.png)

স্ট্রিম ডেস্ক

সরকারগুলো যদি একযোগে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে পদক্ষেপ নেয় বিশ্ব এখনো জলবায়ু বিপর্যয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে এবং পুনরায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ফিরতে পারবে। নতুন এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এমন মত প্রকাশ করেছে ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারি লক্ষ্যগুলো অপর্যাপ্ত এবং দ্রুত সংশোধনের প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও পরিবহন, গৃহউষ্ণায়ন ও শিল্প খাতে বিদ্যুতায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বনেতারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাজিলের আমাজন নদীর মোহনায় অবস্থিত ছোট শহর বেলেমে বৈঠক করছেন। সোমবার শুরু হবে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০।
গত দুই বছর ধরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা শিল্পযুগ-পূর্ব মানের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রয়েছে—যা ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশগুলোর ঘোষিত জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ দশমিক ৩ থেকে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি চরম আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস বলছে, তাদের রোডম্যাপ অনুসারে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২০৫০ সালের আগে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব। শতাব্দীর শেষে জীবাশ্ম জ্বালানি পরিত্যাগ ও কার্বন অপসারণ প্রযুক্তির ব্যবহারে তা আবার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনা যেতে পারে।
তবে এটি ঝুঁকি পুরোপুরি দূর করবে না। বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রিনল্যান্ডের বরফগলা বা আমাজন অরণ্যের কার্বন শোষণের পরিবর্তে কার্বন নিঃসরণকারী হিসেবে রূপান্তর—এসব গুরুত্বপূর্ণ টিপিং পয়েন্ট যেকোনো মুহূর্তে সক্রিয় হতে পারে।
কোন তাপমাত্রায় এসব ঘটনা ঘটবে তা স্পষ্ট নয়, তবে প্রতিটি দশমিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিই ঝুঁকি বাড়ায়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সমুদ্র উষ্ণায়নে প্রবালফুলের ধ্বংস হয়তো ইতিমধ্যেই সেই সীমা অতিক্রম করেছে।
ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস-এর প্রধান নির্বাহী বিল হেয়ার বলেন, ‘১ দশমিক ৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করা রাজনৈতিক ব্যর্থতা। এটি এমন ক্ষতি ও টিপিং পয়েন্টের ঝুঁকি তৈরি করবে, যা এড়ানো সম্ভব ছিল। তবে এই রোডম্যাপ দেখায়—এখনো আমাদের হাতে সুযোগ আছে ২১০০ সালের মধ্যে উষ্ণতা পুনরায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নিচে নামানোর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যতটা সম্ভব কম সময় এই সীমার ওপরে থাকা, যাতে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি এড়ানো যায়।’
কপ-৩০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নতুন করে জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। এসব পরিকল্পনায় কার্বন কমানোর লক্ষ্য ও বাস্তবায়ন কৌশল থাকতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেকেরও কম দেশ তাদের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে, আর অনেক পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বর্তমান পরিকল্পনাগুলো অনুসারে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে—যা একবার শুরু হলে আর থামানো যাবে না এমন পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে। বর্তমান প্রতিশ্রুতিগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন মাত্র ১০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
অন্যদিকে ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে নির্গমন ২০১৯ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ এবং ২০৩০-এর দশকে প্রতিবছর ১১ শতাংশ হারে কমাতে হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে মিথেন গ্যাস ৩০ শতাংশ হ্রাস করাও জরুরি।
গবেষণা দলের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নিল গ্রান্ট বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমরা মূল্যবান সময় হারিয়েছি। তবে এই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ব্যাটারি প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটেছে। এই অগ্রগতি কাজে লাগাতে পারলে আমরা হারানো সময় পুষিয়ে নিতে পারব।’

সরকারগুলো যদি একযোগে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে পদক্ষেপ নেয় বিশ্ব এখনো জলবায়ু বিপর্যয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে এবং পুনরায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ফিরতে পারবে। নতুন এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এমন মত প্রকাশ করেছে ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারি লক্ষ্যগুলো অপর্যাপ্ত এবং দ্রুত সংশোধনের প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও পরিবহন, গৃহউষ্ণায়ন ও শিল্প খাতে বিদ্যুতায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বনেতারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাজিলের আমাজন নদীর মোহনায় অবস্থিত ছোট শহর বেলেমে বৈঠক করছেন। সোমবার শুরু হবে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০।
গত দুই বছর ধরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা শিল্পযুগ-পূর্ব মানের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রয়েছে—যা ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশগুলোর ঘোষিত জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ দশমিক ৩ থেকে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি চরম আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস বলছে, তাদের রোডম্যাপ অনুসারে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২০৫০ সালের আগে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব। শতাব্দীর শেষে জীবাশ্ম জ্বালানি পরিত্যাগ ও কার্বন অপসারণ প্রযুক্তির ব্যবহারে তা আবার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনা যেতে পারে।
তবে এটি ঝুঁকি পুরোপুরি দূর করবে না। বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রিনল্যান্ডের বরফগলা বা আমাজন অরণ্যের কার্বন শোষণের পরিবর্তে কার্বন নিঃসরণকারী হিসেবে রূপান্তর—এসব গুরুত্বপূর্ণ টিপিং পয়েন্ট যেকোনো মুহূর্তে সক্রিয় হতে পারে।
কোন তাপমাত্রায় এসব ঘটনা ঘটবে তা স্পষ্ট নয়, তবে প্রতিটি দশমিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিই ঝুঁকি বাড়ায়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সমুদ্র উষ্ণায়নে প্রবালফুলের ধ্বংস হয়তো ইতিমধ্যেই সেই সীমা অতিক্রম করেছে।
ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস-এর প্রধান নির্বাহী বিল হেয়ার বলেন, ‘১ দশমিক ৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করা রাজনৈতিক ব্যর্থতা। এটি এমন ক্ষতি ও টিপিং পয়েন্টের ঝুঁকি তৈরি করবে, যা এড়ানো সম্ভব ছিল। তবে এই রোডম্যাপ দেখায়—এখনো আমাদের হাতে সুযোগ আছে ২১০০ সালের মধ্যে উষ্ণতা পুনরায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নিচে নামানোর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যতটা সম্ভব কম সময় এই সীমার ওপরে থাকা, যাতে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি এড়ানো যায়।’
কপ-৩০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নতুন করে জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। এসব পরিকল্পনায় কার্বন কমানোর লক্ষ্য ও বাস্তবায়ন কৌশল থাকতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেকেরও কম দেশ তাদের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে, আর অনেক পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বর্তমান পরিকল্পনাগুলো অনুসারে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে—যা একবার শুরু হলে আর থামানো যাবে না এমন পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে। বর্তমান প্রতিশ্রুতিগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন মাত্র ১০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
অন্যদিকে ক্লাইমেট অ্যানালিটিকস বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে নির্গমন ২০১৯ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ এবং ২০৩০-এর দশকে প্রতিবছর ১১ শতাংশ হারে কমাতে হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে মিথেন গ্যাস ৩০ শতাংশ হ্রাস করাও জরুরি।
গবেষণা দলের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নিল গ্রান্ট বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমরা মূল্যবান সময় হারিয়েছি। তবে এই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ব্যাটারি প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটেছে। এই অগ্রগতি কাজে লাগাতে পারলে আমরা হারানো সময় পুষিয়ে নিতে পারব।’
.png)
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
৯ দিন আগে
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১ হাজার ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি
১১ দিন আগে
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের ছয় দিন বাদে এখন পর্যন্ত ঢাকার বায়ুমানের পরিস্থিতি বেশ নাজুক। এই সময় রাজধানীর বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ের মধ্যে ওঠানামা করেছে। ১৮ দিনের মধ্যে একদিনও ঢাকার বায়ুমান ‘মাঝারি’ অবস্থায় নামেনি।
১৩ দিন আগে