.png)
মায়া সভ্যতার অন্যতম প্রধান নগরীর নাম চিচেন ইৎজা। পৃথিবীর নতুন সাত আশ্চর্যের একটি হিসেবে খ্যাত এই স্থানে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভ্রমণ করেন। চিচেন ইৎজা ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃত এবং ২০০৭ সালে এটি বিশ্বের নতুন সাত আশ্চর্যের মধ্যে স্থান পায়। এই লেখায় থাকছে চিচেন ইৎজা ভ্রমণের গল্প।

জয় বসু

পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের অন্যতম মায়া সভ্যতার বিখ্যাত পিরামিডের শহর চিচেন ইত্জা। মেক্সিকোর এই শহরের নাম প্রথম শুনেছিলাম কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সাধারণ জ্ঞান বইতে। তারপর কেটে গেছে আড়াই দশক। অবশেষে গত জুনে এই বিস্ময়কর স্থাপনা চোখের সামনে দেখার সুযোগ হলো। কানাডা থেকে প্রথমে গিয়েছিলাম মেক্সিকোর ক্যানকুনে। গত সপ্তাহে মেক্সিকোর বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র ক্যানকুন আর ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে মায়াবী দ্বীপ ইসলা মুহেরেস ভ্রমণ নিয়ে লিখেছিলাম। এবারে চিচেন ইত্জা ভ্রমণের গল্প লেখার পালা।

১৬ জুন খুব ভোরে ক্যানকুন থেকে যাত্রা শুরু করলাম। পাড়ি দিতে হবে দুই শ কিলোমিটার পথ। গন্তব্য মেক্সিকোর ইউকাটান রাজ্যের চিচেন ইত্জা। তবে মূল আকর্ষণ চিচেন ইত্জা হলেও যাওয়ার আর ফেরার পথে কয়েকটি জায়গা দেখার পরিকল্পনা করেছিলাম।
ক্যানকুন শহরের সমুদ্রতীর ধরে যাওয়ার সময় শেষবারের মতো শহরটাকে দেখে নিলাম। পাহাড় কেটে বানানো পাথুরে মহাসড়ক ধরে প্রায় ঘণ্টা দুই চলার পর একটা মায়ান গ্রামে পৌঁছালাম। মেক্সিকোর এই অঞ্চল ও চিচেন ইত্জার আশেপাশের এলাকাতে এখনো মায়া সভ্যতার মানুষদের বংশধরেরা বসবাস করেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথাও বলেন মায়ান ভাষায়।

সেই গ্রামে গিয়ে তাকোস, তরতিয়া, তরতাসের মতো জনপ্রিয় মেক্সিকান খাবার থেকে শুরু করে মায়ান লোকেদের রান্না হরেক রকমের খাবার খাওয়ার সুযোগ হলো। এখানে গাইড বিক্রির জন্য আমাদের মায়ান ও অ্যাজটেক সভ্যতার বিখ্যাত অবসিডিয়ান গ্লাস দেখালেন। এটা আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি একধরনের পাথুরে কাচ। এটা দিয়ে সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য দেখা, বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি আর দেবতার মূর্তি তৈরি করা হতো।
মেক্সিকোতে কোনো আগ্নেয়গিরি নেই, তাই তাঁরা বর্তমান মেক্সিকোর দক্ষিণে অবস্থিত গুয়েতেমালার আগ্নেয়গিরি থেকে এই কাচ সংগ্রহ করতেন। এই মায়ান গ্রামে বিশাল এক বিপণিকেন্দ্র দেখলাম, যেখানে অবসিডিয়ান কাচ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিল।

এ ছাড়া পাথরে খোদাই করা হাজার বছর আগের মায়া সভ্যতার বিভিন্ন চিহ্নসম্বলিত সৌর ক্যালেন্ডার থেকে শুরু করে মায়ান পিরামিডের বিভিন্ন সাইজের রেপ্লিকা, মুখোশ, মায়ান যোদ্ধাদের ছোট-বড় ভাস্কর্য বিক্রি হতে দেখলাম। মেক্সিকোর বিশেষ উৎসব ‘মৃত দিবস’ (দিয়া দে লোস মুয়ের্তোস) উপলক্ষে রঙিন নকশা করা মানুষের মাথার ছোট ছোট মূর্তি পাওয়া যায়। স্মৃতিস্মারক হিসেবে ‘শ্যুগার স্কাল’ নামে ছোট ছোট সেই মূর্তিও বিক্রিও হয় সেখানে।
এখান থেকে যাত্রা করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেই কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছালাম। মায়ান ভাষায় যাকে বলা হয় 'চি-চেন ইত্জা', মানে ইত্জাদের কুয়ার মুখ। এখানে কুয়া বলতে এই অঞ্চলে অবস্থিত বিখ্যাত জলাধারের গর্তগুলোকে বোঝানো হয়। এগুলো 'সিনোটে' নামে পরিচিত। মূলত সিনোট একেকটা ছাদ ধসে যাওয়া উন্মুক্ত গুহাঘেরা জলাধার, যেগুলো এই পাহাড়ি এলাকার বিশেষ নিদর্শন।

মায়ান সভ্যতায় চিচেন ইত্জা পানীয় জলের উৎস ও পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত হত। এখানকার স্থানীয় জনগোষ্ঠী 'ইত্জা' নামে পরিচিত ছিল। ইত্জাদের কুয়ায় ঢোকার প্রবেশদ্বার তথা এই চিচেন ইত্জা মায়া সভ্যতার সবচেয়ে বিখ্যাত শহরগুলোর মধ্যে ছিল অন্যতম।
প্রায় দেড় হাজার বছর আগে চিচেন ইত্জার গোড়াপত্তন হয় এবং পিরামিড মন্দিরগুলো নির্মাণের পর এটি তখনকার মায়া সভ্যতার সবচেয়ে বিখ্যাত কেন্দ্র হয়ে ওঠে। মায়ারা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফের মতোই একটি লিখনপদ্ধতি ব্যবহার করত, যাকে ‘মায়া গ্লিফ’ বলা হয়। এটা মিশরীয়দের থেকে অনেক বেশি জটিল এবং এই অঞ্চলের একমাত্র লিখনপদ্ধতি, যার পাঠোদ্ধারও সম্ভব হয়েছে।

যাই হোক, একদম দুপুরবেলায় সূর্য যখন ঠিক মাঝ আকাশে ছিল, তখন টিকিট নিয়ে মায়া সভ্যতার বিস্ময়কর মায়ান পিরামিড প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলাম। অবশেষে, ছোটবেলায় বইয়ে পড়া আর ছবি দেখার আড়াই দশক পর, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই মায়া সভ্যতার বিস্ময়কর পিরামিড নিজ চোখে দেখার সুযোগ পেলাম!
অধিকাংশ মানুষের ধারণা হলো, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ চিচেন ইত্জার সবচেয়ে বড় পিরামিড ‘এল কাস্তিলো’ বা ‘কুকুলকানের মন্দির’ই চিচেন ইত্জা। কিন্তু এই পিরামিডটি মধ্যখানে রেখে চারপাশে বড় একটা মাঠের মতো জায়গায় অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট পিরামিড ও অন্যান্য মন্দির রয়েছে—যেমন যোদ্ধাদের মন্দির, ভেনাসের মন্দির। এর পাশাপাশি এখানে একটি বিশেষ খেলার জন্য ‘দ্য গ্রেট বল কোর্ট’ নামে উন্মুক্ত প্রান্তরও আছে। আসলে এই গোটা জায়গাটাই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

এখানকার প্রতিটি পিরামিড আসলে মায়া সভ্যতার একেকটা মন্দির। প্রধান মন্দিরটাই কুকুলকানের মন্দির। পালক ও পাখাওয়ালা সাপের অবয়বে কুকুলকান দেবতা বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। প্রি-কলম্বিয়ান সময়ের মায়া, অ্যাজটেক, ওলমেক, টোলটেকসহ মেসো-আমেরিকার নানা সভ্যতায় কুকুলকান ছিল প্রধান দেবতা। আমাদের দক্ষ গাইড খুব ভালোভাবে কাগজে-কলমে ইতিহাস দেখিয়ে প্রতিটি স্থাপনার বর্ণনা দিয়েছিলেন।

একটা দারুণ জিনিস জানতে পারলাম—কুকুলকানের বিশাল পিরামিডের সামনে প্রতি পাশে প্রতিটি সিঁড়ির ধাপে ৯১টি করে ধাপ আছে। যখন নিচ থেকে তালি বাজানো হয়, তখন পিরামিড থেকে ‘কোয়েটজাল’ পাখির ডাকের মতো প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়! এ জন্য অনেক পর্যটক এখানে শিশুদের মতো তালি বাজাতে দেখতে পাওয়া যায়।
পিরামিডের চারপাশে মেলার মতো দোকান বসেছে। মুখোশ, পিরামিডের স্মারক, বাঁশিসহ মায়া সভ্যতার অনেক নিদর্শনের স্মারক রেপ্লিকা সেখানে বিক্রি হচ্ছে। তারপর চারদিকে আরও কিছুক্ষণ ঘুরে, শেষবারের মতো বিশাল পিরামিডটার দিকে তাকিয়ে পরবর্তী গন্তব্য ‘সিনোটে’র উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের অন্যতম মায়া সভ্যতার বিখ্যাত পিরামিডের শহর চিচেন ইত্জা। মেক্সিকোর এই শহরের নাম প্রথম শুনেছিলাম কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সাধারণ জ্ঞান বইতে। তারপর কেটে গেছে আড়াই দশক। অবশেষে গত জুনে এই বিস্ময়কর স্থাপনা চোখের সামনে দেখার সুযোগ হলো। কানাডা থেকে প্রথমে গিয়েছিলাম মেক্সিকোর ক্যানকুনে। গত সপ্তাহে মেক্সিকোর বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র ক্যানকুন আর ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে মায়াবী দ্বীপ ইসলা মুহেরেস ভ্রমণ নিয়ে লিখেছিলাম। এবারে চিচেন ইত্জা ভ্রমণের গল্প লেখার পালা।

১৬ জুন খুব ভোরে ক্যানকুন থেকে যাত্রা শুরু করলাম। পাড়ি দিতে হবে দুই শ কিলোমিটার পথ। গন্তব্য মেক্সিকোর ইউকাটান রাজ্যের চিচেন ইত্জা। তবে মূল আকর্ষণ চিচেন ইত্জা হলেও যাওয়ার আর ফেরার পথে কয়েকটি জায়গা দেখার পরিকল্পনা করেছিলাম।
ক্যানকুন শহরের সমুদ্রতীর ধরে যাওয়ার সময় শেষবারের মতো শহরটাকে দেখে নিলাম। পাহাড় কেটে বানানো পাথুরে মহাসড়ক ধরে প্রায় ঘণ্টা দুই চলার পর একটা মায়ান গ্রামে পৌঁছালাম। মেক্সিকোর এই অঞ্চল ও চিচেন ইত্জার আশেপাশের এলাকাতে এখনো মায়া সভ্যতার মানুষদের বংশধরেরা বসবাস করেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথাও বলেন মায়ান ভাষায়।

সেই গ্রামে গিয়ে তাকোস, তরতিয়া, তরতাসের মতো জনপ্রিয় মেক্সিকান খাবার থেকে শুরু করে মায়ান লোকেদের রান্না হরেক রকমের খাবার খাওয়ার সুযোগ হলো। এখানে গাইড বিক্রির জন্য আমাদের মায়ান ও অ্যাজটেক সভ্যতার বিখ্যাত অবসিডিয়ান গ্লাস দেখালেন। এটা আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি একধরনের পাথুরে কাচ। এটা দিয়ে সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য দেখা, বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি আর দেবতার মূর্তি তৈরি করা হতো।
মেক্সিকোতে কোনো আগ্নেয়গিরি নেই, তাই তাঁরা বর্তমান মেক্সিকোর দক্ষিণে অবস্থিত গুয়েতেমালার আগ্নেয়গিরি থেকে এই কাচ সংগ্রহ করতেন। এই মায়ান গ্রামে বিশাল এক বিপণিকেন্দ্র দেখলাম, যেখানে অবসিডিয়ান কাচ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিল।

এ ছাড়া পাথরে খোদাই করা হাজার বছর আগের মায়া সভ্যতার বিভিন্ন চিহ্নসম্বলিত সৌর ক্যালেন্ডার থেকে শুরু করে মায়ান পিরামিডের বিভিন্ন সাইজের রেপ্লিকা, মুখোশ, মায়ান যোদ্ধাদের ছোট-বড় ভাস্কর্য বিক্রি হতে দেখলাম। মেক্সিকোর বিশেষ উৎসব ‘মৃত দিবস’ (দিয়া দে লোস মুয়ের্তোস) উপলক্ষে রঙিন নকশা করা মানুষের মাথার ছোট ছোট মূর্তি পাওয়া যায়। স্মৃতিস্মারক হিসেবে ‘শ্যুগার স্কাল’ নামে ছোট ছোট সেই মূর্তিও বিক্রিও হয় সেখানে।
এখান থেকে যাত্রা করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেই কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছালাম। মায়ান ভাষায় যাকে বলা হয় 'চি-চেন ইত্জা', মানে ইত্জাদের কুয়ার মুখ। এখানে কুয়া বলতে এই অঞ্চলে অবস্থিত বিখ্যাত জলাধারের গর্তগুলোকে বোঝানো হয়। এগুলো 'সিনোটে' নামে পরিচিত। মূলত সিনোট একেকটা ছাদ ধসে যাওয়া উন্মুক্ত গুহাঘেরা জলাধার, যেগুলো এই পাহাড়ি এলাকার বিশেষ নিদর্শন।

মায়ান সভ্যতায় চিচেন ইত্জা পানীয় জলের উৎস ও পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত হত। এখানকার স্থানীয় জনগোষ্ঠী 'ইত্জা' নামে পরিচিত ছিল। ইত্জাদের কুয়ায় ঢোকার প্রবেশদ্বার তথা এই চিচেন ইত্জা মায়া সভ্যতার সবচেয়ে বিখ্যাত শহরগুলোর মধ্যে ছিল অন্যতম।
প্রায় দেড় হাজার বছর আগে চিচেন ইত্জার গোড়াপত্তন হয় এবং পিরামিড মন্দিরগুলো নির্মাণের পর এটি তখনকার মায়া সভ্যতার সবচেয়ে বিখ্যাত কেন্দ্র হয়ে ওঠে। মায়ারা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফের মতোই একটি লিখনপদ্ধতি ব্যবহার করত, যাকে ‘মায়া গ্লিফ’ বলা হয়। এটা মিশরীয়দের থেকে অনেক বেশি জটিল এবং এই অঞ্চলের একমাত্র লিখনপদ্ধতি, যার পাঠোদ্ধারও সম্ভব হয়েছে।

যাই হোক, একদম দুপুরবেলায় সূর্য যখন ঠিক মাঝ আকাশে ছিল, তখন টিকিট নিয়ে মায়া সভ্যতার বিস্ময়কর মায়ান পিরামিড প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলাম। অবশেষে, ছোটবেলায় বইয়ে পড়া আর ছবি দেখার আড়াই দশক পর, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই মায়া সভ্যতার বিস্ময়কর পিরামিড নিজ চোখে দেখার সুযোগ পেলাম!
অধিকাংশ মানুষের ধারণা হলো, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ চিচেন ইত্জার সবচেয়ে বড় পিরামিড ‘এল কাস্তিলো’ বা ‘কুকুলকানের মন্দির’ই চিচেন ইত্জা। কিন্তু এই পিরামিডটি মধ্যখানে রেখে চারপাশে বড় একটা মাঠের মতো জায়গায় অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট পিরামিড ও অন্যান্য মন্দির রয়েছে—যেমন যোদ্ধাদের মন্দির, ভেনাসের মন্দির। এর পাশাপাশি এখানে একটি বিশেষ খেলার জন্য ‘দ্য গ্রেট বল কোর্ট’ নামে উন্মুক্ত প্রান্তরও আছে। আসলে এই গোটা জায়গাটাই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

এখানকার প্রতিটি পিরামিড আসলে মায়া সভ্যতার একেকটা মন্দির। প্রধান মন্দিরটাই কুকুলকানের মন্দির। পালক ও পাখাওয়ালা সাপের অবয়বে কুকুলকান দেবতা বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। প্রি-কলম্বিয়ান সময়ের মায়া, অ্যাজটেক, ওলমেক, টোলটেকসহ মেসো-আমেরিকার নানা সভ্যতায় কুকুলকান ছিল প্রধান দেবতা। আমাদের দক্ষ গাইড খুব ভালোভাবে কাগজে-কলমে ইতিহাস দেখিয়ে প্রতিটি স্থাপনার বর্ণনা দিয়েছিলেন।

একটা দারুণ জিনিস জানতে পারলাম—কুকুলকানের বিশাল পিরামিডের সামনে প্রতি পাশে প্রতিটি সিঁড়ির ধাপে ৯১টি করে ধাপ আছে। যখন নিচ থেকে তালি বাজানো হয়, তখন পিরামিড থেকে ‘কোয়েটজাল’ পাখির ডাকের মতো প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়! এ জন্য অনেক পর্যটক এখানে শিশুদের মতো তালি বাজাতে দেখতে পাওয়া যায়।
পিরামিডের চারপাশে মেলার মতো দোকান বসেছে। মুখোশ, পিরামিডের স্মারক, বাঁশিসহ মায়া সভ্যতার অনেক নিদর্শনের স্মারক রেপ্লিকা সেখানে বিক্রি হচ্ছে। তারপর চারদিকে আরও কিছুক্ষণ ঘুরে, শেষবারের মতো বিশাল পিরামিডটার দিকে তাকিয়ে পরবর্তী গন্তব্য ‘সিনোটে’র উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
.png)

আজ ১১ নভেম্বর। চীনে এই দিনটি ‘সিঙ্গেলস ডে’ হিসেবে পালিত হয়। আবার এখন এই দিন মানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন কেনাকাটার উৎসব। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কীভাবে এই দিনটি ‘সিঙ্গেলস ডে’ হয়ে উঠল? আর তারপর কীভাবে সেটি স্রেফ রসিকতা করে বানানো একটি দিবস থেকে ‘গ্লোবাল শপিং ফেস্টিভ্যাল’-এ পরিণত হলো?
১৬ ঘণ্টা আগে
হাঙ্গেরীয়-ব্রিটিশ লেখক ডেভিড সা–লাই তাঁর উপন্যাস ‘ফ্লেশ’–এর জন্য লন্ডনে মর্যাদাপূর্ণ বুকার পুরস্কার জিতেছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডনের ওল্ড বিলিংসগেটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাজালেকে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
‘আই অ্যাম দ্য কিং অব দ্য ওয়ার্ল্ড!’ টাইটানিক সিনেমার সেই সংলাপ আজও প্রতিধ্বনিত হয় সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে। কিন্তু সেই সিনেমার নায়ক লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর যাত্রা থেমে থাকেনি জাহাজের ডেকে। প্রায় তিন দশক পরে আজও ডিক্যাপ্রিও আছেন নিজের আসনেই। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।
১ দিন আগে
কিছু মানুষ দাবি করছেন যখনই কোনো নতুন প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি আসে, তার কাছাকাছি সময়েই মানবসভ্যতা কোনো না কোনো সংক্রামক রোগ বা মহামারির মুখোমুখি হয়। সত্যিই কি প্রযুক্তি আর মহামারি বা বৈশ্বিক সংক্রমণ কোনো অদ্ভুত চক্রের অংশ? বিজ্ঞান কী বলছে?
২ দিন আগে