leadT1ad

ইইউতে প্রবেশে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীরা

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৪: ০৮
সমুদ্রপথে ইউরোপ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এখনও প্রধান ট্রানজিট দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে লিবিয়া। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বহিঃসীমান্ত পেরিয়ে ৭৫ হাজার ৯০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশ করেছেন। এই তালিকায় সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। ফ্রন্টেক্স–এর সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউরোপীয় সীমান্ত রক্ষাকারী সংস্থা ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় ও পশ্চিম আফ্রিকান রুট দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমান্ত অতিক্রমের হার গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে।

ফ্রন্টেক্স আরও জানায়, সামগ্রিকভাবে আগমন কমলেও মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট এখনো সবচেয়ে সক্রিয় রুট হিসেবে রয়ে গেছে। বিপরীতে, পশ্চিম বলকান, পূর্ব স্থল সীমান্ত এবং পশ্চিম আফ্রিকান রুট দিয়ে আগত অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা রয়েছেন শীর্ষে। এর পরের স্থানে রয়েছেন মিসর ও আফগানিস্তানের নাগরিকেরা। পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় রুট দিয়ে আগত অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬০০-তে। তবে লিবিয়া উপকূল থেকে গ্রিক দ্বীপ ক্রিট পর্যন্ত একটি নতুন রুট সক্রিয় হওয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই পথে আগমনের হার আবার বাড়ছে।

অন্যদিকে, মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট ধরে ২৯ হাজার ৩০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে প্রবেশ করেছেন, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স।

বিপজ্জনক সমুদ্রপথে ইউরোপ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এখনো প্রধান ট্রানজিট দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে লিবিয়া। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটির উপকূল থেকে ২০ হাজার ৮০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি।

পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় রুটেও অভিবাসনপ্রবাহ বেড়েছে। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় এই রুট ধরে আগমন ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু জুন মাসেই এই পথে আগমন দ্বিগুণ হয়েছে আগের বছরের তুলনায়। ফ্রন্টেক্স এর মতে, পাচারকারীরা এখন উত্তর আফ্রিকার বদলে পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় রুটে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, যার ফলে আলজেরিয়া এখনও এই পথে প্রধান ট্রানজিট দেশ হিসেবে রয়েছে।

অন্যদিকে, পশ্চিম আফ্রিকার রুটে অভিবাসনপ্রবাহের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ পথে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩০০ জন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। জুন মাসজুড়ে মাত্র ৩০০ জন এই রুটে শনাক্ত হন।

ফ্রন্টেক্স জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন ট্রানজিট দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ফলেই অভিবাসনের এই নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই ভূমধ্যসাগরে ৭৬০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত