leadT1ad

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত: কার কত সামরিক শক্তি, পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা কতটা

একদিকে ন্যাটোর বাইরে আমেরিকার অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র থাইল্যান্ড অন্যদিকে চীনের সঙ্গে পাথরের মতো মজবুত সম্পর্ক রাখা কম্বোডিয়া। ফলে এই সংঘাত শুধু আঞ্চলিক থাকবে নাকি বৃহৎ শক্তিগুলো এতে জড়িয়ে পড়বে?

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৮: ২৪
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত: কার কত সামরিক শক্তি, পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা কতটা। স্ট্রিম গ্রাফিক

২৪ জুলাই সকাল থেকে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। রক্তক্ষয়ী এই সীমান্ত-সংঘাতে এরই মধ্যে অন্তত ৩২ জন নিহত ও ২ লাখের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড আট জেলায় মার্শাল ল জারি করেছে। একটি পুরোনো মন্দিরের দখল নিয়ে সাম্প্রতিক এই সংঘাতের সূত্রপাত। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার জাতি সংস্থা আসিয়ানের সদস্যভূক্ত দেশ দুটি সীমান্ত সংঘাত থেকে ক্রমশ যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে কী হতে পারে এর পরিণতি?

একদিকে ন্যাটোর বাইরে আমেরিকার অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র থাইল্যান্ড অন্যদিকে চীনের সঙ্গে পাথরের মতো মজবুত সম্পর্ক রাখা কম্বোডিয়া। ফলে এই সংঘাত শুধু আঞ্চলিক থাকবে নাকি বৃহৎ শক্তিগুলো এতে জড়িয়ে পড়বে?

যুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে সশস্ত্র সীমান্ত সংঘাত

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্তে উভয় পক্ষের গোলাবর্ষণে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই থাই নাগরিক। গত বৃহস্পতিবার সকালে এই গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর গতকাল শুক্রবারেও দেশ দুটি একাধিক সীমান্ত এলাকায় পাল্টাপাল্টি আঘাত হেনেছে। এরই মধ্যে থাইল্যান্ড এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে কম্বোডিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালিয়েছে।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই দেশের এই লড়াই ‘যুদ্ধে রূপ নিতে পারে’। বিশ্লেষকেরাও মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে পুরোনো সীমান্ত উত্তেজনা থেকে সশস্ত্র সংঘাত যুদ্ধের রূপ নিতে যাচ্ছে।

সংঘাত চলছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। ছবি: রয়টার্স
সংঘাত চলছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। ছবি: রয়টার্স

চীন, আমেরিকা ও আসিয়ানের সভাপতির উদ্বেগ

সংঘাত শুরুর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দেশ দুটিতে থাকা তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ২৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, চীন তার প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি ফেরাতে সংলাপ আয়োজনের কথাও বলেন তিনি।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া উভয়ই দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার জাতিসংস্থা আসিয়ানের সদস্য। সংস্থাটির বর্তমান সভাপতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসতে জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি উভয় প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা পাঠিয়েছি এবং আজ বা আজ রাতে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি।’

আনোয়ার ইব্রাহিম পরিস্থিতিকে গভীর উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘আমরা অন্তত আশা করতে পারি যে, তারা সরে দাঁড়াবে এবং আলোচনায় প্রবেশের চেষ্টা করবে।’

দ্বিপক্ষীয় সমাধান চায় থাইল্যান্ড

এদিকে কম্বোডিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতের সমাপ্তি ঘটাতে তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কম্বোডিয়াকে আক্রমণ বন্ধ করে শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে জোর দিয়েছে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার জাতিসংস্থা আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি মালয়েশিয়া দেশ দুটির চলমান সংঘাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এই সংঘাতের দ্বিপক্ষীয় সমাধান চাইছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালানকুরা।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

কার কেমন সামরিক শক্তি

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তথ্য অনুসারে, থাইল্যান্ডের ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি সক্রিয় সদস্যের একটি সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। এটি কম্বোডিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর তুলনায় প্রায় তিনগুণ বড়। থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী দেশটির জাতীয় বাজেট থেকে একটা বড় অঙ্কের তহবিল পায়। গত বছর থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

থাইল্যান্ডের রয়েছে প্রায় ৪০০ যুদ্ধ ট্যাংক। এর মধ্যে ৬০টি চীনের তৈরি আধুনিক ভিটি-৪ ট্যাংক এবং বাকিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পুরোনো ধরনের ট্যাংক। থাইল্যান্ডের ১ হাজার ২০০ টিরও বেশি সাঁজোয়া যান এবং প্রায় ২ হাজার ৬০০ কামান রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অন্যতম সেরা অস্ত্রে সজ্জিত বিমানবাহিনী রয়েছে থাইল্যান্ডের। তাদের কমপক্ষে ১১টি আধুনিক সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি কয়েক ডজন পুরনো এফ-১৬ ও এফ-৫ বিমান রয়েছে।

এছাড়াও থাইল্যান্ডের কাছে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি কোবরা অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ১৮টি মার্কিন ব্ল্যাক হক পরিবহন ।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তথ্য অনুসারে, গত বছর কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

সাবেক কমিউনিস্ট সামরিক বাহিনী এবং অন্য দুটি প্রতিরোধ বাহিনী একীভূত হয়ে ১৯৯৩ সালে কম্বোডিয়ার সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। থাইল্যান্ডের বিশাল সামরিক বাহিনীর বিপরীতে কম্বোডিয়ার ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ সক্রিয় সামরিক সদস্য রয়েছে।

কম্বোডিয়ার প্রায় ২০০টি চীন ও সোভিয়েত নির্মিত পুরোনো ট্যাংক আছে। আরও আছে প্রায় ৪৮০টি কামান। কম্বোডিয়ার যুদ্ধ-সক্ষম বিমানবাহিনী নেই বললেই চলে। মাত্র কয়েক ডজন পুরোনো সোভিয়েত এবং চীনা পরিবহন হেলিকপ্টারই তাদের সম্বল।

লোই ইনস্টিটিউটের হিসাব

আন্তর্জাতিক জরিপ, শ্বেতপত্র ও র‌্যাংকিং প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান লোই ইনস্টিটিউট ২০২৪ সালে ২৭টি আঞ্চলিক দেশের সামরিক সক্ষমতার র‌্যাংকিংয়ে থাইল্যান্ডকে ১৪তম স্থান দিয়েছে। কম্বোডিয়াকে রেখেছে ২৩তম স্থানে।

থাইল্যান্ডের জনসংখ্যা কম্বোডিয়ার চেয়ে চারগুণ এবং জিডিপি ১০ গুণেরও বেশি।

থাই সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া
থাই সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

থাইল্যান্ড এশিয়ার একটি মধ্যম শক্তির দেশ। লোই এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে সামরিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক শক্তিসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় থাইল্যান্ড দশম স্থানে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ঠিক পিছনে তবে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের চেয়ে এগিয়ে তাদের অবস্থান।

লোই কম্বোডিয়াকে এশিয়ার গৌণ শক্তি (মাইনর পাওয়ার) তালিকায় জায়গা দিয়েছে, অর্থাৎ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও লাওসের মতোই কম্বোডিয়া।

সীমান্তের সংঘাত যুদ্ধে গড়াবে?

বিশ্লেষকেরা বলছেন, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি বেশ খারাপের দিকে যাবে। আল-জাজিরা বলছে, উভয় দেশের বর্তমান নেতাদের পিতা তথা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরোধ এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক খায়েশকে ইন্ধন জোগাবে।

যদিও থাকসিন এবং হুন সেন দীর্ঘদিনের মিত্র ছিলেন। কিন্তু থাকসিনের কন্যা বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার সঙ্গে নিজের একটি ফোন কলের রেকর্ডিং হুন সেন ফাঁস করে দেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর অর্থ হল দুই পক্ষের মধ্যে এখন ব্যক্তিগত বিরোধের সম্পর্ক বিরাজমান।

সেই ফোনালাপে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা একজন সেনা কর্মকর্তার সমালোচনা করেন এবং হুন সেনের প্রতি অতি বিনয় দেখান—যা জনরোষের জন্ম দেয়। এ কারণে থাই সিনেটরদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১ জুলাই আদালত তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ না বাঁধলেও দীর্ঘ সীমান্ত এলাকাজুড়ে কামান দিয়ে গোলাগুলি চলতে থাকবে কিছুদিন। অন্তত স্বল্প থেকে মাঝারি মেয়াদের যুদ্ধ কিছু দিনের জন্য স্থায়ী হতে পারে। আল-জাজিরার বিশ্লেষণ মতে, এ থেকে কীভাবে শান্তির পথ তৈরি হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

সিএনএনকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক কার্ল শুস্টার জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে কম্বোডিয়া বিতর্কিত অঞ্চল ব্যবহারে বিশেষ সুবিধা পাবে। তারা স্থলমাইন পুঁতে রেখে থাই আর্মির জন্য ফাঁদ তৈরি করবে। ফলে থাইল্যান্ডকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। এই ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড তাদের বিমানবাহিনীকে ব্যবহার করবে বলে কার্ল শুস্টারের অনুমান।

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের শত্রু-মিত্র

থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে দেশটির সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ১৯৩২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০ বার অভ্যুত্থান ঘটিয়ে জেনারেলরা ক্ষমতা দখল করেছেন। গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে দেশটির চূড়ান্ত রক্ষক হিসেবে বারবার উঠে এসেছে সামরিক বাহিনী।

কম্বোডিয়ার সেনাসদস্য। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া
কম্বোডিয়ার সেনাসদস্য। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিনিদের হয়ে ১০ হাজার থাই সৈন্য উত্তরের কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতে বি-৫২ বিমানসহ বিভিন্ন যুদ্ধ উপকরণ স্থাপন করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য মতে, থাইল্যান্ড হলো যুক্তরাষ্ট্রের সন্ধিমিত্র (ট্রিটি এলাই)। এই সন্ধিটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৫৪ সালে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি যা ম্যানিলা চুক্তি নামেও পরিচিত।

যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক টিকে আছে। ‍যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে ন্যাটোর বাইরে অন্যতম মিত্র হিসেবে গণ্য করে। থাইল্যান্ড তাদের অস্ত্র কর্মসূচিতে মার্কিন সহায়তা পেয়ে আসছে। প্রতিবছর থাইল্যান্ড এবং মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বার্ষিক কোবরা গোল্ড সামরিক মহড়ার যৌথ আয়োজন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই যৌথ মহড়া শুরু হয়েছিল ১৯৮২ সালে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর মতে, এটি বিশ্বের দীর্ঘ সময় ধরে চলা আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়া।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, কোবরা গোল্ড ছাড়াও, থাই ও মার্কিন বাহিনী এক সঙ্গে ৬০টিরও বেশি মহড়া করে। ৯০০টিরও বেশি মার্কিন বিমান এবং ৪০টি নৌবাহিনীর জাহাজ প্রতি বছর থাইল্যান্ড পরিদর্শন করে।

সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরও থাই সেনাবাহিনী গত এক দশকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে। ‘মিলিটারি ব্যালেন্স’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কোনো একটি দেশের উপর নির্ভর করতে না চাওয়ায়, তারা ইসরায়েল, ইতালি, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেনের মতো দেশের সহায়তায় একটি শক্তিশালী দেশীয় অস্ত্র শিল্পও গড়ে তুলেছে।

অন্যদিকে কম্বোডিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য রাশিয়ার ওপর ঐতিহ্যগত নির্ভরতা সত্ত্বেও চীন কম্বোডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী। কম্বোডিয়ায় বেইজিংয়ের নৌঘাঁটিও রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, থাইল্যান্ড উপসাগরে অবস্থিত রিম নৌঘাঁটিতে চীনা বিমানবাহী রণতরী থাকার ব্যবস্থা আছে।

কম্বোডিয়া ও চীন মে মাসে তাদের বার্ষিক গোল্ডেন ড্রাগন যৌথ সামরিক মহড়ার সপ্তম সংস্করণ সম্পন্ন করেছে, যা সর্বকালের বৃহত্তম এবং লাইভ-ফায়ার প্রশিক্ষণ হিসেবে আলোচিত হয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে বলেন, চীন ও কম্বোডিয়ার সম্পর্ক লোহার মতো মজবুত। সব সময় তারা একে অপরের সমর্থক। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক পাথরের মতো দৃঢ়।

Ad 300x250

পরিবারের দাবি মৃতদেহ সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষ, সরকার বলছে ভিন্ন কথা

চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা

ইসলামি শক্তির ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে

আগুনের লেলিহান শিখা পেরিয়ে যেভাবে সেদিন আমরা সূর্যকে খুঁজে পেলাম

আরও ১২ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা

সম্পর্কিত