leadT1ad

প্রিয়াঙ্কাই কি ভারতের আগামীর ইন্দিরা গান্ধী?

ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন প্রভাবশালী এক চরিত্র। বাবা জওহরলাল নেহেরুর হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ‘প্রিয়দর্শিনী’ ইন্দিরা। ভারতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য থেকে রাজনীতির জীবন শুরু করে টানা ১১ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ইন্দিরা পার করেছেন তাঁর রাজনৈতিক জীবন। সেখানে বিতর্ক আর সমালোচনা যেমন ছিল, তেমনি ছিল তুমুল জনপ্রিয়তাও। তাঁরই উত্তরসূরী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বাড্রা।

রুহুল আমিনঢাকা
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ১৫
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৪৬
ধীরে ধীরে ইন্দিরার ছায়া হয়ে উঠছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। স্ট্রিম গ্রাফিক

প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে প্রবেশের পর নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল। কংগ্রেসের লাখ লাখ কর্মী শুরু থেকেই তাঁর মধ্যে তাঁর দাদি ইন্দিরার ছায়া দেখতে পান। কিন্তু তিনি যেন রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হয়েও নিয়মিত যুক্ত থাকছেন না। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক কারণে পুলিশের হাতে গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) আটক হয়ে আলোচনায় এসেছেন প্রিয়াঙ্কা। এখন কংগ্রেসকর্মীদের মধ্যে এই ভাবনা ঘুরে বেড়াচ্ছে যে, রাজনৈতিক কারণে পুলিশের হাতে আটকের পর প্রিয়াঙ্কা কি এবার পুরোদস্তুর নামছেন রাজনীতিতে? তিনি কি তাঁর দাদি ইন্দিরা গান্ধীর মতোই ভূমিকা পালন করবেন কংগ্রেসকে ভারতের রাজনীতিতে সেই পুরোনো প্রতাপের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে?’

রাজনীতিতে ইন্দিরার পথচলা

বাবা জওহরলাল নেহেরুর হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলেন ইন্দিরা। রাজনীতিতে তিনি বাবার চেয়ে কোনো অংশে কম যাননি। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, প্রখর রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি, আর রাজনৈতিক বুদ্ধির সঙ্গে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল ইন্দিরার। ১৯৬৪ সালে রাজ্যসভার সদস্য হন। সেই বছরই বাবা জওহরলাল নেহেরু মারা যান। প্রধানমন্ত্রী হলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। আর ইন্দিরা পান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু হয়। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মোরারজি দেশাইয়ের মতো প্রবীণ কংগ্রেস-নেতা ছিলেন মূল দাবিদার। কয়েকজন কংগ্রেস নেতা ইন্দিরা গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তোলেন।

শেষে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটিতে ইন্দিরা পান ৩৬৫ ভোট। মোরারজি পান ১৬৯ ভোট। ইন্দিরা হলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন অনেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতাই ভেবেছিলেন, অপটু ইন্দিরাকে পদে বসিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেবেন তাঁরা। কিন্তু অল্পদিনেই তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি হলো। অল্প দিনেই ইন্দিরা হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রী।

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তিনি ভারতজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ২১ মার্চ, ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি থাকে। এই সময়ে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল এবং সরকারের সমালোচকদের দমন করা হয়েছিল। ভারতের ইতিহাসে এর আগে বা পরে এমন জরুরি অবস্থা জারি হয়নি।

এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরও আবার ইন্দিরারই নেতৃত্বে কংগ্রেস নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে। রাজনীতি করতে গিয়ে জেলেও গেছেন ইন্দিরা। তবে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তাঁর অতি কঠোরতা সমালোচিতও হয়েছিল। এমনই এক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর হাতেই ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবরে নিজ বাসভবনে প্রাণ হারান তিনি।

যেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে পা দিলেন, সেদিন যেন লখনৌয়ের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর দাদির স্মৃতিঘেরা ঘরটিও প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। তার আগে ঘরটি ঘষামাজা করা হয়। ওই ঘরে ওঠার একটা পৃথক সিঁড়ি আছে, যেটি শুধু ইন্দিরাই ব্যবহার করতেন। পরিষ্কার করা হয়েছিল সেই সিঁড়িও। সেই সিঁড়ি বেয়েই দাদির ঘরটিতে গিয়ে বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। যেন স্বয়ং ইন্দিরাই সিঁড়ি বেয়ে ঘরে গিয়ে বসেন। দাদির সঙ্গে নিজের মিলের কথা অস্বীকারও করেন না প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কার জনপ্রিয়তা: এবারও কি ফিরে যাবেন

কংগ্রেসের রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে জল্পনা অনেক পুরোনো। কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর মধ্যে যে ইন্দিরা গান্ধীর ছবি দেখতে পান। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছিলেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় তারকা। প্রিয়াঙ্কা যাতে অন্তত একটা সভা করে যান, কিংবা রোড শো-তে একটিবার অন্তত মুখ দেখিয়ে যান–সেটার জন্যই গোটা ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি আবদার আসে কংগ্রেসের সদর দফতরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, এমন প্রবল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তিনি কোনো আসনে নির্বাচন পর্যন্ত করলেন না।

এভাবেই একদিকে তাঁর প্রবল জনপ্রিয়তা। অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে সে জনপ্রিয়তাকে দলের প্রয়োজনে মাঠেও নামেন। আবার হারিয়ে যান রাজনীতির ময়দান থেকে। সরাসরি রাজনৈতিক সংঘাতে তাঁকে দেখা যায়নি আগে। গত সোমবার পুলিশের হাতে প্রথমবার রাজনৈতিক কারণে তিনি আটক হলেন। এরপরও কি তিনি ফিরে যাবেন আবার দৃশ্যপট থেকে?

ইন্দিরা আর প্রিয়াঙ্কা: মিল-অমিল

যেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে পা দিলেন, সেদিন যেন লখনৌয়ের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর দাদির স্মৃতিঘেরা ঘরটিও প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। তার আগে ঘরটি ঘষামাজা করা হয়। ওই ঘরে ওঠার একটা পৃথক সিঁড়ি আছে, যেটি শুধু ইন্দিরাই ব্যবহার করতেন। পরিষ্কার করা হয়েছিল সেই সিঁড়িও। সেই সিঁড়ি বেয়েই দাদির ঘরটিতে গিয়ে বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। যেন স্বয়ং ইন্দিরাই সিঁড়ি বেয়ে ঘরে গিয়ে বসেন। দাদির সঙ্গে নিজের মিলের কথা অস্বীকারও করেন না প্রিয়াঙ্কা।

ইন্দিরা গান্ধী হাতে বোনা খাদির শাড়ি পরতেন। প্রিয়াঙ্কাও যেদিন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন, সেদিন কেরালার তাঁতিদের বোনা সোনালি পাড় আর সাদা জমিনের কাসাভু শাড়ি পরেছিলেন। যে শাড়ির পাড় বোনা হয় সোনার পানিতে করা রুপোর সুতো দিয়ে। প্রিয়াঙ্কার শাড়িতে অবশ্য কোনো নকশা ছিল না। সুতির সাদা জমিনে চওড়া সোনালি পাড় দেওয়া শাড়ি।

সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখার আগে থেকেই ইন্দিরার সঙ্গে এই তুলনাটা ছিল। তবে প্রিয়াঙ্কা এই তুলনায় আবেগে ভেসে যেতে চান না। বরং তিনি ইন্দিরার মতোই জনসেবা করে যেতে চান। একবার কানপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, তিনি ইন্দিরা গান্ধী নন, তবে তাঁর (ইন্দিরা) মতো কাজ করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি করবেন না।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘দাদির সামনে আমি কিছুই নই। তবে জনসেবার যে ইচ্ছা তাঁর হৃদয়ে ছিল, তা আমার আর আমার ভাইয়ের মনেও রয়েছে। তা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। সুযোগ দিন বা না দিন, আমরা আপনাদের সেবা করে যাব।’

ইন্দিরা গান্ধীই ভারতের এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয় দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী। অনেকে বলতেন, ইন্দিরা চমক দিতে পছন্দ করতেন। ইন্দিরার নাতনি প্রিয়াঙ্কাও যেন চমক দেন। অন্তত রাজনীতিতে তাঁর আগমন চমক দিয়েই।

ঘটনাটি ২০১৯ সালের। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে লখনৌ শহরে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথজুড়ে ‘রোড-‌শো‌তে কয়েক দশক আগের প্রিয়দর্শিনীকে (‌‌ইন্দিরা)‌ যেন দেখতে পায় আম জনতা। লখনৌ বিমানবন্দর থেকে নেহরু ভবন, প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয়ের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার৷ এই পথ পার হতে বড়জোর মিনিট চল্লিশ সময় লাগে। প্রিয়াঙ্কার র‌্যালি সেই পথ পার হতে সময় নিয়েছিল প্রায় ছয়‌ ঘণ্টা৷ পথের দু’‌পাশ থেকে স্লোগান ভেসে আসছিল, ‌‘‌আ গ্যায়া বদলাওকি আঁধি, রাহুল সঙ্গ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷’

যেবার প্রিয়াঙ্কাকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় সেবার অনেক ভারতীয় অবশ্য মনে করেছিলেন, ইন্দিরার মতো চেহারা অথবা ইন্দিরার নাতনি বলেই রাজনীতিতে ‘মিরাকল’ ঘটিয়ে ফেলবেন তিনি। যদিও দল কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি। তবে প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক পথচলা থেমে থাকেনি। সর্বশেষ নির্বাচনে কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট ভালো করার পেছনে রাহুল গান্ধীর ভূমিকার পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার ভূমিকা আছে—এও মনে করেন ভারতের রাজনীতির ভাষ্যকারেরা।

প্রিয়াঙ্কা ধীরে ধীরে ভারতীয়দের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন। অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক নানা বিষয়েও তিনি নিচের কণ্ঠস্বরকে উঁচু করতে ভুলেন না। এই তো কিছুদিন আগে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করেছেন মোদি সরকারের ইসরায়েল প্রীতির সমালোচনাও।

যে উত্তরাধিকার প্রিয়াঙ্কা বহন করেন

এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘আমি দেখতে হয়তো অনেকটা আমার দাদির মতোও। ছোটবেলায় এমন একটা বাড়িতে বড় হয়েছি যেখানে তিনিই ছিলেন কর্ত্রী। তাঁর একটা প্রভাব তো আমার ওপর পড়েছিল।’

দাদির প্রতি নিজের আবেগের কথা জানাতেও ভোলেন না প্রিয়াঙ্কা। একবার ইন্দিরার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন প্রিয়াঙ্কা। দাদির সঙ্গে খেলায় মেতে থাকার একটি সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘তোমার জীবন সাহস, নির্ভয়তা এবং দেশপ্রেমের বার্তা দেয়।’

একবার এলাহাবাদে গিয়ে ‘স্বরাজ ভবন’-এ উঠেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেই বাড়ি, যেখানে ইন্দিরা গান্ধী জন্মেছিলেন। রাতে ঘরটির ছবি দিয়ে এক্সে লেখেন প্রিয়াঙ্কা, ‘সেই ঘরে বসে আছি, যেখানে আমার দাদি ইন্দিরা জন্মেছিলেন। মনে পড়ে জোয়ান অব আর্কের গল্প বলে আমাকে ঘুম পাড়াতেন তিনি। বলতেন—সাহসী হও, তা হলেই সব কিছু ভালো হবে।’

প্রিয়াঙ্কার রাজনীতির খতিয়ান

প্রিয়াঙ্কা ধীরে ধীরে ভারতীয়দের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন। অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক নানা বিষয়েও তিনি নিচের কণ্ঠস্বরকে উঁচু করতে ভুলেন না। এই তো কিছুদিন আগে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করেছেন মোদি সরকারের ইসরায়েল প্রীতির সমালোচনাও।

২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে দেওয়া হয় ‌প্রিয়াঙ্কাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। তবে দল নির্বাচনে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। এরপর ২০২৪ সালে ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অংশ নেন প্রিয়াঙ্কা। সিপিআই ও বিজেপি প্রার্থীদের অনেক পেছনে ফেলে প্রথমবার লোকসভার সদস্য হন তিনি।

ভারতের রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কা আবার আলোচনায় এসেছেন পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর। প্রিয়াঙ্কার শাড়ি, চওড়া হাসি, কব্জির ঘড়ি, কেশবিন্যাস, মঞ্চে বাচনভঙ্গি, এমনকি হাতজোড়ের কায়দা—ভারতীয় অনেককেই অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। উপমহাদেশের রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য বরাবরই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান—সব জায়গাতে আজকেও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নেতৃত্ব উত্তরাধিকারসূত্রেই পাওয়া। এই প্রেক্ষাপটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী খুবই সম্ভাবনাময় একজন ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তি ও রাজনৈতিক চরিত্রের মিল। ভারতের জনগণও যেন সেই মিলের বাস্তবায়ন দেখতে উৎসুক। তাঁর দলও সেই মিলকে কাজে লাগাতে অনাগ্রহী নয়।

রাজপথে সরাসরি রাজনৈতিক সংঘাতে এবার দেখা গেল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। এ সংঘাত কি তাঁকে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে ঠেলে দেবে? তিনি কি ইন্দিরা গান্ধীর মতো প্রবল ব্যক্তিত্ব নিয়ে কংগ্রেসকে ভারতের প্রধান দল হিসেবে ফিরিয়ে আনেতে ভূমিকা রাখবেন? প্রিয়াঙ্কা কি হয়ে উঠবেন ভারতের আগামীর ইন্দিরা গান্ধী?

Ad 300x250

সম্পর্কিত