সৈকত আমীন
বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে 'সেফ এক্সিট' শব্দ দুটি বারবার উঠে আসছে। ২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এত দ্রুত আবার এই শব্দগুলো আলোচনায় আসবে তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি। সেফ এক্সিট কথাটা আমাদের এখানে বেশি করে প্রচলিত হয়েছিল শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সদস্যদের নিরাপদে দেশত্যাগের ইস্যুতে।
চলতি অক্টোবরে এই শব্দটি ধারণ করেছে নতুন রাজনৈতিক রূপ। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ওপর অভিযোগ উঠেছে যে তাঁরা দায়সারা দায়িত্ব পালন করে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিরাপদে সরে যাওয়ার বা সেফ এক্সিটের পরিকল্পনা করছেন।
অভিযোগটি সরাসরি এসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাদের কাছে থেকে। তাঁদের মতে, কিছু উপদেষ্টা গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির পরিবর্তে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে 'লিয়াজোঁ' করে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
এই অভিযোগ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া সরকার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে না।
সাক্ষাৎকার থেকে বিতর্কে: নাহিদ ইসলামের বক্তব্য
৪ অক্টোবর একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এক সাক্ষাৎকারর দেন। সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে অথবা গণ–অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিট্রে (প্রতারণা) করেছে। যখন সময় আসবে, তখন আমরা এদের নামও উন্মুক্ত করব।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে। এটা আমাদের অনেক পোহাতে হচ্ছে এবং পোহাতে হবে। কিন্তু তারা যদি এটা বিশ্বাস করত যে তাদের নিয়োগকর্তা ছিল গণ–অভ্যুত্থানের শক্তি, রাজপথে নেমে জীবন দেওয়া ও আহত সাধারণ মানুষজন এবং তারা যদি তাদের ওপর ভরসা করত, তাহলে উপদেষ্টাদের এই বিচ্যুতি হতো না।’
নাহিদের এই বক্তব্য কেন্দ্র করে রাজনীতির মহলে নতুন করে তৈরি হয় সেফ এক্সিট বিতর্ক।
উত্তরাঞ্চল থেকে আওয়াজ: সারজিস আলমের মন্তব্য
৭ অক্টোবর সেই বিতর্কের রেশ ধরেই নওগাঁয় এনসিপির জেলা ও উপজেলার সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম গণমাধমকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা কোনোমতে দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেফ এক্সিট বা নিরাপদে সরে যেতে চাচ্ছেন।’
সারজিস আলম আরও বলেন যে কিছু উপদেষ্টার মধ্যে এমন আচরণ দেখা যাচ্ছে যে তারা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটা সরকারের এমন দায়সারা দায়িত্ব পালন গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সারজিস আরও বলেন, ‘তারা যদি এতকিছু এত বড় ত্যাগ এগুলোকে ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র ওইটুকু চিন্তা করে, সবাই না—গুটি কয়েক, তারা যদি ওইটুকু চিন্তা করে এবং ওইভাবে নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে, আগামীতে কারা ক্ষমতায় আসবে ওইটাকে চিন্তা করে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, আমরা মনে করে দেশের মানুষের সামনে তারা মুখ দেখাইতে পারবে না।’
সারজিস এক রকম হুশিয়ারি দিয়ে বলেন যে—পৃথিবীতে সেফ এক্সিট নেওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হচ্ছে মৃত্যু, ‘আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে’।
জবাব তবে সরকারি নয়
এনসিপির নেতাদের তীব্র অভিযোগের মুখে অবশেষে সেফ এক্সিট ইস্যুতে মুখ খোলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
৮ অক্টোবর দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন যে উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) নিতে চান, এ বিষয়গুলো নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে। উপদেষ্টা জানান যে অভিযোগ যদি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় তাহলে সেটি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে। তাঁর মতে, এর আগে এটি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নাহিদ ইসলামের বক্তব্য তাঁকেই খণ্ডন করতে হবে, আমার খণ্ডানোর বিষয় নয়। বক্তব্যটা স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো। এটা হয়তো তাঁদের ধারণা, তাঁরা মনে করে এটি বক্তব্য হিসেবে বলেছে। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’
আসলেই কি উপদেষ্টারা এক্সিট খুঁজছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি একদম কোনো এক্সিট খুঁজছি না। দেশেই ছিলাম, এর আগেও বহু ঝড়ঝঞ্ঝা এসেছে। সেসব ঝড়ঝঞ্ঝা প্রতিহত করে দেশেই থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটিয়ে যাব।’
রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন না পরিণতি?
যে অভিযোগগুলো উঠে এসেছে, তা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি একটি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলমের বক্তব্যে স্পষ্ট, তারা মনে করছেন—উপদেষ্টাদের কেউ কেউ গণ-আন্দোলনের প্রকৃত চেতনা ও দায়িত্বকে পাশ কাটিয়ে, ক্ষমতাসীন হতে পারে এমন দলের সাথে সমঝোতা করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থান নৈতিক দিক থেকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, তেমনি রাজনৈতিকভাবেও তা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য যে তিনি ‘কোনো এক্সিট খুঁজছেন না’, তা কিছুটা স্বস্তির হলেও, পুরো সরকার বা উপদেষ্টামণ্ডলীর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট নয়। মূল সমস্যা হলো—যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি সরকার পতিত হয়েছে, সেই পরিবর্তনের পরেও যদি নেতৃত্বের ভেতরে ‘সেফ এক্সিট’ চিন্তা মাথাচাড়া দেয়, তাহলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে 'সেফ এক্সিট' শব্দ দুটি বারবার উঠে আসছে। ২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এত দ্রুত আবার এই শব্দগুলো আলোচনায় আসবে তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি। সেফ এক্সিট কথাটা আমাদের এখানে বেশি করে প্রচলিত হয়েছিল শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সদস্যদের নিরাপদে দেশত্যাগের ইস্যুতে।
চলতি অক্টোবরে এই শব্দটি ধারণ করেছে নতুন রাজনৈতিক রূপ। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ওপর অভিযোগ উঠেছে যে তাঁরা দায়সারা দায়িত্ব পালন করে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিরাপদে সরে যাওয়ার বা সেফ এক্সিটের পরিকল্পনা করছেন।
অভিযোগটি সরাসরি এসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাদের কাছে থেকে। তাঁদের মতে, কিছু উপদেষ্টা গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির পরিবর্তে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে 'লিয়াজোঁ' করে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
এই অভিযোগ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া সরকার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে না।
সাক্ষাৎকার থেকে বিতর্কে: নাহিদ ইসলামের বক্তব্য
৪ অক্টোবর একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এক সাক্ষাৎকারর দেন। সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে অথবা গণ–অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিট্রে (প্রতারণা) করেছে। যখন সময় আসবে, তখন আমরা এদের নামও উন্মুক্ত করব।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে। এটা আমাদের অনেক পোহাতে হচ্ছে এবং পোহাতে হবে। কিন্তু তারা যদি এটা বিশ্বাস করত যে তাদের নিয়োগকর্তা ছিল গণ–অভ্যুত্থানের শক্তি, রাজপথে নেমে জীবন দেওয়া ও আহত সাধারণ মানুষজন এবং তারা যদি তাদের ওপর ভরসা করত, তাহলে উপদেষ্টাদের এই বিচ্যুতি হতো না।’
নাহিদের এই বক্তব্য কেন্দ্র করে রাজনীতির মহলে নতুন করে তৈরি হয় সেফ এক্সিট বিতর্ক।
উত্তরাঞ্চল থেকে আওয়াজ: সারজিস আলমের মন্তব্য
৭ অক্টোবর সেই বিতর্কের রেশ ধরেই নওগাঁয় এনসিপির জেলা ও উপজেলার সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম গণমাধমকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা কোনোমতে দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেফ এক্সিট বা নিরাপদে সরে যেতে চাচ্ছেন।’
সারজিস আলম আরও বলেন যে কিছু উপদেষ্টার মধ্যে এমন আচরণ দেখা যাচ্ছে যে তারা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটা সরকারের এমন দায়সারা দায়িত্ব পালন গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সারজিস আরও বলেন, ‘তারা যদি এতকিছু এত বড় ত্যাগ এগুলোকে ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র ওইটুকু চিন্তা করে, সবাই না—গুটি কয়েক, তারা যদি ওইটুকু চিন্তা করে এবং ওইভাবে নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে, আগামীতে কারা ক্ষমতায় আসবে ওইটাকে চিন্তা করে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, আমরা মনে করে দেশের মানুষের সামনে তারা মুখ দেখাইতে পারবে না।’
সারজিস এক রকম হুশিয়ারি দিয়ে বলেন যে—পৃথিবীতে সেফ এক্সিট নেওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হচ্ছে মৃত্যু, ‘আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে’।
জবাব তবে সরকারি নয়
এনসিপির নেতাদের তীব্র অভিযোগের মুখে অবশেষে সেফ এক্সিট ইস্যুতে মুখ খোলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
৮ অক্টোবর দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন যে উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) নিতে চান, এ বিষয়গুলো নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে। উপদেষ্টা জানান যে অভিযোগ যদি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় তাহলে সেটি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে। তাঁর মতে, এর আগে এটি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নাহিদ ইসলামের বক্তব্য তাঁকেই খণ্ডন করতে হবে, আমার খণ্ডানোর বিষয় নয়। বক্তব্যটা স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো। এটা হয়তো তাঁদের ধারণা, তাঁরা মনে করে এটি বক্তব্য হিসেবে বলেছে। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’
আসলেই কি উপদেষ্টারা এক্সিট খুঁজছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি একদম কোনো এক্সিট খুঁজছি না। দেশেই ছিলাম, এর আগেও বহু ঝড়ঝঞ্ঝা এসেছে। সেসব ঝড়ঝঞ্ঝা প্রতিহত করে দেশেই থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটিয়ে যাব।’
রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন না পরিণতি?
যে অভিযোগগুলো উঠে এসেছে, তা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি একটি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলমের বক্তব্যে স্পষ্ট, তারা মনে করছেন—উপদেষ্টাদের কেউ কেউ গণ-আন্দোলনের প্রকৃত চেতনা ও দায়িত্বকে পাশ কাটিয়ে, ক্ষমতাসীন হতে পারে এমন দলের সাথে সমঝোতা করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থান নৈতিক দিক থেকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, তেমনি রাজনৈতিকভাবেও তা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য যে তিনি ‘কোনো এক্সিট খুঁজছেন না’, তা কিছুটা স্বস্তির হলেও, পুরো সরকার বা উপদেষ্টামণ্ডলীর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট নয়। মূল সমস্যা হলো—যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি সরকার পতিত হয়েছে, সেই পরিবর্তনের পরেও যদি নেতৃত্বের ভেতরে ‘সেফ এক্সিট’ চিন্তা মাথাচাড়া দেয়, তাহলে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নে বলে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেযাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের সন্দেহ পাশের দোকান ভাড়া নেওয়া নিখোঁজ তিন ব্যক্তিকে ঘিরে। তদন্তের স্বার্থে নাম-পরিচয় এখন জানানো যাচ্ছে না।
৪ ঘণ্টা আগেতিন দিনের শুভেচ্ছা সফরে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী জাহাজ ইউএসএস ফিৎসজেরাল্ড এসেছে বাংলাদেশে।
৪ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সরকারবিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৫ ঘণ্টা আগে