আজ ৫ ডিসেম্বর বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার প্রয়াণদিবস। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি। একজন ‘স্পোর্টস আইকন’ হিসেবেও ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন, যিনি খেলার মাঠকে বানিয়েছিলেন শান্তি প্রতিষ্ঠার মঞ্চ।
ফাবিহা বিনতে হক

সময়টা ১৯৯৫ সালের ২৪ জুন। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের এলিস পার্ক স্টেডিয়াম। গ্যালারিতে গিজগিজ করছে ৬২ হাজার দর্শক। চলছে রাগবি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। সবার মধ্যে টানটান উত্তেজনা। কিন্তু সেই উত্তেজনার পারদ ছাপিয়ে সবার চোখ আটকে গেল একটি বিশেষ দৃশ্যে।
স্টেডিয়ামে প্রবেশ করলেন ৭৭ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা। তাঁর পরনে কোনো দামী স্যুট-কোট নেই, বরং তিনি পরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি দলের সবুজ রঙের জার্সি। পিঠে অধিনায়কের নম্বর ‘৬’।
সেদিন স্টেডিয়ামের গ্যালারির সিংহভাগ দর্শকই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান। যেই মানুষটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জেলের ভেতর আটকে রেখেছিল দীর্ঘ ২৭ বছর, আজ তাকেই তাদের দলের জার্সি গায়ে দেখে পুরো স্টেডিয়াম সমস্বরে চিৎকার করে ডাকলো,’নেলসন! নেলসন!’
১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন, তখন দেশটি ছিল বর্ণবাদের বিষে জর্জরিত। এই বিভাজনের অন্যতম প্রতীক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় রাগবি দল ‘স্প্রিংবক্স’।
দীর্ঘকাল ধরে এই রাগবি দলে ছিল শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্য। এ কারণে কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানরা এই দলটিকে এতটাই ঘৃণা করত যে, তারা স্প্রিংবক্সের বিপক্ষে যেই দলই খেলত, তাদেরই সমর্থন করতেন। নেলসন ম্যান্ডেলা ক্ষমতায় আসার পর তাঁর দলের অনেকেই চেয়েছিলেন রাগবি দলের নাম ও প্রতীক বদলে দিয়ে শ্বেতাঙ্গদের এই গর্বের জায়গাটি ভেঙে দিতে।
কিন্তু স্রোতের বিপরীতে হাঁটলেন ম্যান্ডেলা। প্রতিশোধের বদলে তিনি খুঁজলেন শ্বেতাঙ্গের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গের সংযোগের সূত্র। আর এই সূত্রটি তিনি পেয়েছিলেন বহু বছর আগে, যখন তিনি বন্দি ছিলেন রবেন আইল্যান্ড কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে।
কারাগার থেকেই স্বপ্ন দেখার শুরু
রবেন আইল্যান্ডে কারাবন্দী থাকার সময় নেলসন ম্যান্ডেলা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন শ্বেতাঙ্গ কারারক্ষীদের। তিনি দেখতেন, স্বভাবে কঠোর এই রক্ষীরা রাগবি খেলার দিন সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যেতেন। রেডিওতে খেলার ধারাভাষ্য শোনার সময় তাঁদের চোখেমুখে যে উত্তেজনা কাজ করত, তা চোখ এড়াত না দূরদর্শী এই নেতার। খেলার ফলাফল নিয়ে তাঁদের ভেতর যে আগ্রহ-উদ্দীপনা তিনি দেখেছেন, সেখান থেকেই নেলসন ম্যান্ডেলা বুঝতে পারেন এই রাগবি খেলা হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষদের মিলিয়ে দেওয়ার প্রধান অস্ত্র। তিনি উপলব্ধি করেন, যদি শ্বেতাঙ্গদের মন জয় করতে হয়, তবে তাদের সবচেয়ে প্রিয় ভালোবাসার জায়গাটিতে আঘাত করা যাবে না। বরং সেই ভালোবাসাকেই সম্মান জানাতে হবে।

‘ওয়ান টিম, ওয়ান কান্ট্রি’
১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি বিশ্বকাপের আয়োজন করে। এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে ম্যান্ডেলাও তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেয়ে গেলেন। তিনি রাগবি দলের শ্বেতাঙ্গ অধিনায়ক ফ্রাঁসোয়া পিয়েনারের সঙ্গে দেখা করে বোঝালেন যে এই বিশ্বকাপ শুধু খেলার জয়-পরাজয় নয়, এটি দেশকে বিনির্মাণ করার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
ম্যান্ডেলা স্লোগান তুললেন, ‘ওয়ান টিম, ওয়ান কান্ট্রি’। কৃষ্ণাঙ্গদের অনুরোধ করলেন নিজেদের ক্ষোভ ভুলে রাগবি দলকে সমর্থন করতে। একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি নিজে বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে মানুষকে বোঝালেন। এমনকি রাগবি দলের খেলোয়াড়দের পাঠালেন কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত দরিদ্র এলাকাগুলোতে। তাঁর এই প্রচেষ্টা দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে জাদুকরী পরিবর্তন আনতে শুরু করে। যে দলটি একসময় ছিল আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গদের ঘৃণার পাত্র, মহান নেতার জাদুস্পর্শে সেই দলই হয়ে উঠল পুরো জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
ঐতিহাসিক সেই ফাইনাল ম্যাচ
ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল সেই সময়ের বিশ্বসেরা দল নিউজিল্যান্ড। শক্তিমত্তা ও পারদর্শীতায় নিউজিল্যান্ড ছিল আফ্রিকার চেয়ে অনেক এগিয়ে। এমন শক্তিশালী দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার জেতার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম।
কিন্তু খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা নিজেই। খেলা শুরুর আগে ড্রেসিংরুমে গিয়ে খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানালেন। তাঁর গায়ে ছিল অধিনায়কের জার্সি। একজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতাকে দলের জার্সি পরিহিত অবস্থায় দেখে খেলোয়াড়রা এক অদ্ভুত মনের জোর পেলেন।
ম্যাচটি ছিল টানটান উত্তেজনার। নির্ধারিত সময় পার হয়ে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কোনো দলই একবিন্দু ছাড় দিচ্ছে না কাউকে। হঠাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার জোয়েল স্ট্রানস্কি একটি অবিশ্বাস্য ‘ড্রপ গোল’ করে দলকে ১৫-১২ ব্যবধানে জয় এনে দেন। এলিস পার্ক স্টেডিয়ামে সেদিন বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। কে শ্বেতাঙ্গ, কে কৃষ্ণাঙ্গ সবকিছু ভুলে এক হয়ে যায় পুরো দেশ।
ম্যাচ শেষে ট্রফি তুলে দেওয়ার মুহূর্তটি ছিল আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা দৃশ্য। ম্যান্ডেলা ট্রফিটি তুলে দিলেন অধিনায়ক ফ্রাঁসোয়া পিয়েনারের হাতে। পিয়েরকে তখন সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আজ স্টেডিয়ামের ৬২ হাজার মানুষের সমর্থন পেয়ে আপনার কেমন লাগছে?’ উত্তরে পিয়ের বলেছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে শুধু ৬২ হাজার মানুষ ছিল না, আমাদের সঙ্গে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।’
নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্বাস করতেন, খেলাধুলার এমন এক শক্তি আছে যা সরকারের নেই। ২০০০ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা খেলাধুলার আছে। এটি মানুষকে এমনভাবে এক করতে পারে, যা অন্য কিছু পারে না।’ তাই নেলসন ম্যান্ডেলা শুধু একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নন, একজন ‘স্পোর্টস আইকন’ হিসেবেও ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন, যিনি খেলার মাঠকে বানিয়েছিলেন শান্তি প্রতিষ্ঠার মঞ্চ।

সময়টা ১৯৯৫ সালের ২৪ জুন। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের এলিস পার্ক স্টেডিয়াম। গ্যালারিতে গিজগিজ করছে ৬২ হাজার দর্শক। চলছে রাগবি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। সবার মধ্যে টানটান উত্তেজনা। কিন্তু সেই উত্তেজনার পারদ ছাপিয়ে সবার চোখ আটকে গেল একটি বিশেষ দৃশ্যে।
স্টেডিয়ামে প্রবেশ করলেন ৭৭ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা। তাঁর পরনে কোনো দামী স্যুট-কোট নেই, বরং তিনি পরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি দলের সবুজ রঙের জার্সি। পিঠে অধিনায়কের নম্বর ‘৬’।
সেদিন স্টেডিয়ামের গ্যালারির সিংহভাগ দর্শকই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান। যেই মানুষটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জেলের ভেতর আটকে রেখেছিল দীর্ঘ ২৭ বছর, আজ তাকেই তাদের দলের জার্সি গায়ে দেখে পুরো স্টেডিয়াম সমস্বরে চিৎকার করে ডাকলো,’নেলসন! নেলসন!’
১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন, তখন দেশটি ছিল বর্ণবাদের বিষে জর্জরিত। এই বিভাজনের অন্যতম প্রতীক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় রাগবি দল ‘স্প্রিংবক্স’।
দীর্ঘকাল ধরে এই রাগবি দলে ছিল শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্য। এ কারণে কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানরা এই দলটিকে এতটাই ঘৃণা করত যে, তারা স্প্রিংবক্সের বিপক্ষে যেই দলই খেলত, তাদেরই সমর্থন করতেন। নেলসন ম্যান্ডেলা ক্ষমতায় আসার পর তাঁর দলের অনেকেই চেয়েছিলেন রাগবি দলের নাম ও প্রতীক বদলে দিয়ে শ্বেতাঙ্গদের এই গর্বের জায়গাটি ভেঙে দিতে।
কিন্তু স্রোতের বিপরীতে হাঁটলেন ম্যান্ডেলা। প্রতিশোধের বদলে তিনি খুঁজলেন শ্বেতাঙ্গের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গের সংযোগের সূত্র। আর এই সূত্রটি তিনি পেয়েছিলেন বহু বছর আগে, যখন তিনি বন্দি ছিলেন রবেন আইল্যান্ড কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে।
কারাগার থেকেই স্বপ্ন দেখার শুরু
রবেন আইল্যান্ডে কারাবন্দী থাকার সময় নেলসন ম্যান্ডেলা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন শ্বেতাঙ্গ কারারক্ষীদের। তিনি দেখতেন, স্বভাবে কঠোর এই রক্ষীরা রাগবি খেলার দিন সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যেতেন। রেডিওতে খেলার ধারাভাষ্য শোনার সময় তাঁদের চোখেমুখে যে উত্তেজনা কাজ করত, তা চোখ এড়াত না দূরদর্শী এই নেতার। খেলার ফলাফল নিয়ে তাঁদের ভেতর যে আগ্রহ-উদ্দীপনা তিনি দেখেছেন, সেখান থেকেই নেলসন ম্যান্ডেলা বুঝতে পারেন এই রাগবি খেলা হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষদের মিলিয়ে দেওয়ার প্রধান অস্ত্র। তিনি উপলব্ধি করেন, যদি শ্বেতাঙ্গদের মন জয় করতে হয়, তবে তাদের সবচেয়ে প্রিয় ভালোবাসার জায়গাটিতে আঘাত করা যাবে না। বরং সেই ভালোবাসাকেই সম্মান জানাতে হবে।

‘ওয়ান টিম, ওয়ান কান্ট্রি’
১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি বিশ্বকাপের আয়োজন করে। এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে ম্যান্ডেলাও তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেয়ে গেলেন। তিনি রাগবি দলের শ্বেতাঙ্গ অধিনায়ক ফ্রাঁসোয়া পিয়েনারের সঙ্গে দেখা করে বোঝালেন যে এই বিশ্বকাপ শুধু খেলার জয়-পরাজয় নয়, এটি দেশকে বিনির্মাণ করার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
ম্যান্ডেলা স্লোগান তুললেন, ‘ওয়ান টিম, ওয়ান কান্ট্রি’। কৃষ্ণাঙ্গদের অনুরোধ করলেন নিজেদের ক্ষোভ ভুলে রাগবি দলকে সমর্থন করতে। একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি নিজে বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে মানুষকে বোঝালেন। এমনকি রাগবি দলের খেলোয়াড়দের পাঠালেন কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত দরিদ্র এলাকাগুলোতে। তাঁর এই প্রচেষ্টা দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে জাদুকরী পরিবর্তন আনতে শুরু করে। যে দলটি একসময় ছিল আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গদের ঘৃণার পাত্র, মহান নেতার জাদুস্পর্শে সেই দলই হয়ে উঠল পুরো জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
ঐতিহাসিক সেই ফাইনাল ম্যাচ
ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল সেই সময়ের বিশ্বসেরা দল নিউজিল্যান্ড। শক্তিমত্তা ও পারদর্শীতায় নিউজিল্যান্ড ছিল আফ্রিকার চেয়ে অনেক এগিয়ে। এমন শক্তিশালী দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার জেতার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম।
কিন্তু খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা নিজেই। খেলা শুরুর আগে ড্রেসিংরুমে গিয়ে খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানালেন। তাঁর গায়ে ছিল অধিনায়কের জার্সি। একজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতাকে দলের জার্সি পরিহিত অবস্থায় দেখে খেলোয়াড়রা এক অদ্ভুত মনের জোর পেলেন।
ম্যাচটি ছিল টানটান উত্তেজনার। নির্ধারিত সময় পার হয়ে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কোনো দলই একবিন্দু ছাড় দিচ্ছে না কাউকে। হঠাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার জোয়েল স্ট্রানস্কি একটি অবিশ্বাস্য ‘ড্রপ গোল’ করে দলকে ১৫-১২ ব্যবধানে জয় এনে দেন। এলিস পার্ক স্টেডিয়ামে সেদিন বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। কে শ্বেতাঙ্গ, কে কৃষ্ণাঙ্গ সবকিছু ভুলে এক হয়ে যায় পুরো দেশ।
ম্যাচ শেষে ট্রফি তুলে দেওয়ার মুহূর্তটি ছিল আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা দৃশ্য। ম্যান্ডেলা ট্রফিটি তুলে দিলেন অধিনায়ক ফ্রাঁসোয়া পিয়েনারের হাতে। পিয়েরকে তখন সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আজ স্টেডিয়ামের ৬২ হাজার মানুষের সমর্থন পেয়ে আপনার কেমন লাগছে?’ উত্তরে পিয়ের বলেছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে শুধু ৬২ হাজার মানুষ ছিল না, আমাদের সঙ্গে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।’
নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্বাস করতেন, খেলাধুলার এমন এক শক্তি আছে যা সরকারের নেই। ২০০০ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা খেলাধুলার আছে। এটি মানুষকে এমনভাবে এক করতে পারে, যা অন্য কিছু পারে না।’ তাই নেলসন ম্যান্ডেলা শুধু একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নন, একজন ‘স্পোর্টস আইকন’ হিসেবেও ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন, যিনি খেলার মাঠকে বানিয়েছিলেন শান্তি প্রতিষ্ঠার মঞ্চ।

জেনে অবাক হবেন যে, শত বছর আগে বৃহত্তর যশোর (ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ, যশোর) অঞ্চলে বন্যপ্রাণী বাস করত। কোন কোন বন্যপ্রাণী সেখানে ছিল? নদী, জলাভূমি ও পুকুরে কী কী মাছ পাওয়া যেত? ১৯১২ সালের এল এস এস ওম্যালি-এর বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার থেকে অনুবাদ করেছেন ভূ-পর্যটক তারেক অণু।
৬ ঘণ্টা আগে
ভালো ছবি তুলতে হলে যে দামী ক্যামেরা লাগবেই এমন কোনো কথা নেই। সুন্দর ছবি তুলতে হলে ফটোগ্রাফির ‘ব্যাসিক’ কিছু টেকনিক আয়ত্ত করতে হবে। এই সহজ কৌশলগুলো রপ্ত করলেই ক্যামেরা–স্মার্টফোন দুটোই গল্প বলতে শুরু করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
‘ফাঁকা বুলি আওড়াবার অভ্যাস আমার নেই। ট্যাংক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আমার আছে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর অধীনে একটি ট্যাংক ইউনিটে অংশগ্রহণে আমি অটল।’ হুঙ্কার ছাড়লেন ৭০ বছর বয়সী অঁদ্রে মালরো। ওয়াশিংটন নিউজ পত্রিকায় ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হলো এ প্রসঙ্গে একটি সম্পাদকীয়।
১১ ঘণ্টা আগে
বিকেলবেলার এক পশলা বৃষ্টি, হাতে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ। জানালার গ্রিল ধরে বাইরে তাকাতেই ইউটিউবের প্লে-লিস্টে বেজে উঠল নব্বই দশকের জনপ্রিয় কোনো গান। ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার বুকের ভেতর কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে ওঠে। কারো চোখে জমা হয় অশ্রুবিন্দু, কিন্তু ঠোঁটের কোণে লেগে থাকে মৃদু হাসি।
১ দিন আগে