leadT1ad

মালয়েশিয়ার স্থানীয় শ্রমিকদের মতো সুবিধা পাবেন বাংলাদেশিরা: প্রেস সচিব

‘মালয়েশিয়া সফর খুবই ফলপ্রসূ ছিল। আমরা বলব, এটি একটি ল্যান্ডমার্ক ট্যুর ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সুসম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে।’

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২১: ১৯
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি

মালয়েশিয়ার স্থানীয় শ্রমিকেরা যেসব সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পান, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এখন থেকে একই সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে বাংলা ভাষায় অভিযোগ করতে পারার সুবিধাপ্রাপ্তির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) তিন দিনের মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফেরেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘মালয়েশিয়া সফর খুবই ফলপ্রসূ ছিল। আমরা বলব, এটি একটি ল্যান্ডমার্ক ট্যুর ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সুসম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে শ্রমিক কল্যাণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যাঁরা অবৈধ বা কাগজপত্রবিহীন শ্রমিক আছেন, তাঁদের বৈধ করার বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা বৈঠকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ায় নিরাপত্তারক্ষী ও কেয়ার গিভার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বিষয়ে সামনে অগ্রগতি দেখব। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিতে “গ্র্যাজুয়েট প্লাস” প্রোগ্রামে কাজ করবে দুই দেশ।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুত মালয়েশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করব। মালয়েশিয়া থেকে প্রতিবছর আমরা তিন বিলিয়ন ডলারের খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও ত্বরান্বিত করতে এফটিএ নিয়ে খুব দ্রুত আলোচনা করব। ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে এফটিএ নিয়ে জাপান ও সিঙ্গাপুরের আলোচনা হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা সরকারের নজরদারি সরঞ্জাম ক্রয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় দেশে নজরদারির সরঞ্জাম কেনার বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের নেতৃত্বে এ তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে কীভাবে, কোথা থেকে ও কত দাম দিয়ে এসব যন্ত্র কেনা হয়েছে এবং কীভাবে এর ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, বিগত সরকারের সময়ে কেউ বলছেন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের, আবার কেউ বলছেন ২০০ মিলিয়ন ডলারে নজরদারি যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। পুরো রিপোর্ট পড়ে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, গত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার হরণের জন্য নজরদারির যন্ত্রপাতি ও স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। এই অবৈধ নজরদারির মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যূনতম বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে প্রদত্ত গোপনীয়তার অধিকারও তারা খর্ব করেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে সংবাদ সংস্থা বাসস জানিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), পুলিশ ও র‌্যাব যৌথভাবে ১ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা মূল্যের নজরদারি সরঞ্জাম ক্রয় করেছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত