leadT1ad

তিস্তায় ভাসানী সেতু উদ্বোধন, উত্তরের জনপদে খুশির জোয়ার

স্ট্রিম সংবাদদাতাগাইবান্ধা
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ৫৮
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ১০
তিস্তায় ভাসানী সেতু উদ্বোধন, উত্তরের জনপদে খুশির জোয়ার। স্ট্রিম ছবি

তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ১৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ‘মাওলানা ভাসানী’ সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর প্রবেশমুখে ফিতা কেটে সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি কুড়িগ্রামের চিলমারী এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। অনেক বছরের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় গাইবান্ধা–কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের জনপদে বইছে খুশির জোয়ার।

সেতুর উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সেতুর দ্বার খুলে দিলে উৎসুক জনতার ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। পরে গাড়িতে উঠে গাইবান্ধাবাসীর সঙ্গে করমর্দন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এসময় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এলজিইডি কর্মকর্তা ও সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, উদ্বোধনের আগে থেকেই সেতু এলাকাজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ভোর থেকেই তিস্তা পাড়ে ভিড় জমাতে থাকেন দুই জেলার শত শত দর্শনার্থী এবং সুন্দরগঞ্জ-চিলমারী উপজেলার হাজারো সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ায় তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের জোয়ার।

তিস্তায় ভাসানী সেতু উদ্বোধন, উত্তরের জনপদে খুশির জোয়ার। স্ট্রিম ছবি
তিস্তায় ভাসানী সেতু উদ্বোধন, উত্তরের জনপদে খুশির জোয়ার। স্ট্রিম ছবি

এর আগে, গত ১০ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ সেতুটির নামকরণ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়, ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ এই পিসি গার্ডার সেতুটি হবে ‘মওলানা ভাসানী সেতু, গাইবান্ধা’।

২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। নানা জটিলতা ও একাধিকবার তারিখ পরিবর্তনের পর ১১ বছর পর চালু হলো এই সেতু।

এলজিইডি সূত্র জানায়, সৌদি সরকারের অর্থায়নে ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।

১৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুটি দেশের ইতিহাসে এলজিইডির সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সেতুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক্সেস (সংযোগ) সড়ক। এর মধ্যে নির্মিত হয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু।

সেতুটি বেলকাবাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও ধাপেরহাটসহ অন্তত ১০টি বাজারকে সরাসরি সংযুক্ত করবে। তাছাড়া, ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দরের দূরত্ব কমবে ৪০–১০০ কিলোমিটার। পর্যটনেও তৈরি হবে নতুন সম্ভাবনা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত