leadT1ad

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা: বাণিজ্য উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৭
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য ঘাটতি কমার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক আরও কমানো হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে সফররত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল।

আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক আরও কিছুটা কমানোর বিষয়ে আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছে মার্কিন প্রতিনিধিদল।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের চলমান আলোচনার ধারাবাহিকতায় আজ তাদের সঙ্গে বসেছি। অ্যাগ্রিমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক ও কান্ট্রি স্পেসিফিক কমিটমেন্ট বিষয়ে আলোচনাগুলো আমরা জয়েন্ট ডিক্লারেশনের রেফারেন্সে করেছি। বিশেষ কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে বাণিজ্য ঘাটতি কমলে শুল্ক পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো শুল্কচুক্তি হয়নি। শেখ বশিরউদ্দীন জানান, এই আলোচনা চূড়ান্ত চুক্তি করার লক্ষ্যে হচ্ছে। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে পণ্যসম্ভার, কৃষি ও জ্বালানি পণ্য, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে আনা সম্ভব। ‘এতে বাণিজ্য ঘাটতি কমছে, এবং আমাদের উভয়ের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বাইরে আমরা আরও প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। সবমিলিয়ে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক,’ তিনি বলেন।

বশিরউদ্দীন আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের তুলার ওপর নির্ভর করে পোশাক খাতে অতিরিক্ত শুল্ক আদায়েরও চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজকের আলোচনার অন্যতম লক্ষ্য এটি। আমরা মনে করছি, এতে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। যদি আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারি, শুল্ক হ্রাসের আরও সুযোগ থাকবে।’

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ছয় বিলিয়নের মতো বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আমরা আগের কমিটমেন্ট অনুযায়ী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে গম ও সয়াবিন কিনছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকেও এই পণ্য আনা হলে ঘাটতি কমানো সম্ভব এবং কিছু সুবিধাও পাওয়া যাবে। গত অর্থবছরে ৬০০ মিলিয়ন ডলার তুলা কিনেছি, এ বছর দুই মাসে ২৭৬ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। গমের আমদানি বেড়েছে। এগুলো আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি।’

শুল্ক চুক্তি কবে চূড়ান্ত হবে, সে বিষয়ে মার্কিন দল পরে সময় জানাবে। শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গমের প্রোটিন কনটেন্ট রাশিয়ার তুলনায় ১০–১৫ ভাগ বেশি, তাই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। বিভিন্ন দেশের গমের দাম প্রোটিন কনটেন্টের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।’

উপদেষ্টা আরও জানান, বোয়িং থেকে বিমান ক্রয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, ‘আজ অর্ডার দিলাম, তবে সামনের বছর পেয়ে যাবো এমন ঘটনা নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত