বিমান দুর্ঘটনার সময় বা আশঙ্কা থাকলে জেট ফুয়েল পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে বিমানে জেট ফুয়েল ভরা হয়, দুর্ঘটনার সময় ফুয়েল কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং জেট ফুয়েলের আগুন নেভানোর পদ্ধতি নিয়েই এই লেখা।
স্ট্রিম ডেস্ক
জেট ফুয়েল হলো একধরনের বিশেষ তরল জ্বালানি। এটি হাইড্রোকার্বন থেকে তৈরি। জেট ফুয়েল মূলত টারবাইন বা জেট ইঞ্জিনচালিত বিমানে ব্যবহার হয়। দেখতে এটি অনেকটা কেরোসিনের মতো। তবে এটা জ্বালানী হিসেবে কেরোসিন থেকে অনেক উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।
এই জ্বালানি এমনভাবে তৈরি হয়, যাতে খুব গরম বা খুব ঠান্ডা—দুই ধরনের পরিবেশই সহ্য করতে পারে। আর আকাশে অনেকক্ষণ ওড়ার সময়েও যেন তেলের মান ঠিক থাকে।
জেট ফুয়েলের সবচেয়ে পরিচিত দুই ধরন হলো জেট এ এবং জেট এ-১। এর মধ্যে জেট এ-১ বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ, এটি মাইনাস ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ঠান্ডা সহ্য করতে পারে। তাই সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে সাধারণত জেট এ-১ ব্যবহার করা হয়।
আবার সামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য রয়েছে আরও কিছু বিশেষ ধরনের জেট ফুয়েল। যেমন জেপি-৪, জেপি-৫, জেপি-৭ ও জেপি-৮। সব ধরনের জেট ফুয়েলই প্রতিকূল পরিবেশ ও বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আলাদা করে তৈরি করা হয়।
বিমানে জেট ফুয়েল দেওয়ার কাজ দেখতে খুবই সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে এটা খুবই সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরার বিশেষ নিয়ম থাকে। এই নিয়মগুলো মানতে হয়। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ফুয়েল ভরার আগে প্রথমে ‘গ্রাউন্ডিং’ করা হয়। এর মানে হলো, বিমানের গায়ে জমে থাকা স্থির বিদ্যুৎ মাটির সঙ্গে যুক্ত করা। এতে আগুন লাগার সম্ভাবনা কমে যায়। কারণ, ফুয়েলের কাছাকাছি আগুনের সামান্য স্ফুলিঙ্গও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তারপর প্রশিক্ষিত একজন ফুয়েল অপারেটর বিমানের ডানার নিচে থাকা বিশেষ জায়গায় হোস বা পাইপ লাগান। বড় বিমানে এই পদ্ধতিকে বলে ‘আন্ডার-উইং ফুয়েলিং’। ফুয়েল ভরার সময় অপারেটররা ফুয়েলের পরিমাণ খেয়াল করেন। ফুয়েল শুদ্ধ বা পরিষ্কার কিনা, তার মধ্যে পানি বা ময়লা আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। যদি সন্দেহ হয়, তাহলে ফুয়েল ভরার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটাকে বলে কোয়ালিটি মনিটরিং।
ফুয়েল ভরার সময় যাত্রীদের ওঠানামা করানো যায় না। কাজ শেষ হলে অপারেটররা ফুয়েল ভরার সব যন্ত্রপাতি বিমান থেকে খুলে নেয়। পাইপ ভালোভাবে বন্ধ করে দেন। তারপর প্রয়োজনীয় রিপোর্ট তৈরি করেন।
এসব নিয়ম আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা (আইসিএও), আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ) এবং প্রতিটি দেশের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ, যেমন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) নির্ধারণ করে দেয়।
বড় বড় বিমানবন্দরে ফুয়েল ভরার জন্য সাধারণত ট্রাক লাগে না। সেখানে মাটির নিচে ফুয়েলের পাইপ বসানো থাকে। সরাসরি সেখান থেকেই বিমানে জ্বালানি দেওয়া হয়। এটাকে বলা হয় ‘হাইড্র্যান্ট ফুয়েলিং সিস্টেম’। এটি দ্রুত, নিরাপদ এবং পরিবেশের জন্যও ভালো।
উড়ন্ত অবস্থায় যদি ইঞ্জিন বিকল হয়, জরুরি অবতরণ বা দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়, তখন জেট ফুয়েল নিয়ে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়। জেট ফুয়েল খুব দাহ্য পদার্থ। তাই দুর্ঘটনায় এটি আগুন বা বিস্ফোরণের বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ জন্য পাইলট ও ক্রুরা আগে থেকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। তাঁরা নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলেন।
এমন অবস্থায় পাইলটরা প্রথমে বিমানের ওজন আর জেট ফুয়েলের পরিমাণ হিসাব করেন। যদি বিমানে বেশি ফুয়েল থাকে, তবে জরুরি অবতরণের আগে ফুয়েল আকাশে ফেলে দেওয়া হয়। এ কাজকে বলে ফুয়েল ডাম্পিং। এতে বিমান হালকা হয়। ফলে ল্যান্ডিং করার সময় চাকা ও রানওয়ে বা ফুয়েল ট্যাংকের ওপর চাপ কমে। ফুয়েল ডাম্পিং সব সময় খোলা আকাশে বা নির্দিষ্ট উচ্চতায় জনবসতির থেকে দূরে করা হয়। যাতে পরিবেশ বা মানুষদের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে সব ধরনের বিমানে ফুয়েল ডাম্পিং সুবিধা থাকে না। সাধারণত বড় আর দূরপাল্লার বিমানে এটি থাকে।
যদি ইঞ্জিনে আগুন ধরে বা ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাইলট ফুয়েল শাট-অফ সিস্টেম চালু করে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ করে দেন। বিমানে স্বয়ংক্রিয় ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম থাকে। এই সময় কো-পাইলট ও কেবিন ক্রুরা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত থাকেন। যাত্রীদের ঠিকভাবে বসতে বলা হয়। অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হয়।
কেবিন ক্রুরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকেন। তাঁরা জানেন, কোন দরজা দিয়ে যাত্রী সরানো নিরাপদ হবে। বিমান মাটিতে নামার পরও জেট ফুয়েল থেকে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। যদি ফুয়েল লিক হয়, তাহলে বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিট ও রেসকিউ টিম বিশেষ ফোম বা রাসায়নিক ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ, পানি দিয়ে জেট ফুয়েলের আগুন নেভানো যায় না, বরং ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিকভাবে এফএএ, আইসিএও এবং ইএএসএ জেট ফুয়েল-সংক্রান্ত কঠোর নীতিমালা করেছে। বিশ্বের সব দেশ সেই নীতিমালার আলোকে জরুরি চেকলিস্ট মেনে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেয়।
জেট ফুয়েল থেকে লাগা আগুন নেভানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিশেষ ধরনের ফোম ব্যবহার করা। এই ফোমের নাম ‘একুয়াস ফিল্ম ফর্মিং ফোম’। এই ফোম আগুনের ওপর পাতলা একটি স্তর তৈরি করে। এই স্তর আগুনে অক্সিজেন পৌঁছাতে দেয় না। ফলে আগুন নিভে যায়। আগুন লাগা জায়গাতেও আগুন নিভে যায়। একই সঙ্গে এই ফোম আশেপাশের জ্বালানি বা বাষ্প নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আগুন আবার ধরে না।
আরেকটি উপায় হলো শুকনা রাসায়নিক পাউডার ব্যবহার। যেমন মনোঅ্যামোনিয়াম ফসফেট বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। এসব পাউডার আগুনের ভেতরের রাসায়নিক বিক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। তবে এগুলো সাধারণত ছোট আগুনের জন্য বেশি উপযোগী।
কখনো কখনো কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসও ব্যবহার করা হয়। এটি আগুনের আশেপাশের অক্সিজেন সরিয়ে দেয়। তবে এই গ্যাস খোলা জায়গায় ঠিকমতো কাজ করে না।
আর জেট ফুয়েলে আগুন লাগলে কখনোই পানি ব্যবহার করা যায় না। কারণ, জেট ফুয়েল পানির চেয়ে হালকা। তাই জেট ফুয়েল পানির ওপর ভাসে। পানি দিলে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার রানওয়ের মতো খোলা জায়গায় পানি দিয়ে আগুন নেভানোও বিপজ্জনক।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত আগুনের জায়গা ঘিরে ফেলতে হয়। যাতে আগুন বা ফুয়েল ছড়িয়ে না পড়ে। যত দ্রুত সম্ভব ফুয়েল পাইপলাইন বা ট্যাঙ্ক থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে হয়। আর ফোম ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষ ফায়ার টেন্ডার (ফায়ার ট্রাক) প্রস্তুত রাখতে হয়। এই ফায়ার টেন্ডার আগুন দ্রুত নেভায়। আরও বড় ক্ষতি রোধ করে।
জেট ফুয়েল হলো একধরনের বিশেষ তরল জ্বালানি। এটি হাইড্রোকার্বন থেকে তৈরি। জেট ফুয়েল মূলত টারবাইন বা জেট ইঞ্জিনচালিত বিমানে ব্যবহার হয়। দেখতে এটি অনেকটা কেরোসিনের মতো। তবে এটা জ্বালানী হিসেবে কেরোসিন থেকে অনেক উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।
এই জ্বালানি এমনভাবে তৈরি হয়, যাতে খুব গরম বা খুব ঠান্ডা—দুই ধরনের পরিবেশই সহ্য করতে পারে। আর আকাশে অনেকক্ষণ ওড়ার সময়েও যেন তেলের মান ঠিক থাকে।
জেট ফুয়েলের সবচেয়ে পরিচিত দুই ধরন হলো জেট এ এবং জেট এ-১। এর মধ্যে জেট এ-১ বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ, এটি মাইনাস ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ঠান্ডা সহ্য করতে পারে। তাই সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে সাধারণত জেট এ-১ ব্যবহার করা হয়।
আবার সামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য রয়েছে আরও কিছু বিশেষ ধরনের জেট ফুয়েল। যেমন জেপি-৪, জেপি-৫, জেপি-৭ ও জেপি-৮। সব ধরনের জেট ফুয়েলই প্রতিকূল পরিবেশ ও বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আলাদা করে তৈরি করা হয়।
বিমানে জেট ফুয়েল দেওয়ার কাজ দেখতে খুবই সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে এটা খুবই সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরার বিশেষ নিয়ম থাকে। এই নিয়মগুলো মানতে হয়। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ফুয়েল ভরার আগে প্রথমে ‘গ্রাউন্ডিং’ করা হয়। এর মানে হলো, বিমানের গায়ে জমে থাকা স্থির বিদ্যুৎ মাটির সঙ্গে যুক্ত করা। এতে আগুন লাগার সম্ভাবনা কমে যায়। কারণ, ফুয়েলের কাছাকাছি আগুনের সামান্য স্ফুলিঙ্গও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তারপর প্রশিক্ষিত একজন ফুয়েল অপারেটর বিমানের ডানার নিচে থাকা বিশেষ জায়গায় হোস বা পাইপ লাগান। বড় বিমানে এই পদ্ধতিকে বলে ‘আন্ডার-উইং ফুয়েলিং’। ফুয়েল ভরার সময় অপারেটররা ফুয়েলের পরিমাণ খেয়াল করেন। ফুয়েল শুদ্ধ বা পরিষ্কার কিনা, তার মধ্যে পানি বা ময়লা আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। যদি সন্দেহ হয়, তাহলে ফুয়েল ভরার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটাকে বলে কোয়ালিটি মনিটরিং।
ফুয়েল ভরার সময় যাত্রীদের ওঠানামা করানো যায় না। কাজ শেষ হলে অপারেটররা ফুয়েল ভরার সব যন্ত্রপাতি বিমান থেকে খুলে নেয়। পাইপ ভালোভাবে বন্ধ করে দেন। তারপর প্রয়োজনীয় রিপোর্ট তৈরি করেন।
এসব নিয়ম আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা (আইসিএও), আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ) এবং প্রতিটি দেশের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ, যেমন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) নির্ধারণ করে দেয়।
বড় বড় বিমানবন্দরে ফুয়েল ভরার জন্য সাধারণত ট্রাক লাগে না। সেখানে মাটির নিচে ফুয়েলের পাইপ বসানো থাকে। সরাসরি সেখান থেকেই বিমানে জ্বালানি দেওয়া হয়। এটাকে বলা হয় ‘হাইড্র্যান্ট ফুয়েলিং সিস্টেম’। এটি দ্রুত, নিরাপদ এবং পরিবেশের জন্যও ভালো।
উড়ন্ত অবস্থায় যদি ইঞ্জিন বিকল হয়, জরুরি অবতরণ বা দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়, তখন জেট ফুয়েল নিয়ে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়। জেট ফুয়েল খুব দাহ্য পদার্থ। তাই দুর্ঘটনায় এটি আগুন বা বিস্ফোরণের বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ জন্য পাইলট ও ক্রুরা আগে থেকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। তাঁরা নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলেন।
এমন অবস্থায় পাইলটরা প্রথমে বিমানের ওজন আর জেট ফুয়েলের পরিমাণ হিসাব করেন। যদি বিমানে বেশি ফুয়েল থাকে, তবে জরুরি অবতরণের আগে ফুয়েল আকাশে ফেলে দেওয়া হয়। এ কাজকে বলে ফুয়েল ডাম্পিং। এতে বিমান হালকা হয়। ফলে ল্যান্ডিং করার সময় চাকা ও রানওয়ে বা ফুয়েল ট্যাংকের ওপর চাপ কমে। ফুয়েল ডাম্পিং সব সময় খোলা আকাশে বা নির্দিষ্ট উচ্চতায় জনবসতির থেকে দূরে করা হয়। যাতে পরিবেশ বা মানুষদের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে সব ধরনের বিমানে ফুয়েল ডাম্পিং সুবিধা থাকে না। সাধারণত বড় আর দূরপাল্লার বিমানে এটি থাকে।
যদি ইঞ্জিনে আগুন ধরে বা ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাইলট ফুয়েল শাট-অফ সিস্টেম চালু করে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ করে দেন। বিমানে স্বয়ংক্রিয় ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম থাকে। এই সময় কো-পাইলট ও কেবিন ক্রুরা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত থাকেন। যাত্রীদের ঠিকভাবে বসতে বলা হয়। অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হয়।
কেবিন ক্রুরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকেন। তাঁরা জানেন, কোন দরজা দিয়ে যাত্রী সরানো নিরাপদ হবে। বিমান মাটিতে নামার পরও জেট ফুয়েল থেকে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। যদি ফুয়েল লিক হয়, তাহলে বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিট ও রেসকিউ টিম বিশেষ ফোম বা রাসায়নিক ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ, পানি দিয়ে জেট ফুয়েলের আগুন নেভানো যায় না, বরং ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিকভাবে এফএএ, আইসিএও এবং ইএএসএ জেট ফুয়েল-সংক্রান্ত কঠোর নীতিমালা করেছে। বিশ্বের সব দেশ সেই নীতিমালার আলোকে জরুরি চেকলিস্ট মেনে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেয়।
জেট ফুয়েল থেকে লাগা আগুন নেভানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিশেষ ধরনের ফোম ব্যবহার করা। এই ফোমের নাম ‘একুয়াস ফিল্ম ফর্মিং ফোম’। এই ফোম আগুনের ওপর পাতলা একটি স্তর তৈরি করে। এই স্তর আগুনে অক্সিজেন পৌঁছাতে দেয় না। ফলে আগুন নিভে যায়। আগুন লাগা জায়গাতেও আগুন নিভে যায়। একই সঙ্গে এই ফোম আশেপাশের জ্বালানি বা বাষ্প নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আগুন আবার ধরে না।
আরেকটি উপায় হলো শুকনা রাসায়নিক পাউডার ব্যবহার। যেমন মনোঅ্যামোনিয়াম ফসফেট বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। এসব পাউডার আগুনের ভেতরের রাসায়নিক বিক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। তবে এগুলো সাধারণত ছোট আগুনের জন্য বেশি উপযোগী।
কখনো কখনো কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসও ব্যবহার করা হয়। এটি আগুনের আশেপাশের অক্সিজেন সরিয়ে দেয়। তবে এই গ্যাস খোলা জায়গায় ঠিকমতো কাজ করে না।
আর জেট ফুয়েলে আগুন লাগলে কখনোই পানি ব্যবহার করা যায় না। কারণ, জেট ফুয়েল পানির চেয়ে হালকা। তাই জেট ফুয়েল পানির ওপর ভাসে। পানি দিলে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার রানওয়ের মতো খোলা জায়গায় পানি দিয়ে আগুন নেভানোও বিপজ্জনক।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত আগুনের জায়গা ঘিরে ফেলতে হয়। যাতে আগুন বা ফুয়েল ছড়িয়ে না পড়ে। যত দ্রুত সম্ভব ফুয়েল পাইপলাইন বা ট্যাঙ্ক থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে হয়। আর ফোম ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষ ফায়ার টেন্ডার (ফায়ার ট্রাক) প্রস্তুত রাখতে হয়। এই ফায়ার টেন্ডার আগুন দ্রুত নেভায়। আরও বড় ক্ষতি রোধ করে।
গত শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ সমাবেশ আয়োজন করা হয় সাত দফা দাবিতে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে বাধা পেয়ে আসা দলটি সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে সারা দেশের বিপুল নেতাকর্মীর ঢল নামায়।
২ দিন আগেসাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বারবার দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ ওঠেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলে খায়রুল হক ছিলেন মূল কারিগর।
২ দিন আগেঢাকা শহরে এখন পর্যন্ত ছয়বার লোকালয়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনা বাদ দিলে আগের ৫টি বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮ জন।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ফাইটার জেট) বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ (সোমবার) দুপুর ১টা ৩০মিনিটের দিকে উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট তৌকিরসহ অনেকের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
৫ দিন আগে