leadT1ad

ইরানে আবার কেন নিষেধাজ্ঞা, কী বলছে ইউরোপের দেশগুলো

এই পদক্ষেপে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের অচলাবস্থাও আরও তীব্র হয়েছে। যদিও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শেষ মুহূর্তে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, তবুও নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যায়নি।

স্ট্রিম ডেস্ক
ইরানে আবার কেন নিষেধাজ্ঞা, কী বলছে ইউরোপের দেশগুলো। স্ট্রিম গ্রাফিক

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জারি হওয়া নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় তেহরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা ‘স্ন্যাপব্যাক’ নামে পরিচিত। এই পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ক্ষেত্রে।

এক দশক আগে এসব নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছিল একটি ঐতিহাসিক চুক্তির অংশ হিসেবে। সেই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচিকে সীমিত ও নজরদারির আওতায় আনা। ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য (যাদের সম্মিলিতভাবে ই-থ্রি বলা হয়) ইরানের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়। কারণ, ইরান ২০১৫ সালের সেই পরমাণু চুক্তি— ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ)—এর শর্ত মানতে ব্যর্থ হয়েছে।

ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ইরান চুক্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের কাছে স্ন্যাপব্যাক চালু করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তবে এই পদক্ষেপের ফলে তেহরান তার পরমাণু কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক নজরদারি থেকে আরও দূরে সরিয়ে নিতে পারে। এটি তেহরানের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করবে, যখন পশ্চিম এশিয়ায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে।

এই পদক্ষেপে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের অচলাবস্থাও আরও তীব্র হয়েছে। যদিও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শেষ মুহূর্তে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, তবুও নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যায়নি।

চীন ও রাশিয়াও নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাও ব্যর্থ হয়। গত মাসে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া শুরু করে ইরানকে ৩০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে শর্ত না মানায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হচ্ছে।

ইরানের ফার্দো নিউক্লিয়ার সাইট। সংগৃহীত ছবি
ইরানের ফার্দো নিউক্লিয়ার সাইট। সংগৃহীত ছবি

স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা কী, কীভাবে কাজ করে

স্ন্যাপব্যাক হলো জেসিপিওএ-তে অন্তর্ভুক্ত একটি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে কোনো সদস্য দেশ যদি দেখতে পায় যে ইরান চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, তখন জাতিসংঘের পুরনো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা যায়। এই প্রক্রিয়া ভেটো-প্রুফ। অর্থাৎ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া সত্ত্বেও চীন বা রাশিয়া চাইলেও এটি আটকে দিতে পারে না।নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয় প্রাথমিক সতর্কতার ৩০ দিন পর, যদি না ইরান নির্ধারিত শর্ত মানে।

২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোই মূলত আবার চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান তিনটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এক. অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা। ইরানের অস্ত্র আমদানি ও রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।

দুই. ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষেধাজ্ঞা। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি অর্জনে বাধা সৃষ্টি করার জন্য।

তিন. অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। বিদেশে ইরানের সম্পদ জব্দ এবং তেল ও আর্থিক খাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।

নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৮ অক্টোবর। তবে মূল চুক্তিতে বলা ছিল— ইরান শর্ত ভঙ্গ করলে যেকোনো সদস্য দেশ ওই তারিখের আগে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে পারবে।

আগস্টে ইউরোপীয় আলোচকরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইরান প্রায় সব প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে। তারা সতর্ক করে জানায়, ইউরোপ স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইরানের ইস্পাহানে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক স্থাপনা, যাতে সম্প্রতি হামলা চালানো হয়েছে
ইরানের ইস্পাহানে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক স্থাপনা, যাতে সম্প্রতি হামলা চালানো হয়েছে

আগস্টেই ইরানকে এক মাসের নোটিশ দেওয়া হয়। এর লক্ষ্য ছিল অক্টোবর থেকে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বে আসা রাশিয়ার ভেটো এড়ানো। কারণ মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রচেষ্টা নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের দুই মিত্র চীন ও রাশিয়ার ভেটোতে ব্যর্থ হতে পারত।

সেপ্টেম্বরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলো একাধিক বৈঠক ও ফোনালাপ করে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি।

ইউরোপের মূল দাবি ছিল— কূটনৈতিক সমাধানে ইরানের প্রস্তুতির প্রমাণ, আইএইএ-র নজরদারি ও পরিদর্শনে সহযোগিতা, ৪০০ কেজির বেশি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে হিসাব।

এছাড়া, ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু করতেও চেয়েছিল।

কোন শর্ত ভাঙায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হলো

স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের মূল কারণ ইরানের জেসিপিওএ চুক্তি না মানা। ২০১৫ সালের চুক্তিতে বলা হয়েছিল— ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৩.৬৭ শতাংশের বেশি হবে না। ইউরেনিয়ামের মজুত ৩০০ কিলোগ্রামের বেশি হবে না।

কিন্তু ইরান এসব শর্ত ভঙ্গ করেছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত দাঁড়ায় ৯,৮৭৪.৯ কিলোগ্রামে। এর মধ্যে ৪৪০.৯ কিলোগ্রাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ— যা পারমাণবিক বোমা তৈরির মাত্রার কাছাকাছি।

ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো ও ইসরায়েল মনে করে, ইরান আসলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোচ্ছে।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় ২০১৮ সালে। সে সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে জেসিপিওএ থেকে সরিয়ে নেন এবং একতরফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান দ্রুত তার পারমাণবিক কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়।

গত আগস্টে ই-থ্রি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ইরানের চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয় জানায়। এরপর সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আলোচনাসহ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া চালু করে।

এছাড়া, ইরান আইএইএ-র পরিদর্শন সীমিত করে দেয়। বিশেষ করে ২০২৫ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিমান হামলায় নাতাঞ্জ, ফার্দো ও ইসফাহানে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর।

ইরান পরিদর্শকদের এসব স্থাপনায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি এবং ইউরেনিয়ামের সঠিক হিসাবও দেয়নি। ইরানের এই বিদ্রোহই ই-থ্রির স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা চালুর যুক্তি আরও শক্ত করে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বর্তমান অবস্থা

গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বড় ধাক্কা খেয়েছে। তেহরান থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ইরানের মূল পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র নাতাঞ্জ ইসরায়েলি বিমান হামলা ও মার্কিন বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপরিভাগ ধ্বংস হয় এবং ভূগর্ভস্থ সেন্ট্রিফিউজগুলিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তেহরান থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফার্দোতেও মার্কিন বোমা হামলা হয়। এতে ইউরেনিয়াম সেখানকার সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আর ইসফাহানে অবস্থিত নিউক্লিয়ার টেকনোলজি সেন্টারেও মার্কিন হামলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়, যা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য জরুরি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে তাদের অনেক ইউরেনিয়ামের মজুত চাপা পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির অবস্থা এখনো পরিষ্কার নয়।

এদিকে জুন ২০২৫ থেকে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকরা এসব স্থাপনায় ঢুকতে পারেননি। এতে ইরানের কর্মসূচি নিয়ে স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে নানা প্রভাব দেখা দিতে পারে।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স (ইসিএফআর) মনে করে, ইরানের ওপর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই নতুন জাতিসংঘ ও ইইউ নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত হবে। তবে এতে ইরানের তেল ও আর্থিক খাত আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

চীন ইরানের তেলের প্রধান ক্রেতা এবং রাশিয়া ইরানের ড্রোন সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। তবে এতে তাদের ওপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা ই-থ্রির সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়।

এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য থেকে ইরান তার রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি একে ‘প্রক্রিয়ার অপব্যবহার’ বলে মন্তব্য করেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনীতিকে ‘অচল রাস্তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এতে ভবিষ্যতের আলোচনা আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

ইরানি কর্মকর্তারা হুমকি দিয়েছেন, তারা আইএইএ পরিদর্শন বন্ধ করতে পারেন বা এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকেও সরে আসতে পারেন। তবে প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরান এনপিটি-তে থাকবে।

এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময়ে এসেছে যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ এতে যুক্ত হয়েছে। ইরানের সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে।

এরপর কী ঘটতে পারে

ই-থ্রি বলেছে, স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞাই কূটনীতির সমাপ্তি নয়। তারা ইরানকে আলোচনায় ফেরার ও আইএইএ পরিদর্শনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ইরান যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিশেষ করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের বিনিময়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবকে তারা ‘ফাঁদ’মনে করছে।

ইরানের স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের পরমাণু কর্মসূচি প্রায় দুই বছর পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরিদর্শনের অভাব ও চলমান সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

ই-থ্রি কূটনীতিকে জোর দিচ্ছে, কিন্তু ইরান চাইছে স্থাপনাগুলোর ওপর আর কোনো হামলা না হওয়ার নিশ্চয়তা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কঠোর অবস্থানে অটল।

সবমিলিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অচলাবস্থায় জাতিসংঘের স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা বড় ধরনের উত্তেজনা তৈরি করেছে। জেসিপিওএ ভঙ্গ ও আইএইএ-র সঙ্গে অসহযোগিতার কারণে ই-থ্রি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা। তবে এতে তেহরান আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়ছে।

কূটনীতির পথ খোলা থাকলেও তা অনিশ্চয়তায় ভরা। ইরান একদিকে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, অন্যদিকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বানও জানাচ্ছে। ফলে সামনের পথ জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত