সম্প্রতি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্তে শুরু হওয়া সংঘর্ষে আটকে পড়েছেন প্রায় বিশ হাজার বাংলাদেশি। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে কম্বোডিয়ার রাজধানী নম্পেনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, কিন্তু এখনো প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিপদের মধ্যে আছেন।
গত ২৪ জুলাই শুরু হওয়া থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধের মধ্যে কম্বোডিয়ায় আটকা পড়েছেন বহু বাংলাদেশি। বাংলাদেশি কমিউনিটি ইন কম্বোডিয়ার সভাপতি মোতাহের হোসেন মিয়া স্ট্রিমকে বলেন, ‘কম্বোডিয়ায় প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন।
কয়েক ঘণ্টা পুরনো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে কম্বোডিয়া। সীমান্ত বিরোধ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধের চুক্তি সত্ত্বেও এখনো বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে।
সীমান্ত সংঘাত
সীমানা নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিবাদের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮৬৩ সালে কম্বোডিয়ায় ফরাসি দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় হয় মূলত ১৯০৭ সালে।
দুই পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়। লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের সঙ্গে শুল্কবিষয়ক আলোচনাও স্থগিত থাকবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে বেশ খারাপের দিকে যাবে। আল-জাজিরা বলছে, উভয় দেশের বর্তমান নেতাদের পিতা তথা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরোধ এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক খায়েশকে ইন্ধন জোগাবে
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা সাংবাদিকদের জানান, নিহত ১২ জনের মধ্যে ৭ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৫ জন সেনাসদস্য রয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার থাই সেনাদের ছোড়া রকেটে বৌদ্ধ প্যাগোডায় আশ্রয় নেওয়া এক কম্বোডিয়ান নাগরিক নিহত হন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে সীমান্ত বিরোধের জেরে উভয় দেশের সেনারা পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ করে।