leadT1ad

ডাকসু কী, কীভাবে কাজ করে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে সব সময়ই আগ্রহের জায়গা। কিন্তু ডাকসু আসলে কী? কীভাবে কাজ করে, কারা ভোট দিতে পারেন বা নির্বাচনের প্রার্থী কারা হতে পারেন? আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের আগে এসব প্রশ্নের উত্তরই মিলবে এই লেখায়।

তুফায়েল আহমদঢাকা
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ৫২
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১১: ২৪
ডাকসু কী, কীভাবে কাজ করে। স্ট্রিম গ্রাফিক

দীর্ঘ ছয় বছর পর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। দেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে ডাকসু নির্বাচন। ডাকসু আসলে কী? কীভাবে কাজ করে, কারা ভোট দিতে পারেন বা নির্বাচনের প্রার্থী কারা হতে পারেন?

গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ হবে এবং ওইদিন সকাল আটটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই নির্বাচন ‘প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছ’ হবে বলে প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের।

১৯২৩ সালে ডাকসু প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭ বার নির্বাচন হয়েছে। ডাকসুর প্রথম ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন প্রথম জিএস। ২০১৯ সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর হামলা ছাড়াও ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। ছাত্রনেতারা বলছেন, এখন একক কোনো ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য নেই, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

এবারের ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।

ডাকসু আসলে কী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী সর্বোচ্চ ছাত্র সংগঠন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, মতামত প্রকাশ, বিভিন্ন আন্দোলন ও দাবি আদায়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। গঠনতন্ত্র অনুসারে, ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলাধুলা ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক নানা উদ্যোগ পরিচালনা করে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপ্রস্তুতি, এমনকি সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক অধ্যায়ে ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর ভেতরে ডাকসুকে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫ সদস্যবিশিষ্ট সিনেটে ডাকসুর পাঁচজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন সমস্যা ও দাবি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করে।

কীভাবে কাজ করে ডাকসু

বিভিন্ন পদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ডাকসু গঠিত হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি নির্বাচিত হন। অনির্বাচিত সভাপতি এবং সহসভাপতি বা ভিপি, সাধারণ সম্পাদক বা জিএস, সহসাধারণ সম্পাদক বা এজিএসসহ মোট ২৮টি পদ নিয়ে ডাকসু গঠিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। সংগৃহীত ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। সংগৃহীত ছবি

এই পদগুলোর জন্য প্রার্থীরা নির্বাচন করেন ও ভোটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতা ঠিক করেন। কেন্দ্রীয় সংসদ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলে আলাদা হল সংসদ থাকে। হল সংসদ ও ডাকসু মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামো দাঁড়ায়।

ডাকসু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ডাকসুর কাজ কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ নয়। তারা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। একই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো বা লাইব্রেরি-সংক্রান্ত দাবি জানানোসহ নানা বিষয়ে ডাকসু প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানোও ডাকসুর অন্যতম দায়িত্ব।

ডাকসুর কাজ কী

গঠনতন্ত্র অনুসারে ডাকসুর প্রধান কাজগুলো হচ্ছে:

১। ডাকসুর সদস্যদের ব্যবহারের জন্য কমনরুম তত্ত্বাবধান করা এবং ইনডোর গেমস, দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকী সরবরাহ করা।

২। বছরে অন্তত একটি জার্নাল প্রকাশ করা এবং নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ও সভাপতির (ভিসি) অনুমোদন সাপেক্ষে অন্যান্য বুলেটিন, ম্যাগাজিন বা পত্রিকা প্রকাশ করা।

৩। বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক, নাটক ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আগ্রহের বিষয় নিয়ে লেকচার আয়োজন করা এবং যথাসম্ভব মিলনমেলার আয়োজন করা।

৪। বছরে অন্তত একবার সদস্যদের মধ্যে বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, প্রবন্ধ ও ইনডোর গেমসের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা।

৫। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করা।

কারা ভোট দেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ডাকসুর নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পান। যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল বা পিএইচডি প্রোগ্রামে নিয়মিত অধ্যয়নরত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সঙ্গে সংযুক্ত আছেন, তাঁরা ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারেন। প্রতিটি শিক্ষার্থী তাঁদের নিজ নিজ হল সংসদের জন্য ভোট দেন এবং পাশাপাশি ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের জন্যেও ভোট দেন।

সান্ধ্যাকালীন কোর্স, প্রফেশনাল বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স প্রোগ্রাম, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স এবং সংযুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনে ভোটার হতে পারবেন না।

ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুসারে ৩০ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থী ভোটার হতে পারতেন না। তবে এবারের ডাকসু নির্বাচনে বয়সের বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছে।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা

ভোটার হওয়ার সকল শর্ত পূরণের পাশাপাশি ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্দিষ্ট ফরমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র, একাডেমিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হয়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন। প্রার্থী চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন।

নির্বাচন প্রক্রিয়া

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিশন পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই, প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ, ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা সম্পন্ন হয়।

ভোটের দিন শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা এরপর শপথ নেন ও নির্দিষ্ট মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ডাকসুর মেয়াদ সাধারণত এক বছর।

ডাকসুর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যনুসারে, এবারের নির্বাচনে ৫০৮টি বুথে ৪০,০০০ ভোটারের নিরাপদ ও স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সকাল আটটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এক ঘণ্টা বেশি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্ট্রিমকে জানান, নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ আরও সহজ করার লক্ষ্যে এইবার ভোটগ্রহণ হলের ভেতরে না করে ১৯টি হলকে গ্রুপ করে আটটি ভোটকেন্দ্রে বুথগুলো স্থাপন করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য চারটি এবং ছেলেদের জন্য চারটি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ভোটকেন্দ্রই এবার হলে স্থাপন না করে অন্য কোনো ভবনে স্থাপন করা হয়েছে। যেমন টিএসসি, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ইত্যাদি।

চলতি বছরের ১৬ জুন সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্র সংসদে–গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক নামে চারটি নতুন পদ সংযোজন করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩টিসহ মোট ৪১টি পদে ভোট হবে।

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক ভোটারের পরিচয় যাচাই করা হবে কিউআর কোডের মাধ্যমে। এ কোড রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।

ডাকসু নিয়ে এত আলোচনা কেন

ডাকসুর গুরুত্ব শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ছাত্র রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভিন্ন সময়ের ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে ডাকসু অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।

একই সঙ্গে ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গণতন্ত্রচর্চার ক্ষেত্রও তৈরি করে। শিক্ষার্থীরা এখানে নিজের মতামত প্রকাশ করেন, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করেন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়ে নেতৃত্ব গড়ে ওঠে।

ডাকসুর ইতিহাসে অনেক নেতাই পরে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ষাটের দশকে ডাকসুর জিএস ছিলেন মওদুদ আহমদ। পরে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি ও আইনমন্ত্রীসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে ইকবাল হলের ভিপি তোফায়েল আহমেদ রাজনীতি জীবনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও একাধিকবার মন্ত্রী হন। ১৯৬৩-৬৪ সালে ডাকসুর জিএস মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ ও ১৯৮০ সালে বাসদ ছাত্রলীগ থেকে ভিপি নির্বাচিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না। পরে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিক রাজনীতির অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯৯০-৯১ মেয়াদে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন আমানউল্লাহ আমান। পরে তিনি বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর। পরে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি।

তবে ডাকসু নিয়ে বিতর্কও কম নয়। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়া, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক দলের প্রভাব ও নির্বাচনী সহিংসতার কারণে ডাকসু নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন দলের অঙ্গসংগঠন হওয়ায় অনেক সময় ডাকসু নির্বাচিত ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের প্রকৃত স্বার্থের পরিবর্তে দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখেছে বলেও সমালোচনা আছে।

Ad 300x250

৩৪ বছর পর চাকসু নির্বাচনের তফসিল আসছে বৃহস্পতিবার

৭১ ইস্যুতে ইসহাক দারের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

'ভেজাল লাগাইয়া দিয়া যেভাবে নির্লিপ্ত আছেন, এটা আপনাকে সেভ করবে না'

জামায়াতের আমিরের সঙ্গে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

নির্বাচন কমিশন একটি দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

সম্পর্কিত