.png)
আজ গিটার-জাদুকর জিমি হেনড্রিক্সের মৃত্যুদিন। রক আইকন জিমির মৃত্যুদিনে আমরা ফিরে দেখব ১৯৬৭ সালের মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে। সেদিন কেন তিনি নিজের গিটারে আগুন ধরিয়েছিলেন? সেই মুহূর্তের ছবিকে আজও রক ইতিহাসের সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে মনে করা হয়।

গৌতম কে শুভ

অনেকেই জিমি হেনড্রিক্সকে সর্বকালের সেরা গিটারিস্ট বলে থাকেন। প্রভাবশালী ‘রোলিং স্টোন’ ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে তামাম দুনিয়ার নানা সংগীত গবেষক, নামকরা মিউজিশিয়ান এবং অগণিত শ্রোতারা তাঁকে এই স্থান দিয়েছেন। স্টেজে জিমি যখন গিটার বাজাতেন, তখন তিনি এক অন্য জগতে চলে যেতেন। বাজানোর সময় সবকিছু ভুলে যেতেন, আর মিলিয়ে যেতেন সুরের অতলে।
জিমি হেনড্রিক্স গানও গাইতেন, কিন্তু চেয়েছিলেন গিটারকেই প্রধান ‘কণ্ঠ’ হিসেবে দাঁড় করাতে। স্টেজে তিনি ছিলেন আসলেই পরফরম্যান্সের জাদুকর। ১৯৬৭ সালের ১৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালে পারফরম্যান্সের সময় তিনি নিজের ফেন্ডার স্ট্র্যাটোকাস্টার গিটারে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই মুহূর্তের ছবিকে আজও রক ইতিহাসের সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে ধরা হয়।

এই মিউজিক ফেস্টিভ্যাল জিমির কাছে ছিল স্বপ্নপূরণের সুযোগ। কারণ, জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে হলেও প্রথমে তাঁর জনপ্রিয়তা আসে যুক্তরাজ্য থেকে। ১৯৬৭ সালের দিকে আমেরিকার মেইনস্ট্রিম দর্শকের কাছে তিনি ছিলেন অচেনা। ব্রিটেনে থাকাকালীন তিনি ভাবতেন, যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকরা তাঁকে দেখুক, বুঝুক এবং জানুক যে তাঁর ব্যান্ড নতুন সাউন্ড নিয়ে এসেছে মিউজিক সিনে। মন্টেরি জিমির সেই স্বপ্নকেই চূড়ান্ত রূপ দেয়।
জিমি হেনড্রিক্সের সেদিনের সেটলিস্ট
মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালে ‘জিমি হেনড্রিক্স এক্সপেরিয়েন্স’ ব্যান্ডের সেটলিস্টের অর্ধেকের বেশি গানই ছিল কভার। ক্লাসিক ব্লুজ থেকে শুরু করে সমসাময়িক ফোক-পপ হিট, সবই বাজালেন হেনড্রিক্স। কিন্তু তা একেবারে নিজের স্টাইলে, নিজের সাউন্ডে।
স্টেজে ওঠার মুহূর্তেই মন্টেরির মাঠে হাওয়ার গতি বদলে গেল। হেনড্রিক্সের সঙ্গে ড্রামসে ছিলেন মিশেল আর বেইজ গিটারে নোয়েল রেডিং। প্রথমেই শুরু হলো হাউলিন উলফের ‘কিলিং ফ্লোর’। গিটারের প্রথম রিফ বাজতেই দর্শকরা চমকে উঠল। এত জোরালো, এত অচেনা সাউন্ড আগে শোনেননি তাঁরা। স্টেজে গিটার সব সময়ই হেনড্রিক্সের শরীরেরই অংশ হয়ে যায়। দাঁত দিয়ে বাজানো, ঘাড়ের পেছনে ঘুরিয়ে বাজানো, আবার কখনো গিটার আকাশের দিকে তুলে সলো বাজানো; সেদিন কিছুই বাদ গেল না। সাধে কি আর জিমিকে সবাই ‘গ্রেট সাউন্ড এক্সপেরিমেন্টর’ বলে?

গান থেকে গানে জিমি হেনড্রিক্সের গিটারের ঝংকার বাড়তেই থাকল। তিনি বাজালেন ‘ফক্সি লেডি’, ‘হে জো’র মতো সাইকেডেলিক-ব্লুজ-গ্যারেজ রক গান। মাঝখানে যখন বাজালেন ‘দ্য উইন্ড ক্রাইজ মেরি’, হঠাৎ পুরো আবহ গেল পাল্টে। শান্ত, বিষণ্ন সুরে দর্শকরা ডুবে গেল এক অন্য জগতে।
জিমি হেনড্রিক্সের পুরো পারফরম্যান্সটাই ছিল এক্সপেরিমেন্টাল। রক, ব্লুজ, কান্ট্রি, ফাঙ্ক মিশে তৈরি হলো নতুন সাউন্ডস্কেপ। তাঁর পারফরম্যান্সের মধ্যে ছিল একধরনের নিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খলা। তিনি জানতেন, কীভাবে দর্শকের চোখ আর কান দখল করতে হয়। গিটার উল্টো করে বাজানো, কাঁধে তুলে বাজানো, দাঁত দিয়ে স্ট্রিং টানার মতো ‘গিটার স্টাইল’ ছিল দর্শকদের জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা।
শেষের দিকে এলো বব ডিলানের বিখ্যাত গান ‘লাইক আ রোলিং স্টোন’। ডিলানের কণ্ঠের ভাবালুতাকে হেনড্রিক্স রূপ ‘পিওর রক’ সাউন্ডে। আর সবশেষে বাজল ‘ওয়াইল্ড থিং’, যেটা জিমির সে দিনের পারফরম্যান্সের বিস্ফোরণময় ক্লাইম্যাক্স।
আগুনে জ্বলল জিমি হেনড্রিক্সের গিটার
জিমি হেনড্রিক্স ‘ওয়াইল্ড থিং’ গানে অনেকক্ষণ ইম্প্রোভাইজ করলেন। গিটার সলো পুরোপুরি বেজের সঙ্গে মিশে যাচ্ছিল। একসময় তিনি গিটারটিকে অ্যাম্প্লিফায়ারের সঙ্গে ঘষলেন, যেন শব্দ আরও তীব্র হয়।
তারপর হেনড্রিক্স তাঁর লাল-সাদা ফেন্ডার স্ট্র্যাটোকাস্টার গিটার স্টেজের পাটাতনে রাখলেন। দর্শকেরা চমকে গেলেন। কেউ ভাবলেন, এবার হয়তো তিনি গিটার ভাঙবেন। কারণ, ‘দ্য হু’ ব্যান্ড একটু আগেই সেটা করেছে। কিন্তু হেনড্রিক্সের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন।

জিমি তখন হাঁটু গেড়ে বসে ছিলেন গিটারের সামনে। চোখ বন্ধ করে মাথা দোলাচ্ছিলেন ড্রামস-বেইজের তালে। মাঝেমধ্যে তিনি গিটারের তাঁর ছুঁয়ে বের করছিলেন ডিস্টরশন। স্টেজের সামনে হাজার হাজার রকার তখন উপভোগ করছেন রক কনসার্টের আসল এনার্জি।
একসময় হেনড্রিক্স তাঁর প্রিয় গিটারটিতে লাইটার ফ্লুইড ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন। আগুন কিছুক্ষণ জ্বলে থাকল। আর হেনড্রিক্সকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি দুই হাত দিয়ে আগুনকে আহ্বান জানাচ্ছেন। যেন আগুনের সঙ্গে নিজেই কথা বলছেন। শেষে তিনি গিটার ভেঙে টুকরা টুকরা করে দর্শকদের দিকে ছুঁড়ে দিলেন। সেই দৃশ্য পুরো পারফরম্যান্সকে আরও জীবন্ত করে তুলল।
জিমি হেনড্রিক্স কেন গিটারে আগুন ধরিয়েছিলেন
মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালের পরের দিনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বড় সংবাদপত্রে ছবি ছাপা হলো। জিমি হেনড্রিক্স হাঁটু গেড়ে বসে আগুনে জ্বলতে থাকা গিটারের সামনে বসে আছেন। সবার মাথায় তখন একটাই প্রশ্ন, জিমি হেনড্রিক্স এটা কেন করলেন?

কিছুদিন পর এক সাক্ষাৎকারে হেনড্রিক্সকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হলো, কেন তিনি এত দামি এবং প্রিয় গিটারটিতে আগুন দিলেন। হেনড্রিক্স একটু হেসে বললেন, ‘আমি শুধু ভেবেছিলাম, আমি যেটাকে সবচেয়ে ভালোবাসি, সেটাই উৎসর্গ করি।’ আসলে তিনি নিজের শিল্পীসত্তাকেই মঞ্চে উৎসর্গ করেছিলেন। এটি ছিল একধরনের আত্মত্যাগের প্রতীক। কয়েকজন সংগীত সমালোচক বলেছিলেন, সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল হেনড্রিক্স যেন নিজেকেই আগুনে দিচ্ছেন।
জিমি হেনড্রিক্সকে গিটারিস্টদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পারফরম্যান্স আর্টিস্ট হিসেবে দেখা হয়। মঞ্চে তিনি প্রতিটি মুহূর্তকে এক অভিনব প্রদর্শনীর মতো সাজাতেন। ১৯৬৭ সালের মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালের সেই ঘটনা আজও রক ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। হেনড্রিক্সের সংগীতজীবন, নতুন গিটার-স্টাইল এবং প্রচলিত নিয়ম ভাঙার সাহস তাঁকে শুধু রক মিউজিকের কিংবদন্তি বানায়নি; সেই সাহসই তাঁকে ষাটের দশকের মিউজিকে কাউন্টারকালচারের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

অনেকেই জিমি হেনড্রিক্সকে সর্বকালের সেরা গিটারিস্ট বলে থাকেন। প্রভাবশালী ‘রোলিং স্টোন’ ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে তামাম দুনিয়ার নানা সংগীত গবেষক, নামকরা মিউজিশিয়ান এবং অগণিত শ্রোতারা তাঁকে এই স্থান দিয়েছেন। স্টেজে জিমি যখন গিটার বাজাতেন, তখন তিনি এক অন্য জগতে চলে যেতেন। বাজানোর সময় সবকিছু ভুলে যেতেন, আর মিলিয়ে যেতেন সুরের অতলে।
জিমি হেনড্রিক্স গানও গাইতেন, কিন্তু চেয়েছিলেন গিটারকেই প্রধান ‘কণ্ঠ’ হিসেবে দাঁড় করাতে। স্টেজে তিনি ছিলেন আসলেই পরফরম্যান্সের জাদুকর। ১৯৬৭ সালের ১৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালে পারফরম্যান্সের সময় তিনি নিজের ফেন্ডার স্ট্র্যাটোকাস্টার গিটারে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই মুহূর্তের ছবিকে আজও রক ইতিহাসের সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে ধরা হয়।

এই মিউজিক ফেস্টিভ্যাল জিমির কাছে ছিল স্বপ্নপূরণের সুযোগ। কারণ, জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে হলেও প্রথমে তাঁর জনপ্রিয়তা আসে যুক্তরাজ্য থেকে। ১৯৬৭ সালের দিকে আমেরিকার মেইনস্ট্রিম দর্শকের কাছে তিনি ছিলেন অচেনা। ব্রিটেনে থাকাকালীন তিনি ভাবতেন, যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকরা তাঁকে দেখুক, বুঝুক এবং জানুক যে তাঁর ব্যান্ড নতুন সাউন্ড নিয়ে এসেছে মিউজিক সিনে। মন্টেরি জিমির সেই স্বপ্নকেই চূড়ান্ত রূপ দেয়।
জিমি হেনড্রিক্সের সেদিনের সেটলিস্ট
মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালে ‘জিমি হেনড্রিক্স এক্সপেরিয়েন্স’ ব্যান্ডের সেটলিস্টের অর্ধেকের বেশি গানই ছিল কভার। ক্লাসিক ব্লুজ থেকে শুরু করে সমসাময়িক ফোক-পপ হিট, সবই বাজালেন হেনড্রিক্স। কিন্তু তা একেবারে নিজের স্টাইলে, নিজের সাউন্ডে।
স্টেজে ওঠার মুহূর্তেই মন্টেরির মাঠে হাওয়ার গতি বদলে গেল। হেনড্রিক্সের সঙ্গে ড্রামসে ছিলেন মিশেল আর বেইজ গিটারে নোয়েল রেডিং। প্রথমেই শুরু হলো হাউলিন উলফের ‘কিলিং ফ্লোর’। গিটারের প্রথম রিফ বাজতেই দর্শকরা চমকে উঠল। এত জোরালো, এত অচেনা সাউন্ড আগে শোনেননি তাঁরা। স্টেজে গিটার সব সময়ই হেনড্রিক্সের শরীরেরই অংশ হয়ে যায়। দাঁত দিয়ে বাজানো, ঘাড়ের পেছনে ঘুরিয়ে বাজানো, আবার কখনো গিটার আকাশের দিকে তুলে সলো বাজানো; সেদিন কিছুই বাদ গেল না। সাধে কি আর জিমিকে সবাই ‘গ্রেট সাউন্ড এক্সপেরিমেন্টর’ বলে?

গান থেকে গানে জিমি হেনড্রিক্সের গিটারের ঝংকার বাড়তেই থাকল। তিনি বাজালেন ‘ফক্সি লেডি’, ‘হে জো’র মতো সাইকেডেলিক-ব্লুজ-গ্যারেজ রক গান। মাঝখানে যখন বাজালেন ‘দ্য উইন্ড ক্রাইজ মেরি’, হঠাৎ পুরো আবহ গেল পাল্টে। শান্ত, বিষণ্ন সুরে দর্শকরা ডুবে গেল এক অন্য জগতে।
জিমি হেনড্রিক্সের পুরো পারফরম্যান্সটাই ছিল এক্সপেরিমেন্টাল। রক, ব্লুজ, কান্ট্রি, ফাঙ্ক মিশে তৈরি হলো নতুন সাউন্ডস্কেপ। তাঁর পারফরম্যান্সের মধ্যে ছিল একধরনের নিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খলা। তিনি জানতেন, কীভাবে দর্শকের চোখ আর কান দখল করতে হয়। গিটার উল্টো করে বাজানো, কাঁধে তুলে বাজানো, দাঁত দিয়ে স্ট্রিং টানার মতো ‘গিটার স্টাইল’ ছিল দর্শকদের জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা।
শেষের দিকে এলো বব ডিলানের বিখ্যাত গান ‘লাইক আ রোলিং স্টোন’। ডিলানের কণ্ঠের ভাবালুতাকে হেনড্রিক্স রূপ ‘পিওর রক’ সাউন্ডে। আর সবশেষে বাজল ‘ওয়াইল্ড থিং’, যেটা জিমির সে দিনের পারফরম্যান্সের বিস্ফোরণময় ক্লাইম্যাক্স।
আগুনে জ্বলল জিমি হেনড্রিক্সের গিটার
জিমি হেনড্রিক্স ‘ওয়াইল্ড থিং’ গানে অনেকক্ষণ ইম্প্রোভাইজ করলেন। গিটার সলো পুরোপুরি বেজের সঙ্গে মিশে যাচ্ছিল। একসময় তিনি গিটারটিকে অ্যাম্প্লিফায়ারের সঙ্গে ঘষলেন, যেন শব্দ আরও তীব্র হয়।
তারপর হেনড্রিক্স তাঁর লাল-সাদা ফেন্ডার স্ট্র্যাটোকাস্টার গিটার স্টেজের পাটাতনে রাখলেন। দর্শকেরা চমকে গেলেন। কেউ ভাবলেন, এবার হয়তো তিনি গিটার ভাঙবেন। কারণ, ‘দ্য হু’ ব্যান্ড একটু আগেই সেটা করেছে। কিন্তু হেনড্রিক্সের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন।

জিমি তখন হাঁটু গেড়ে বসে ছিলেন গিটারের সামনে। চোখ বন্ধ করে মাথা দোলাচ্ছিলেন ড্রামস-বেইজের তালে। মাঝেমধ্যে তিনি গিটারের তাঁর ছুঁয়ে বের করছিলেন ডিস্টরশন। স্টেজের সামনে হাজার হাজার রকার তখন উপভোগ করছেন রক কনসার্টের আসল এনার্জি।
একসময় হেনড্রিক্স তাঁর প্রিয় গিটারটিতে লাইটার ফ্লুইড ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন। আগুন কিছুক্ষণ জ্বলে থাকল। আর হেনড্রিক্সকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি দুই হাত দিয়ে আগুনকে আহ্বান জানাচ্ছেন। যেন আগুনের সঙ্গে নিজেই কথা বলছেন। শেষে তিনি গিটার ভেঙে টুকরা টুকরা করে দর্শকদের দিকে ছুঁড়ে দিলেন। সেই দৃশ্য পুরো পারফরম্যান্সকে আরও জীবন্ত করে তুলল।
জিমি হেনড্রিক্স কেন গিটারে আগুন ধরিয়েছিলেন
মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালের পরের দিনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বড় সংবাদপত্রে ছবি ছাপা হলো। জিমি হেনড্রিক্স হাঁটু গেড়ে বসে আগুনে জ্বলতে থাকা গিটারের সামনে বসে আছেন। সবার মাথায় তখন একটাই প্রশ্ন, জিমি হেনড্রিক্স এটা কেন করলেন?

কিছুদিন পর এক সাক্ষাৎকারে হেনড্রিক্সকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হলো, কেন তিনি এত দামি এবং প্রিয় গিটারটিতে আগুন দিলেন। হেনড্রিক্স একটু হেসে বললেন, ‘আমি শুধু ভেবেছিলাম, আমি যেটাকে সবচেয়ে ভালোবাসি, সেটাই উৎসর্গ করি।’ আসলে তিনি নিজের শিল্পীসত্তাকেই মঞ্চে উৎসর্গ করেছিলেন। এটি ছিল একধরনের আত্মত্যাগের প্রতীক। কয়েকজন সংগীত সমালোচক বলেছিলেন, সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল হেনড্রিক্স যেন নিজেকেই আগুনে দিচ্ছেন।
জিমি হেনড্রিক্সকে গিটারিস্টদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পারফরম্যান্স আর্টিস্ট হিসেবে দেখা হয়। মঞ্চে তিনি প্রতিটি মুহূর্তকে এক অভিনব প্রদর্শনীর মতো সাজাতেন। ১৯৬৭ সালের মন্টেরি পপ ফেস্টিভ্যালের সেই ঘটনা আজও রক ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। হেনড্রিক্সের সংগীতজীবন, নতুন গিটার-স্টাইল এবং প্রচলিত নিয়ম ভাঙার সাহস তাঁকে শুধু রক মিউজিকের কিংবদন্তি বানায়নি; সেই সাহসই তাঁকে ষাটের দশকের মিউজিকে কাউন্টারকালচারের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
.png)

এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা গভীর দুঃখ, কষ্ট বা মানসিক আঘাতে চাইলেও কাঁদতে পারেন না। কিন্তু কেন এমন হয়? এই বিষয়টিকে শারীরবৃত্তীয়, মানসিক ও সামাজিক নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ক্যামেরা অনেকের কাছে স্মৃতি ধরে রাখার সঙ্গী। তাই এটিকে ভালো রাখতে নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি। সঠিকভাবে যত্ন নিলে ক্যামেরা বহু বছর ভালো থাকে। আসলে বাড়িতেই নিজের প্রিয় ক্যামেরাটিকে পরিষ্কার রাখা সম্ভব, শুধু দরকার কিছু সতর্কতা।
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনের অর্থ অনুসন্ধান চিন্তাশীল মানুষের একটি স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা। কেউ তা সন্ধান করতে পেরেছে, কেউ চেষ্টা করে গোটা জীবনই পার করেছে। আবার কেউ মাঝপথে হাল ছেড়ে দিয়েছে। জীবন আপাত মধুর হলেও নেতিবাচকতা তার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। এই নেতি বা শূন্যতার বোধ অবশ্য বাস্তবতা থেকেই আসে।
১ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধের একজন কিংবদন্তী সেক্টর কমান্ডার হয়েও ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই সামরিক আদালতে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি কর্নেল তাহের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নিঃসঙ্কচিত্তের বীর, বিপ্লবী ও ট্র্যাজিক হিরো।
১ দিন আগে