ভালো ছবি তুলতে হলে যে দামী ক্যামেরা লাগবেই এমন কোনো কথা নেই। সুন্দর ছবি তুলতে হলে ফটোগ্রাফির ‘ব্যাসিক’ কিছু টেকনিক আয়ত্ত করতে হবে। এই সহজ কৌশলগুলো রপ্ত করলেই ক্যামেরা–স্মার্টফোন দুটোই গল্প বলতে শুরু করবে।
আশরাফুল আলম

ফটোগ্রাফি শেখার আসল ভিত্তি হলো ছবির আলো নিয়ন্ত্রণ করা, সাবজেক্টকে সঠিক অবস্থানে রাখতে পারা, মুহূর্ত চিনতে শেখা আর পরে ছবি ঠিকভাবে এডিট করার দক্ষতা অর্জন করা। এক কথায়, ফটোগ্রাফির মূল শক্তি হলো এক্সপোজার বোঝা, কম্পোজিশন নিয়ে ভাবা, ফোকাস ও শার্পনেস ঠিক রাখা, আলো কীভাবে কাজে লাগাতে হয় তা বুঝে ফেলা, লেয়ারিং আর পার্সপেকটিভ আয়ত্ত করা। এই কয়েকটি টেকনিক ভালোভাবে রপ্ত হলে যেকোনো ক্যামেরাই গল্প বলার যন্ত্র হয়ে ওঠে।
ছবির আলো–অন্ধকার নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি জিনিস। সেগুলো হলো আইএসও, শাটার স্পিড আর অ্যাপারচার। আলো কম হলে আইএসও বাড়াতে হয়, তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলে ছবিতে গ্রেইন দেখা দেয়।

দ্রুতগতির কোনো সাবজেক্টের ছবি তুলতে হলে শাটার স্পিড বাড়াতে হয়, আর শাটার কমালে নড়াচড়ার কারণে ব্লার তৈরি হয়। অ্যাপারচার কম হলে (যেমন এফ ওয়ান পয়েন্ট এইট) ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লারি হয়, আর অ্যাপারচার বেশি হলে (যেমন এফ সিক্সটিন) ফ্রেমের সবকিছুই শার্প দেখা যায়। এই তিনটাকে ঠিকমতো মিলিয়ে নেওয়া শিখলেই ছবির আলো আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ছবির কম্পোজিশন মানে হলো ফ্রেমের ভেতরের উপাদানগুলোকে এমনভাবে সাজানো, যাতে যারা ছবি দেখবে তাঁদের চোখ সঠিক জায়গায় যায় এবং ছবির গল্প স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। ভালো কম্পোজিশন শুধু ছবিকে সুন্দর করে না, বরং অনুভূতি তৈরি করে এবং ছবিতে অর্থ যোগ করে। কম্পোজিশনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল করা জরুরী।
ফ্রেমটাকে কল্পনায় ৩×৩ গ্রিডে ভাগ করে নিতে হবে যাতে পুরো ছবিতে মোট নয়টি সমান অংশ তৈরি হয়। এই গ্রিডের চারটি ক্রসিং পয়েন্ট থাকে, আর সাবজেক্টকে ঠিক সেই পয়েন্টগুলোর যেকোনো একটায় রাখলে ছবিতে স্বাভাবিক একটি ভারসাম্য তৈরি হয়।

এতে দর্শকের চোখ অনায়াসেই সাবজেক্টের দিকে চলে যায় এবং ছবির কম্পোজিশন আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। পোর্ট্রেট হোক, ল্যান্ডস্কেপ বা ডকুমেন্টারি—সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম দারুণ কাজ করে। ছবিকে কখনোই পুরো মাঝখানে ভরাট না করে সাবজেক্টকে সামান্য পাশে সরিয়ে রাখলে ছবিটা আরও ন্যাচারাল আর গল্প বলতে সক্ষম হয়ে ওঠে।
ছবির ভেতরে থাকা রাস্তা, ব্রিজ, রেললাইন, ছায়া বা দেয়ালের মতো কোনও সাবজেক্ট রেখা স্বভাবগতভাবেই চোখকে টেনে নিয়ে যায়। এই লাইনগুলোকে যদি এমনভাবে সাজানো যায় যাতে চোখ সরাসরি সাবজেক্টের দিকে পৌঁছায়, তাহলে ছবির গল্প আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

রেখা চোখকে পথ দেখায়, আর সেই পথ ধরে যাওয়া সাবজেক্টকে আরও অর্থপূর্ণ করে তোলে। এতে ফ্রেমে যে গভীরতা তৈরি হয়, তা ছবিকে শুধু সুন্দরই নয়, বরং আরও অর্থবহ করে তোলে।
যখন ফ্রেমের দুই পাশ আয়নার মতো সমান বা প্রায় সমান থাকে, তখন সেটাকেই বলা হয় সিমেট্রি। এই ধরনের কম্পোজিশন ছবিতে একধরনের পরিচ্ছন্নতা আর সৌন্দর্য এনে দেয়।

স্থাপত্য, বড় রাস্তা বা লেকের পানিতে প্রতিফলন—এসব জায়গায় সিমেট্রি সবচেয়ে সুন্দরভাবে ধরা পড়ে। দর্শকের মনে এটি একধরনের ভারসাম্য তৈরি করে, যা ছবিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
সাবজেক্টকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ফ্রেমের ভেতরেই একটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম ফ্রেম তৈরি করা যেতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে জানালা, দরজার কাঠামো, গাছের ডাল, লাইটের গ্যাপ বা ছায়ার আকৃতি।

এই পদ্ধতিতে দর্শকের চোখ স্বাভাবিকভাবে সাবজেক্টের দিকে চলে যায়। এই পদ্ধতিতে সাবজেক্টকে শুধু তুলে ধরা নয়, তার চারপাশের পরিবেশকেও গল্পের অংশ বানানো যায়।
ছবিতে তিনটি স্তর ব্যবহার করলে—সামনের অংশ, মাঝের অংশ আর পেছনের অংশ—ফ্রেমে স্বাভাবিকভাবেই গভীরতা তৈরি হয়। সামনের অংশ বা সামনে থাকা উপাদান চোখকে ছবির ভেতরে নিয়ে যায়।

মাঝের অংশে থাকে ছবির মূল বিষয়, যেটার ওপর দর্শকের মন সবচেয়ে বেশি ধরে থাকে। আর পেছনের অংশ হলো দূরের এলিমেন্ট। এই তিনটি লেয়ার একসাথে থাকলে ছবি জীবন্ত এবং প্রাকৃতিক মনে হয়।
সাবজেক্টের চারপাশে পর্যাপ্ত স্পেস রাখলে ছবিতে আরামদায়ক অনুভূতি আসে। ভারসাম্য বজায় রাখা, যেমন ভরাট না হওয়া বা অতিরিক্ত খালি না থাকা ছবিতে প্রফেশনাল ‘লুক’ তৈরি করে।

কোন উচ্চতা বা কোন দিক থেকে ছবি তোলা হচ্ছে, তার ওপরই ছবির চরিত্র বদলে যায়। নিচু দিক থেকে তুললে সাবজেক্ট বড় ও শক্তিশালী দেখায়। ওপর থেকে তুললে দৃশ্যটা গল্পময় হয়ে ওঠে। আর খুব কাছ থেকে তুললে ক্ষুদ্র–ক্ষুদ্র ডিটেইল স্পষ্ট হয়।

ফোকাস আর শার্পনেস ঠিকমতো না হলে কোনো ছবিই ভালো দেখায় না। যেসব বিষয় নড়াচড়া করে না, সেগুলো তুলতে সাধারণ এক–বারের ফোকাসই যথেষ্ট। আর যেসব বিষয় দ্রুত নড়ে—যেমন খেলা, অনুষ্ঠান বা চলমান মানুষ—সেগুলো তুলতে ‘কন্টিনিউয়াস এফ (ফোকাস)’ ব্যবহার করলে ফ্রেমে শার্পনেস ঠিক থাকে। মানুষের ছবি তুললে সবসময় চোখে ফোকাস দেওয়া সবচেয়ে ভালো, কারণ চোখ শার্প থাকলে ছবির প্রাণ, আবেগ আর চরিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
ছবি তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আলো ব্যবহার। প্রাকৃতিক আলো সবসময়ই সবচেয়ে সুন্দর, বিশেষ করে সকাল আর বিকেলের আলো। সাবজেক্টের পেছনে আলো থাকলে ব্যাকলাইট তৈরি হয়, এতে সিলুয়েট বা নরম আলোর আভা পাওয়া যায়। পাশে থেকে আলো পড়লে মুখে টেক্সচার ফুটে ওঠে এবং ছবিতে নাটকীয়তা আসে।
আর যদি আলাদা আলো না থাকে, রিফ্লেক্টর ব্যবহার করে অতিরিক্ত আলো ছাড়া ছায়া কমানো যায়, ফলে সাবজেক্ট আরও স্পষ্ট এবং চোখে পড়ার মতো হয়।
ছবির কালার যেন স্বাভাবিক ও চোখে আরামদায়ক দেখায়, সেজন্য হোয়াইট ব্যালান্স ঠিক রাখা খুব জরুরি। টাংস্টেন বা ইনডোর আলোতে হোয়াইট ব্যালান্স কমালে ছবির রঙ ‘কুল’ টোনে চলে আসে। আর দিনের আলোয় হোয়াইট ব্যালান্স বাড়ালে ছবির রঙ ‘ওয়ার্ম’ ও বাস্তবের মতো লাগে। যদি র’ ফরম্যাটে ছবি তোলা হয়, তাহলে পরে এডিট করার সময় খুব সহজেই হোয়াইট ব্যালান্স ঠিক করা যায়।
র’ (আরএডব্লিউ) ফরম্যাটে ছবি তোলা হলে অনেক বেশি ডিটেইল ধরে রাখা যায় এবং পরে এডিটিং (ছবি সম্পাদনা) করার সময় স্বাধীনতা থাকে। অন্যদিকে সাধারণ তাত্ক্ষণিক ফরম্যাটে (যেমন জেপিইজি) ডিটেইল অনেক কম থাকে, আর পরে ছবি ঠিক করার সুযোগও সীমিত। তাই ভালো মানের ছবি তুলতে চাইলে সম্ভব হলে সবসময়ই র’ (আরএডব্লিউ) ফরম্যাটে ছবি তোলা ভালো।

ফটোগ্রাফি শেখার আসল ভিত্তি হলো ছবির আলো নিয়ন্ত্রণ করা, সাবজেক্টকে সঠিক অবস্থানে রাখতে পারা, মুহূর্ত চিনতে শেখা আর পরে ছবি ঠিকভাবে এডিট করার দক্ষতা অর্জন করা। এক কথায়, ফটোগ্রাফির মূল শক্তি হলো এক্সপোজার বোঝা, কম্পোজিশন নিয়ে ভাবা, ফোকাস ও শার্পনেস ঠিক রাখা, আলো কীভাবে কাজে লাগাতে হয় তা বুঝে ফেলা, লেয়ারিং আর পার্সপেকটিভ আয়ত্ত করা। এই কয়েকটি টেকনিক ভালোভাবে রপ্ত হলে যেকোনো ক্যামেরাই গল্প বলার যন্ত্র হয়ে ওঠে।
ছবির আলো–অন্ধকার নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি জিনিস। সেগুলো হলো আইএসও, শাটার স্পিড আর অ্যাপারচার। আলো কম হলে আইএসও বাড়াতে হয়, তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলে ছবিতে গ্রেইন দেখা দেয়।

দ্রুতগতির কোনো সাবজেক্টের ছবি তুলতে হলে শাটার স্পিড বাড়াতে হয়, আর শাটার কমালে নড়াচড়ার কারণে ব্লার তৈরি হয়। অ্যাপারচার কম হলে (যেমন এফ ওয়ান পয়েন্ট এইট) ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লারি হয়, আর অ্যাপারচার বেশি হলে (যেমন এফ সিক্সটিন) ফ্রেমের সবকিছুই শার্প দেখা যায়। এই তিনটাকে ঠিকমতো মিলিয়ে নেওয়া শিখলেই ছবির আলো আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ছবির কম্পোজিশন মানে হলো ফ্রেমের ভেতরের উপাদানগুলোকে এমনভাবে সাজানো, যাতে যারা ছবি দেখবে তাঁদের চোখ সঠিক জায়গায় যায় এবং ছবির গল্প স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। ভালো কম্পোজিশন শুধু ছবিকে সুন্দর করে না, বরং অনুভূতি তৈরি করে এবং ছবিতে অর্থ যোগ করে। কম্পোজিশনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল করা জরুরী।
ফ্রেমটাকে কল্পনায় ৩×৩ গ্রিডে ভাগ করে নিতে হবে যাতে পুরো ছবিতে মোট নয়টি সমান অংশ তৈরি হয়। এই গ্রিডের চারটি ক্রসিং পয়েন্ট থাকে, আর সাবজেক্টকে ঠিক সেই পয়েন্টগুলোর যেকোনো একটায় রাখলে ছবিতে স্বাভাবিক একটি ভারসাম্য তৈরি হয়।

এতে দর্শকের চোখ অনায়াসেই সাবজেক্টের দিকে চলে যায় এবং ছবির কম্পোজিশন আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। পোর্ট্রেট হোক, ল্যান্ডস্কেপ বা ডকুমেন্টারি—সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম দারুণ কাজ করে। ছবিকে কখনোই পুরো মাঝখানে ভরাট না করে সাবজেক্টকে সামান্য পাশে সরিয়ে রাখলে ছবিটা আরও ন্যাচারাল আর গল্প বলতে সক্ষম হয়ে ওঠে।
ছবির ভেতরে থাকা রাস্তা, ব্রিজ, রেললাইন, ছায়া বা দেয়ালের মতো কোনও সাবজেক্ট রেখা স্বভাবগতভাবেই চোখকে টেনে নিয়ে যায়। এই লাইনগুলোকে যদি এমনভাবে সাজানো যায় যাতে চোখ সরাসরি সাবজেক্টের দিকে পৌঁছায়, তাহলে ছবির গল্প আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

রেখা চোখকে পথ দেখায়, আর সেই পথ ধরে যাওয়া সাবজেক্টকে আরও অর্থপূর্ণ করে তোলে। এতে ফ্রেমে যে গভীরতা তৈরি হয়, তা ছবিকে শুধু সুন্দরই নয়, বরং আরও অর্থবহ করে তোলে।
যখন ফ্রেমের দুই পাশ আয়নার মতো সমান বা প্রায় সমান থাকে, তখন সেটাকেই বলা হয় সিমেট্রি। এই ধরনের কম্পোজিশন ছবিতে একধরনের পরিচ্ছন্নতা আর সৌন্দর্য এনে দেয়।

স্থাপত্য, বড় রাস্তা বা লেকের পানিতে প্রতিফলন—এসব জায়গায় সিমেট্রি সবচেয়ে সুন্দরভাবে ধরা পড়ে। দর্শকের মনে এটি একধরনের ভারসাম্য তৈরি করে, যা ছবিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
সাবজেক্টকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ফ্রেমের ভেতরেই একটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম ফ্রেম তৈরি করা যেতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে জানালা, দরজার কাঠামো, গাছের ডাল, লাইটের গ্যাপ বা ছায়ার আকৃতি।

এই পদ্ধতিতে দর্শকের চোখ স্বাভাবিকভাবে সাবজেক্টের দিকে চলে যায়। এই পদ্ধতিতে সাবজেক্টকে শুধু তুলে ধরা নয়, তার চারপাশের পরিবেশকেও গল্পের অংশ বানানো যায়।
ছবিতে তিনটি স্তর ব্যবহার করলে—সামনের অংশ, মাঝের অংশ আর পেছনের অংশ—ফ্রেমে স্বাভাবিকভাবেই গভীরতা তৈরি হয়। সামনের অংশ বা সামনে থাকা উপাদান চোখকে ছবির ভেতরে নিয়ে যায়।

মাঝের অংশে থাকে ছবির মূল বিষয়, যেটার ওপর দর্শকের মন সবচেয়ে বেশি ধরে থাকে। আর পেছনের অংশ হলো দূরের এলিমেন্ট। এই তিনটি লেয়ার একসাথে থাকলে ছবি জীবন্ত এবং প্রাকৃতিক মনে হয়।
সাবজেক্টের চারপাশে পর্যাপ্ত স্পেস রাখলে ছবিতে আরামদায়ক অনুভূতি আসে। ভারসাম্য বজায় রাখা, যেমন ভরাট না হওয়া বা অতিরিক্ত খালি না থাকা ছবিতে প্রফেশনাল ‘লুক’ তৈরি করে।

কোন উচ্চতা বা কোন দিক থেকে ছবি তোলা হচ্ছে, তার ওপরই ছবির চরিত্র বদলে যায়। নিচু দিক থেকে তুললে সাবজেক্ট বড় ও শক্তিশালী দেখায়। ওপর থেকে তুললে দৃশ্যটা গল্পময় হয়ে ওঠে। আর খুব কাছ থেকে তুললে ক্ষুদ্র–ক্ষুদ্র ডিটেইল স্পষ্ট হয়।

ফোকাস আর শার্পনেস ঠিকমতো না হলে কোনো ছবিই ভালো দেখায় না। যেসব বিষয় নড়াচড়া করে না, সেগুলো তুলতে সাধারণ এক–বারের ফোকাসই যথেষ্ট। আর যেসব বিষয় দ্রুত নড়ে—যেমন খেলা, অনুষ্ঠান বা চলমান মানুষ—সেগুলো তুলতে ‘কন্টিনিউয়াস এফ (ফোকাস)’ ব্যবহার করলে ফ্রেমে শার্পনেস ঠিক থাকে। মানুষের ছবি তুললে সবসময় চোখে ফোকাস দেওয়া সবচেয়ে ভালো, কারণ চোখ শার্প থাকলে ছবির প্রাণ, আবেগ আর চরিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
ছবি তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আলো ব্যবহার। প্রাকৃতিক আলো সবসময়ই সবচেয়ে সুন্দর, বিশেষ করে সকাল আর বিকেলের আলো। সাবজেক্টের পেছনে আলো থাকলে ব্যাকলাইট তৈরি হয়, এতে সিলুয়েট বা নরম আলোর আভা পাওয়া যায়। পাশে থেকে আলো পড়লে মুখে টেক্সচার ফুটে ওঠে এবং ছবিতে নাটকীয়তা আসে।
আর যদি আলাদা আলো না থাকে, রিফ্লেক্টর ব্যবহার করে অতিরিক্ত আলো ছাড়া ছায়া কমানো যায়, ফলে সাবজেক্ট আরও স্পষ্ট এবং চোখে পড়ার মতো হয়।
ছবির কালার যেন স্বাভাবিক ও চোখে আরামদায়ক দেখায়, সেজন্য হোয়াইট ব্যালান্স ঠিক রাখা খুব জরুরি। টাংস্টেন বা ইনডোর আলোতে হোয়াইট ব্যালান্স কমালে ছবির রঙ ‘কুল’ টোনে চলে আসে। আর দিনের আলোয় হোয়াইট ব্যালান্স বাড়ালে ছবির রঙ ‘ওয়ার্ম’ ও বাস্তবের মতো লাগে। যদি র’ ফরম্যাটে ছবি তোলা হয়, তাহলে পরে এডিট করার সময় খুব সহজেই হোয়াইট ব্যালান্স ঠিক করা যায়।
র’ (আরএডব্লিউ) ফরম্যাটে ছবি তোলা হলে অনেক বেশি ডিটেইল ধরে রাখা যায় এবং পরে এডিটিং (ছবি সম্পাদনা) করার সময় স্বাধীনতা থাকে। অন্যদিকে সাধারণ তাত্ক্ষণিক ফরম্যাটে (যেমন জেপিইজি) ডিটেইল অনেক কম থাকে, আর পরে ছবি ঠিক করার সুযোগও সীমিত। তাই ভালো মানের ছবি তুলতে চাইলে সম্ভব হলে সবসময়ই র’ (আরএডব্লিউ) ফরম্যাটে ছবি তোলা ভালো।

জেনে অবাক হবেন যে, শত বছর আগে বৃহত্তর যশোর (ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ, যশোর) অঞ্চলে বন্যপ্রাণী বাস করত। কোন কোন বন্যপ্রাণী সেখানে ছিল? নদী, জলাভূমি ও পুকুরে কী কী মাছ পাওয়া যেত? ১৯১২ সালের এল এস এস ওম্যালি-এর বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার থেকে অনুবাদ করেছেন ভূ-পর্যটক তারেক অণু।
২ ঘণ্টা আগে
‘ফাঁকা বুলি আওড়াবার অভ্যাস আমার নেই। ট্যাংক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আমার আছে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর অধীনে একটি ট্যাংক ইউনিটে অংশগ্রহণে আমি অটল।’ হুঙ্কার ছাড়লেন ৭০ বছর বয়সী অঁদ্রে মালরো। ওয়াশিংটন নিউজ পত্রিকায় ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হলো এ প্রসঙ্গে একটি সম্পাদকীয়।
৭ ঘণ্টা আগে
বিকেলবেলার এক পশলা বৃষ্টি, হাতে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ। জানালার গ্রিল ধরে বাইরে তাকাতেই ইউটিউবের প্লে-লিস্টে বেজে উঠল নব্বই দশকের জনপ্রিয় কোনো গান। ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার বুকের ভেতর কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে ওঠে। কারো চোখে জমা হয় অশ্রুবিন্দু, কিন্তু ঠোঁটের কোণে লেগে থাকে মৃদু হাসি।
১ দিন আগে
সাধারণত পথশিশুরা মানুষের কাছে হাত পাতে, সাহায্য চায়। কিন্তু সেদিন তাঁরা ছিল দাতা। সারা দিন তাঁরা যাত্রীদের জুতা পলিশ করল, হাঁকডাক করে লোক জড়ো করল, সবাইকে বাংলাদেশের মানুষের দুঃখের কথা বলল। দিনশেষে তাঁদের ছোট ছোট হাতে জমেছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ।
১ দিন আগে