leadT1ad

মুক্তি পেয়ে ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য

কারাগার নয়, আমরা কসাইখানায় ছিলাম

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্বজনদের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বন্দী বিনিময় হচ্ছে। হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বলছেন, তাঁরা কারাগার নয়, কসাইখানায় ছিলেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের খান ইউনিসের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আবু রাফে সোমবার ইসরায়েলের কারগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর তিনি বলেন এটা দারুণ অনুভূতি।

তিনি বলেন, ‘কারাগার নয়, আমরা কসাইখানায় ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত একটি কসাইখানায় ছিলাম যাকে ওফার কারাগার বলা হয়। অনেক তরুণ এখনো সেখানে আছেন। ইসরায়েলের কারাগারের অবস্থা খুবই করুণ। সেখানে কোনো ম্যাট্রেস নেই। তাঁরা সব সময় ম্যাট্রেস নিয়ে নিত। খাবারের অবস্থাও খারাপ। সবকিছু খুব বাজে ছিল।’

আরেক বন্দী ইয়াসিন আবু আমরাও ইসরায়েলের কারাগারের প্রায় একই ধরণের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের কারাগারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল।

আবু আমরা বলেন, ‘খাবার, নির্যাতন ও মারধর—সবকিছুর দিক থেকেই অবস্থা খারাপ ছিল। সেখানে কোনো খাবার ছিল না, পানীয় ছিল না। চারদিন ধরে আমি কিছু খাইনি। তারা আমাকে শুধু দুটি মিষ্টি দিয়েছিলো আমি সেগুলো খেয়েছি।’

সৈয়দ সুবাইর নামে আরেক ফিলিস্তিনি সোমবার মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর তিনি বলেন, তিনি আসলে জানেন না কীভাবে তিনি তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করবেন।

তিনি বলেন, ‘মুক্তির এই অনুভূতি অবর্ণনীয়, বাধাহীন সূর্য দেখার অনুভূতি। আমার হাত এখন হাতকড়া থেকে মুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল্য হয় না।’

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে যাদের অনেকে যাবজ্জীবন এবং বিভিন্ন মেয়াদে বন্দী ছিলেন। এছাড়া, যুদ্ধ শুরুর পর আটক করা ১৭১৮ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এই ১৭১৮ জনের দলটিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত