leadT1ad

ট্রাম্পের চাপের মধ্যে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র গ্যাস চুক্তি

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৪
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি এখনও ভারতের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে ভারত। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে যে পরিমাণ তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ করবে, তা ভারতের মোট আমদানির প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করবে।

আগস্টে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত করেন। মার্কিন কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, ভারত রাশিয়ার কম দামে দেওয়া তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার তেল আমদানি কমাতে সম্মত হয়েছেন, যা একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির অংশ। তবে ভারত এ দাবি নিশ্চিত করেনি।

বাণিজ্য, কৃষিপণ্য এবং রাশিয়ার তেল ক্রয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দুই দেশ আলোচনায় রয়েছে।

ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানান, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের গালফ কোস্ট অঞ্চল থেকে বছরে ২২ লাখ টন এলপিজি আমদানি করার জন্য এক বছরের একটি চুক্তি করেছে। এটি ভারতের বার্ষিক এলপিজি আমদানির প্রায় ১০ শতাংশের সমান।

পুরি বলেন, এটি ‘ভারতীয় বাজারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এলপিজির প্রথম কাঠামোবদ্ধ চুক্তি’। তিনি আরও জানান, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি নিশ্চিত করতে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে আমদানি করছে। তাঁর মতে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং দ্রুত-বর্ধনশীল এলপিজি বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে।

অক্টোবরে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এইচপিসিএল-মিত্তাল এনার্জি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তারা রুশ তেল কেনা বন্ধ করেছে। ভারতীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তারা মূল্যায়ন করছে।

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ভারত জুনের শেষে শেষ হওয়া তিন মাসে পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের আস্থার উন্নতি বড় ভূমিকা রাখে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি এখনও অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দ্রুত কোনো শিথিলতা না এলে চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬০ থেকে ৮০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

সূত্র: দ্য ডন

Ad 300x250

সম্পর্কিত