে শক্তিশালী হয়ে উঠবে তার একটু বার্তা পাব এবং সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মে যে কলঙ্ক লেপেছে, সেটা থেকে সেনাবাহিনী একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।’
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দুই মামলায় ৩০ জন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই ৩০ আসামির মধ্যে রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক। তারা হলো—লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল হামিদুল হক।
দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকীকে। এরমধ্যে টিএফআই সেলে নির্যাতনের মামলার আসামি ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের মামলায় আসামি ১৩ জন।
আগামীকাল রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির বাসভবন, মাজার গেটসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
১ ঘণ্টা আগেশহীদ মিনার থেকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে বাদ জোহর তাঁর নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফনের কথা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কমিশনের সুপারিশকে কেবল নৈতিক শক্তি নয়, আইনি প্রভাবসম্পন্ন করতেই হবে। সালিশ বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যও আইনগত কাঠামো থাকা জরুরি।
৪ ঘণ্টা আগেগত ৫৫ বছর আমরা যে দুঃশাসন দেখলাম, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখলাম, ব্যাংক থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়া, এস আলম গ্রুপের কাজের লোককেও শেয়ারহোল্ডার বানিয়ে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ অসুস্থ, আত্মধ্বংসী রাষ্ট্রকাঠামো থেকে আমাদের সেফ এক্সিট প্রয়োজন।
৬ ঘণ্টা আগে