সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘যা জানা গেল’ শব্দগুচ্ছটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ইদানীং সংবাদের শিরোনামে এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে দিন কয়েক আগে নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেটিজেনরা গণমাধ্যমের এ ধরনের শিরোনাম নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন। কেউ কেউ এমনও বলছেন, শিরোনামে ‘যা জানা গেল’র ব্যবহারে কিছু কি আসলে জানা যায়?
স্ট্রিম প্রতিবেদক
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘যা জানা গেল’ শব্দগুচ্ছটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ইদানীং সংবাদের শিরোনামে এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে দিন কয়েক আগে নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেটিজেনরা গণমাধ্যমের এ ধরনের শিরোনাম নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন। কেউ কেউ এমনও বলছেন, শিরোনামে ‘যা জানা গেল’র ব্যবহারে কিছু কি আসলে জানা যায়?
সংশ্লিষ্টদের মত হলো, এ ধরনের শিরোনাম কোনো তথ্যই দেয় না; বরং খবরটিতে ক্লিক করে ভেতরে ঢুকতে আগ্রহী করে। অনেক ক্ষেত্রে এটি বিভ্রান্তিও ছড়ায়। কারণ, অনেকেই শিরোনাম দেখেই সংবাদটি স্ক্রল করে এগিয়ে যান। তাঁরা এটি পড়ার জন্য লিঙ্কে ক্লিক করেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ক্লিকবেইটের উদাহরণ; যার চর্চা এড়িয়ে চলা উচিত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজী স্ট্রিমকে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের মাধ্যমে পাঠক টানতে মূলত এ ধরনের শিরোনাম করা হচ্ছে। আংশিক তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো এখন অপ্রীতিকর এক প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে। তারা ক্লিকবেইটের দিকে ঝুঁকছে। আর এটা করতে গিয়ে পাঠককে শিরোনাম বা হেডলাইন ট্র্যাপে ফেলার কৌশল নিচ্ছে তারা। কিন্তু বিভ্রান্তি তৈরি করে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা ভালো কিছু নয়।’ পাঠককে এভাবে ফাঁকি দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখার বিষয় বলেও মনে করেন সাংবাদিকতার এই শিক্ষক।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া সম্ভাব্য ভুয়া তথ্য, ছবি ও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে থাকে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গণমাধ্যমগুলোও এখন সংবাদ প্রকাশ করে। তবে মজার বিষয় হলো, এসব সংবাদেও থাকে ‘যা জানা গেল’। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলছেন ফ্যাক্টচেকারেরা।
তাঁরা বলছেন, কোনো ঘটনার ফ্যাক্টচেক করার পর তা নিয়ে খবর প্রকাশ করা যেতেই পারে। তবে কাজটি করতে গিয়ে অনেক গণমাধ্যমই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ফ্যাক্টচেকিং করা বিষয়ের শিরোনামেও তারা ‘যা জানা গেল’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করছে। এটা অনেকক্ষেত্রে যেমন পাঠককে বিভ্রান্ত করে, তেমনি অন্য উদ্দেশ্যও বহন করতে পারে।
ডিজিটাল মাধ্যমে ভুয়া তথ্য এবং এ ধরনের সংবাদ নিয়ে অনেকদিন কাজ করছেন কদরুদ্দীন শিশির। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘শিরোনামে “যা জানা গেল” থাকতেই পারে। তবে ফ্যাক্টচেকারদের প্রতিবেদনের পর সেটি নিয়ে গণমাধ্যমগুলো যখন প্রতিবেদন করে, সেখানে “যা জানা গেল” রাখাটা ঠিক নয়।’
তাঁর মতে, এর মাধ্যমে গণমাধ্যমগুলো আসলে ‘ক্লিকবেইটের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে ফেক নিউজকে উৎসাহিত করতে চাইছে।
কিছু গণমাধ্যমের প্রতি ইঙ্গিত করে শিশির বলেন, ‘তারা ফ্যাক্টচেকিংয়ের পর ফেক নিউজকেই শিরোনাম দিচ্ছে এবং লিখে দিচ্ছে “যা জানা গেল”। কিন্তু খবরটা যে ভুয়া, সাধারণত তা তারা শিরোনামে আনছে না। ফলে ফ্যাক্টচেকিংয়ের পরেও সঠিক খবরটি ছড়াচ্ছে না।’
‘ছবিটি ভুয়া বললে সমস্যা ছিল না। ছবিটি দিয়ে আবার লিখে দেওয়া হলো, ‘যা জানা গেল’। এতে ক্লিক উপার্জন করার পাশাপাশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও কাজ করছে বলে আমার মনে হয়। আসলে ভুয়া খবরটি তারা আরও মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়।’ কদরুদ্দীন শিশির, ফ্যাক্টচেকার
সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাকে জড়িয়ে একটি ভুয়া ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবিতে তাসনিম জারা অন্য এক নারীর সঙ্গে হাফপ্যন্ট পরে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছেন, এমনটি দেখা যায়। পরে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, এ ছবি আসল নয়।
তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান বুম বাংলাদেশ জানিয়েছে, মূল ছবিতে তাসনিম জারা হাফপ্যান্ট পরা ছিলেন না। তাসনিম জারার ভাইরাল হওয়া ছবিটি ফারিহা নিশাত নামের এক বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে তোলা পুরোনো ছবিকে সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে। আসল ছবিতে তাসনিম জারা বা তাঁর সঙ্গে থাকা মেয়ে, কেউই হাফপ্যান্ট পরে ছিলেন না।
তথ্য যাচাইকারীদের সূত্র ধরে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের অনলাইনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়েছে তাসনিম জারার ভুয়া ছবিটি। এই সংবাদের তারা শিরোনাম দেয়, ‘তাসনিম জারার হাফপ্যান্ট পরা ছবি নিয়ে যা জানা গেল’।
এরপর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। পরে যেসব গণমাধ্যম এমন বিভ্রান্তিকর শিরোনাম করেছিল, তাদের অনেকে খবরটি সংশোধন করে, কেউ কেউ সরিয়েও নেয়।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কদরুদ্দীন শিশির বলেন, ‘ছবিটি ভুয়া বললে সমস্যা ছিল না। ছবিটি দিয়ে আবার লিখে দেওয়া হলো, ‘যা জানা গেল’। এতে ক্লিক উপার্জন করার পাশাপাশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও কাজ করছে বলে আমার মনে হয়। আসলে ভুয়া খবরটি তারা আরও মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়।’
তবে প্রাসঙ্গিক হলে সাধারণ খবরের শিরোনামে ‘যা জানা গেল’ রাখা যেতে পারে বলে মনে করেন শিশির।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর সংবাদ-শিরোনাম নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তাঁরা এ ধরনের সংবাদের সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন এ সংক্রান্ত ব্যঙ্গাত্মক ফটোকার্ডও।
গতকাল (৭ জুলাই) সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তাঁকে নিয়ে করা একটি গণমাধ্যমের ফটোকার্ড ফেসবুকে শেয়ার করেন। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা উদ্ধারের বিষয়ে যা জানা গেল।'
এ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে সারজিস লেখেন, ‘সাংবাদিকতার নামে আপনারা এই ভন্ডামি বন্ধ করেন। ছবি দেখে মনে হচ্ছে সারজিস কোথাও থেকে অবৈধ টাকা অর্জন করেছে। এরপরে বন্ধুর বাসায় রেখেছে। সেই বন্ধুর বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে! অথচ নিউজ হলে হওয়া উচিত ছিল, সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা পাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা/গুজব।’
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘যা জানা গেল’ শব্দগুচ্ছটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ইদানীং সংবাদের শিরোনামে এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে দিন কয়েক আগে নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেটিজেনরা গণমাধ্যমের এ ধরনের শিরোনাম নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন। কেউ কেউ এমনও বলছেন, শিরোনামে ‘যা জানা গেল’র ব্যবহারে কিছু কি আসলে জানা যায়?
সংশ্লিষ্টদের মত হলো, এ ধরনের শিরোনাম কোনো তথ্যই দেয় না; বরং খবরটিতে ক্লিক করে ভেতরে ঢুকতে আগ্রহী করে। অনেক ক্ষেত্রে এটি বিভ্রান্তিও ছড়ায়। কারণ, অনেকেই শিরোনাম দেখেই সংবাদটি স্ক্রল করে এগিয়ে যান। তাঁরা এটি পড়ার জন্য লিঙ্কে ক্লিক করেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ক্লিকবেইটের উদাহরণ; যার চর্চা এড়িয়ে চলা উচিত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজী স্ট্রিমকে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের মাধ্যমে পাঠক টানতে মূলত এ ধরনের শিরোনাম করা হচ্ছে। আংশিক তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো এখন অপ্রীতিকর এক প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে। তারা ক্লিকবেইটের দিকে ঝুঁকছে। আর এটা করতে গিয়ে পাঠককে শিরোনাম বা হেডলাইন ট্র্যাপে ফেলার কৌশল নিচ্ছে তারা। কিন্তু বিভ্রান্তি তৈরি করে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা ভালো কিছু নয়।’ পাঠককে এভাবে ফাঁকি দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখার বিষয় বলেও মনে করেন সাংবাদিকতার এই শিক্ষক।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া সম্ভাব্য ভুয়া তথ্য, ছবি ও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে থাকে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গণমাধ্যমগুলোও এখন সংবাদ প্রকাশ করে। তবে মজার বিষয় হলো, এসব সংবাদেও থাকে ‘যা জানা গেল’। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলছেন ফ্যাক্টচেকারেরা।
তাঁরা বলছেন, কোনো ঘটনার ফ্যাক্টচেক করার পর তা নিয়ে খবর প্রকাশ করা যেতেই পারে। তবে কাজটি করতে গিয়ে অনেক গণমাধ্যমই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ফ্যাক্টচেকিং করা বিষয়ের শিরোনামেও তারা ‘যা জানা গেল’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করছে। এটা অনেকক্ষেত্রে যেমন পাঠককে বিভ্রান্ত করে, তেমনি অন্য উদ্দেশ্যও বহন করতে পারে।
ডিজিটাল মাধ্যমে ভুয়া তথ্য এবং এ ধরনের সংবাদ নিয়ে অনেকদিন কাজ করছেন কদরুদ্দীন শিশির। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘শিরোনামে “যা জানা গেল” থাকতেই পারে। তবে ফ্যাক্টচেকারদের প্রতিবেদনের পর সেটি নিয়ে গণমাধ্যমগুলো যখন প্রতিবেদন করে, সেখানে “যা জানা গেল” রাখাটা ঠিক নয়।’
তাঁর মতে, এর মাধ্যমে গণমাধ্যমগুলো আসলে ‘ক্লিকবেইটের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে ফেক নিউজকে উৎসাহিত করতে চাইছে।
কিছু গণমাধ্যমের প্রতি ইঙ্গিত করে শিশির বলেন, ‘তারা ফ্যাক্টচেকিংয়ের পর ফেক নিউজকেই শিরোনাম দিচ্ছে এবং লিখে দিচ্ছে “যা জানা গেল”। কিন্তু খবরটা যে ভুয়া, সাধারণত তা তারা শিরোনামে আনছে না। ফলে ফ্যাক্টচেকিংয়ের পরেও সঠিক খবরটি ছড়াচ্ছে না।’
‘ছবিটি ভুয়া বললে সমস্যা ছিল না। ছবিটি দিয়ে আবার লিখে দেওয়া হলো, ‘যা জানা গেল’। এতে ক্লিক উপার্জন করার পাশাপাশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও কাজ করছে বলে আমার মনে হয়। আসলে ভুয়া খবরটি তারা আরও মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়।’ কদরুদ্দীন শিশির, ফ্যাক্টচেকার
সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাকে জড়িয়ে একটি ভুয়া ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবিতে তাসনিম জারা অন্য এক নারীর সঙ্গে হাফপ্যন্ট পরে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছেন, এমনটি দেখা যায়। পরে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, এ ছবি আসল নয়।
তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান বুম বাংলাদেশ জানিয়েছে, মূল ছবিতে তাসনিম জারা হাফপ্যান্ট পরা ছিলেন না। তাসনিম জারার ভাইরাল হওয়া ছবিটি ফারিহা নিশাত নামের এক বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে তোলা পুরোনো ছবিকে সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে। আসল ছবিতে তাসনিম জারা বা তাঁর সঙ্গে থাকা মেয়ে, কেউই হাফপ্যান্ট পরে ছিলেন না।
তথ্য যাচাইকারীদের সূত্র ধরে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের অনলাইনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়েছে তাসনিম জারার ভুয়া ছবিটি। এই সংবাদের তারা শিরোনাম দেয়, ‘তাসনিম জারার হাফপ্যান্ট পরা ছবি নিয়ে যা জানা গেল’।
এরপর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। পরে যেসব গণমাধ্যম এমন বিভ্রান্তিকর শিরোনাম করেছিল, তাদের অনেকে খবরটি সংশোধন করে, কেউ কেউ সরিয়েও নেয়।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কদরুদ্দীন শিশির বলেন, ‘ছবিটি ভুয়া বললে সমস্যা ছিল না। ছবিটি দিয়ে আবার লিখে দেওয়া হলো, ‘যা জানা গেল’। এতে ক্লিক উপার্জন করার পাশাপাশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও কাজ করছে বলে আমার মনে হয়। আসলে ভুয়া খবরটি তারা আরও মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়।’
তবে প্রাসঙ্গিক হলে সাধারণ খবরের শিরোনামে ‘যা জানা গেল’ রাখা যেতে পারে বলে মনে করেন শিশির।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর সংবাদ-শিরোনাম নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তাঁরা এ ধরনের সংবাদের সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন এ সংক্রান্ত ব্যঙ্গাত্মক ফটোকার্ডও।
গতকাল (৭ জুলাই) সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তাঁকে নিয়ে করা একটি গণমাধ্যমের ফটোকার্ড ফেসবুকে শেয়ার করেন। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা উদ্ধারের বিষয়ে যা জানা গেল।'
এ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে সারজিস লেখেন, ‘সাংবাদিকতার নামে আপনারা এই ভন্ডামি বন্ধ করেন। ছবি দেখে মনে হচ্ছে সারজিস কোথাও থেকে অবৈধ টাকা অর্জন করেছে। এরপরে বন্ধুর বাসায় রেখেছে। সেই বন্ধুর বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে! অথচ নিউজ হলে হওয়া উচিত ছিল, সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা পাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা/গুজব।’
ছড়িয়ে পড়া ওই সরকারি নথিতে দাবি করা হয়, পিটার হাস ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিমানবন্দরের 'দোলনচাঁপা' ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করেছিলেন। তবে বুধবার প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে ডিসমিসল্যাব জানায়, নথিটিতে থাকা একাধিক তথ্য অসঙ্গতিপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর।
০৬ আগস্ট ২০২৫সম্প্রতি একজন বোরকা পরা নারীকে নির্যাতন করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছু ভিডিওর ক্যাপশন ও থাম্ব টাইটেলে দাবি করা হয়, এটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় অফিসে নারী নির্যাতনের ঘটনা। স্ট্রিমের অনুসন্ধানের দেখা যায়, ভিডিওটি এনসিপি কার্যালয়ের নয়।
৩১ জুলাই ২০২৫এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত ভিডিওটির ভিউ ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। বেশ নিখুঁত হওয়ায় ভিডিওটি বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে নেটিজেনদের কাছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার দিয়েছেন ভিডিওটি। বাদ যাননি সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও।
২৪ জুলাই ২০২৫রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
২১ জুলাই ২০২৫