স্ট্রিম সংবাদদাতা
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা, শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অনুপস্থিতি এবং ক্যাম্পাসে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ অক্টোবর। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে যেমন একটি বড় অংশ এই সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করছে, অন্যদিকে একটি অংশ এর পেছনে নির্বাচন বানচালের চক্রান্তের শঙ্কা প্রকাশ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, ‘শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। যদিও নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, কিন্তু শিক্ষক, কর্মকর্তা, ও কর্মচারী ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যান্য নির্বাচনের মতো বাইরে থেকে জনবল ভাড়া করে এনে এই নির্বাচন পরিচালনা করা যায় না। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এর প্রেক্ষিতে রাকসু নির্বাচন পেছানোর ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ওই ঘটনা উল্লেখ করে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘নির্বাচন ২৫ তারিখে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনা করে ১৬ অক্টোবর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করি। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গিয়েছে। তারাই তো ভোটার, তারা চলে গেলে ভোট দেবে কে? আর আমাদের শিক্ষকদের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তার বিচারের দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। এর সঙ্গে রাকসু নির্বাচনের সম্পর্ক নেই। অনেকেই এই দুই বিষয়কে একসাথে ডিল করার চেষ্টা করছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. আবদুল মানিকও প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, ‘এ বছর রাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ২০ তারিখে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যায় এবং নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিও পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশন তাই মনে করেছে—এমন পরিস্থিতিতে ভোটার ও জনবল ঘাটতির কারণে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। এজন্যই তারা নির্বাচন পিছিয়েছে। নির্বাচন পেছানো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের একান্ত বিষয়, তবে প্রয়োজনে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আল মামুন তাঁর ফেসবুকে পোস্টে বলেন, ‘যাক, ২০২৪ এর জাতীয় নির্বাচনের মতো ফাঁকা ক্যাম্পাসে ‘‘আমি এবং ডামি’’ রাকসু ভোট দেখতে হলো না। প্রশাসনের শুভবুদ্ধির জন্য ধন্যবাদ।’
ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক জানান, ‘২৫ তারিখ নির্বাচন হলে কাজে গতিশীলতা আসতো। কিন্তু প্রশাসন সব দিক বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা না ঘটে। প্রশাসন সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করছে যাতে শিক্ষার্থীদের আবেগ ধরে রাখা যায়। অন্যদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীদের কথাও তারা বিবেচনা করছে।’
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে ভিন্নমত দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছে, আর অন্য অংশটি নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর সংশয়ে রয়েছে।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট যৌক্তিক। কারণ ভোটাররাই যদি উপস্থিত না থাকে, তাহলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছাড়া নির্বাচন মানেই হবে একটি অকার্যকর ও একপেশে প্রক্রিয়া।’
তবে মত পোষণ করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তারিফুক ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর মূল কারণ হিসেবে আমার মনে হয় তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। ৩৫ বছর আগেও নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছিল কিন্তু পরে আর নির্বাচন হয়নি। তবুও আমি আস্থা রাখতে চাই যে নির্বাচন হবে। যারা নির্বাচন পেছানোর জন্য আন্দোলন করেছে তাদের দাবিও যৌক্তিক। কারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ বাড়িতে চলে গিয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না হয় তাহলে ধরে নেব নির্বাচন পেছানোর মূল কারণই নির্বাচন বানচাল করা।’
অন্যদিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক দাবি করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ ফেরদৌস শরীফ বলেন, ‘গতকাল প্রশাসন পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৬ অক্টাবর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। কারণ কমপ্লিট শাটডাউনের ও পূজার ছুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বাড়ি চলে গিয়েছে। এই সময় নির্বাচন হলে ৩০/৪০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হতো না। ৩৫ বছর পর নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে অন্তত ৭০-৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়া উচিত। তো সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমার মনে হয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।’
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ রিফাত বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর রকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। সেজন্য সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে এ ব্যাপারে প্রশাসনের শুরু থেকেই চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল। প্রশাসন শুরু থেকে ডেট নিয়ে যে তালবাহানা শুরু করেছে এটা আসলে কাম্য নয়। হিন্দু ধর্মাবলীদের একটা বড় উৎসবের আগের ডেটটা দেওয়া কখনোই ঠিক হয়নি প্রশাসনের। যাই হোক সময় পিছিয়ে ভালোই হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন আশা করছি।’
অন্যদিকে, ভিন্ন মত পোষণকারী শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি ‘কুচক্রী মহল’-এর হাত দেখতে পাচ্ছেন। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদ হোসেন বলেন, ‘একটা কুচক্রী মহল সব সময় চায় রাকসু না হোক। বিশেষ করে একটা শিক্ষকগোষ্ঠী সব সময় চায় রাকসু না হোক। কারণ রাকসু হলে তাদের একচ্ছত্র ক্ষমতা চলে যাবে। আবার অন্যদিকে প্রার্থীদের একাংশ হার নিশ্চিত জেনেই রাকসু বানচাল করতে চায়। সবার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তফসিল ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত রাকসু নির্বাচন হয়নি। এদিকে ডাকসু, জাকসু নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। শিগগির চাকসুও হয়ে যাবে। এখন রাকসু নির্বাচন আগামী ১৬ তারিখে হবে কি না, তা নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা, শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অনুপস্থিতি এবং ক্যাম্পাসে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ অক্টোবর। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে যেমন একটি বড় অংশ এই সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করছে, অন্যদিকে একটি অংশ এর পেছনে নির্বাচন বানচালের চক্রান্তের শঙ্কা প্রকাশ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, ‘শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। যদিও নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, কিন্তু শিক্ষক, কর্মকর্তা, ও কর্মচারী ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যান্য নির্বাচনের মতো বাইরে থেকে জনবল ভাড়া করে এনে এই নির্বাচন পরিচালনা করা যায় না। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এর প্রেক্ষিতে রাকসু নির্বাচন পেছানোর ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ওই ঘটনা উল্লেখ করে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘নির্বাচন ২৫ তারিখে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনা করে ১৬ অক্টোবর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করি। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গিয়েছে। তারাই তো ভোটার, তারা চলে গেলে ভোট দেবে কে? আর আমাদের শিক্ষকদের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তার বিচারের দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। এর সঙ্গে রাকসু নির্বাচনের সম্পর্ক নেই। অনেকেই এই দুই বিষয়কে একসাথে ডিল করার চেষ্টা করছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. আবদুল মানিকও প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, ‘এ বছর রাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু ২০ তারিখে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যায় এবং নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিও পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশন তাই মনে করেছে—এমন পরিস্থিতিতে ভোটার ও জনবল ঘাটতির কারণে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। এজন্যই তারা নির্বাচন পিছিয়েছে। নির্বাচন পেছানো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের একান্ত বিষয়, তবে প্রয়োজনে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আল মামুন তাঁর ফেসবুকে পোস্টে বলেন, ‘যাক, ২০২৪ এর জাতীয় নির্বাচনের মতো ফাঁকা ক্যাম্পাসে ‘‘আমি এবং ডামি’’ রাকসু ভোট দেখতে হলো না। প্রশাসনের শুভবুদ্ধির জন্য ধন্যবাদ।’
ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক জানান, ‘২৫ তারিখ নির্বাচন হলে কাজে গতিশীলতা আসতো। কিন্তু প্রশাসন সব দিক বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা না ঘটে। প্রশাসন সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করছে যাতে শিক্ষার্থীদের আবেগ ধরে রাখা যায়। অন্যদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীদের কথাও তারা বিবেচনা করছে।’
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে ভিন্নমত দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছে, আর অন্য অংশটি নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর সংশয়ে রয়েছে।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট যৌক্তিক। কারণ ভোটাররাই যদি উপস্থিত না থাকে, তাহলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছাড়া নির্বাচন মানেই হবে একটি অকার্যকর ও একপেশে প্রক্রিয়া।’
তবে মত পোষণ করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তারিফুক ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর মূল কারণ হিসেবে আমার মনে হয় তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। ৩৫ বছর আগেও নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছিল কিন্তু পরে আর নির্বাচন হয়নি। তবুও আমি আস্থা রাখতে চাই যে নির্বাচন হবে। যারা নির্বাচন পেছানোর জন্য আন্দোলন করেছে তাদের দাবিও যৌক্তিক। কারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ বাড়িতে চলে গিয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না হয় তাহলে ধরে নেব নির্বাচন পেছানোর মূল কারণই নির্বাচন বানচাল করা।’
অন্যদিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক দাবি করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ ফেরদৌস শরীফ বলেন, ‘গতকাল প্রশাসন পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৬ অক্টাবর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। কারণ কমপ্লিট শাটডাউনের ও পূজার ছুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বাড়ি চলে গিয়েছে। এই সময় নির্বাচন হলে ৩০/৪০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হতো না। ৩৫ বছর পর নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে অন্তত ৭০-৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়া উচিত। তো সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমার মনে হয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।’
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ রিফাত বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর রকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। সেজন্য সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে এ ব্যাপারে প্রশাসনের শুরু থেকেই চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল। প্রশাসন শুরু থেকে ডেট নিয়ে যে তালবাহানা শুরু করেছে এটা আসলে কাম্য নয়। হিন্দু ধর্মাবলীদের একটা বড় উৎসবের আগের ডেটটা দেওয়া কখনোই ঠিক হয়নি প্রশাসনের। যাই হোক সময় পিছিয়ে ভালোই হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন আশা করছি।’
অন্যদিকে, ভিন্ন মত পোষণকারী শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি ‘কুচক্রী মহল’-এর হাত দেখতে পাচ্ছেন। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদ হোসেন বলেন, ‘একটা কুচক্রী মহল সব সময় চায় রাকসু না হোক। বিশেষ করে একটা শিক্ষকগোষ্ঠী সব সময় চায় রাকসু না হোক। কারণ রাকসু হলে তাদের একচ্ছত্র ক্ষমতা চলে যাবে। আবার অন্যদিকে প্রার্থীদের একাংশ হার নিশ্চিত জেনেই রাকসু বানচাল করতে চায়। সবার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তফসিল ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত রাকসু নির্বাচন হয়নি। এদিকে ডাকসু, জাকসু নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। শিগগির চাকসুও হয়ে যাবে। এখন রাকসু নির্বাচন আগামী ১৬ তারিখে হবে কি না, তা নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’
অজ্ঞাত এক শিশু পাওয়া গেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে গুলশান থানা এলাকায় রাত্রিকালীন ডিউটি করার সময় অজ্ঞাত শিশুটিকে রাস্তায় কান্নারত অবস্থায় পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক খুঁজছে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার।
৪১ মিনিট আগে২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিপ্রতি ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষীর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে সম্প্রতি স্থাপিত অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
৩ ঘণ্টা আগে