leadT1ad

কাপ্তাই হ্রদের জলকপাট খুলল সাড়ে ৩ ফুট, চন্দ্রঘোনা ফেরি বন্ধ

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ১০৮ দশমিক ৮৩ এমএসএল পানি রয়েছে। তবে এর সর্বোচ্চ ধারণ সক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।

স্ট্রিম সংবাদদাতারাঙামাটি
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৩৭
কাপ্তাই হ্রদ। সংগৃহীত ছবি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে রাঙামাটির বিভিন্ন নদ-নদীর সঙ্গে পানি বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদে। এই অবস্থায় চতুর্থ দফায় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট (স্পিলওয়ে) ৩ ফুট থেকে সাড়ে ৩ ফুট খোলা হয়েছে। শুক্রবারও (৮ আগস্ট) এই অবস্থা দেখা গেছে।

হ্রদে বর্তমানে ১০৮ দশমিক ৮৩ এমএসএল পানি রয়েছে। তবে এর সর্বোচ্চ ধারণ সক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত থেকে বাঁধের জলকপাট দিয়ে হ্রদের পানি নিষ্কাশনের চাপ বাড়তে থাকে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে দিয়ে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে আরও ৩২ হাজার কিউসেক নিষ্কাশন হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১ লাখ কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গেটগুলোর ওপেনিং সাড়ে ৩ ফুট করা হয়েছে। এতে স্পিলওয়ের মাধ্যমে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে৷’

এদিকে মঙ্গলবার থেকে কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হলেও বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী নদীতে স্রোতের তীব্রতা বাড়ে। এদিন সকাল থেকে চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ)। এতে বান্দরবানের সঙ্গে সরাসরি রাঙামাটি জেলার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিকল্প পথ হিসেবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গোডাউল এলাকা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে।

রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, কর্ণফুলী নদীতে স্রোতের তীব্রতা বাড়ায় চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। স্রোতের তীব্রতা কমলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত