ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস (আইএজিএস) বলেছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ আইনি সংজ্ঞা অনুযায়ীই জেনোসাইড বা গণহত্যার মধ্যে পড়ে।
স্ট্রিম ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে গণহত্যা বলে ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস (আইএজিএস)। এটি গণহত্যাবিষয়ক গবেষকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএজিএস। সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ আইনি সংজ্ঞা অনুযায়ীই জেনোসাইড বা গণহত্যার মধ্যে পড়ে।
গত ১ আগস্ট আইএজিএস এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বহু দেশ, মানবাধিকার সংগঠন ও অন্যান্য সংস্থার গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে এখন তাদের এই প্রস্তাবও যুক্ত হলো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অভিযানে ৬৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো আক্রমণে নিহত হয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। আর হামাস প্রায় ২০০ জনকে বন্দিও করে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ জিম্মিকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
আইএজিএস ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫০০ জন গবেষক যুক্ত আছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ গবেষক এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের নীতি ও কর্মকাণ্ড ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশনে উল্লেখিত গণহত্যার সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যায়। গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি নিশ্চিতে কনভেনশনটি তৈরি করা হয়েছিল।
আইএজিএস সভাপতি ও অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক আইন বিভাগের অধ্যাপক মেলানি ও’ব্রায়েন জানান, এটি একটি স্পষ্ট ঘোষণা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা।
১৯৪৮ সালের জেনাসাইড কনভেনশনে গণহত্যাকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে:
‘কোনো বিশেষ জাতিগত, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণ বা ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত কাজ করা:
গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা; গোষ্ঠীর সদস্যদের শারীরিক বা মানসিকভাবে গুরুতর ক্ষতি করা; তাদের জীবনযাত্রায় এমন শর্ত আরোপ করা যা ধীরে ধীরে তাদের ধ্বংস ডেকে আনে; গোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া; গোষ্ঠীর শিশুদের জোর করে অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর করা।’
আইএজিএস তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশন-এর ভিত্তিতে। তারা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের নীতি ও কর্মকাণ্ড শুধু এই কনভেনশন নয়, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি অনুসারেও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষ এবং তাদের অবকাঠামো—যেমন হাসপাতাল, বাড়ি ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
আইএজিএস ইসরায়েলের আরও বেশ কিছু কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত আটক, যৌন ও প্রজনন সহিংসতা, চিকিৎসক, ত্রাণকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, খাদ্য, পানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা, ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজা উপত্যকা থেকে বাস্তুচ্যুত করা, ৯০ শতাংশের বেশি আবাসিক অবকাঠামো ধ্বংস করা, বহু প্রজন্মের পুরো পরিবার হত্যা করা এবং ৫০ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা বা পঙ্গু করা।
এ ছাড়া আইএজিএস ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য মন্তব্য এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত, পরে ইসরায়েলি সরকারের সমর্থিত, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ পরিকল্পনার দিকেও ইঙ্গিত করেছে। তাদের মতে, এসব প্রমাণই গণহত্যার শর্ত পূরণ করে।
আইএজিএসের এই সিদ্ধান্ত কাউকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে না। তবে এটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের সেই দাবিকেই জোরালো করেছে যে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ আসলে গণহত্যা।
তবে জাতিসংঘ ও অনেক পশ্চিমা দেশ বলছে, আন্তর্জাতিক আদালত থেকে রায় না আসা পর্যন্ত তারা একে গণহত্যা হিসেবে গণ্য করবে না।
বর্তমানে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটির শুনানি চলছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গণহত্যা করছে। তবে এই মামলার রায় ২০২৭ সালের আগে আসবে না।
ইসরায়েল সরকার এ সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই গণহত্যার গবেষকেরা আসলেই যারা গণহত্যার শিকার, তাদেরই অভিযুক্ত করেছেন। অথচ হামাস ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।’
জাতিসংঘ বারবার গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে একে জেনোসাইড বা গণহত্যা বলেনি।
সম্প্রতি মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে হাজার হাজার জাতিসংঘকর্মী চিঠি লিখেছেন। তারা চান, তিনি স্পষ্টভাবে একে গণহত্যা ঘোষণা করুন।
কিন্তু তুর্ক এখনো সেই পদক্ষেপ নেননি। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফান দ্যুজারিক বলেছেন, ‘গণহত্যা হিসেবে কোনো ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার এখতিয়ার কেবল আদালতের রয়েছে।’
তবে জাতিসংঘের বিশেষ তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই মত দিয়েছে যে, ইসরায়েলের যুদ্ধকৌশল গণহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পর্যবেক্ষণ তারা ২০২৪ সালের নভেম্বরেই প্রকাশ করে।
এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, ‘গণহত্যাকে গণহত্যা হিসেবেই চিহ্নিত করা জরুরি।’
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এক কথায় অত্যন্ত ভয়াবহ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ধারাবাহিক বোমা হামলায় গাজার বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েল আবার হাজারো রিজার্ভ সেনাকে গাজা সিটিতে নতুন অভিযানের জন্য প্রস্তুত করেছে।
গত ২৯ আগস্ট জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ‘বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ’ শুরু হয়ে গেছে। গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর বোমা মেরে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।
এ ছাড়া ইসরায়েল সাংবাদিকদেরও লক্ষ্যবস্তু করছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাবিষয়ক সংগঠনগুলোর মতে, গাজার বাস্তব পরিস্থিতি যাতে বাইরের দুনিয়ার সামনে না আসে, সে কারণেই সাংবাদিকদের টার্গেট করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আলজাজিরা ও রয়টার্স
ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে গণহত্যা বলে ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস (আইএজিএস)। এটি গণহত্যাবিষয়ক গবেষকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএজিএস। সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ আইনি সংজ্ঞা অনুযায়ীই জেনোসাইড বা গণহত্যার মধ্যে পড়ে।
গত ১ আগস্ট আইএজিএস এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বহু দেশ, মানবাধিকার সংগঠন ও অন্যান্য সংস্থার গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে এখন তাদের এই প্রস্তাবও যুক্ত হলো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অভিযানে ৬৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো আক্রমণে নিহত হয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। আর হামাস প্রায় ২০০ জনকে বন্দিও করে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ জিম্মিকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
আইএজিএস ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫০০ জন গবেষক যুক্ত আছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ গবেষক এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের নীতি ও কর্মকাণ্ড ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশনে উল্লেখিত গণহত্যার সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যায়। গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি নিশ্চিতে কনভেনশনটি তৈরি করা হয়েছিল।
আইএজিএস সভাপতি ও অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক আইন বিভাগের অধ্যাপক মেলানি ও’ব্রায়েন জানান, এটি একটি স্পষ্ট ঘোষণা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা।
১৯৪৮ সালের জেনাসাইড কনভেনশনে গণহত্যাকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে:
‘কোনো বিশেষ জাতিগত, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণ বা ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত কাজ করা:
গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা; গোষ্ঠীর সদস্যদের শারীরিক বা মানসিকভাবে গুরুতর ক্ষতি করা; তাদের জীবনযাত্রায় এমন শর্ত আরোপ করা যা ধীরে ধীরে তাদের ধ্বংস ডেকে আনে; গোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া; গোষ্ঠীর শিশুদের জোর করে অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর করা।’
আইএজিএস তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশন-এর ভিত্তিতে। তারা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের নীতি ও কর্মকাণ্ড শুধু এই কনভেনশন নয়, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি অনুসারেও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষ এবং তাদের অবকাঠামো—যেমন হাসপাতাল, বাড়ি ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
আইএজিএস ইসরায়েলের আরও বেশ কিছু কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত আটক, যৌন ও প্রজনন সহিংসতা, চিকিৎসক, ত্রাণকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, খাদ্য, পানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা, ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজা উপত্যকা থেকে বাস্তুচ্যুত করা, ৯০ শতাংশের বেশি আবাসিক অবকাঠামো ধ্বংস করা, বহু প্রজন্মের পুরো পরিবার হত্যা করা এবং ৫০ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা বা পঙ্গু করা।
এ ছাড়া আইএজিএস ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য মন্তব্য এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত, পরে ইসরায়েলি সরকারের সমর্থিত, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ পরিকল্পনার দিকেও ইঙ্গিত করেছে। তাদের মতে, এসব প্রমাণই গণহত্যার শর্ত পূরণ করে।
আইএজিএসের এই সিদ্ধান্ত কাউকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে না। তবে এটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের সেই দাবিকেই জোরালো করেছে যে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ আসলে গণহত্যা।
তবে জাতিসংঘ ও অনেক পশ্চিমা দেশ বলছে, আন্তর্জাতিক আদালত থেকে রায় না আসা পর্যন্ত তারা একে গণহত্যা হিসেবে গণ্য করবে না।
বর্তমানে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটির শুনানি চলছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গণহত্যা করছে। তবে এই মামলার রায় ২০২৭ সালের আগে আসবে না।
ইসরায়েল সরকার এ সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই গণহত্যার গবেষকেরা আসলেই যারা গণহত্যার শিকার, তাদেরই অভিযুক্ত করেছেন। অথচ হামাস ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।’
জাতিসংঘ বারবার গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে একে জেনোসাইড বা গণহত্যা বলেনি।
সম্প্রতি মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে হাজার হাজার জাতিসংঘকর্মী চিঠি লিখেছেন। তারা চান, তিনি স্পষ্টভাবে একে গণহত্যা ঘোষণা করুন।
কিন্তু তুর্ক এখনো সেই পদক্ষেপ নেননি। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফান দ্যুজারিক বলেছেন, ‘গণহত্যা হিসেবে কোনো ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার এখতিয়ার কেবল আদালতের রয়েছে।’
তবে জাতিসংঘের বিশেষ তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই মত দিয়েছে যে, ইসরায়েলের যুদ্ধকৌশল গণহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পর্যবেক্ষণ তারা ২০২৪ সালের নভেম্বরেই প্রকাশ করে।
এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, ‘গণহত্যাকে গণহত্যা হিসেবেই চিহ্নিত করা জরুরি।’
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এক কথায় অত্যন্ত ভয়াবহ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ধারাবাহিক বোমা হামলায় গাজার বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েল আবার হাজারো রিজার্ভ সেনাকে গাজা সিটিতে নতুন অভিযানের জন্য প্রস্তুত করেছে।
গত ২৯ আগস্ট জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ‘বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ’ শুরু হয়ে গেছে। গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর বোমা মেরে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।
এ ছাড়া ইসরায়েল সাংবাদিকদেরও লক্ষ্যবস্তু করছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাবিষয়ক সংগঠনগুলোর মতে, গাজার বাস্তব পরিস্থিতি যাতে বাইরের দুনিয়ার সামনে না আসে, সে কারণেই সাংবাদিকদের টার্গেট করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আলজাজিরা ও রয়টার্স
দুনিয়াজুড়ে সোনার দাম এখন ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু সোনাকে কেন এত মূল্যবান মনে করা হয়, আর কেনই-বা ঘন ঘন বাড়ে-কমে সোনার দাম? বাংলাদেশে সোনার দাম এখন কত? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এ লেখায়।
১ দিন আগেগাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ এবং না খাইয়ে মারার বৈধতা দিতে ইসরায়েল শুরু থেকেই এক অভিনব কৌশল নেয়। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শিশুদের শিরশ্ছেদ, গণধর্ষণ কিংবা হাসপাতালগুলোকে ‘কমান্ড সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহার করার মতো ভয়াবহ অভিযোগ ছড়ানো হয়। ইসরায়েল এমনকি দাবি করে, জাতিসংঘও আসলে হামাসকে আড়ালে সুবিধা দে
১ দিন আগেফাইভ-জি কী, ফাইভ-জি বনাম ফোর-জি, কী সুবিধা নিয়ে এল ফাইভ-জি, যেভাবে চালু করবেন ফাইভ-জি, গুনতে হবে কী অতিরিক্ত টাকা– ফাইভ-জি নিয়ে যত প্রশ্নের জবাব পড়ুন এই লেখায়।
২ দিন আগেনিরাপত্তার বিষয় ছাড়াও, অর্থনৈতিকভাবে এই জোট ভারতের জন্য খুব একটা লাভজনক নয়। ভারত প্রযুক্তি, পুঁজি এবং সাপ্লাই চেইনে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। রাশিয়া বা চীন তা পূরণ করতে পারবে না।
২ দিন আগে