সবজি ও মাছ-মাংসের দাম চড়া
স্ট্রিম প্রতিবেদক
নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির দেখা নেই বহুদিন। প্রতিদিনের বাজারের প্রয়োজন মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে স্বল্প ও নিম্নআয়ের মানুষের। আজ বাজারে গিয়েও টের পাওয়া গেল তাদের দীর্ঘশ্বাস।
আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা, কালশী, রামপুরা ও বাড্ডার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেল, শুধু সবজিই নয়, নিত্যপণ্যের বাজারে আলু ছাড়া অনেক পণ্যের দামই এখন চড়া। বিশেষত বাজারে মাছ, শাক, ডাল, আটা, ময়দা ও চা পাতার দাম বেড়েছে শেষ দুই সপ্তাহে।
মিরপুরের মাটিকাটা কাঁচাবাজারে দেখা হলো হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি এই বাজারে প্রায় ২৫ বছর ধরে মালামাল বহনের কাজ করেন। প্রতিদিন তাঁর আয় গড়ে ৫০০ টাকা। কিন্তু অন্যের বাজার বহন করলেও নিজের বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে।
হাফিজুর বলেন, ‘৫০০ টাকা দিয়ে সংসার চালানো সত্যিই কষ্টকর। আল্লাহই যেন চালাচ্ছেন। আমার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ছেলের বউ—সবাইকে নিয়ে দুই রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। ছেলে ও ছেলের বউ বাসা ভাড়া দেয়, আর আমি দিই সংসারের খাবারের খরচ। কিন্তু যে টাকা পাই, তাতে চাল কিনব নাকি মাছ-মাংস-সবজি, ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। অথচ সবই দরকার। এর সঙ্গে তেল, লবণ, মসলার খরচ তো আছেই। প্রতিদিন এক অজানা লড়াই করতে হচ্ছে।’
হতাশা থেকে তিনি ঢাকাকে বিদায় জানানোর কথাও ভাবছেন। বলেন, ‘ঢাকায় থাকা কষ্ট হয়ে গেছে। বেশি দিন আর সম্ভব হবে না। তাই চিন্তা করেছি রোজার ঈদের পর গ্রামের বাড়ি (নেত্রকোনা) চলে যাব। জমি আছে, সেখানে কাজ করে খেয়ে বাঁচব। ঢাকায় আর থাকা যাচ্ছে না।’
এ দৃশ্য কেবল হাফিজুর রহমানের একার নয়। ঢাকার হাজারো নিম্ন আয়ের পরিবার একই বাস্তবতার মুখোমুখি।
আজ রাজধানীর কালশী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতা সবার মধ্যেই হতাশা।
সরকারি চাকরিজীবি সাদমান হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন বাজার করতে। তিনি এক দোকান থেকে কিছুটা ভাঙা হাঁসের ডিম কিনছিলেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘যখন সামর্থ্য থাকে তখন ভালোটা কিনি। না থাকলে ভাঙা ডিম কিনে খাই। বাসার জন্যই নিতে হচ্ছে।’
আরেক ক্রেতা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুলতানা আক্তার বলেন, ‘১০০ টাকার বেশি দামের সবজি এখন আর বাসায় আনা হয় না। বাজেটে কুলায় না। যদি দাম আরও বাড়ে, তবে হয়তো সবজিই খাওয়া বন্ধ করতে হবে।’
অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সাইফুল ইসলাম মূল বাজার থেকে না কিনে বাইরে ঝুড়ি নিয়ে বসা বিক্রেতার কাছ থেকে কিনছিলেন। কারণ সেখানে তুলনামূলক দাম কিছুটা কম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সবজির দাম আকাশছোঁয়া, মাছ-মাংস তো আরও বেশি। কৃষক যেখানে ৫ টাকায় বিক্রি করে, সেটা শহরে এসে ২০ টাকায় বিক্রি হয়। এভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে ঢাকায় টিকে থাকা সম্ভব না।’
সাইফুল ইসলাম আরও যোগ করেন, ‘আমি নিজের সঞ্চয় ভেঙে সংসার চালাচ্ছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে হয়তো পরিবারকে গ্রামে পাঠাতে হবে।’
আজকের বাজারে সবজির দাম ছিল অস্বাভাবিক উচ্চ। টমেটো কেজি ১৪০–১৬০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০–১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১৫০–১৬০ টাকা, দেশি শসা ১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১০০–১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০–১২০ টাকা, পটল ৮০–১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০–৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০–২০০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০–৪০০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০–৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০–৬০ টাকা। এছাড়া মানভেদে প্রতিটি লাউ ৮০–১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৮০ টাকা, কাঁচা কলা (প্রতি হালি) ৪০–৫০ টাকা এবং লেবু ২০–৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
বাড্ডা বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. শাহিন বলেন, ‘দাম বেশি হওয়ায় মানুষ এখন কম কিনছে। আগে কেউ দুই কেজি নিতো, এখন নেয় এক কেজি। যারা এক কেজি নিতো তারা এখন নেয় আধা কেজি। দরিদ্র মানুষ তো ভেতরের বাজারেই আসে না, বাইরে যেখান থেকে কিছুটা সস্তায় পাওয়া যায়, সেখান থেকে নেয়।’
আলু-পেঁয়াজের বাজারে তেমন পরিবর্তন হয়নি। ক্রস জাতের পেঁয়াজ আকারভেদে ৭৫–৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা। লাল আলু ২০–২৫ টাকা, সাদা আলু ২০–২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
রসুনের মধ্যে দেশি ১০০–১২০ টাকা, চায়না ১৪০–১৫০ টাকা। আদা ভারতীয় ১৬০–১৮০ টাকা, চায়না ২০০ টাকা।
মাছ-মাংসের দামও চড়া। ইলিশ মাছ আকারভেদে কেজি ১,০০০–২,৪০০ টাকা, রুই ও কাতল ৪০০–৬০০ টাকা, কালবাউশ ৫০০–৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০–১,৩০০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০–৫০০ টাকা, শিং ৪০০–১,২০০ টাকা, টেংরা ৬০০–১,০০০ টাকা, বেলে ৮০০–১,২০০ টাকা, মেনি ৭০০–৮০০ টাকা, বোয়াল ৫০০–১,২০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০–১,৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
বিক্রেতা গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আগে ক্রেতারা ৪/৫টা ইলিশ নিতো, এখন নেয় ১টা বা ২টা। আমরাও আগের মতো বেশি কিনতে পারি না। খুচরা বিক্রি হচ্ছে কমে।’
এছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১,২০০ টাকা, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০-২০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৭০-১৮০ টাকা।কক মুরগি ২৯৫–৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০–৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৭০ টাকা।
এদিকে, বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম এলাকাভেদে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির ডিম (লাল) যেখানে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যদিও কিছু খুচরা দোকানে এখনো এক হালি ডিম ৫০ টাকা রাখা হচ্ছে।
তবে অধিকাংশ বিক্রেতারা বলেছেন, সরবরাহ বাড়ার কারণে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ৫-১০ টাকা কম।
মুদি পণ্যের দামও প্রায় অপরিবর্তিত। প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল ৯০–১৩০ টাকা, মুসুর ডাল ১০৫–১৫৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪০–১৭০ টাকা, খেসারি ১২০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাসকলাই ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা তেল ১৭২ টাকা, সরিষার তেল ২২০ টাকা, ঘি ১,২৫০–১,৫৫০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ১০৫ টাকা, ময়দা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
মসলার মধ্যে এলাচি ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১ হাজার ৩৫০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল।
নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির দেখা নেই বহুদিন। প্রতিদিনের বাজারের প্রয়োজন মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে স্বল্প ও নিম্নআয়ের মানুষের। আজ বাজারে গিয়েও টের পাওয়া গেল তাদের দীর্ঘশ্বাস।
আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা, কালশী, রামপুরা ও বাড্ডার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেল, শুধু সবজিই নয়, নিত্যপণ্যের বাজারে আলু ছাড়া অনেক পণ্যের দামই এখন চড়া। বিশেষত বাজারে মাছ, শাক, ডাল, আটা, ময়দা ও চা পাতার দাম বেড়েছে শেষ দুই সপ্তাহে।
মিরপুরের মাটিকাটা কাঁচাবাজারে দেখা হলো হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি এই বাজারে প্রায় ২৫ বছর ধরে মালামাল বহনের কাজ করেন। প্রতিদিন তাঁর আয় গড়ে ৫০০ টাকা। কিন্তু অন্যের বাজার বহন করলেও নিজের বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে।
হাফিজুর বলেন, ‘৫০০ টাকা দিয়ে সংসার চালানো সত্যিই কষ্টকর। আল্লাহই যেন চালাচ্ছেন। আমার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ছেলের বউ—সবাইকে নিয়ে দুই রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। ছেলে ও ছেলের বউ বাসা ভাড়া দেয়, আর আমি দিই সংসারের খাবারের খরচ। কিন্তু যে টাকা পাই, তাতে চাল কিনব নাকি মাছ-মাংস-সবজি, ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। অথচ সবই দরকার। এর সঙ্গে তেল, লবণ, মসলার খরচ তো আছেই। প্রতিদিন এক অজানা লড়াই করতে হচ্ছে।’
হতাশা থেকে তিনি ঢাকাকে বিদায় জানানোর কথাও ভাবছেন। বলেন, ‘ঢাকায় থাকা কষ্ট হয়ে গেছে। বেশি দিন আর সম্ভব হবে না। তাই চিন্তা করেছি রোজার ঈদের পর গ্রামের বাড়ি (নেত্রকোনা) চলে যাব। জমি আছে, সেখানে কাজ করে খেয়ে বাঁচব। ঢাকায় আর থাকা যাচ্ছে না।’
এ দৃশ্য কেবল হাফিজুর রহমানের একার নয়। ঢাকার হাজারো নিম্ন আয়ের পরিবার একই বাস্তবতার মুখোমুখি।
আজ রাজধানীর কালশী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতা সবার মধ্যেই হতাশা।
সরকারি চাকরিজীবি সাদমান হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন বাজার করতে। তিনি এক দোকান থেকে কিছুটা ভাঙা হাঁসের ডিম কিনছিলেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘যখন সামর্থ্য থাকে তখন ভালোটা কিনি। না থাকলে ভাঙা ডিম কিনে খাই। বাসার জন্যই নিতে হচ্ছে।’
আরেক ক্রেতা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুলতানা আক্তার বলেন, ‘১০০ টাকার বেশি দামের সবজি এখন আর বাসায় আনা হয় না। বাজেটে কুলায় না। যদি দাম আরও বাড়ে, তবে হয়তো সবজিই খাওয়া বন্ধ করতে হবে।’
অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সাইফুল ইসলাম মূল বাজার থেকে না কিনে বাইরে ঝুড়ি নিয়ে বসা বিক্রেতার কাছ থেকে কিনছিলেন। কারণ সেখানে তুলনামূলক দাম কিছুটা কম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সবজির দাম আকাশছোঁয়া, মাছ-মাংস তো আরও বেশি। কৃষক যেখানে ৫ টাকায় বিক্রি করে, সেটা শহরে এসে ২০ টাকায় বিক্রি হয়। এভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে ঢাকায় টিকে থাকা সম্ভব না।’
সাইফুল ইসলাম আরও যোগ করেন, ‘আমি নিজের সঞ্চয় ভেঙে সংসার চালাচ্ছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে হয়তো পরিবারকে গ্রামে পাঠাতে হবে।’
আজকের বাজারে সবজির দাম ছিল অস্বাভাবিক উচ্চ। টমেটো কেজি ১৪০–১৬০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০–১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১৫০–১৬০ টাকা, দেশি শসা ১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১০০–১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০–১২০ টাকা, পটল ৮০–১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০–৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০–২০০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০–৪০০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০–৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০–৬০ টাকা। এছাড়া মানভেদে প্রতিটি লাউ ৮০–১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৮০ টাকা, কাঁচা কলা (প্রতি হালি) ৪০–৫০ টাকা এবং লেবু ২০–৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
বাড্ডা বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. শাহিন বলেন, ‘দাম বেশি হওয়ায় মানুষ এখন কম কিনছে। আগে কেউ দুই কেজি নিতো, এখন নেয় এক কেজি। যারা এক কেজি নিতো তারা এখন নেয় আধা কেজি। দরিদ্র মানুষ তো ভেতরের বাজারেই আসে না, বাইরে যেখান থেকে কিছুটা সস্তায় পাওয়া যায়, সেখান থেকে নেয়।’
আলু-পেঁয়াজের বাজারে তেমন পরিবর্তন হয়নি। ক্রস জাতের পেঁয়াজ আকারভেদে ৭৫–৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা। লাল আলু ২০–২৫ টাকা, সাদা আলু ২০–২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
রসুনের মধ্যে দেশি ১০০–১২০ টাকা, চায়না ১৪০–১৫০ টাকা। আদা ভারতীয় ১৬০–১৮০ টাকা, চায়না ২০০ টাকা।
মাছ-মাংসের দামও চড়া। ইলিশ মাছ আকারভেদে কেজি ১,০০০–২,৪০০ টাকা, রুই ও কাতল ৪০০–৬০০ টাকা, কালবাউশ ৫০০–৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০–১,৩০০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০–৫০০ টাকা, শিং ৪০০–১,২০০ টাকা, টেংরা ৬০০–১,০০০ টাকা, বেলে ৮০০–১,২০০ টাকা, মেনি ৭০০–৮০০ টাকা, বোয়াল ৫০০–১,২০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০–১,৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
বিক্রেতা গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আগে ক্রেতারা ৪/৫টা ইলিশ নিতো, এখন নেয় ১টা বা ২টা। আমরাও আগের মতো বেশি কিনতে পারি না। খুচরা বিক্রি হচ্ছে কমে।’
এছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১,২০০ টাকা, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০-২০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৭০-১৮০ টাকা।কক মুরগি ২৯৫–৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০–৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৭০ টাকা।
এদিকে, বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম এলাকাভেদে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির ডিম (লাল) যেখানে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যদিও কিছু খুচরা দোকানে এখনো এক হালি ডিম ৫০ টাকা রাখা হচ্ছে।
তবে অধিকাংশ বিক্রেতারা বলেছেন, সরবরাহ বাড়ার কারণে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ৫-১০ টাকা কম।
মুদি পণ্যের দামও প্রায় অপরিবর্তিত। প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল ৯০–১৩০ টাকা, মুসুর ডাল ১০৫–১৫৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪০–১৭০ টাকা, খেসারি ১২০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাসকলাই ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা তেল ১৭২ টাকা, সরিষার তেল ২২০ টাকা, ঘি ১,২৫০–১,৫৫০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ১০৫ টাকা, ময়দা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
মসলার মধ্যে এলাচি ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১ হাজার ৩৫০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল।
রপ্তানি আয় বাড়ানো ও খাতকে বহুমুখীকরণের লক্ষ্য সামনে রেখে আংশিক রপ্তানিকারকদের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে সাময়িক শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২ দিন আগেচাল থেকে শুরু করে ডাল, আটা-ময়দা, ডিম, মুরগি, মাছ কিংবা সবজি কোনোটিরই দাম সহনীয় পর্যায়ে নেই। একেকদিন বাজার করতে এসে ক্রেতারা পড়ছেন দোটানায়—কাঁটছাট করতে গিয়ে কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা নেবেন। ব্যবসা ভালো হচ্ছে না বলে বিক্রেতারাও ক্ষুব্ধ।
৭ দিন আগেআওয়ামী লীগ সরকারের শেষ আট বছরে শ্রমিকনেতা ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে মোট ৪৭ হাজার ৭ শ ২৮ জন অভিযুক্ত এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
৮ দিন আগেসামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ৪৯ তম স্থানে রয়েছেন। সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে তিনি এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। আর বিশ্বের শীর্ষ শতকোটির তালিকায় তার অবস্থান ৩০০০ তম।
৮ দিন আগে