পূর্ণিমার চাঁদ কি সত্যিই আমাদের মন ও আচরণকে প্রভাবিত করে? চাঁদকে ঘিরে আছে প্রচলিত মিথ আর লোকসংস্কৃতি। চাঁদ নিয়ে কথা বলেছেন মনোবিজ্ঞানীরাও। ধর্মীয় উৎসব থেকে শুরু করে ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আছে চাঁদের প্রভাব। আমাদের মন ও পুরাণের সঙ্গে কীভাবে বাঁধা পড়েছে চাঁদ? আজ পূর্ণিমা রাতে জানা যাক সে কাহিনি।
স্ট্রিম ডেস্ক
শরতের সাদা মেঘের ফাঁক গলে উঠে এসেছে চাঁদ। আকাশে আজ ভরা পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমাতেই আছে দুটি ধর্মীয় উৎসব। কোজাগরী পূর্ণিমা ও প্রবারণা পূর্ণিমা। দুটি আলাদা ধর্মীয় উৎসব। তবু চাঁদের আলোই মিলিয়ে দেয় মানুষকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাত জেগে করবেন লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা। হিন্দু পুরাণ মতে, এই পূর্ণিমা রাতেই লক্ষ্মীদেবী ভক্তের ঘরে আসেন। আর বৌদ্ধদের মতে, এই পুর্ণিমা পালনে ভিক্ষুদের পাপমোচন হয়। তিন মাস বর্ষাবাস শেষে তাঁরা এই পুর্ণিমা উদ্যাপন করেন।
আবার, মান্না দের গাওয়া ‘চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি’ গানের মতো চাঁদকে ঘিরে মানুষের রোমান্টিকতার অন্ত নেই। এমনকি ‘পাগলামি’ বা ‘লুনাটিক’ শব্দটা এসেছে চাঁদের লাতিন নাম ‘লুনা’ থেকে।
কৃষির সঙ্গে চাঁদ সুর্যের সম্পর্ক বৈজ্ঞানিক। শরৎকালে যে পূর্ণিমা হয়, তাকে ‘ফসলের চাঁদ’ বা ‘হারভেস্ট মুন’ বলা হয়। এই পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দিগন্তের ওপরে অনেক দ্রুত ওঠে এবং রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে আলো দেয়। এটি প্রাচীনকালে কৃষকদের রাতের বেলায় ফসল কাটতে সাহায্য করত। এই বিশেষ পূর্ণিমায় ফসল কাটার প্রথা প্রচলিত ছিল।
গ্রিস আর রোমের আকাশে চাঁদ ছিল দেবীর রূপে কল্পনা করা হতো। গ্রিকদের কাছে তিনি ছিলেন ‘সেলিন’ নামে পরিচিত। আর রোমানদের কাছে ‘লুনা’। কথিত আছে, তিনি রাতের আকাশে তার রুপালি রথে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন।
পৃথিবীর আরেক প্রান্তে চাঁদের গল্পটা অন্যরকম। জাপানে চাঁদ কোনো দেবী নন। এক পুরুষ দেবতা—‘সুকুয়োমি’। তিনি ছিলেন সৃষ্টির দেবতা ইজানাগির তিন সন্তানের একজন।
ভারতে চাঁদের কাহিনিটি প্রেম, অভিশাপ আর ভাগ্যের সুতোয় বাঁধা। এখানকার দেবতা হলেন চন্দ্র। তিনি দশটি দুধসাদা ঘোড়ায় টানা রথে চড়ে আকাশ পরিক্রম করেন। পুরাণে আছে, তার ২৭ জন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি কেবল একজনের প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিলেন। এই পক্ষপাতিত্বের শাস্তি হিসেবে শ্বশুর দক্ষের কাছ থেকে অভিশাপ পেয়ে ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে শুরু করেন। বলা হয়, এই পৌরাণিক কাহিনিই চাঁদের কৃষ্ণপক্ষ আর শুক্লপক্ষের কারণ।
হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে চন্দ্রের গুরুত্ব অনেক। বিশ্বাস করা হয়, জন্মের সময় আকাশে চাঁদের অবস্থানই একজন মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
নর্স পুরাণের ভাইকিংদের কাছে চাঁদ কোনো আরাধ্য দেবতা ছিল না। ছিল এক অসহায় সত্তা। তাদের বিশ্বাসে, চাঁদ হলো এক পুরুষ। যার নাম মানি। আর এক অনন্ত দৌঁড়ে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে হাতি নামের এক ক্ষুধার্ত নেকড়ের তাড়া খেয়ে। ভাইকিংদের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, একদিন সেই নেকড়ে ঠিকই মানিকে ধরে ফেলবে এবং গিলে খাবে। আর সেই ভয়ংকর দিনেই শুরু হবে পৃথিবীর মহাপ্রলয়।
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, মানুষের ওপর চাঁদের প্রভাব নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তার বেশির ভাগেরই ফলাফল ভিন্ন রকম। মনোবিজ্ঞানী সুসান অ্যালবার্সের গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ণিমার কাছাকাছি সময়ে আমাদের ঘুম গভীর হতে একটু বেশি সময় নেয়। ফলে আমরা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম ঘুমাই। সুসান বলছেন, এর একটা সহজ কারণ হতে পারে চাঁদের উজ্জ্বল আলো। আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নামে একটা হরমোন আছে। যা ঘুম আনতে সাহায্য করে। রাতের বেলায় বেশি আলো থাকলে এই হরমোন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই ঘুম আসতে দেরি হয়।
শরতের সাদা মেঘের ফাঁক গলে উঠে এসেছে চাঁদ। আকাশে আজ ভরা পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমাতেই আছে দুটি ধর্মীয় উৎসব। কোজাগরী পূর্ণিমা ও প্রবারণা পূর্ণিমা। দুটি আলাদা ধর্মীয় উৎসব। তবু চাঁদের আলোই মিলিয়ে দেয় মানুষকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাত জেগে করবেন লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা। হিন্দু পুরাণ মতে, এই পূর্ণিমা রাতেই লক্ষ্মীদেবী ভক্তের ঘরে আসেন। আর বৌদ্ধদের মতে, এই পুর্ণিমা পালনে ভিক্ষুদের পাপমোচন হয়। তিন মাস বর্ষাবাস শেষে তাঁরা এই পুর্ণিমা উদ্যাপন করেন।
আবার, মান্না দের গাওয়া ‘চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি’ গানের মতো চাঁদকে ঘিরে মানুষের রোমান্টিকতার অন্ত নেই। এমনকি ‘পাগলামি’ বা ‘লুনাটিক’ শব্দটা এসেছে চাঁদের লাতিন নাম ‘লুনা’ থেকে।
কৃষির সঙ্গে চাঁদ সুর্যের সম্পর্ক বৈজ্ঞানিক। শরৎকালে যে পূর্ণিমা হয়, তাকে ‘ফসলের চাঁদ’ বা ‘হারভেস্ট মুন’ বলা হয়। এই পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দিগন্তের ওপরে অনেক দ্রুত ওঠে এবং রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে আলো দেয়। এটি প্রাচীনকালে কৃষকদের রাতের বেলায় ফসল কাটতে সাহায্য করত। এই বিশেষ পূর্ণিমায় ফসল কাটার প্রথা প্রচলিত ছিল।
গ্রিস আর রোমের আকাশে চাঁদ ছিল দেবীর রূপে কল্পনা করা হতো। গ্রিকদের কাছে তিনি ছিলেন ‘সেলিন’ নামে পরিচিত। আর রোমানদের কাছে ‘লুনা’। কথিত আছে, তিনি রাতের আকাশে তার রুপালি রথে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন।
পৃথিবীর আরেক প্রান্তে চাঁদের গল্পটা অন্যরকম। জাপানে চাঁদ কোনো দেবী নন। এক পুরুষ দেবতা—‘সুকুয়োমি’। তিনি ছিলেন সৃষ্টির দেবতা ইজানাগির তিন সন্তানের একজন।
ভারতে চাঁদের কাহিনিটি প্রেম, অভিশাপ আর ভাগ্যের সুতোয় বাঁধা। এখানকার দেবতা হলেন চন্দ্র। তিনি দশটি দুধসাদা ঘোড়ায় টানা রথে চড়ে আকাশ পরিক্রম করেন। পুরাণে আছে, তার ২৭ জন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি কেবল একজনের প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিলেন। এই পক্ষপাতিত্বের শাস্তি হিসেবে শ্বশুর দক্ষের কাছ থেকে অভিশাপ পেয়ে ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে শুরু করেন। বলা হয়, এই পৌরাণিক কাহিনিই চাঁদের কৃষ্ণপক্ষ আর শুক্লপক্ষের কারণ।
হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে চন্দ্রের গুরুত্ব অনেক। বিশ্বাস করা হয়, জন্মের সময় আকাশে চাঁদের অবস্থানই একজন মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
নর্স পুরাণের ভাইকিংদের কাছে চাঁদ কোনো আরাধ্য দেবতা ছিল না। ছিল এক অসহায় সত্তা। তাদের বিশ্বাসে, চাঁদ হলো এক পুরুষ। যার নাম মানি। আর এক অনন্ত দৌঁড়ে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে হাতি নামের এক ক্ষুধার্ত নেকড়ের তাড়া খেয়ে। ভাইকিংদের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, একদিন সেই নেকড়ে ঠিকই মানিকে ধরে ফেলবে এবং গিলে খাবে। আর সেই ভয়ংকর দিনেই শুরু হবে পৃথিবীর মহাপ্রলয়।
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, মানুষের ওপর চাঁদের প্রভাব নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তার বেশির ভাগেরই ফলাফল ভিন্ন রকম। মনোবিজ্ঞানী সুসান অ্যালবার্সের গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ণিমার কাছাকাছি সময়ে আমাদের ঘুম গভীর হতে একটু বেশি সময় নেয়। ফলে আমরা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম ঘুমাই। সুসান বলছেন, এর একটা সহজ কারণ হতে পারে চাঁদের উজ্জ্বল আলো। আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নামে একটা হরমোন আছে। যা ঘুম আনতে সাহায্য করে। রাতের বেলায় বেশি আলো থাকলে এই হরমোন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই ঘুম আসতে দেরি হয়।
আজ ৬ অক্টোবর নুডলস দিবস। বাংলাদেশে নুডলস বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। ঝটপট তৈরি করা যায় বলে বাজারে এখন ইনস্ট্যান্ট নুডলসের চাহিদা বেড়েছে। ইনস্ট্যান্ট নুডলসের কথা উঠলে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, আসলেই কি দুই মিনিটে নুডলস রান্না করা যায়? আমাদের মনে এই ধারণা এল কীভাবে?
৫ ঘণ্টা আগেআজ জাতীয় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন দিবস। প্রতি বছর ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস’ এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় ২০২১ সালে। নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করা জরুরি। এই আবেদন ঘরে বসে অনলাইনেই করা যায়। কিন্তু কীভাবে করবেন, কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন হয়?
১০ ঘণ্টা আগেটোল-মক্তব থেকে হালের অনলাইন টিচিং, এই দীর্ঘ যাত্রা সমাজ রূপান্তরের ইতিহাসও বটে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক, নৈতিকতার চর্চা এবং সমাজে জ্ঞানের অবস্থানও এখানে আলোচ্য। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ফিরে তাকানো যাক ইতিহাসের দিকে। দেখা যাবে, প্রতিটি ধাপে শিক্ষক ছিলেন পরিবর্তনের কেন্দ্রে।
১ দিন আগেইতালির তুসকানি রাজ্যের ফ্লোরেন্সের কাছেই অবস্থিত এক অখ্যাত গ্রাম বারবিয়ানা। সেই গ্রামে এক স্কুল ছিল। সেই স্কুলের আটজন ছাত্র মিলে তাদের শিক্ষকদের লিখেছিল কিছু কথা। জীবন ঘষে পাওয়া সেই প্রতিটা শব্দ যেন ভাবায় আমাদের, জানায় অমিত সম্ভাবনার জীবনকে কীভাবে আমরা নষ্ট করে ফেলি অযোগ্য মানুষের ভুল দিকনির্দেশনায়।
১ দিন আগে