ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩১৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়
বরাদ্দ পাওয়ার আশায় নিজেদের টাকায় সংস্কারকাজ করেছে অনেক বিদ্যালয়। এখন বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় তারাও পড়েছে বিপাকে। সেই সঙ্গে সংস্কার না হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় কাজে অনীহা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী। এতে কোনো কাজই করা হয়নি ২৮৪টি বিদ্যালয়ে।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ফেনীতে গত বছর ভয়াবহ বন্যায় ৩১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দও দেয় সরকার। নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছিল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় কাজে অনীহা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী। এতে কোনো কাজই করা হয়নি ২৮৪টি বিদ্যালয়ে। বরাদ্দের সাড়ে ১২ কোটি টাকা ফেরত গেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে।
এদিকে বরাদ্দ পাওয়ার আশায় নিজেদের পকটের টাকায় সংস্কারকাজ করেছে অনেক বিদ্যালয়। এখন বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় তারাও পড়েছেন বিপাকে। সেই সঙ্গে সংস্কার না হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী, দেড় লাখ টাকার কম বরাদ্দ হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি খরচ করতে পারে। এর বেশি হলে উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে ব্যয় করতে হবে। সময় মতো দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান না করায় প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। প্রকল্প কাজের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় কম হওয়ায় বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি।
২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলার ৩১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব প্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কারের জন্য ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ৮১২ টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মাত্র ৩০টি বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারকাজে বরাদ্দের ৩১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৪ টাকা ব্যয় হয়। বাকি ২৮৪টি বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৮ টাকা কাজ না হওয়ায় অধিদপ্তরে ফেরত চলে যায়।
শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫৫৯টি। এ ছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৩টি, মাদ্রাসা ১২৮টি, কলেজ ৩০টি, কারিগরি, ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ ভবনের নিচতলার শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষের দরজা-জানালা, আসবাব, টেবিল-চেয়ার, বেঞ্চ, আলমারি, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ওয়াশ-ব্লক, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, মাঠ, সীমানা প্রাচীর।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলগুলো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ পায় চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে বরাদ্দ পাওয়ায় মেরামত সম্পন্ন করেছে ৩০টি বিদ্যালয়। তবে দেড় লাখ টাকার বেশি বরাদ্দ পাওয়ায় নিয়মানুযায়ী বাকি ২৮৪টি বিদ্যালয়ের মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু দরপত্র আহ্বানে অনীহা প্রকাশ করেন উপজেলা প্রকৌশলী।
নিজস্ব খরচে সংস্কার, ফেরত গেছে বরাদ্দ
প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেনীতে ৫৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৫টির মেরামতের জন্য ৫ কোটি ২ লাখ ২৬ হাজার ৫১৪ টাকা বরাদ্দ আসে। ৫টি বিদ্যালয় ৫ লাখ ৬২ হাজার ১৫৯ টাকা মেরামত কাজে ব্যয় করেছে। তবে ১১০টি বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কারে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৫ টাকা ফেরত চলে গেছে।
জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় ১০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে গত বছরের বন্যায় ১৬টি বিদ্যালয়ের আসবাবসহ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব মেরামতের জন্য ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৯৬০ টাকা বরাদ্দ আসে। এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত চলে যায়।
একইভাবে সোনাগাজী উপজেলায় ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০২টি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য বরাদ্দ আসে ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৪১ টাকা। এর মধ্যে ২৫টি বিদ্যালয় ২৬ লাখ ১১ হাজার ১৭৫ টাকা মেরামত কাজে ব্যয় করেছে। ফেরত গেছে বাকি ৭৭টি বিদ্যালয়ের মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৬ টাকা।
এ ছাড়া ছাগলনাইয়ার ৭৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৫টি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ৩ কোটি ৫১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭৮ টাকা, পরশুরাম উপজেলায় ৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং ফুলগাজী উপজেলায় ৯টি বিদ্যালয়ের জন্য ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৬ টাকা ফেরত চলে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, সময় কম থাকায় এই বরাদ্দ কাজে লাগানো যায়নি। এতে বিদ্যালয়গুলো পাঠদানের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে নিজ পকেটের টাকা খরচ করে জরুরি সংস্কার কাজ করেছেন। এখন সেই টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
পশ্চিম ছিলোনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কিশোর চক্রবর্তী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠদান উপযোগী করতে বরাদ্দ আসার আগেই শিক্ষকরা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ব্যয় করেছেন। এখন তারা ওই টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
কী বলছে কর্তৃপক্ষ
সোনাগাজীর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোতে কাজ করার জন্য আমরা উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি প্রেরণ করেছি।‘
সোনাগাজী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে আমরা চিঠি পেলেও সেখানে প্যাকেজ নম্বরসহ বিস্তারিত সুস্পষ্টভাবে বলা হয়নি। তা ছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাজ করার জন্য জানানো হয়নি। এ কারণে বিদ্যালয়গুলোতে আমরা কাজ করতে পারিনি। বিষয়টি আমরা সুস্পষ্টভাবে শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি।”
তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, ‘বরাদ্দ বাস্তবায়নে দরপত্র করার মতো সময় ছিল না বলেই অর্থ ফেরত গেছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগামী অর্থবছরে পুনরায় বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আহাম্মেদ বলেন, ‘গত অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই এই বরাদ্দ আসে। কিন্তু সময় কম হওয়ায় এই অর্থ ব্যয় সম্ভব হয়নি। বছরের শুরুতে বরাদ্দ এলে বা মেয়াদ বৃদ্ধি করলে, তা সম্ভব হতো।’
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাতিমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি, চলতি অর্থবছরের আগস্ট মাসের মধ্যে অর্থ ফেরত পাব। পরে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলোর সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’
ফেনীতে গত বছর ভয়াবহ বন্যায় ৩১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দও দেয় সরকার। নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছিল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় কাজে অনীহা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী। এতে কোনো কাজই করা হয়নি ২৮৪টি বিদ্যালয়ে। বরাদ্দের সাড়ে ১২ কোটি টাকা ফেরত গেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে।
এদিকে বরাদ্দ পাওয়ার আশায় নিজেদের পকটের টাকায় সংস্কারকাজ করেছে অনেক বিদ্যালয়। এখন বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় তারাও পড়েছেন বিপাকে। সেই সঙ্গে সংস্কার না হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী, দেড় লাখ টাকার কম বরাদ্দ হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি খরচ করতে পারে। এর বেশি হলে উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে ব্যয় করতে হবে। সময় মতো দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান না করায় প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। প্রকল্প কাজের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় কম হওয়ায় বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি।
২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলার ৩১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব প্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কারের জন্য ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ৮১২ টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মাত্র ৩০টি বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারকাজে বরাদ্দের ৩১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৪ টাকা ব্যয় হয়। বাকি ২৮৪টি বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৮ টাকা কাজ না হওয়ায় অধিদপ্তরে ফেরত চলে যায়।
শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫৫৯টি। এ ছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৩টি, মাদ্রাসা ১২৮টি, কলেজ ৩০টি, কারিগরি, ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ ভবনের নিচতলার শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষের দরজা-জানালা, আসবাব, টেবিল-চেয়ার, বেঞ্চ, আলমারি, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ওয়াশ-ব্লক, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, মাঠ, সীমানা প্রাচীর।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলগুলো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ পায় চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে বরাদ্দ পাওয়ায় মেরামত সম্পন্ন করেছে ৩০টি বিদ্যালয়। তবে দেড় লাখ টাকার বেশি বরাদ্দ পাওয়ায় নিয়মানুযায়ী বাকি ২৮৪টি বিদ্যালয়ের মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু দরপত্র আহ্বানে অনীহা প্রকাশ করেন উপজেলা প্রকৌশলী।
নিজস্ব খরচে সংস্কার, ফেরত গেছে বরাদ্দ
প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেনীতে ৫৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৫টির মেরামতের জন্য ৫ কোটি ২ লাখ ২৬ হাজার ৫১৪ টাকা বরাদ্দ আসে। ৫টি বিদ্যালয় ৫ লাখ ৬২ হাজার ১৫৯ টাকা মেরামত কাজে ব্যয় করেছে। তবে ১১০টি বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কারে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৫ টাকা ফেরত চলে গেছে।
জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় ১০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে গত বছরের বন্যায় ১৬টি বিদ্যালয়ের আসবাবসহ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব মেরামতের জন্য ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৯৬০ টাকা বরাদ্দ আসে। এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত চলে যায়।
একইভাবে সোনাগাজী উপজেলায় ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০২টি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য বরাদ্দ আসে ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৪১ টাকা। এর মধ্যে ২৫টি বিদ্যালয় ২৬ লাখ ১১ হাজার ১৭৫ টাকা মেরামত কাজে ব্যয় করেছে। ফেরত গেছে বাকি ৭৭টি বিদ্যালয়ের মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৬ টাকা।
এ ছাড়া ছাগলনাইয়ার ৭৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৫টি বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ৩ কোটি ৫১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭৮ টাকা, পরশুরাম উপজেলায় ৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং ফুলগাজী উপজেলায় ৯টি বিদ্যালয়ের জন্য ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৬ টাকা ফেরত চলে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, সময় কম থাকায় এই বরাদ্দ কাজে লাগানো যায়নি। এতে বিদ্যালয়গুলো পাঠদানের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে নিজ পকেটের টাকা খরচ করে জরুরি সংস্কার কাজ করেছেন। এখন সেই টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
পশ্চিম ছিলোনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কিশোর চক্রবর্তী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠদান উপযোগী করতে বরাদ্দ আসার আগেই শিক্ষকরা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ব্যয় করেছেন। এখন তারা ওই টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
কী বলছে কর্তৃপক্ষ
সোনাগাজীর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোতে কাজ করার জন্য আমরা উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি প্রেরণ করেছি।‘
সোনাগাজী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে আমরা চিঠি পেলেও সেখানে প্যাকেজ নম্বরসহ বিস্তারিত সুস্পষ্টভাবে বলা হয়নি। তা ছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাজ করার জন্য জানানো হয়নি। এ কারণে বিদ্যালয়গুলোতে আমরা কাজ করতে পারিনি। বিষয়টি আমরা সুস্পষ্টভাবে শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি।”
তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, ‘বরাদ্দ বাস্তবায়নে দরপত্র করার মতো সময় ছিল না বলেই অর্থ ফেরত গেছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগামী অর্থবছরে পুনরায় বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আহাম্মেদ বলেন, ‘গত অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই এই বরাদ্দ আসে। কিন্তু সময় কম হওয়ায় এই অর্থ ব্যয় সম্ভব হয়নি। বছরের শুরুতে বরাদ্দ এলে বা মেয়াদ বৃদ্ধি করলে, তা সম্ভব হতো।’
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাতিমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি, চলতি অর্থবছরের আগস্ট মাসের মধ্যে অর্থ ফেরত পাব। পরে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলোর সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’
দুই বছর আগেও বাংলাদেশিদের কাছে শেখ মুজিবের সমালোচনা এক অকল্পনীয় বিষয় ছিল। আজ সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝেও শোনা যাচ্ছে, ‘পাকিস্তানি আমলেই ভাল ছিলাম’ এর হাহাকার।
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান। স্ট্রিমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি স্ট্রিমকে বলেছেন, জুলাই সনদে কিন্তু শুধু ঐকমত্যের জায়গাই নেই, সঙ্গে নোট অব ডিসেন্টও আছে। আমরা সই করেছি ঐকমত্য এবং নোট অব ডিসেন্ট–দুটো বিষয় নিয়েই।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন জুলাই সনদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদে তাঁদের কয়েকটি মৌলিক দাবি বাদ পড়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেআমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, জুলাই সনদের অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এক্ষেত্রে বিএনপি যদি একটু উদারতা ও আন্তরিকতা দেখায়, আশা করি একটা সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
১১ ঘণ্টা আগে