leadT1ad

নিজের সময়ের ডাকসুর ব্যর্থতার দায় ছাত্রলীগকে দিলেন নুরুল হক নুর

মো. ইসতিয়াকঢাকা
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৫৪
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ২১: ১৮
নুরুল হক নুর। সংগৃহীত ছবি

নির্বাচিত হয়েও ডাকসুকে ‘কার্যকর’ করতে পারেননি। আর এর দায় তৎকালীন ছাত্রলীগের। এই মন্তব্য করেছেন ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে জয় লাভ করা নুরুল হক নুর।

প্রায় তিন দশকের আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিতর্কের পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ছয় বছর ছয় মাস পর আবার ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের আগে আলোচনায় এসেছে আগের কমিটির কার্যক্রম। আদতে তারা কতটা কর্যকর ছিল, প্রশ্ন অনেকের।

২০১৯ সালে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের নানা সমস্যার ইতি ঘটবে বলে আশা করেছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নির্বাচিত কমিটি শিক্ষার্থীদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি ডাকসু!

কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক ও সদস্যরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কাজ করলেও মৌলিক কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি। সংঘাত, আলোচনা-সমালোচনা নিয়েই সময় কেটেছে ডাকসুর। শিক্ষার্থীরা বলছেন, নির্বাচনের পূর্বে দলগুলোর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসন, গণরুম-গেস্টরুম প্রথা উচ্ছেদ, অছাত্র-বহিরাগত বিতাড়ন, সান্ধ্যকালীন বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, পরিবহন সমস্যার সমাধান, ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল, ক্যাম্পাসে বাইরের যান চলাচল বন্ধসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিশ্রুতির কোনোটিই বাস্তবায়ন করতে পারেননি ডাকসু নেতারা।

নুরুল হক আরও জানান, একাধিকবার জিএস-এজিএসকে গণরুম-গেস্টরুম বন্ধের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারা উদ্যোগ নেননি। উপাচার্যও ছাত্রলীগের সুরেই কথা বলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভিপি-জিএসের মধ্যে দূরত্ব, ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং ছাত্রলীগের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার প্রতি আকর্ষণ, সমন্বয়হীনতা প্রভৃতি কারণে ডাকসুর আগের কমিটি তার কার্যক্রম সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারেনি। তবে কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ না থাকায় ডাকসুর নিয়মতান্ত্রিকতার সঙ্গে সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি তখন। ফলে ভালোভাবে কাজ করতে পারেনি প্রতিনিধিরা।

ছাত্রলীগের অসহযোগিতাকে দায়ী করলেন ভিপি

২০১৯-এর ডাকসু নির্বাচনের পরপরই কিছুটা সমাঝোতায় কাজ শুরু করলেও ক্রমেই দূরত্ব বাড়তে থাকে ভিপি-জিএসের। বহিরাগত উচ্ছেদ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় গভীরভাবে। কমিটির বাকি সময়ে আর সে দূরত্ব ঘোচেনি। তবে এমন পরিস্থিতির জন্য ছাত্রলীগের অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, তখন ছাত্রলীগ মুখে মুখে সহযোগিতার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রয়োগ দেখা যায়নি তাদের পক্ষ থেকে। কোনো কাজ করার উদ্যোগ নিলেও সেখানে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বাধা এসেছিল।

নুরুল হক আরও জানান, একাধিকবার জিএস-এজিএসকে গণরুম-গেস্টরুম বন্ধের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারা উদ্যোগ নেননি। উপাচার্যও ছাত্রলীগের সুরেই কথা বলেন।

বড় বাধা ছিল ছাত্রলীগ-ছাত্র পরিষদ দ্বন্দ্ব

ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ২৩ প্রতিনিধি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ প্রতিনিধির মধ্যে দ্বন্দ্ব ডাকসুর কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিদওয়ান কবির স্ট্রিমকে বলেন, এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের ২৩ জন ডাকসুর ব্যানারে একটি কর্মসূচি পালন করলে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক সেখানে উপস্থিত থাকেন না। আবার ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক কোনো কর্মসূচি নিলে ছাত্রলীগ এতে থাকত না; বরং বাধা প্রদান করেছে। নুরুল হক নুর এ প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্রলীগ তাদের মতো করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে ডাকসুর নামে। দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গেও ডাকসুর কোনো যোগাযোগ বা আলাপ-আলোচনা করা যেত না তাদের জন্য।

