leadT1ad

ইতিহাসের বৃহত্তম ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারির মূলহোতা কে এই রহস্যময় চেন ঝি

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ১৭
চেন ঝি। ছবি: সংগৃহীত।

মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই চেন ঝি অভিযুক্ত হয়েছেন একটি বিশাল সাইবার প্রতারণা চক্রের মূল হোতা হিসেবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের ভাষায়, এটি ছিল ‘মানবিক দুর্ভোগের ওপর গড়ে ওঠা এক অপরাধ সাম্রাজ্য।’

পাতলা দাড়ি ও শিশুসুলভ মুখাবয়বের কারণে তার বয়স কম মনে হয়। তবে অল্প সময়েই তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, তিনি কম্বোডিয়ায় প্রতারণার আস্তানা পরিচালনা করতেন। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি হাতিয়ে নিয়েছেন। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় তার প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের বিটকয়েন জব্দ করেছ। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি জব্দের ঘটনা।

তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ‘কম্বোডিয়ান প্রিন্স গ্রুপ’-এর ওয়েবসাইটে তার পরিচিতি দেওয়া আছে—‘সম্মানিত উদ্যোক্তা ও খ্যাতনামা সমাজসেবী’। সেখানে আরও উল্লেখ আছে, ‘তার স্বপ্ন ও নেতৃত্বে প্রিন্স গ্রুপ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এক শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’

কিন্তু কে এই চেন ঝি, যাকে এক বিশাল প্রতারণা সাম্রাজ্যের নেপথ্যের রহস্যময় পরিচালকের আসনে দেখা হচ্ছে?

অবিশ্বাস্য উত্থান

চেন ঝি দক্ষিণ-পূর্ব চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে বড় হয়েছেন। তিনি প্রথমে একটি ছোট অনলাইন গেমিং কোম্পানি শুরু করেন, যা তেমন সফল হয়নি। পরে ২০১০ সালের শেষ দিকে বা ২০১১ সালে তিনি কম্বোডিয়ায় চলে যান এবং দ্রুত বিকাশমান রিয়েল এস্টেট খাতে কাজ শুরু করেন।

তার আগমন ঘটে এমন সময়ে, যখন কম্বোডিয়ায় জমি ব্যবসায় এক ফাঁপা বুম শুরু হয়। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে নেওয়া বিশাল জমি এবং চীনা বিনিয়োগের ঢল এই বুমের গাতি বাড়ায়।

এই বিনিয়োগের একটি অংশ আসে শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের ধারাবাহিকতায়। এই উদ্যোগ চীনের অবকাঠামো রপ্তানির নতুন সুযোগ তৈরি করে। বাকী বিনিয়োগ আসে এমন সব চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে, যারা বিকল্প বাজার খুঁজছিলেন। কারণ চীনের রিয়েল এস্টেট বাজারে দাম অতিরিক্তি বেড়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে কম্বোডিয়ায় চীনা পর্যটকের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছিল।

রাজধানী নমপেনের আকাশরেখা দ্রুত বদলে যায়। হলুদ রঙের ফরাসি ঔপনিবেশিক নিচু ভবনে সাজানো শহরটি রূপ নেয় কাঁচ ও ইস্পাতের সুউচ্চ অট্টালিকায় ভরা এক আধুনিক মহানগরে।

এর চেয়েও নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে সিহানুকভিল নামের ছোট উপকূলীয় শহরে। আগে এটি ছিল শান্তিপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। পরে এটি ভরে ওঠে চীনা বিনিয়োগকারী, পর্যটক ও জুয়াড়িতে। কারণ চীনে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। একের পর এক নতুন ক্যাসিনো, বিলাসবহুল হোটেল ও অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে ওঠে। প্রচুর অর্থ ঘুরতে থাকে এই খাতে।

চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে সিহানুকভিল বদলে গেছে। ছবি: সংগৃহীত।
চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে সিহানুকভিল বদলে গেছে। ছবি: সংগৃহীত।

তার পরও চেন ঝির উত্থান ছিল আশ্চর্যজনক।

২০১৪ সালে তিনি কম্বোডিয়ার নাগরিকত্ব নেন এবং চীনা নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। এতে তিনি নিজের নামে জমি কেনার অধিকার পান। তবে এর জন্য অন্তত ২.৫ লাখ ডলার সরকারকে বিনিয়োগ বা অনুদান হিসেবে দিতে হয়। তার অর্থের উৎস তখনও অস্পষ্ট ছিল।

২০১৯ সালে আইল অব ম্যানের এক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার এক ‘চাচা’ ২০১১ সালে তাকে দুই মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন ব্যবসা শুরু করার জন্য। কিন্তু এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

চেন ঝি ২০১৫ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ‘প্রিন্স গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন। মূল লক্ষ্য ডেভেলপার কোম্পানি হিসেবে কাজ করা।

২০১৮ সালে তিনি ‘প্রিন্স ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকিং লাইসেন্স পান। একই বছরে তিনি ২৫ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব অর্জন করেন। এতে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে সহজে প্রবেশাধিকার দেয়। পরে তিনি ভানুয়াতুর নাগরিকত্বও নেন।

তিনি কম্বোডিয়ার তৃতীয় বিমান সংস্থা চালু করেন এবং ২০২০ সালে চতুর্থটির লাইসেন্স পান। নমপেনে প্রিন্স গ্রুপের তৈরি বিলাসবহুল শপিং মল, সিহানুকভিলে পাঁচতারকা হোটেল এবং ‘বে অব লাইটস’ নামে ১৬ বিলিয়ন ডলারের পরিবেশবান্ধব শহর নির্মাণের প্রকল্প তার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল।

২০২০ সালে কম্বোডিয়ার রাজা তাকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক উপাধি ‘নেয়াক অকনহা’ দেন। এর জন্য সরকারকে অন্তত ৫ লাখ ডলারের অনুদান দিতে হয়।

২০১৭ সাল থেকে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সার খেং-এর উপদেষ্টা ছিলেন এবং তার ছেলে সার সোখার ব্যবসায়িক অংশীদারও হন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ও পরে তার উত্তরসূরি হুন মানেতেরও উপদেষ্টা।

চেন ঝিকে স্থানীয় গণমাধ্যমে সমাজসেবী হিসেবে প্রশংসা করা হতো। তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি দেন এবং কোভিড মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অনুদান দেন।

তবুও তিনি ছিলেন এক রহস্যময় ব্যক্তিত্ব। প্রকাশ্যে খুব কমই আসতেন এবং সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিতেন না।

রেডিও ফ্রি এশিয়ার সাংবাদিক জ্যাক অ্যাডামোভিচ ডেভিস তিন বছর ধরে চেন ঝির ওপর অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যারা তার সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছেন, সবাই তাকে ভদ্র, শান্ত ও সংযত ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রচারবিমুখ ছিলেন, যা তার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ ছিল। এখনো অনেকে, যারা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, তার নীরব ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবশালী উপস্থিতিতে মুগ্ধ।’

তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়—এই বিপুল অর্থ ও ক্ষমতার উৎস কোথায়?

নম পেনে প্রিন্স ব্যাংকের একটি শাখা। ছবি: সংগৃহীত।
নম পেনে প্রিন্স ব্যাংকের একটি শাখা। ছবি: সংগৃহীত।

এক আন্তর্জাতিক অপরাধ সাম্রাজ্য

২০১৯ সালে সিহানুকভিলের রিয়েল এস্টেট বাজারে ধস নামে। অনলাইন জুয়া ব্যবসা চীনা অপরাধচক্রগুলোর হাতে চলে যায়। চক্রগুলো পরে নিজেদের মধ্যে সহিংস দখলযুদ্ধ শুরু করে। এতে পর্যটকেরা শহর ছেড়ে চলে যায়।

চীনের চাপে সে বছরের আগস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ করেন। এর ফলে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার চীনা নাগরিক শহরটি ছাড়ে, এবং শহরের প্রধান ব্যবসা ভেঙে পড়ে। প্রিন্স গ্রুপের অনেক আবাসিক ভবন খালি হয়ে যায়।

তবুও চেন ঝি তার ব্যবসা বড় করা ও বিলাসী খরচ চালিয়ে যান।

যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে তিনি উত্তর লন্ডনে ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি প্রাসাদ ও শহরের বাণিজ্যিক এলাকায় ৯ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের একটি অফিস ভবন কেনেন। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, চেন ঝি ও তার সহযোগীরা নিউইয়র্কে সম্পত্তি, ব্যক্তিগত জেট, বিলাসবহুল ইয়ট এবং এমনকি পিকাসোর একটি চিত্রকর্মও কিনেছেন।

মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ—চেন ঝির বিপুল সম্পদ এসেছে এশিয়ার সবচেয়ে লাভজনক কিন্তু অপরাধভিত্তিক খাত থেকে। আর তা হলো— অনলাইন প্রতারণা, মানবপাচার ও অর্থপাচার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য চেন ঝি ও প্রিন্স গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ১২৮টি কোম্পানি এবং ৭টি দেশের ১৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা সাম্রাজ্য পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে চেন ঝির সঙ্গে সম্পর্কিত সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি একটি জটিল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। এটি দিয়ে অসংখ্য ভুয়া কোম্পানি ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করা হতো, উৎস গোপন রাখার জন্য।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘প্রিন্স গ্রুপ ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম অর্গানাইজেশন যৌন প্রতারণা (সেক্সটর্শন), অর্থপাচার, জুয়া ও অন্যান্য প্রতারণা, দুর্নীতি এবং দাসশ্রমে নিযুক্ত কর্মীদের পাচার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ নানা আন্তর্জাতিক অপরাধ থেকে মুনাফা করেছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কম্বোডিয়ায় অন্তত ১০টি প্রতারণা কেন্দ্র পরিচালিত হয়েছে।’

প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত ‘ফোন ফার্ম’। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত ‘ফোন ফার্ম’। ছবি: সংগৃহীত।

প্রতারণার সাম্রাজ্য

চীনের কর্তৃপক্ষও ২০২০ সাল থেকেই নীরবে প্রিন্স গ্রুপের কার্যক্রম তদন্ত করে আসছে। আদালতে একাধিক মামলায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনলাইন প্রতারণা পরিচালনার অভিযোগ ওঠে।

বেইজিং পৌর জননিরাপত্তা ব্যুরো ‘প্রিন্স গ্রুপ’ তদন্তে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। তাদের ভাষায়, এটি কম্বোডিয়াভিত্তিক এক বৃহৎ আন্তর্জাতিক অনলাইন জুয়া চক্র।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অভিযোগ অনুযায়ী, এই চক্রের কেন্দ্র ছিল ‘গোল্ডেন ফরচুন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পার্ক’। পার্কটি ভিয়েতনাম সীমান্তের কাছে ক্রেই থম এলাকায় অবস্থিত। প্রিন্স গ্রুপ সেখানে অনেকগুলো ভবন নির্মাণ করে তাদের এই প্রতারণা কার্যক্রম চালায়।

অতীতে প্রিন্স গ্রুপ প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে যে, তাদের সঙ্গে গোল্ডেন ফরচুনের আর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তদন্তে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে এখনো স্পষ্ট ব্যবসায়িক যোগাযোগ আছে।

সাংবাদিক জ্যাক অ্যাডামোভিচ ডেভিস তার অনুসন্ধানে গোল্ডেন ফরচুনের আশপাশের অনেক মানুষের সাক্ষাৎকার নেন। তারা জানান, চীনা, ভিয়েতনামি ও মালয়েশিয়ান নাগরিকদের সেখানে জোরপূর্বক অনলাইন প্রতারণা করানো হতো। যারা পালাতে চেষ্টা করত, তাদের নির্মমভাবে প্রহার করা হতো।

ডেভিস বলেন, ‘চেন ঝির কার্যক্রমের বিশালতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। অবাক লাগে, এত বড় অপরাধের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রিন্স গ্রুপ কীভাবে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে, তা কেউ লক্ষ্যই করেনি।’

নম পেনের প্রিন্স ইন্টারন্যাশনাল প্লাজা। ছবি: সংগৃহীত।
নম পেনের প্রিন্স ইন্টারন্যাশনাল প্লাজা। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—চেন ঝি কীভাবে সিঙ্গাপুর, লন্ডন বা যুক্তরাষ্ট্রে এত সম্পদ অর্জন করতে পারলেন। আইনজীবী, হিসাবরক্ষক, ব্যাংকার বা সম্পত্তি এজেন্ট—কেউই প্রশ্ন তোলেননি।’

মার্কিন ও ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞার পর এখন বহু প্রতিষ্ঠান দ্রুত প্রিন্স গ্রুপের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করছে।

উদ্বিগ্ন আমানতকারীদের আশ্বস্ত করতে কম্বোডিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, তারা প্রিন্স ব্যাংক থেকে স্বাভাবিকভাবে অর্থ তুলতে পারবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষও কোরিয়ান ব্যাংকে রাখা প্রিন্স গ্রুপের ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জব্দ করেছে।

সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড সরকার তাদের দেশে প্রিন্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন ও ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞায় যাদের টার্গেট করা হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক।

কম্বোডিয়ার সরকার এখনো তেমন কোনো মন্তব্য করেনি। শুধু বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের উচিত তাদের অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা।

তবুও কম্বোডিয়ার শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে চেন ঝি থেকে নিজেদের দূরে রাখা কঠিন হবে। কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। এরই মধ্যে দেশটি প্রতারণাভিত্তিক ব্যবসা চলতে দেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। অনেকে মনে করেন, প্রতারণা ব্যবসা কম্বোডিয়ার মোট অর্থনীতির প্রায় অর্ধেক।

আর চেন ঝি নিজে?

নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। একসময়ের প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ী রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছেন।

সূত্র: বিবিসি

Ad 300x250

সম্পর্কিত