রাজনৈতিক দল সহযোগিতা না করলে সুন্দর নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, কমিশন সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে যত প্রস্তুতি নিক, দলগুলো সমস্যা করতে চাইলে নির্বাচনের চিত্রই নষ্ট হয়ে যাবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলমান সংলাপের তৃতীয় দিনে সোমবার (১৭ নভেম্বর) স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে, ‘নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পর– তিন পর্যায়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা কমাতে নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে পালনের বিকল্প নেই। এ কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব, নির্দেশনা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আচরণবিধির খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়। অনেক দল ও সংগঠন লিখিত মতামত দিয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে আচরণবিধির চূড়ান্ত রূপ তৈরি করা হয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের প্রার্থী ও কর্মীদের আচরণবিধি মানতে উৎসাহিত করবেন। তাহলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হবে।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘দেশটা আমাদের সবার। সুন্দর দেশ রেখে যেতে হলে একটি সুন্দর নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হলে দেশের ভবিষ্যতও সুন্দর হবে।’
তিনি বলেন, ’নানা বাস্তবতার কারণে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে দেরি হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পরই ইসিকে বড় বড় কাজ হাতে নিতে হয়েছে। বিশেষ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ।’
সিইসি জানান, ‘কিছু নতুন ও জটিল কাজও ইসিকে করতে হয়েছে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটদান, কারাবন্দিদের পোস্টাল ব্যালট সুবিধা ও পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাকে কার্যকরে কাজ করতে হয়েছে। এসব কাজ কেউ কোনো দিন করেনি। নানা জটিলতা সত্ত্বেও আমরা সাহস করে শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ এসেছে। কমিশন পিছিয়ে যায়নি। বরং ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ জাহাজের নাবিকের মতো এগিয়ে চলেছি। যত ঝড় আসুক, আমরা মোকাবেলা করব। সুন্দর একটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা দরকার, করব।’
সোমবার প্রথমে সংলাপে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)।