বরাদ্দের টাকা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন
সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর স্ট্রিমকে জানান, ‘তখন ডাকসুর জন্য বরাদ্দ ছিল এক কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এই টাকা বিভিন্ন সম্পাদক ও সদস্যরা নানা অনুষ্ঠান, প্রকাশনা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করেছিল ছাত্রলীগ। কিন্তু ভিপি-জিএসের নামে কোনো বাজেট বরাদ্দ ছিল না; বরং বিভিন্ন সম্পাদকের নামে বাজেট দেওয়া হতো। এমনকি আমার নামে যে ১০ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছিল, সেটি আসলে আমি খরচই করিনি। বরং আমি নিজ থেকে অফিসের খরচ, ট্রান্সপোর্ট বিলসহ যুক্তিসঙ্গত মনে হয়নি বলে সেই অর্থ ব্যবহার করিনি। বরং শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য আমি নিজেই প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো অর্থ সংগ্রহ করে সাহায্য করেছিলাম। কোভিডের সময় শিক্ষার্থীরা ভীষণ দুর্দশায় পড়েছিল। আমি নিজে তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেছি, বাইরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছি, এমনকি অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও পারিবারিক সমস্যায় যতটুকু পেরেছি পাশে থেকেছি।’

তৎকালীন ডাকসুর এজিএস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ওই সময়ে (২০২০ সালে) গণমাধ্যমে বলেন, ‘ভিপি আসলে কোনো বরাদ্দ নিতে চাননি। ডাকসুর প্রধান নির্বাহী হিসেবে তার তো বরাদ্দ নেওয়ার সুযোগ ছিলো। কিন্তু তিনি ছাত্রদের সার্বিক কল্যাণ না চেয়ে কারও সাইকেলের জন্য অথবা শিক্ষা সফরের জন্য টাকা চেয়েছেন। তিনি আসলে ছাত্র রাজনীতি করেননি। তিনি এখান থেকে জাতীয় রাজনীতির প্রতিষ্ঠা চেয়েছেন। দূতাবাসকেন্দ্রিক রাজনীতি করেছেন।’

‘২০২১ মোদি বিরোধী আন্দোলন ও ২৪ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে যারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে—হাসিব, নাহিদদের মতো নেতারা। তারা আসলে ডাকসুর মাধ্যমেই গড়ে উঠেছিল।’নুরুল হক নুর, সাবেক ডাকসু ভিপি

এই প্রসঙ্গে নুরুল হক এই অভিযোগগুল অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমেই বলি, ডাকসুতে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ভিপি হচ্ছেন ডাকসুর প্রধান নির্বাহী। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা প্রায়ই আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিতেন। বিশেষ করে বাজেট ব্যয়ের ক্ষেত্রে আমার কোনো মতামতই নেওয়া হতো না। তবুও আমি ভেবেছিলাম, অন্তত শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কাজ যদি হয়, সেটাই বড় বিষয়। তাই যেটুকু পেরেছি, সেই কাজগুলো করেছি।’

অর্জন কী
তাঁর আমলে ডাকসুর বড় অর্জন কী জানতে চাইলে নুর বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগে উন্নয়ন ফিসহ নানা ফির নামে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হতো, সেগুলো আমরা কমিয়েছি। মেয়েদের আবাসিক হলে প্রবেশের সময় রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। লাইব্রেরিতে পড়ার সময়ও রাত ১০টা পর্যন্ত করা হয়েছে। হলে ও লাইব্রেরিতে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশের উন্নয়ন ঘটেছে৷ এখন সব ছাত্র সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারছে৷’

এ ছাড়াও সাবেক এই ভিপি বলেন ‘আমার দায়িত্বের জায়গায় আমি সব সময় চেষ্টা করেছি যেন কোনো ত্রুটি না থাকে। দায়িত্ব পালন মানেই শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা। তখনকার সময়ে হলে গেস্টরুম–গণরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন চলত। যারা রাজনৈতিক প্রোগ্রামে যেত না, তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নিপীড়ন করা হতো। আমি চেষ্টা করেছি সেই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে, তাদের ভয়মুক্ত পরিবেশ দিতে। আমার কাছে ভিপি পদ মানেই ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য এসব দূর করে একটা শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরি করা।’

সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, ‘এক বছরের কার্যকালে আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ঐতিহ্যটাকে ধরে রাখা। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা এরশাদবিরোধী আন্দোলন— প্রতিটি আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমি সেই চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। এই কারণেই পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসে। ২০২১ মোদি বিরোধী আন্দোলন ও ২৪ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে যারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে—হাসিব, নাহিদদের মতো নেতারা। তারা আসলে ডাকসুর মাধ্যমেই গড়ে উঠেছিল।’

নুরের ব্যর্থতা
গণরুম ও গেস্টরুম নির্যাতন বন্ধে ব্যর্থতার প্রসঙ্গে কথা বলেন ভিপি নুর। ‘অনেকে বলে থাকেন, আমি ভিপি থাকাকালে গেস্টরুম প্রথা পুরোপুরি দূর করতে পারিনি—এটা নাকি আমার ব্যর্থতা’ বলেন নুর।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘এটা শুধু আমার একার ব্যর্থতা নয়, ডাকসুর চরম ব্যর্থতা। তবে এর দায় আমাকে দেওয়া যাবে না। কারণ, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারের ছাত্র সংগঠন এই গেস্টরুম নির্যাতন ও গণরুম কালচার অব্যাহত রাখে। হলের প্রশাসন দায়িত্বে থাকলেও হল চালায় ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন। আওয়ামী লীগ তিন তিনবার ক্ষমতায়। ফলে ছাত্রলীগের আধিপত্য চলছে। শিক্ষার্থীরা চাইলেও বন্ধ করতে পারেন না। আমাদের পক্ষেও কঠিন। তবুও যেখানে নির্যাতন হতো, আমি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতাম, বিভিন্নভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করতাম।’

নুরুল হক নুর আরও যোগ করেন যে ডাকসু নির্বাচনের কারণে হলে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের দমন-পীড়ন কিছুটা হলেও কমে এসেছিল। তারা অন্তত ভাবতে শুরু করেছিল—শিক্ষার্থীদের ভোট চাইতে হবে। ফলে অনেক হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। গেস্টরুমের নামে অমানবিক নির্যাতনও আংশিকভাবে বন্ধ হয়েছিল।

ভিপি-জিএস ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতেন

ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হলে থাকতেন না। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে আলাদা বাসা নিয়ে থাকতেন। ফলে শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় তাঁদের এগিয়ে আসাও সম্ভব হতো না–সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই অভিযোগ ছিল তখন।

এই প্রসঙ্গে নুর জানান, ‘আরেকটি সমালোচনা ছিল—ভিপি হয়ে আমি হলে থাকতাম না। এর জবাবে বলব, ভিপি হওয়ার পরপরই ছাত্রলীগ আমার ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার মতো নারকীয় তাণ্ডব চলেছিল। এমন পরিস্থিতিতে হলে থাকা আমার জন্য নিরাপদ ছিল না। তাই আমি মাঝেমধ্যে থাকতাম, বেশিরভাগ সময় থাকতাম না।’

সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছিলেন যিনি
আগের কমিটির সময়কালে এক বছরে সর্বোাচ্চ বরাদ্দ পেয়েছেন ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভির। যার পরিমাণ ২০ লাখ টাকা।

এই প্রসঙ্গে ভিপি নুর বলেন, ‘আমার জানামতে বরাদ্দের মধ্যে ওই সময় ছয়টি ইভেন্টসহ বেশ কিছু ক্রীড়া ইভেন্ট করেছে। এখানে কেমন কি খরচ হয়েছে, এটা তো আমার থেকে ভালো শাকিল আহমেদ বলতে পারবেন।’

নুরুল হক নুরের মতে ডাকসু ভবিষ্যতে সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও কার্যকর হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত