২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। পিছিয়ে ছিলেন না নারীরাও। কখনো নেতৃত্ব দিয়েছেন, কখনো ঢাল হয়েছেন, আবার কখনো কণ্ঠ মিলিয়েছেন স্লোগানে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পর তাঁদের উপস্থিতি যেন অনেক নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। কেন তাঁরা রাজপথ থেকে সরে গেলেন? এই প্রশ্ন ঘুরছে সবখানে। ফেনীও এই বাস্তবতার বাইরে নয়। চলুন, ফেনীর নারী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে এর উত্তর খোঁজা যাক-
স্ট্রিম সংবাদদাতা
আন্দোলনের শুরু: ফেসবুক থেকে রাজপথে
ফেনীতে নারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার শুরুটা হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ‘কোটা পুনর্বহাল চলবে না’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে অনেকেই প্রথমবার তাদের মতামত জানান। আন্দোলনে সরাসরি অংশ নিতে ইচ্ছুকদের যুক্ত করা হয় একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে। সেখান থেকেই শুরু রাজপথে সক্রিয়তা।
ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের ছাত্রী সুরাইয়া ইয়াছমিন ২০২৪ সালের ৭ জুলাই যুক্ত হন সেই গ্রুপে এবং দ্রুতই কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ১৮ জন সমন্বয়কের তালিকায় ফেনীর নারী প্রতিনিধি হিসেবে নাম উঠে আসে তাঁর।
সুরাইয়া বলেন, ‘আমি এমন এলাকায় থাকি, যেখানে চারপাশে আওয়ামী লীগের লোকজন। দেশের অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারিনি।’
তবে আন্দোলনের পর তাঁর পরিবার থেকে বলা হয়েছে, ‘তুমি মেয়েমানুষ, ঘরে থাকো। এসব আন্দোলন তোমাদের কাজ না।’
রাজপথের সাহসী মুখেরা এখন কোথায়
শুধু সুরাইয়াই নন, আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থাকা আরও অনেক নারী আজ রাজপথে নেই।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তাসফিয়া তাসনিম, কোটাবিরোধী আন্দোলের দিনগুলোতে পুলিশি অভিযানের সময় ছিলেন ‘ভাইদের ঢাল’। আন্দোলনের সময় তাঁকে ক্যাম্পাসে খোঁজ করত ছাত্রলীগ। নিরাপত্তার জন্য বাসায় ফেরার পথও বদলাতে হয়েছিল। এখন তাঁকেও দেখা যায় না মাঠে।
তাসফিয়া স্ট্রিমকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কেউ ছিলাম না। শুধুই একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এখন নিজের পড়াশোনায় ফিরতে চাই।’
চট্টগ্রাম বিএএফ শাহীন কলেজের ছাত্রী আদিবা ইবনাত রিদিকা প্রথম মাঠে নেমেছিলেন ১৫ জুলাই, অভিভাবকদের নিয়েই। কিন্তু সেদিন ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলার শিকার হন তাঁরা।
আদিবা বলেন, ‘আমরা মেয়েরা সামনে ছিলাম, ভাইয়েরা পেছনে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত। আন্দোলনের পর নারীরা অবহেলিত ও হুমকির মুখে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক নারী আন্দোলনকারী স্ট্রিমকে বলেন, আমরা স্বৈরাচারবিরোধী চেতনা থেকেই রাস্তায় নেমেছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর প্ল্যাটফর্মের কিছু নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আমরা সরে এসেছি। যদি ভবিষ্যতে আবার স্বৈরাচার তৈরি হয়, তখন আবার মাঠে নামব।’
‘আমি এমন এলাকায় থাকি, যেখানে চার পাশে আওয়ামী লীগের লোকজন। দেশের অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারিনি। আন্দোলনের পর পরিবার থেকে বলা হয়েছে, ‘তুমি মেয়ে মানুষ, ঘরে থাকো। এসব আন্দোলন তোমাদের কাজ না।’ সুরাইয়া ইয়াছমিন, ছাত্রী, ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ।
হামলা, বিতর্ক ও চুপ হয়ে যাওয়া
আন্দোলনের সময় ফেনীতে একাধিকবার হামলা চালায় বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। ১৭ জুলাই ট্রাংক রোডে এক বর্বর হামলার পর অনেক নারী আর মাঠে ফেরেননি।
এ ছাড়াও, বছর শেষে ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ওমর ফারুক শুভ প্রতারণা ও মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এই বিতর্কও নারী সদস্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি করে, এবং পরিবারের চাপ আরও বেড়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, ‘নারীরা শুধু পাশে ছিলেন না, অনেক সময় ভাইদের রক্ষকবচ হিসেবেও সামনে দাঁড়িয়েছেন।’
তবে নারীদের সরে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তাঁরা বলেছেন, আন্দোলন শেষ; এখন পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চান। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমাদের কাছে সরাসরি অভিযোগ আসেনি।’
তৎকালীন আরেক সংগঠক ওমর ফারুক বলেন, ‘বেশির ভাগই তখন এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। এখন অনেকেই ফেনীর বাইরে পড়ছেন। তাই দূরে রয়েছেন।'
‘রাজনৈতিক দলের কেউ ছিলাম না। শুধুই একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এখন নিজের পড়াশোনায় ফিরতে চাই।’ তাসফিয়া তাসনিম, শিক্ষার্থী, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট।
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারীদের উপস্থিতি ছিল বলিষ্ঠ, সাহসী ও যুগান্তকারী। কিন্তু আন্দোলনের এক বছর পর দেখা যাচ্ছে—তাঁরা অনেকটাই জনপরিসর থেকে ‘অদৃশ্য’।
এটা কি সামাজিক ও পারিবারিক চাপের ফল? নাকি রাজনীতির পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো তাঁদের অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে?
এই প্রশ্নগুলো সামনে রাখা জরুরি—কারণ ভবিষ্যতের গণ-আন্দোলনের পথে নারীর অংশগ্রহণ ও স্বীকৃতি নির্ধারিত হবে আজকের স্মৃতি ও সিদ্ধান্তের ওপর।
গণ-অভ্যুত্থানগুলো শুধু স্বৈরাচার পতনের গল্প নয়, তা সাহসী মানুষের আত্মত্যাগ ও নীরব প্রত্যাহারের মিশ্র অভিজ্ঞতাও। ইতিহাসের পাতায় এই নারীদের কণ্ঠও যেন লেখা থাকে, এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।
আন্দোলনের শুরু: ফেসবুক থেকে রাজপথে
ফেনীতে নারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার শুরুটা হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ‘কোটা পুনর্বহাল চলবে না’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে অনেকেই প্রথমবার তাদের মতামত জানান। আন্দোলনে সরাসরি অংশ নিতে ইচ্ছুকদের যুক্ত করা হয় একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে। সেখান থেকেই শুরু রাজপথে সক্রিয়তা।
ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের ছাত্রী সুরাইয়া ইয়াছমিন ২০২৪ সালের ৭ জুলাই যুক্ত হন সেই গ্রুপে এবং দ্রুতই কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ১৮ জন সমন্বয়কের তালিকায় ফেনীর নারী প্রতিনিধি হিসেবে নাম উঠে আসে তাঁর।
সুরাইয়া বলেন, ‘আমি এমন এলাকায় থাকি, যেখানে চারপাশে আওয়ামী লীগের লোকজন। দেশের অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারিনি।’
তবে আন্দোলনের পর তাঁর পরিবার থেকে বলা হয়েছে, ‘তুমি মেয়েমানুষ, ঘরে থাকো। এসব আন্দোলন তোমাদের কাজ না।’
রাজপথের সাহসী মুখেরা এখন কোথায়
শুধু সুরাইয়াই নন, আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থাকা আরও অনেক নারী আজ রাজপথে নেই।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তাসফিয়া তাসনিম, কোটাবিরোধী আন্দোলের দিনগুলোতে পুলিশি অভিযানের সময় ছিলেন ‘ভাইদের ঢাল’। আন্দোলনের সময় তাঁকে ক্যাম্পাসে খোঁজ করত ছাত্রলীগ। নিরাপত্তার জন্য বাসায় ফেরার পথও বদলাতে হয়েছিল। এখন তাঁকেও দেখা যায় না মাঠে।
তাসফিয়া স্ট্রিমকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কেউ ছিলাম না। শুধুই একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এখন নিজের পড়াশোনায় ফিরতে চাই।’
চট্টগ্রাম বিএএফ শাহীন কলেজের ছাত্রী আদিবা ইবনাত রিদিকা প্রথম মাঠে নেমেছিলেন ১৫ জুলাই, অভিভাবকদের নিয়েই। কিন্তু সেদিন ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলার শিকার হন তাঁরা।
আদিবা বলেন, ‘আমরা মেয়েরা সামনে ছিলাম, ভাইয়েরা পেছনে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত। আন্দোলনের পর নারীরা অবহেলিত ও হুমকির মুখে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক নারী আন্দোলনকারী স্ট্রিমকে বলেন, আমরা স্বৈরাচারবিরোধী চেতনা থেকেই রাস্তায় নেমেছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর প্ল্যাটফর্মের কিছু নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আমরা সরে এসেছি। যদি ভবিষ্যতে আবার স্বৈরাচার তৈরি হয়, তখন আবার মাঠে নামব।’
‘আমি এমন এলাকায় থাকি, যেখানে চার পাশে আওয়ামী লীগের লোকজন। দেশের অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারিনি। আন্দোলনের পর পরিবার থেকে বলা হয়েছে, ‘তুমি মেয়ে মানুষ, ঘরে থাকো। এসব আন্দোলন তোমাদের কাজ না।’ সুরাইয়া ইয়াছমিন, ছাত্রী, ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ।
হামলা, বিতর্ক ও চুপ হয়ে যাওয়া
আন্দোলনের সময় ফেনীতে একাধিকবার হামলা চালায় বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। ১৭ জুলাই ট্রাংক রোডে এক বর্বর হামলার পর অনেক নারী আর মাঠে ফেরেননি।
এ ছাড়াও, বছর শেষে ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ওমর ফারুক শুভ প্রতারণা ও মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এই বিতর্কও নারী সদস্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি করে, এবং পরিবারের চাপ আরও বেড়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, ‘নারীরা শুধু পাশে ছিলেন না, অনেক সময় ভাইদের রক্ষকবচ হিসেবেও সামনে দাঁড়িয়েছেন।’
তবে নারীদের সরে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তাঁরা বলেছেন, আন্দোলন শেষ; এখন পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চান। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমাদের কাছে সরাসরি অভিযোগ আসেনি।’
তৎকালীন আরেক সংগঠক ওমর ফারুক বলেন, ‘বেশির ভাগই তখন এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। এখন অনেকেই ফেনীর বাইরে পড়ছেন। তাই দূরে রয়েছেন।'
‘রাজনৈতিক দলের কেউ ছিলাম না। শুধুই একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এখন নিজের পড়াশোনায় ফিরতে চাই।’ তাসফিয়া তাসনিম, শিক্ষার্থী, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট।
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারীদের উপস্থিতি ছিল বলিষ্ঠ, সাহসী ও যুগান্তকারী। কিন্তু আন্দোলনের এক বছর পর দেখা যাচ্ছে—তাঁরা অনেকটাই জনপরিসর থেকে ‘অদৃশ্য’।
এটা কি সামাজিক ও পারিবারিক চাপের ফল? নাকি রাজনীতির পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো তাঁদের অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে?
এই প্রশ্নগুলো সামনে রাখা জরুরি—কারণ ভবিষ্যতের গণ-আন্দোলনের পথে নারীর অংশগ্রহণ ও স্বীকৃতি নির্ধারিত হবে আজকের স্মৃতি ও সিদ্ধান্তের ওপর।
গণ-অভ্যুত্থানগুলো শুধু স্বৈরাচার পতনের গল্প নয়, তা সাহসী মানুষের আত্মত্যাগ ও নীরব প্রত্যাহারের মিশ্র অভিজ্ঞতাও। ইতিহাসের পাতায় এই নারীদের কণ্ঠও যেন লেখা থাকে, এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর গ্রাম। ভাঙা ঘরের দাওয়ায় বিষণ্ন মুখে বসে আছেন বৃদ্ধ ভাদু শেখ। কপালের ভাঁজে ভাঁজে দুশ্চিন্তা—তাঁর মেয়েটি কি সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারবে? গর্ভপাত হয়ে যাবে না তো?
৬ ঘণ্টা আগেটিকটক হইল এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম। সোশ্যাল মিডিয়ার এই ভার্শনটা এমন যে আপনি দুইটা ট্যাপ দিলেই একটা ভিডিও বানায়া আপলোড করতে পারবেন। ক্যামেরা, এডিটিং, মিউজিক, ট্রেন্ডি সাউন্ড সব এক জায়গায়।
১ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসন ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন ঘটায়নি, বরং অনেক ক্ষেত্রে সমাজের রাজনৈতিক কাঠামো, শাসন ব্যবস্থা ও মানুষের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের দৃষ্টিকোণও বদলে দিয়েছে।
১ দিন আগে২ আগস্ট ঢাকার গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। এতে দেশের সব সংবাদমাধ্যমই খবরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই গুলিস্তান নামটি উল্লেখ করেছে। কিন্তু ঢাকার প্রশাসনিক কাঠামোয় গুলিস্তান নামে কিছু নেই!
৫ দিন আগে